নিজের বান্দ্রার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বলিউড ডিভা মালাইকা অরোরার বাবা অনিল অরোরার মৃতদেহ। গতকাল (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে মালাইকা অরোরার বাবার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। নিজের বাড়ির ছয়তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি, এমনটাই অনুমান করছে পুলিশ।
স্বাভাবিকভাবেই বাবার আত্মহত্যায় বিপর্যস্ত মালাইকা অরোরা। খবর পেয়েই ছুটে আসেন পুণে থেকে। গাড়ি থেকে নেমেই ভেঙে পড়েন কান্নায়। তাকে সান্তনা দিতে সব কাজ ফেলে ছুটে আসেন তার ঘনিষ্ট বন্ধু বলিউড সুপারস্টার কারিনা কাপুর খান। এছাড়া এসেছিলেন মালাইকার সদ্য ব্রেকআপ হওয়া প্রেমিক অভিনেতা অর্জুন কাপুর, তার সাবেক স্বামী আরবাজ খান, শ্বশুর সেলিম খান ও দেবর সোহেল খান।
বিজ্ঞাপন
নিজেকে একটু শান্ত করেই মালাইকা জানান আত্মঘাতী হওয়ার আগে বাবা শেষ কী কথা বলে গেছেন তাকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে মালাইকা ও তার অমৃতাকে ফোন করেছিলেন তাদের বাবা।
দুজনকেই স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ‘আর পারছি না, আমি ক্লান্ত’। জানা গেছে, পুলিশকে নাকি এমন কথাই জানিয়েছেন মালাইকা ও তার বোন অমৃতা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে মালাইকার মা বলেছেন, ‘ডিভোর্স হয়ে গেলেও, বলা চলে আমরা একসঙ্গেই থাকতাম। প্রত্যেক দিনের মতোই সকাল বারান্দায় বসে খবরের কাগজ পড়ছিলেন। অনেকক্ষণ ধরে আওয়াজ না পেয়ে বারান্দায় যাই। তারপর বারান্দা থেকে উঁকি মেরে দেখি, নিচে পড়ে রয়েছেন উনি। হাঁটু ব্যথা ছাড়া আর কোনো রোগ ছিল না তার।’
জানা গেছে, বহুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন মালাইকার বাবা। মালাইকার বয়স যখন ১১ এবং তার বোন অভিনেত্রী অমৃতা অরোরার বয়স যখন ৬, ঠিক সেই সময়ই মালাইকার মায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় অনিল অরোরার। মা জোসির কাছেই বড় হন মালাইকা ও অমৃতা। তবে বাবার সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিলো তার।
নাট্যজগতের অন্যতম ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের সহধর্মিণী গওহর আরা মামুন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্তেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমে জানিয়েছে অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ। সংগঠনটি জানায়, বুধবার জোহরের নামাজের পর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে গওহর আরা মামুনের জানাজা হবে। এরপর তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফন করা হবে।
সংগঠনটি গওহরের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা বিভাগের পরিচালক জ্যোতিকা জ্যোতি একাডেমিতে সহকর্মীদের তোপের মুখের বের যান।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে অফিসে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও চিত্রে এই ঘটনা দেখা যায়।
এরপর ফেসবুক লাইভে এসে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, আমি আজ অফিসে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পর প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। বাইরে আমাদের সহকর্মীদের কিছু মানুষকে উত্তেজিত দেখেছি। আমাদের আরেকজন পরিচালক আছেন, তিনি আমাকে বিষয়টি বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মহাপরিচালক এসে আমাকে বলেন, এই অবস্থায় কেন আসছেন আপনারা? এগুলো আমাকে সামলাতে দেন। তারপর যে সিদ্ধান্ত হয় হবে। আপনারা চলে যান। এরপর আমার রুমে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত জিনিস ব্যাগে ভরি। তখন লবিতে গিয়ে বাইরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাই। কিন্তু তারা কথা বলতে চান না। ওই মুখগুলো আগে পরিচিত থাকলেও সেই মুখগুলো আজ খুব অপরিচিত লাগছিল।
তিনি ফেসবুকে কেঁদে কেঁদে আরও বলেন, এই অপমান কি আমার প্রাপ্য ছিল? কোনো দলের সমর্থক ছিলাম বলে কি দেশটা আমার নয়? আমি তাহলে কোথায় যাব?
