জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী পাপিয়অ সারোয়ারের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। রাজধানীর একটি হাসপাতালে প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে লাফি সাপোর্টে রয়েছেন শিল্পী।
বেশ কয়েক বছর ধরেই পাপিয়া সারোয়ার ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন। এজন্য প্রায় সময়ই তার শরীর অত্যন্ত খারাপ থাকে। সম্প্রতি অবস্থার অঅরও অবনথি হলে তাকে চিকিৎসকের সরণাপন্ন করা হয়। তখন শারীরিক অবস্থার কারণে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
একুশে পদকজয়ী শিল্পী পাপিয়া বর্তমানে রয়েছেন তেজগাঁওয়ের একটি হাসপাতালে। এর আগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালেও চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। তবে তার শারীরিক অবস্থা এখনো ইতিবাচক হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে না। নিজ অবস্থান থেকে চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। এই তথ্য গণমাধ্যমের কাছে নিশি্চত করেছেন তার ভাগ্নি সম্পা রেজা, শিল্পী বুলবুল ইসলামসহ ঘনিষ্ঠ লোকজন।
পাপিয়া সারওয়ারের দুই মেয়ে জারা ও জিশান যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বসবাস করেন। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে দুই মেয়েই বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
পাপিয়া সারওয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগে স্নাতক শেষ করেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি নিয়ে ভারতে যান। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীতে ডিগ্রি অর্জন করে পড়াশোনা শেষ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার পর ভারত সরকারের কাছ থেকে বৃত্তি পাওয়া প্রথম ব্যক্তি ছিলেন পাপিয়া সারোয়ার।
আগে তিনি ‘ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তন’ এবং ‘বুলবুল একাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ (বাফা)-এ সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তার সঙ্গীত গুরু ছিলেন শিল্পী ওয়াহিদুল হক, সানজিদা খাতুন, এবং জাহেদুর রহিম । ১৯৯৬ সালে পাপিয়া সারোয়ার ‘গীতসুধা’ নামে একটি সঙ্গীত দল প্রতিষ্ঠা করেন।
একদম দিনক্ষণ ঠিক ঠিক, ২০ ডিসেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’।
জনপ্রিয় নির্মাতা আদনান আল রাজীব প্রযোজিত ও শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিটি সেন্সর সার্টিফিকেটও পেয়ে গেছে। যে অভিনেত্রী আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও ফুল হাতার ব্লাউজ পরে যান, তার সিনেমা যে ‘ইউ গ্রেড’ই পাবে সেটা আর বিশেষ করে বলার কিছু নেই। অর্থাৎ সব বয়সীরা দেখেত পারবেন ‘প্রিয় মালতী’।
সিনেমায় মেহজাবীনের নাম মালতী রানী দাশ। পলাশ কুমার দাশের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন তিনি। দশটা নিম্ন-মধ্যবিত্ত দম্পতির মতো সংসার জীবনের ছোট ছোট স্বপ্ন বুনছিলেন তারা। বিয়ে বার্ষিকী উপলক্ষে নৌকাতে ভাসতে ভাসতে কেক কাটা, সন্ধ্যায় একটু ঘোরাঘুরি, মালতীকে অবাক করে দিয়ে পলাশের উপহার দেয়া, স্বামী-স্ত্রীর খুনসুটি, সবকিছুই চলছিল সুন্দর ছন্দে। হঠাৎই একটি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় সেই ছন্দ কাটে।
১৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দেশের প্রেক্ষাগৃহে অভিষিক্ত হচ্ছেন মেহজাবীন। ১২ ডিসেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, ‘প্রিয় মালতীর সঙ্গে দেখা হবে থিয়েটারে।’ এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, যখন তিনি শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন, তখন থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সবগুলো কাজই দর্শক গ্রহণ করেছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন। দর্শকদের ভালোবাসার জন্যই এতদূর আসতে পেরেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন প্রেক্ষাগৃহের কাজটিও দর্শক পছন্দ করবেন।
‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার শঙ্খ দাশগুপ্ত জানান, সিনেমায় মালতী চরিত্রটি সংগ্রামের। সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানসিক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় চরিত্রটিকে। দেশের অনেক নারীর জীবনেই এমন ঘটনা আছে। জীবন সংগ্রামের পাশাপাশি প্রচলিত কিছু নিয়মকেও প্রশ্ন করেছেন পরিচালক।
নির্মাতা শঙ্খ দাশগুপ্ত বলেন, ‘সিনেমার গল্পটি সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। সত্য যেমন কঠিন, সিনেমার বিভিন্ন মুহূর্তও তেমন কঠিন ও সমস্যার। মালতীর সমস্যা–সংগ্রামগুলো শুধু তার একার না, এগুলো দেশর মানুষের সমস্যা–সংগ্রাম। মালতী চরিত্রটি একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর। বিশৃঙ্খল এই শহরে তার লড়াই করতে হয় শ্বশুরবাড়ি, সমাজ এবং ধর্মীয় রীতিনীতির বিরুদ্ধে। এর পাশপাশি আমি প্রশ্ন করতে চেয়েছি, একজন মানুষের অস্তিস্ব কি ডেথ সার্টিফিকেট ও ময়না-তদন্ত রিপোর্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে? সিনেমায় প্রসঙ্গগুলো আছে।’
এর আগে ওটিটি কনটেন্ট প্রযোজনা করলেও এবারই প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা প্রযোজনা করলেন আদনান আল রাজীব। তিনি বলেন, ‘‘আমি এক্সাইটেড, আশা করছি আমরা যে কষ্ট করেছি সেটা মানুষ দেখবে। একইসঙ্গে তাদের মন্তব্যটাও জরুরি। যারা সিনেমাটি দখবেন, তারা একটা অনুভূতি নিয়ে বের হবেন বলে আমি মনে করি। আর সেটা যদি দর্শকদের মধ্যে ইতিবাচকতা তৈরি করে, সেটাই হবে আমাদের সার্থকতা। যারা গল্পের সিনেমা পছন্দ করেন। অনেকদিন প্রেক্ষাগৃহে আসেন না, তাদের জন্য বলতে চাই, আপনারা ‘প্রিয় মালতী’ দেখতে প্রেক্ষাগৃহে আসেন, হতাশ হবেন না।’’
ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী, আজাদ আবুল কালাম, মোমেনা চৌধুরী, সমু চৌধুরী, আনিসুল হক বরুন, শাহজাহান সম্রাট, রিজভী রিজুসহ অনেকে। গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ঢাকা-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই ছবির শুটিং হয়েছে।
এরই মধ্যে সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়াতে। মর্যাদাপূর্ণ দুই উৎসবেই প্রশংসা কুড়িয়েছে।
বিজ্ঞাপনচিত্র একটি শক্তিশালী ভিজ্যুয়াল মাধ্যম যা একটি তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা বহন করে। বিশ্ব টয়লেট দিবস উপলক্ষ্যে তেমনি একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছেন তারেক মাহমুদ সুমন। ডোমেক্স এবং ভূমিজো-এর যৌথ উদ্যোগে ‘পাবলিকের টয়লেট হোক বন্ধ’ শিরোনামের এই ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশের শহুরে এলাকায় রাস্তার পাশে প্রস্রাব করার সমস্যার প্রতি আলোকপাত করে।
তারেক মাহমুদ সুমন বলেন, ‘লোকেশন রেকি থেকে শুরু করে শুটিং পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় এ সমস্যা স্পষ্ট, পাবলিক টয়লেট ব্যবহার না করে রাস্তার পাশে প্রস্রাব করার অভ্যাস আমাদের শহরগুলোর সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য দুটোই নষ্ট করছে। এই আচরণের কুপ্রভাব তুলে ধরতে এবং পরিচ্ছন্ন-ব্যবহারযোগ্য পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের উপর জোর দিতে বিজ্ঞাপনটি করেছি।’
এই প্রজেক্টটিকে নিজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন পরিচালক। তিনি বলেন, ‘এই প্রজেক্টটি শুধু একটি ক্যাম্পেইন নয়, এটি একজন নির্মাতা হিসেবে আমার জন্য চোখ খুলে দেওয়া একটি কাজ। গল্পের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের জন্য এটি একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
ভারতীয় সিনেমা জগতে যেন বিয়ের ধুম পড়েছে। একটার পর একটা বিয়ের খবর শোনা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তামিল, তেলেগু, মালয়ালম ছাড়িয়ে বলিউডেও পরিচিতি পাওয়া নায়িকা কীর্তি সুরেশ। বরের নাম অ্যান্টনি থাতিল। ১৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন এই জুটি। গতকাল ১১ ডিসেম্বর ভারতের গোয়ায় বসে তাদের বিয়ের আয়োজন, চলছে আজও। কিছুক্ষণ আগে নিজের ইনস্টাগ্রামে বিয়ের ছবি দর্শকদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন কীর্তি সুরেশ। তবে অনেকেরই জিজ্ঞাসা, কীর্তির স্বামী কে এই অ্যান্টনি?
