অমর নায়ক সালমান শাহ’র আগমনের দিনে (১৯ সেপ্টেম্বর) না ফেরার দুনিয়ায় পাড়ি জমালেন তারই ক্যারিয়ারের অন্যতম প্রযোজক দেওয়ান হাবিবুর রহমান হাবিব। যিনি একাধারে নাট্য-প্রযোজক, সাংবাদিক ও প্রকাশক।
নায়ক সালমান শাহ’র সিনেমা ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। ১৯৯৫ সালে তিনি সিনেমার সুপারস্টারে পরিণত হয়েছেন। এমন সময় সবাইকে চমকে দিয়ে দেওয়ান হাবিব নাটকে নিয়ে আসেন সালমান শাহকে। ‘নয়ন’ নামের সেই নাটকে সালমান শাহ’র বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শমী কায়সার। অরুণ চৌধুরীর চিত্রনাট্যে নাটকটি বানিয়েছেন আহমেদ রিয়াজ। বিটিভিতে প্রচার হওয়া ‘নয়ন’ সে সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নাটক। এমন একটি নাটক প্রযোজনা করার মতো সাহসী মানুষ খুব একটা ছিলো না তখন। সালমান শাহ ও শমী কায়সারের মতো দুই সুপারস্টারকে নিয়ে যে সাহসটি দেখিয়েছিলেন দেওয়ান হাবিব। শ্রেষ্ঠ একক নাটক হিসেবে ‘নয়ন’ বাচসাস পুরস্কার লাভ করে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যে পুরস্কারের কদর ছিলো তখন সবার ওপরে।
বিজ্ঞাপন
গতকাল রাত ১১টা ৩৩ মিনিটের দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেই দেওয়ান হাবিব শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে দেওয়ান হাবিব লম্বা সময় ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। গত কয়েকদিন ছিলেন লাইফ সাপোর্টে।
নায়ক সালমান শাহ’র ৫৪তম জন্মদিনে তারই সবচেয়ে আলোচিত নাটকের প্রযোজক দেওয়ান হাবিব পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। যেটাকে অকাল প্রয়াত প্রিয় নায়কের জন্মদিনে, একজন প্রযোজকের জীবন উৎসর্গ-উপহারও বলছেন অনেকে!
বিজ্ঞাপন
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ জুমার নামাজের পর রাজধানীর সোবহানবাগ মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাতে বন্ধু-স্বজন সবাইকে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
দেওয়ান হাবিব স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়ে ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী-স্বজন রেখে গেছেন। বিশেষ করে, গত চার দশকের সিনে-ইন্ডাস্ট্রির শিল্পী-সাংবাদিক-পরিচালক-প্রযোজকসহ প্রায় সবাই দেওয়ান হাবিবকে একনামে চিনতেন, জানতেন এবং মান্য করতেন। প্রযোজনার বাইরে দেওয়ান হাবিবের আরেকটি বড় পরিচিতি সিনে-সাংবাদিকতায়। তিনি তিন দশক ধরে দেশের অন্যতম বিনোদন ঘরানার পাক্ষিক ম্যাগাজিন পত্রিকা ‘বিনোদন বিচিত্রা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে কাজ করেছেন নিরলস। এই পত্রিকার ব্যানারে তিনি আয়োজন করেছেন বেশ কয়েকটি সুন্দরী প্রতিযোগিতা। যার মাধ্যমে দেওয়ান হাবিবের হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রি পেয়েছে অনেক মডেল ও নায়িকা। তার প্রস্থানে বিনোদন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সোশ্যাল হ্যান্ডেল রূপ নিয়েছে শোকবই-এ।
দুনিয়া কাঁপানো কে পপ ব্যান্ড ‘ব্ল্যাকপিংক’-এর অন্যতম জনপ্রিয় তারকা জেনি আর কোরিয়ান র্যাপার বামবামের কিছু ছবি সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ছবিগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি রেস্তোরাঁয় তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে। ছবিকে কেন্দ্র করে দুজনের প্রেমের গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে।
