কোয়ান্টিটি না কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করি: তিশা



মাহবুবর রহমান সুমন, বিনোদন, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
নুসরাত ইমরোজ তিশা

নুসরাত ইমরোজ তিশা

  • Font increase
  • Font Decrease

শুটিং এর মাঝে লাঞ্চ ব্রেক। শুটিং ইউনিট রাজধানীর ৩০০ ফিট থেকে যাবে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর। নিজের গাড়িতে উঠতে যাচ্ছেন সিনেমা ও ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। গাড়ির দরজাও খুলে ফেলেছেন। পেছন থেকে ডাক দিতেই শুনলেন, কি অবস্থা? বললাম ইন্টারভিউ আর ফটোশুট করতে চাই। জবাব আসল- এখন যে মেকআপে আছি তাতে তো ফটোশুট করা যাবে না তবে কথা বলা যাবে।

গাড়িতে বসবে নাকি বাইরে? উত্তর দেওয়ার আগেই বললেন চলেন রাস্তার পাশের ওই বসার জায়গাটায় বসি, বাতাস আছে ঠাণ্ডা মাথায় কথাও বলা যাবে। তারপরই বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের সঙ্গে শুরু হলো নুসরাত ইমরোজ তিশার ৮ মিনিটের আলাপ।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: শোনা যাচ্ছে ইফরান খানের পর নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে অভিনয় করতে যাচ্ছেন?
নুসরাত ইমরোজ তিশা: ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ সিনেমার অন্যতম একজন প্রযোজক আমি। তবে সিনেমাটিতে অভিনয় করছি কিনা সে ব্যাপারটি এখনও নিশ্চিত না। বলতে গেলে অভিনয়ের এখনও কোন প্ল্যান বা পরিকল্পনা যাই বলেন কিছুই হয়নি। তবে যদি কাজ করি সেক্ষেত্রে অবশ্যই ভাল লাগবে। আর প্রযোজক হিসেবে যদি নিজের দায়িত্বটা ভালোভাবে পালন করতে পারি সেক্ষেত্রে আরও ভালো লাগবে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562850647890.jpgবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: বিদেশে প্রশংসিত ‘শনিবার বিকেল’ দেশে মুক্তিতে এত বাঁধা। কারণটা কি?
তিশা: এই প্রশ্নের উত্তর আমার থেকে সিনেমাটির পরিচালক ও প্রযোজকই ভাল দিতে পারবেন। সিনেমাটির একজন অভিনেত্রী হিসেবে আপনারা যতটুকু জানেন আমিও ঠিক ততটুকুই জানি। আমিও আসলে পরিচালক ও প্রযোজকের দিকে তাকিয়ে আছি সিনেমাটি দেশে কবে মুক্তি পাবে এ ব্যাপারে। তবে একটি বিষয় বলতে পারি সিনেমাটিতে বাংলাদেশকে ছোট করে এমন কোন কিছুই করা হয়নি। কারণ বাংলাদেশকে ছোট করলে আমরাও তো ছোট হয়ে যাব। আর বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে নিজের দেশকে অন্যের কাছে বড় করে উপস্থাপন করা ছাড়া দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন বিষয়ে আমরা যুক্ত হবো তার প্রশ্নই আসে না।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562851446553.jpgবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: বাংলা নাটকের ভবিষ্যৎ কি? টেলিভিশন, ইউটিউব নাকি ওয়েব সিরিজ?
তিশা: আমাদের দেশে আপনি যে ৩টি মাধ্যমের নাম বলেছেন সব মাধ্যমেরই আলাদা আলাদা দর্শক আছে। তাই যে কোন মাধম্যের জন্যই আমাদের নাটকের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে আমি মনে করি। আর টেলিভিশন নাটকের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনসহ বেশ কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। সে কারণে প্রত্যকটি চ্যানেলের কিন্তু নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল আছে। এখন ওয়েব সিরিজ শুরু হয়েছে সেখানেও ভাল করছে। তাই যখন যে মাধ্যম আসছে সে মাধ্যমই ভাল করছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যদি নিজেদের আরও বেশি সমৃদ্ধ করে তাহলে তারাও আরও ভাল করবে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562850669071.jpgবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: বাংলা নাটকের গল্প, সংলাপ ও ভাষা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, আপনি কিভাবে ভাবছেন?
তিশা: আমি আমার নিজের গল্প, সংলাপ কাজ নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। এ ব্যাপারে কথা বলতে আগ্রহী নই।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: তৌকীর আহমেদ নাকি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালক হিসেবে কাকে বেশি পছন্দ?
তিশা: আমি দু’জনকেই পছন্দ করি। আর পছন্দ করি বলেই দু’জনের সঙ্গে আমার বেশি কাজ করা। আমি তাদের সঙ্গেই কাজ করি যাদের আমি পছন্দ করি, যাদের কাজ পছন্দ করি। যারা আমাকে দিয়ে ভাল অভিনয় করিয়ে নিতে পারেন ও অভিনয়ের জায়গায় আমার উপর ভরসা করেন। তৌকীর ভাইয়ের কাজ ও গল্প আমার ভাল লাগে সে কারণে তার সঙ্গে আমার কাজ করা। সরয়ারের ক্ষেত্রেও তাই। এখানে কাকে বেশি ভাল লাগে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আসলে কঠিন।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562851519588.jpg