ইতিহাস গড়লো জাপানি টিভি সিরিজ ‘শোগুন’। ৭৬তম এমি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা ড্রামা সিরিজ পুরস্কার জিতেছে এটি। এবারই প্রথম অ-ইংরেজি ভাষার কোনো সিরিজ এই স্বীকৃতি পেলো।
‘শোগুন’ সিরিজে অনবদ্য নৈপুণ্যের জন্য সেরা অভিনেতা (ড্রামা সিরিজ) পুরস্কার জিতেছেন জাপানের হিরোয়ুকি সানাদা। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন জাপানের আরেক তারকা আনা সোয়াই। দুই জনের ঝুলিতে এটাই প্রথম এমি পুরস্কার।
বিভিন্ন কারিগরিতে ১৪টি পুরস্কার জিতে রেকর্ড গড়েছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘শোগুন’। এতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গল্প বলা হয়েছে। এর ‘ক্রিমসন স্কাই’ শিরোনামের পর্ব নির্মাণের সুবাদে সেরা পরিচালক (ড্রামা সিরিজ) হয়েছেন আমেরিকার ফ্রেডেরিক ই.ও. টোয়।
সোমবার রাতে (বাংলাদেশ সময় ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের পিকক থিয়েটারে প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ডসের বিজয়ী তালিকা ঘোষণা করা হয়। ‘শোগুন’ ছাড়াও চারটি করে পুরস্কার জিতেছে ‘দ্য বিয়ার’ ও ‘বেবি রেইন্ডিয়ার’। আমেরিকান টেলিভিশন শিল্পের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন স্বীকৃতি এমি অ্যাওয়ার্ডসের এবারের আসরে ২০২৩ সালের ১ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্য থেকে সেরাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
অ্যাকাডেমি অব টেলিভিশন আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের এই জমকালো আয়োজন সঞ্চালনা করেছেন কানাডিয়ান অভিনেতা-কমেডিয়ান ইউজিন লেভি ও তার ছেলে অভিনেতা ড্যান লেভি। এমি অ্যাওয়ার্ডসের ইতিহাসে এবারই প্রথম বাবা-ছেলেকে সঞ্চালক হিসেবে দেখা গেলো।
গত ১৭ জুলাই ৭৬তম এমি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা করা হয়। ‘শোগুন’ সর্বাধিক ২৫টি শাখায় মনোনীত হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩টি মনোনয়ন পেয়েছে ‘দ্য বিয়ার’। এর মাধ্যমে রেকর্ড গড়ে কমেডি সিরিজটি। এর আগে ‘থার্টি রক’ ২০০৯ সালে ২২টি মনোনয়ন পায়।
৭৬তম এমি অ্যাওয়ার্ডসে বিজয়ী তালিকা:
ড্রামা সিরিজ বিভাগ
সেরা ড্রামা সিরিজ: শোগুন (এফএক্স) সেরা অভিনেতা (ড্রামা সিরিজ): হিরোয়ুকি সানাদা (শোগুন) সেরা অভিনেত্রী (ড্রামা সিরিজ): আনা সাওয়াই (শোগুন) সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (ড্রামা সিরিজ): বিলি ক্রুডাপ (দ্য মর্নিং শো, অ্যাপল টিভি প্লাস) সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (ড্রামা সিরিজ): এলিজাবেথ ডেবিকি (দ্য ক্রাউন, নেটফ্লিক্স) সেরা পরিচালক (ড্রামা সিরিজ): ফ্রেডেরিক ই.ও. টোয় (শোগুন, পর্ব: ক্রিমসন স্কাই) সেরা চিত্রনাট্যকার (ড্রামা সিরিজ): উইল স্মিথ (স্লো হর্সেস, পর্ব: নেগোশিয়েটিং উইথ টাইগার্স, অ্যাপল টিভি প্লাস)।
কমেডি সিরিজ বিভাগ
সেরা কমেডি সিরিজ: হ্যাকস (ম্যাক্স) সেরা অভিনেতা (কমেডি সিরিজ): জেরেমি অ্যালেন হোয়াইট (দ্য বিয়ার) সেরা অভিনেত্রী (কমেডি সিরিজ): জিন স্মার্ট (হ্যাকস) সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (কমেডি সিরিজ): এবন মস-বাচরেক (দ্য বিয়ার) সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (কমেডি সিরিজ): লাইজা কোলন-জায়াস (দ্য বিয়ার) সেরা পরিচালক (কমেডি সিরিজ): ক্রিস্টোফার স্টোরার (দ্য বিয়ার, পর্ব: ফিশেজ) সেরা চিত্রনাট্যকার (কমেডি সিরিজ): লুসিয়া আনিয়েলো, পল ডব্লিউ ডাউন্স, জেন স্টাটস্কি (হ্যাকস, পর্ব: বুলেটপ্রুফ)(লিমিটেড অথবা অ্যান্থলজি সিরিজ অথবা মুভি)।
লিমিটেড অথবা অ্যান্থলজি সিরিজ বিভাগ
