পরিচালক ও প্রযোজক আর এইচ সোহেল বাংলাদেশ-ভারত-সিংগাপুর ত্রিদেশীয় উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাভাসি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-২৪’-এর বিচারক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এরই মধ্যে চলচ্চিত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
এই চলচ্চিত্র উৎসবে বিভিন্ন দেশ থেকে এ পর্যন্ত ১৫৩টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। জুরি বোর্ডের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ১৫৩ থেকে ৫০টি বাছাই করা হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডের ৫০টি চলচ্চিত্র থেকে ১০টি চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য।
বিজ্ঞাপন
আর.এইচ সোহেল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাভাসি চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-২৪ এর সবগুলো রাউন্ডে বিচারক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। আমার ওপর কর্তৃপক্ষ আস্থা রাখার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দায়িত্ব পেয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত।’
বাভাসি চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শ্রেষ্ট চিত্রনাট্যকার, নির্মাতা, শিল্পী, চিত্রগ্রাহক, রূপসজ্জা, শিল্প নির্দেশক, সম্পাদনা ও আবহ-সংগীতের ওপর মেধা যাচাই-বাছাই করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করা হবে। নতুনদের প্রতিভা বিকাশের সেই সুযোগটি প্রতিবছর করে দিচ্ছে বাভাসি। এই প্রত্যয়ে আন্তর্জাতিক বাভাসি চলচ্চিত্র উৎসব প্রতিবছর আয়োজন করে আসছে। এরই মধ্যে ৭ বছর পেরিয়ে ৮ বছরে পর্দাপণ করেছে বাভাসি।
জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন বর্তমান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ভাই-ব্রাদার, এ কথা প্রায় সবাই জানেন। তারা একই রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী এ কথা বলাই যায়। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে তাদের যে রাজনৈতিক অবস্থান দেখা গেছে, তাতে এ কথা স্পষ্ট। ফারুকী সংস্কৃতি উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গুঞ্জন এ পর্যন্ত ছড়িয়েছে যে, তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন! এমন প্রেক্ষাপটে বড় ভাইতূল্য ফারুকীকে নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন আশফাক নিপুন। তিনি আজ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন। তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে আওয়ামী দোসর বলা হাস্যকর। দু:খজনক না বলে হাস্যকর বললাম কারণ খোদ কট্টর আওয়ামী শিল্পী সমাজ থেকে শুরু করে ক্যাডার বাহিনী পর্যন্ত তাকে নিজেদের দলে দেখতে আগেও স্বাচ্ছন্দবোধ করেন নাই, এখনো করবেন না।
বিশ্বাস না হলে আপনার পাশের আওয়ামীজন কে জিজ্ঞেস করে দেখেন? ছ্যাঁত করে উঠবে! আর উনার পুরোনো কিছু স্ট্যাটাস, ছবিই যদি অকাট্য প্রমাণ হয় তাহলে তার বিপরীতে গত ১৫ বছরে, বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে নিরন্তর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে সমালোচনা করে উনার ফেসবুক পোষ্টও আমলে নেয়া হোক? যেগুলো নিয়ে আওয়ামী শিল্পী সমাজ থেকে শুরু করে খোদ পলাতক প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত চূড়ান্ত বিরক্ত ছিলেন? অথবা আওয়ামী সরকারের আমলে দুইবার উনার সিনেমা আটকে দেয়া আমলে নেয়া হোক?
কয়েকটা ফেসবুক পোষ্ট আর একটা/দুইটা ছবি যদি কোন দলের দোসর হওয়ার, সহমত ভাই হওয়ার চুড়ান্ত যোগ্যতা হয় তাহলে গত ১৬ বছরে যেসব শিল্পী নিজেদের 'আপা'র কাছের লোক প্রমাণে, প্লট, পদ, ব্যবসা বাণিজ্য বাগানোর জন্য ভুয়া নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে 'আপা'র সামনে, পিছনে হাত কচলে, তৈলমর্দন করতে করতে আমাকে আর আমিমনাদের দিনরাত শূলে চড়াতেন তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা। অনেক বেশি শারীরিক কষ্ট করলেন এক জীবনে, বুঝতেও পারেন নাই এর ০.১% করলেও খুশিতে খুশিতে 'আপা'র দোসর ট্যাগ খেয়ে যাতে পারতেন এখন!
ফারুকীর সংস্কৃতি উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে প্রচুর সমালোচনা। উনি সংস্কৃতির লোক তাই উনাকে এই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বানানো। উনাকে তো অর্থ, বাণিজ্য, স্বরাষ্ট্র, আইন বা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা করা হয় নাই। উনি দেশে বিদেশে সংস্কৃতি অঙ্গনের বিখ্যাত মানুষ, জুলাই আন্দোলনেরও বহুকাল আগে থেকেই ফ্যাসিস্ট সরকারের সমালোচনায় সরব, স্পিরিটে তরুণ তাই হয়ত উনার এই নিয়োগ। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই আন্দোলনের স্পিরিট, ডকুমেন্টস ধারণ করার মত কাজ উনি যদি করে দেখাতে না পারেন তাহলে আমিও উনার সমালোচনা করব। ১০০ বার করব। কিন্তু কাজটা তো করে দেখানোর সুযোগ দিতে হবে আগে? সেটাও দেয়া যাবে না কেন? শত শত ফ্যাসিস্ট সমালোচনার বাইরে উনার কয়েকটা ফেসবুক পোষ্ট বা পলক সাহেবের সাথে একটা ছবির কারণে?