তবে জেনি আমাদের দেশের তারকা কিংবা বলিউড তারকাদের মতো নয়। নিজের ইমেজ নিয়ে দারুণ সচেতন এই তারকা। তাইতো আর বেশি দেরী করলেন। নিজের এজেন্সি ওএ এন্টারটেইনমেন্টের বরাতে আজ জেনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা প্রেম করছেন না। দুজনের ভালো বন্ধু। একসঙ্গে খেতে গিয়েছিলেন।
এর আগে বিটিএস তারকা ভি’র সঙ্গে জেনির প্রেমের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। গত বছরের শেষভাগে প্যারিসে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ভি ও জেনিকে। তবে প্রেম নিয়ে কেউই একটা বাক্যও খরচ করেননি তারা।
তবে কে-পপ অঙ্গনে সবচেয়ে চর্চিত জুটি হিসেবে ভি ও জেনি পরিচিতি ছিল তাদের। গত বছরের ডিসেম্বরে তাদের প্রেম ভাঙার খবর এসেছিল কোরীয় সংবাদমাধ্যমে।
এদিকে, জেনি যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড লেবেল কলম্বিয়া রেকর্ডসের সঙ্গে চুক্তি সেরেছেন। আসছে অক্টোবরে তার নতুন একক গান প্রকাশিত হবে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন বলিউডের পাওয়ার কাপল দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং। বাড়িতে এই ছোট্ট নতুন অতিথির আগমণকে স্পেশ্যাল করে রাখতে কোন কিছুর কমতি রাখছেন না দীপবীর। কন্যাকে দেখভাল করার জন্য মা দীপিকা তো লম্বা কর্মবিরতি নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। এবার জানা গেলো, বাবা রণবীর সিংও কাজ থেকে বিরতি নিয়েছেন। তাই ‘ডন থ্রি’ সিনেমার শুটিং পিছিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, একমাত্র কন্যাসন্তানের মুখ এখনো প্রকাশ্যে না আনলেও তাকে নিয়ে নতুন বাড়িতে উঠতে চলেছেন এই তারকা দম্পতি। তারা মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় একটি বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। ১২ সেপ্টেম্বর তাদের সেই নতুন ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। সাগর রেশম আবাসনের ১৫ তলায় অবস্থিত রণবীর দীপিকার নতুন ফ্ল্যাট।
তাদের এই প্রপার্টি অভিনেতার মা অঞ্জু ভবানীর বাড়ির খুব কাছেই অবস্থিত। সমুদ্রঘেঁষা এই ফ্ল্যাট কিনতে পকেটে ভালোই খরচ হয়েছে তারকা দম্পতির।
জানা গেছে, ১৭ কোটি ৮০ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা) দিয়ে তারা ফ্ল্যাটটি কিনেছেন। নতুন ফ্ল্যাট ১ হাজর ৮৪৫ বর্গফুটের। তবে এটাই নয়, এর আগেও শাহরুখ খানের মান্নতের কাছে বান্দ্রায় কয়েক বছর আগেও দীপিকা-রণবীর একটি বাড়ি কিনেছিলেন। তাদের এই বিলাসবহুল বাড়ির দাম প্রায় ১০০ কোটি রুপি পড়েছিল। এ ছাড়া ২০২১ সালে আলীবাগে ২২ কোটি রুপির বিনিময়ে আরও একটি বাড়ি কেনেন এই তারকা দম্পতি।
জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস। শোবিজে টানা দুই যুগ ধরে কাজ করছেন। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনকে উপজীব্য করে নির্মাণ করেছেন একটি শর্টফিল্ম। সমসাময়িক আলোচিত ইস্যু নিয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা খোলামেলা কথা বলেছেন এই তারকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ
মাসিদ রণ: ছাত্র আন্দোলনকে উপজীব্য করে ‘৩৬ জুলাই’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। সেটি নিয়ে জানতে চাই...