ক্যারিয়ারের সবচেয়ে টান টান সময়ে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসে আবারও হইচই ফেলে দিলেন কীর্তি। বর অ্যান্টনিকে নিয়েও নেটিজেনদের মধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছে কৌতূহল। কীর্তির স্বামী অ্যান্টনি থাতিল দুবাইভিত্তিক একজন পরিচিত ব্যবসায়ী। কোচির ছেলে অ্যান্টনির সঙ্গে দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করেছেন কীর্তি।
ইন্ডিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যান্টনি চেন্নাইভিত্তিক দুটি কোম্পানির মালিক। বিখ্যাত অভিনেত্রীর প্রেমিক অ্যান্টনিকে খুবই সাদামাটা জীবনযাপন করতে দেখা যায়। হাইস্কুলে পড়ার সময় কীর্তি ও অ্যান্টনি দুজন দুজনের প্রেমে পড়েন। পরে কোচিতে স্নাতক পড়তে গিয়ে সেটা আরও গাঢ় হয়।
চলতি বছর নভেম্বর মাসে কীর্তি আনুষ্ঠানিকভাবে ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে নিজেদের প্রেমের বিষয়টি সামনে আনেন। প্রেমিককেও পরিচয় করিয়ে দেন ভক্তদের সঙ্গে। ছবিটি দেখে অনেকে ধারণা করেন, কোনো এক দীপাবলির রাতে তোলা। এর পর থেকেই ভক্তরা বিভিন্ন সময় তাঁর ছবির নিচে জানতে চেয়েছেন, কতক্ষণে বিয়ের ছবি দেখতে পাবেন তারা। এবার সেই ছবি সামনে এনে ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন কীর্তি।
ভারতীয় সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ নানা সম্মাননা। ২০২১ সালে ফোর্বস ইন্ডিয়ার থার্টি আন্ডার থার্টি তালিকায় নাম ওঠে এই অভিনেত্রীর। ২০০০ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করে ২০১৩ সালে এসে প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্র পান মালয়ালম সিনেমা ‘গীতাঞ্জলি’তে। এরই মধ্যে প্রায় ৪০টি সিনেমায় অভিনয় করে ফেলেছেন কীর্তি।
উল্লেখ্য, ২৫ ডিসেম্বর সিনেমা হলে আসছে কীর্তির প্রথম বলিউড সিনেমা ‘বেবি জন’। সেখানে বরুন ধাওয়ানের সঙ্গে জুটি গড়ে অভিনয় করেছেন এই নায়িকা।
মাতৃত্বকালীন সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন বলিউড সেনসেশন দীপিকা পাডুকোন। সম্প্রতিই তিনি মা হওয়ার পর প্রথম বার জনসম্মুখে আসেন। চলতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর রণবীর সিং-দীপিকা পাডুকোনের কোল আলো করে আসে তাদের মেয়ে দুয়া পাডুকোন সিং। দুয়ার এখন ৩ মাস পূর্ণ হয়েছে। তাই মেয়েকে নিয়ে মুম্বাইতে পাড়ি জমালেন দীপিকা ।
নাতনি মুম্বাই ফিরে আসায় অত্যন্ত খুশি ঠাকুমা অঞ্জু ভাবনানি। তাই দুয়ার মঙ্গল কামনায় তিনি নিজের মাথার চুল দান করলেন। ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মাথার চুল কেটে দান করেছেন অঞ্জু। নাতনির মঙ্গল কামনায় করা মানতের জন্য এই আত্মত্যাগ তার।
ইনস্টাগ্রামে অঞ্জু একটি পোস্ট লিখেছেন দুয়ার উদ্দেশে। তিনি লেখেন, ‘শুভ ৩য় মাসের শুভেচ্ছা আমার প্রিয় দুয়া। এই বিশেষ দিনটি ভালোবাসা এবং আশায় পূর্ণ করার চেষ্টা করছি। দুয়ার বেড়ে ওঠা আমাদের জন্য আনন্দ এবং সুন্দর বিষয়, তাই আমরা মঙ্গল ও দয়ার ক্ষমতাও মনে রাখছি। আশা করি, এই ছোট পদক্ষেপটিও কারো জীবনের কঠিন সময়ে স্বস্তি ও আত্মবিশ্বাস এনে দিতে পারবে।’
অঞ্জুর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করে রাখা। তারপরও তার করা এই পোস্ট নেটিজেনদের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই অঞ্জুর এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। গণমাধ্যমকর্মীরাও এই ব্যাপারে বেশ ইতিবাচক আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
দীপিকা পাড়ুকোন সন্তানের জন্মের পর দীর্ঘসময় বাপের বাড়িতেই ছিলেন। দু-দিন আগেই তিনি মুম্বাইতে ফেরেন। গত সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্টেও অংশ নিয়েছিলেন দীপিকা। সেটাই ছিল মা হওয়ার পর তার প্রথম পাবলিক অ্যাপিয়ারেন্স।