সেরা লিমিটেড অথবা অ্যান্থলজি সিরিজ: বেবি রেইন্ডিয়ার (নেটফ্লিক্স) সেরা অভিনেতা (লিমিটেড অথবা অ্যান্থলজি সিরিজ অথবা মুভি): রিচার্ড গাড (বেবি রেইন্ডিয়ার) সেরা অভিনেত্রী (লিমিটেড অথবা অ্যান্থলজি সিরিজ অথবা মুভি): জোডি ফস্টার (ট্রু ডিটেক্টিভ: নাইট কান্ট্রি) সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (লিমিটেড সিরিজ): লামোর্ন মরিস (ফার্গো, এফএক্স) সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (লিমিটেড সিরিজ): জেসিকা গানিং (বেবি রেইন্ডিয়ার) সেরা পরিচালক (লিমিটেড সিরিজ): রিপ্লি (স্টিভেন জেইলিয়ান, নেটফ্লিক্স) সেরা চিত্রনাট্যকার (লিমিটেড সিরিজ): রিচার্ড গাড (বেবি রেইন্ডিয়ার)।
রিয়েলিটি সিরিজ বিভাগ
সেরা রিয়েলিটি শো: দ্য ট্রেইটর্স (পিকক) সেরা টক সিরিজ: দ্য ডেইলি শো (কমেডি সেন্ট্রাল) সেরা স্ক্রিপ্টেড ভ্যারাইটি সিরিজ: লাস্ট উইক টুনাইট উইথ জন অলিভার (এইচবিও) সেরা চিত্রনাট্যকার (ভ্যারাইটি স্পেশাল): আলেক্স এডেলম্যান (জাস্ট ফর আস, এইচবিও)।
প্রকাশ্যে এসেছে দেবের বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'টেক্কা'র প্রথম ঝলক। সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবি যে দেবের ক্যারিয়ারে মাইলফলক হতে চলেছে তা নিয়ে আশাবাদী অভিনেতার অনুরাগীরা। সমাজিক যোগোযোগমাধ্যমে বিভিন্ন চলতি চর্চিত বিষয়ের মধ্যেও আলোচনায় উঠে এসেছে 'টেক্কা'। ছবিতে দেব ছাড়াও মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন রুক্মিণী মৈত্র এবং স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
'টেক্কা'র অন্যতম মুখ্য অভিনেতা ছাড়াও প্রযোজকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তার প্রযোজনা সংস্থা 'দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চারস'-এর ব্যানারে তৈরি হয়েছে 'টেক্কা'। এই প্রযোজনা সংস্থায় একজন নারী হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন স্বস্তিকা।
'টেক্কা' ছবিতে এক স্কুলপড়ুয়ার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। এই ছবির সুবাদে প্রথমবার দেবের সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছেন তিনি। তবে অভিনেতা দেবকে এগিয়ে রাখার পাশাপাশি প্রযোজক দেবের এক অন্য রূপ তুলে ধরলেন স্বস্তিকা।
এইমুহুর্তে মেয়েদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য এবং দেশ। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে স্বস্তিকা জানালেন, দেবের প্রযোজনা সংস্থায় মহিলাদের সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি যথেষ্ট নিরাপত্তা দেওয়া হয়, যে কোনও ক্ষেত্রে। উদাহরণ হিসাবে প্রসঙ্গ তোলেন শৌচালয়ের। মহিলাদের ক্ষেত্রে শৌচালয়ের সমস্যা নতুন কিছু নয়। সেক্ষেত্রে এই প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে প্রথম থেকেই এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ভাবা হয়েছে। স্বস্তিকার কথা থেকেই জানা গেল, যেখানেই শুটিং হোক না কেন, মহিলাদের শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা, তাদের খাওয়া-দাওয়া, এমনকি নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিল দেবের প্রযোজনা সংস্থা।
অথবা অভিনেত্রীর সঙ্গে একই ব্যবহার করা হয় এই সংস্থার শুটিং ইউনিটে। সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও জায়গাটা সকলের জন্য যে সমান, সেই দিকটাও তুলে ধরলেন স্বস্তিকা। তাই এই সময় দাঁড়িয়ে টলিউডে দেবের মতো প্রযোজকদের যে আরও বেশি করে প্রয়োজন তা একাধিকবার জানালেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
সবশেষে জোর গলায় 'টেক্কা' অভিনেত্রী যোগ করেন, দেবের প্রযোজনা সংস্থা সহ সৃজিত মুখোপাধ্যায় এর সঙ্গেও আবার কাজ করতে চাই। কারণ নারীদের ক্ষেত্রে যে জিনিসগুলো অত্যন্ত প্রয়োজন তা পেয়েছি এই প্রযোজনা সংস্থার তরফে"। তাই দেবের প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যে ফের কাজ করতে রাজি তিনি, সেকথাও জানিয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।