দেবাশীষ বিশ্বাস: আমি বরাবরই প্রতিবাদী স্বভাবের। ন্যায়কে ন্যায় আর অন্যায়কে অন্যায় বলাই আমার বৈশিষ্ট্য। সেদিক থেকে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলন নিয়েও আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জায়গা ছিলো। আমি এই আন্দোলনের মাহত্ম অনুভব করেছি। ছাত্ররা তাদের জায়গা থেকে সিস্টেমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। তবে আমি তো আর ছাত্র না। আমি ফিল্মমেকার, তাই এমন কিছু করে এই আন্দোলনের সঙ্গে থাকতে চেয়েছি যা আর কেউ করেনি। আমার প্রতিবাদের ভাষা হলো চলচ্চিত্র। তাই ‘৩৬ জুলাই’ নামে একটি শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছি। এর পটভূমি দেয়াল লিখন বা গ্রাফিতি। ছাত্র আন্দোলনের ফলে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পুরো বিষয়টিই কিন্তু রাজধানীর দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে। সেই গ্রাফিতিগুলো ধারণ করেই ছবিটি করেছি। ছবিটির মাধ্যমে দেশবাসীর সঙ্গে যারা দেশের বাইরে থাকেন তারাও এই আন্দোলন সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা পেতে পারেন। এজন্য ছবিটির দুটো ভার্সন করেছি। চলমানচিত্রের সঙ্গে ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষায় ধারাভাষ্য দিয়েছি। যাতে একজন বিদেশিও সহজে ছবিটির সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। এটা কোন বানিজ্যিক চিন্তা থেকে করা হয়নি। কাজটি ইউটিউবে রয়েছে। চাইলে আপনারা দেখে নিতে পারেন। যারা দেখেছে তারা প্রশংসা করেছে কাজটির।
মাসিদ রণ: গণ অভ্যুত্থানের প্রভাব শোবিজের কাজে কতোটা পড়েছে?
দেবাশীষ বিশ্বাস: ভীষণভাবে পড়েছে। করোনার সময় আমরা একটা বড় ধাক্কা খেয়েছি, এবার আরেকটি ধাক্কা খেলাম। এতোদিন হয়ে গেলো, এখনও তো কাজই শুরু হয়নি সেভাবে। সবাই একটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে আছে। এমনিতেই আমাদের শোবিজ অঙ্গনটা আর্থিকভাবে বেশ দুর্বল ছিলো। আমাদের প্রযোজক পেতে অনেক কষ্ট হতো। যারা টুকটাক প্রযোজনা করতেন তাদের সিংহভাগই এখন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে প্রযোজনা থেকে দূরে আছেন। এখন নতুন লগ্নিকারক পাওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে আমি এটাও বিশ্বাস করি যে কোন কিছুর পজিটিভ এবং নেগেটিভ দিক থাকে। এটা যেহেতু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ছিলো তাই আমি বিশ্বাস করি দেশের সমস্ত ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর হবে। আর সেটি হলে আমাদের শোবিজের কাজও আবার গতি ফিরে পাবে।
মাসিদ রণ: আপনি শোবিজের বহুদিনের বৈষম্যগুলোর কথা বলছিলেন। কিন্তু আন্দোলনের পরে খোদ শিল্পীদের মধ্যেই অনেক বেশি বৈষম্য ও বিরোধ দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে কি বলার আছে?
দেবাশীষ বিশ্বাস: এ প্রসঙ্গে প্রথমেই দুটো কথা বলতে চাই। শিল্পে রাজনীতি থাকতে নেই, আর শিল্পীর রাজনীতি করতে নেই। হ্যাঁ, একজন শিল্পী যখন পরিণত বয়সে শোবিজ থেকে অবসর নেন তখন তিনি রাজনীতি করতে পারেন। কিন্তু যখন তার শিল্পকর্ম দিয়ে দর্শককে আলোড়িত করার কথা সেই সময়ে রাজনীতির মাঠে না যাওয়ায় উত্তম। এখন শোবিজ অঙ্গনে যা ঘটছে তা কিন্তু এই কারণেই ঘটছে। শিল্পীরা সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ায় তাদের বিরাগভাজন মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই দুটো পক্ষ হয়ে একে অন্যকে টেনে নিচে নামাতে চাইছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শিল্পী হবে সবার জন্য, তার কাজের মাধ্যমে সবার কথা বলবে। যেমন আমি, কোন নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে যুক্ত নই।
মাসিদ রণ: দেশের নতুন পরিস্থিতিতে ‘ধর্ম’ নিয়ে নানা ইস্যু তৈরী হচ্ছে। আপনি একজন সংখ্যালঘু হিসেবে বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন?