ছোট মুখে বড় একটা কথা বলি তাহলে, বেয়াদবি মাফ করবেন। এই ছাত্র জনতার আন্দোলনে সম্পৃক্ত অনেককেই আমরা চিনি, জানি যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ দুইভাবেই জীবনের কোন না কোন সময়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিল। কেউ ইচ্ছাকৃত, কেউ অনিচ্ছাকৃত, কেউ কৌশলে আর কেউ বাধ্য হয়ে ছিল। কিন্তু আন্দোলনের স্পিরিটে ফ্যাসিস্ট তাড়াতে সবাই এক হয়ে গিয়েছিল। এই ঐক্যই ছিল আমাদের শক্তি। এখন এই ডিভাইড এণ্ড রুল পলিসি কেন? কার বা কাদের সুবিধার জন্য?
ফারুকীর কাজের সমালোচনা ১০০ বার করেন। সেটা উনার উপর অর্পিত দায়িত্ব উনি পালন করতে না পারলে করেন। যৌক্তিকভাবে করেন। কিন্তু উনি যা না, যা উনি বলেন নাই, সেটার পিছনে অযৌক্তিক সমালোচনা করে শক্তি নষ্ট কইরেন না। আমি বিশ্বাস করি, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এই মহান আন্দোলনকে ডকুমেন্টেড করার জন্য উনার সেবাবলে সর্ব্বোচ্চটাই ঢেলে দিবেন। সেই সক্ষমতা উনার এবং উনার টিমের আছে। আমি সাগ্রহে তাকিয়ে আছি উনি আমাদের কি কি উপহার দিতে পারেন সেদিকে। না পারলে তখন উনাকে গালমন্দ কইরেন।
মিস ইউনিভার্সের এবারে আয়োজনে বিজয়ী হয়েছেন ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া কিয়ের থিলভিগ। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার ৭২তম আসরের বিজয়ী ভিক্টোরিয়া মুকুটজয়ের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন। এর আগে ডেনমার্ক থেকে কোনো প্রতিযোগী মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর মুকুট পাননি।
২১ বছর বয়সী ভিক্টোরিয়া নৃত্যশিল্পী, উদ্যোক্তা এবং ভবিষ্যৎ আইনজীবী। মেক্সিকো সিটিতে গতকাল শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় ১২০ জনের বেশি প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে সেরার মুকুট জয় করেন ডেনমার্কের এই প্রতিযোগী। ভিক্টোরিয়াকে মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন মিস নিকারাগুয়া শেনিস প্যালাসিওস। এবারের আসরে প্রথম রানারআপ হয়েছেন নাইজেরিয়ার চিদিম্মা আদেতশিনা আর দ্বিতীয় রানারআপ মেক্সিকোর মারিয়া ফার্নান্দা বেলট্রান।
প্রতিযোগিতার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ফলাফলের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার ৩০ প্রতিযোগীর তালিকা প্রকাশ করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। এই ৩০ প্রতিযোগী থেকে সেমিফাইনালিস্ট নির্বাচিত করে তাঁদের নিয়ে সাঁতারের পোশাকে প্যারেড প্রতিযোগিতা হয়। এরপর তাঁদের মধ্য থেকে ১২ জন গাউন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। চূড়ান্ত পাঁচ প্রতিযোগীর প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রাধান্য পেয়েছে নেতৃত্বের গুণাবলি ও মনোবলের দৃঢ়তার বিষয়ে। ভিক্টোরিয়াকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘কেউ যদি তাঁকে মূল্যায়ন না করেন, তাহলে তিনি কীভাবে জীবনযাপন করতেন?’ উত্তর ভিক্টোরিয়া বলেন, ‘আমি প্রতিদিন আমার মতো করে বাঁচি।’
কথা প্রসঙ্গে ভিক্টোরিয়া বলেন, ‘যে যেখান থেকেই আসুন না কেন, লড়াই চালিয়ে যান। আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি, কারণ, আমি নিজেকে বদলাতে চেয়েছি। আমি ইতিহাস গড়তে চেয়েছি এবং আজ রাতে সেই ইতিহাসই গড়েছি।’
মিস ইউনিভার্সের ৭২ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম ২৮ বছরের বেশি বয়সী নারীর অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে গর্ভবতী নারী, মা ও বিবাহিত নারীদের অংশগ্রহণেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। ৪০ বছর বয়সী মাল্টার প্রতিযোগী বিয়েট্রিস এনজয়া চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে এ প্রতিযোগিতার নতুন রেকর্ড গড়েছেন। ভিক্টোরিয়া এই বিজয়কে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার জন্য এক যুগান্তকারী মুহূর্ত, যা বৈচিত্র্য, ক্ষমতায়ন ও আধুনিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন।
দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন ছিল দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদির প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে সঙ্গে অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। তবে সব গুঞ্জনকে ভুল প্রমাণ করে অন্য একজনকে বিয়ে করেছেন আফ্রিদি। এদিকে এমন খবরে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন অভিনেত্রী দিঘী।
জানা যায়, বুধবার (১৩ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয় তৌহিদ আফ্রিদির। যেখানে বরের সাজে দেখা যায় তাকে। অপরদিকে কনের বেশে আছেন টিকটকার রামিসা আল রিসা।
