ক্যারিয়ারে দুই যুগে পা, ৪৫৫ নম্বর নাটক নিয়ে চয়নিকা

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চয়নিকা চৌধুরী ও ‘বিসর্জনের অর্জন’ নাটকে তানিয়া বৃষ্টি-জুনায়েদ

চয়নিকা চৌধুরী ও ‘বিসর্জনের অর্জন’ নাটকে তানিয়া বৃষ্টি-জুনায়েদ

বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের সফল নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। নারী নির্মাতাদের কথা বললে তিনি সর্বাধিক অগ্রগামী। শুধু দেশে নয়, বিদেশেই বা ক’জন নির্মাতা আছেন যিনি ৪০০’র ওপরে ফিকশন নির্মাণ করেছেন!

চয়নিকা চৌধুরী সেই বিরল নির্মাতাদের একজন। যিনি সাড়ে চারশ’র বেশি খণ্ড নাটক নির্মাণ করেছেন। এবার তিনি হাজির হতে চলেছেন তার ৪৫৫ নম্বর নাটক নিয়ে।

বিজ্ঞাপন

‘বিসর্জনের অর্জন’ শিরোনামের এই নাটকে প্রধান চরিত্রে রয়েছেন আবুল হায়াত, তানিয়া বৃষ্টি, জুনায়েদ বোগদাদি ও মিলি বাশার। অতিথি চরিত্রে রয়েছেন ইমতু রাতিশ।

‘বিসর্জনের অর্জন’ নাটকে তানিয়া বৃষ্টি-জুনায়েদ

একটু আগেই এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী নিজেই। নাটকের বেশকিছু ছবি পোস্ট করে চয়নিকা লিখেছেন, ‘বিসর্জনের অর্জন’ নাটকটি পরিচালনার পাশাপাশি রচনাও করেছেন তিনি। আবহসঙ্গীত করেছেন অ্যাবস নাভিদ আর গান তৈরি করেছেন শাহরিয়ার আলম মার্সেল। ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট নিবেদিত নাটকটি প্রযোজনা করেছেন কাজী রিটন।অচিরেই নাটকটি দেখতে পাবেন ছোটপর্দার দর্শক।

রোমান্টিক ও পারিবারিক নাটকের জন্য বিখ্যাত চয়নিকা। তবে এই নাটকটি কি ধরনের গল্প নিয়ে তৈরি সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানাননি। যদিও শেয়ার করা ছবিগুলো দেখলে বোঝা যাচ্ছে, নায়ক-নায়িকা জুনায়েদ ও বৃষ্টির মধ্যে শরতের কাশবনে কিছু দারুণ প্রেমময় মুহূর্ত দেখা যাবে নাটকটিতে। বার্তা২৪.কমকে চয়নিকা শুধু এটুকু জানালেন, ‘এটা সময় উপযোগী একটি নাটক।’ 

‘বিসর্জনের অর্জন’ নাটকের বিহাইন্ড দ্য সিন

প্রসঙ্গত, এ মাসেই পরিচালনার ২ যুগ অর্থাৎ ২৪ বছরে পা রাখলেন চয়নিকা চৌধুরী। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি প্রথম নাটক পরিচালনার জন্য ক্যামেরার পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন। তার লেখা ও পরিচালনায় প্রথম নাটক ছিলো ‘শেষবেলায়’। এতে অভিনয় করেছিলেন আবুল হায়াত, রুমানা রশীদ ঈশিতা ও জয়া আহসানের মতো প্রখ্যাত তারকা।

এ প্রসঙ্গে চয়নিকা বলেছেন, ‘১৮ সেপ্টেম্বর দিনটি আমার কাছে খুবই সুন্দর আর গুরুত্বপূর্ণ। জন্মদিন এলে সবার মনে যেমন একটা আনন্দ হয়, অন্য রকম লাগে! এইদিনে আমার ভিতর ঠিক তেমন অদ্ভুত এক অনুভব হয়। এই দিনটা এলেই এখনো আমার চোখ ঝাপসা হয়। কান্না আসে। অনেক কান্না পায়। একা একা অঝোর ধারায় আমি কাঁদি। কত স্ট্রাগল, অপমান, অবজ্ঞা, ভালোবাসা, সাপোর্ট সব নিয়েই বিরতি ছাড়া টানা এত বড় পথ চলা। মাঝে মাঝে ভাবি ধৈয্য নিয়ে এত এত কাজ কখন করলাম! সৃষ্টিকর্তার অশেষ দয়া। তিনি ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব হতো না। অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।’

চয়নিকা চৌধুরী