দেবাশীষ বিশ্বাস: আমি জন্মসূত্রে একটি ধর্মের অনুসারী, যেটাকে সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম যাই বলেন না কেন। কিন্তু আমি সকল ধর্মকে সমানভাবে শ্রদ্ধা করি। তাছাড়া আমার এই বয়স পর্যন্ত আমি কখনো নিজেকে একজন বাংলাদেশি ছাড়া আর কিছুই মনে করিনি। কারণ আমার চারপাশের মানুষরা আমাকে সেটা ফিল করতে দেয়নি যে আমি সংখ্যালঘু। আমিই এখন পর্যন্ত ঈদের টিভি অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশিবার ঈদ মুবারাক বলেছি। অর্থাৎ এদেশে ধর্ম, বর্ণ, জাত, পাত বিচার করা হলে একজন হিন্দু ধর্মের মানুষ হিসেবে আমি সবচেয়ে বেশি ঈদের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে পারতাম না। তবে ‘ধর্ম’কে ইস্যুকে করে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা যখন ঘটে তখন খারাপ তো লাগেই। আশা করব ভবিষ্যতেও আমরা সম্প্রীতির বাংলাদেশ বজায় রাখব।
মাসিদ রণ: ২০০১ সালে শাবনূর-রিয়াজ জুটিকে নিয়ে সুপারহিট ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ ছবি দিয়ে ফিল্ম মেকার হিসেবে আপনার যাত্রা শুরু। এরপর আরও কিছু ছবি করেছেন। নির্মাতা হিসেবে কতোটা সন্তুষ্ট?
দেবাশীষ বিশ্বাস: শুধু আমি নই, সব পরিচালকেরই নিজের কাজ পরবর্তীতে দেখার পর মনে হয় এই শটটি অণ্যভাবে নিলে ভালো হতো, গল্পের এই জায়গাটা আরেকটু ভালোভাবে প্রেজেন্ট করতে পারতাম। অর্থাৎ শিল্পী কখনোই তার নিজের কাজে শতভাগ তুষ্ট হয় না। তবে ওভারঅল যদি চিন্তা করি তাহলে বলব, আমি ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ থেকে শুরু করে ‘শুভবিবাহ’, ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’, ‘চল পালাই’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ ছবিগুলো করেছি। এখন কাজ করছি ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’ নামের একটি ছবির। আমি তো রোমান্টিক কমেডি ছবিই করি। সে দিক দিয়ে শুধু একটি ছবি আমার ক্যারিয়ারগ্রাফের সঙ্গে যায় না। সেই ছবিটির নাম হলো ‘চল পালাই’। এটি একটি থ্রিলার ছবি ছিলো। এই কাজটি সেভাবে দর্শক সাড়া পায়নি। তাই আমি চিন্তা করেছি আমি আজীবন রোমান্টিক কমেডি ছবিই করে যাব।
মাসিদ রণ: আপনার সিনেমায় কাজ করেছেন ফেরদৌস, রিয়াজ ও আরিফিন শুভ কাজ করেছে। বর্তমানে এই তিন অভিনেতাই রাজনৈতিকভাবে চাপে রয়েছেন। তাদের নিয়ে কি বলবেন?