মূলত দেখতে গিয়ে রামিসা আল রিসাকে বিয়ে করেছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আফ্রিদি। তিনি জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানটি ঘরোয়া আয়োজনে দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে বড় পরিসরে পরে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আফ্রিদির বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর অভিনেত্রী দিঘী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি যতটুকু জানি পারিবারিকভাবে কনের বাড়িতেই আপাতত কাবিন হয়েছে। পরে বড় পরিসরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে।
আফ্রিদির সঙ্গে তার কখনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না উল্লেখ করে দিঘী বলেন, ‘সে সবসময় আমার ভালো বন্ধু। যাক আল্লাহ বাঁচিয়েছে। কয়েকদিন পর পর ওর সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে যেভাবে নানা গুঞ্জন হতো তা নিয়ে বেশ বিরক্ত ছিলাম। অবশেষে একটু শান্তি পেলাম।’
শিশুশিল্পী থেকে বড় পর্দায় উঠে আসা এ নায়িকা দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছেন। ২০২১ সালে ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে সিনেমায় তার অভিষেক হয়। এরপর তিনি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ ও ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাগুলোয় অভিনয় করেন। সবশেষ সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’-এর মাধ্যমে আবার বড় পর্দায় আসেন দীঘি।
নব্বই দশকের মাঝামাঝি ‘বাংলার কমান্ডো’ চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয় শুরু করেছিলেন আঞ্জুমান শিল্পী। এরপর একে একে ৩৫টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সালমান শাহর সঙ্গে ‘প্রিয়জন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান। দুই দশক ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় না করলেও উপস্থাপনা করতেন। করতেন টেলিভিশন নাটকেও। একটা সময় জানা যায়, তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী এইচ বি এম ইকবালকে বিয়ে করেছেন। শিল্পীর স্বামী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবালসহ তাঁদের পরিবারের আরও তিন সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। পাশাপাশি তাদের একক নামে কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে তার হিসাবও জব্দ করতে বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, আগামী ৩০ দিন জব্দ করা হিসাবে সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্যও জমা দিতে হবে।
চিত্রনায়িকা আঞ্জুমান আরা শিল্পীর স্বামী এইচ বি এম ইকবাল ব্যাংকের মালিকানার পাশাপাশি নানা ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তিনি প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান। গ্রুপটির অধীনে পাঁচ তারকা হোটেলের পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট, সিমেন্ট উৎপাদন, মেডিকেল সেন্টারসহ নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে। দেশে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন তিনি।
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ২০১১ সাল থেকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে থাকার পাশাপাশি এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে গুলশানে হোটেল রেনেসাঁ, গুলশান-২-এ হিলটন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ও রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) একসময়ের এই সদস্য গত এক যুগে অনেক কোম্পানির মালিক হয়েছেন এবং ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে থেকে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে। তিনি সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এর পর থেকে দেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সরকার-ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ী গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাঁদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ায় এবার চিত্রনায়িকা শিল্পীর স্বামী এইচ বি এম ইকবালসহ পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হলো।
নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে একটানা কয়েক বছর চলচ্চিত্রে কাজ করেন শিল্পী। একটা সময় ঢালিউডে অশ্লীলতার দাপটে শিল্পী চলচ্চিত্র অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি চলচ্চিত্রে অভিনয় ছেড়ে দিয়েছি, কারণ তখন চলচ্চিত্র অশ্লীলতায় ভরে গিয়েছিল। তাই ২০০১ সালের পর আমি চলচ্চিত্র ছেড়ে তখন নাটক করা শুরু করেছি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত নাটকে কাজ করেছি।’
চলচ্চিত্রে কাজ করার শুরু কীভাবে, এ প্রসঙ্গে শিল্পী বলেছিলেন, ‘আমার চলচ্চিত্রে আসাটা অনেক মজার ছিল। আমার চৌদ্দ পুরুষের কেউ চলচ্চিত্রে কাজ করত না। যখন স্কুলে পড়ি, তখন আমার ভাইয়ের বন্ধু আমাকে দেখে বলল, তুমি অ্যাড করো না কেন? তখন অ্যাডের জন্য ছবি তুলে দিলাম, তারপর দুটি অ্যাড করার পর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে।’