দেবাশীষ বিশ্বাস: আমি আগেই বলেছি যারা শিল্পী তাদের রাজনীতি করতে নেই। ফেরদৌস ভাই কিংবা রিয়াজ ভাই হয়েতো সেটি বুঝতে পারেননি। ফলে তাদের ইমেজ সংকট তো হয়েছেই। এটা কখনোই কাম্য ছিলো না। তারা আরও গুছিয়ে চলতে পারতেন। আর শুভ’র কথা বলব, তাকে সিনেমার একক নায়ক হিসেবে আমিই আত্মপ্রকাশ করাই ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ সিনেমার মাধ্যমে। যদিও তার কোন সাক্ষাৎকারে সেকথা তিনি উল্লেখ করেননি। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। এজন্য আমি তার খারাপ চাইবো এমন মানুষও আমি না। দেখুন, শুভ একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। একজন শিল্পী চাইলে যে কোন ছবিতে কাজ করতে পারেন। তিনি যে ছবিটিতে (বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক) কাজ করার জন্য সমালোচিত হয়েছেন সেখানে তো তিনি দারুণ অভিনয় করেছেন। সেই কাজের জন্য তাকে তৎকালীন সরকার একটি প্লট দিয়েছে। আমি আশা করব যদি কোন আইনি ঝামেলা না থাকে তবে তিনি যেন সেই প্লটটি আবার ফেরত পান।
মাসিদ রণ: আপনার বাবা দীলিপ বিশ্বাস এ দেশের কালজয়ী অনেক চলচ্চিত্রের নির্মাতা। তিনি কি রাষ্ট্রের কাছ থেকে যথার্থ মূল্যায়ন পেয়েছেন?
দেবাশীষ বিশ্বাস: আমি নির্দ্বিধায় বলতে চাই, আমার বাবা যে মাপের চলচ্চিত্রকার তার কোন মূল্যায়ন হয়নি রাষ্ট্র থেকে। বরং এমনও হয়েছে, তিনি দুই বার শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন জানার পরও গ্যাজেটে তার নাম আর আসেনি। এছাড়া একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক কিছুই তাকে দেওয়া হয়নি। কিন্তু ভালোলাগে যে দর্শক আমার বাবাকে প্রাণভরে ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছেন। যা এখনো আমি দেশের আনাচে-কানাচে গেলে টের পাই।
সুন্দরী তরুণী জুঁইকে ঘিরে পাগল চার তরুণ। তবে জুঁই এদের একজনকে ভালোবাসে। বাকি তিন তরুণের কেউ চায় জুঁইয়ের সঙ্গে প্রেম করতে কেউ চায় বিয়ে করতে। এমনই এক রোমান্টিক কমেডি গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘এক মিনিট’।
সোহাইল রহমানের গল্পে এটি নির্মাণ করেছেন তিনি নিজেই। এটি তার নির্মিত প্রথম নাটক। তার সঙ্গে এখানে যৌথ নির্মাণে রয়েছেন আল হাদী। নাটকটিতে জুঁই চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা ফারিন খান। আর তার নায়ক হিসেবে রয়েছেন মেধাবী অভিনেতা আবু হুরায়রা তানভীর, জুনায়েদ বোকদাদী এবং সৈয়দ নাজমুস সাকিব। একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে মীর রাব্বীকেও।
আবু হুরায়রা তানভীর বলেন, ‘নাটকের গল্পটা একটু অন্যরকম। একদম লাইট কমেডি জনরার। কাজটি করতে গিয়েও বেশ মজা পেয়েছি। রোমান্স, ফান, কমেডি সবকিছুর মিশ্রণ রয়েছে এতে। দর্শকদের ভালো লাগবে।’
নির্মাতা সোহাইল রহমান বলেন, ‘আমি মূলত নাটক লিখি। এটা আমার নির্মিত প্রথম নাটক। সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি একটু ভিন্নরকম কিছু করার। গল্পটা রোমান্টিক কমেডি জনরা দিয়ে শুরু হয়ে শেষে একদম কমেডিতে চলে যায়। প্রতি মুহূর্তেই ফান রয়েছে। আশা করি সবার কাছে কাজটি ভালো লাগবে।’
মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রযোজিত ‘এক মিনিট’ নাটকটি দেখা যাচ্ছে কে এস এন্টারটেইনমেন্ট এর ইউটিউব চ্যানেলে।