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: তিশা অভিনীত প্রায় সব কয়টি সিনেমাই দেশে ও দেশের বাইরে পুরস্কৃত হচ্ছে...
তিশা: তাই নাকি (হাসি)। আসলে এটি হচ্ছে টিম ওয়ার্ক। টিমের সবাই সেভাবে কাজ করে বলেই সফলতা আসছে। এখানে আমার একার কিছুই নেই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562850694359.jpg
স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে নুসরাত ইমরোজ তিশা

 

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: নতুন সিনেমার খবর বলুন?
তিশা: দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা ২০৪০’ সিনেমায় কাজ করছি সেটি জানেনই। এর বাইরে কাজ করলে তো আপনারা আগেই জানবেন।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: ঈদের কয়টি নাটকে কাজ করছেন?
তিশা: আমি জানি না। আসলে আমি গুনে কাজ করি না। আমি কোয়ান্টিটি না কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করি। কোয়ালিটি থাকলে যে কয়টি কাজ আমার কাছে আসে আমি সেই কয়টিতে কাজ করি, গুনে কাজ করতে পারি না।

   

ঢাকা ছেড়ে গ্রামে থিতু হতে চান রুনা খান, কেন?



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রুনা খান / ছবি : নূর এ আলম

রুনা খান / ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খান। অভিনয় শুরু বিটিভির তুমুল জনপ্রিয় শিক্ষামূলক ধারাবাহিক শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘সিসিমপুর’ দিয়ে। সুমনা নামের এক স্কুল শিক্ষিকার চরিত্রে সাবলিল অভিনয়ের জন্য রুনার তেমনি এক ইমেজ তৈরী হয় দর্শকমহলে।

আমাদের দেশের শোবিজের একটি অলিখিত নিয়ম হলো, একজন তারকা যখন একটি চরিত্রে সাড়া ফেলেন, তাকে ওই একই চরিত্রে বার বার ডাকা হয়। ফলে রুনাকে ওই একই ধাচের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে দীর্ঘকাল। ফলে রুনার পাশের বাড়ির মেয়ের ইমেজ, কিংবা পুরুষ শাষিত সমাজে নারীদের সেভাবে দেখতে পছন্দ করা হয় তেমন চরিত্রেই তাকে বেশি কাজ করতে হয়েছে।

রুনা খান / ছবি : নূর এ আলম

কিন্তু রুনা বরাবরই নিজেকে মেলে ধরতে চেয়েছেন নানা ধরনের চরিত্রে। সম্প্রতি শারিরিকভাবে ফিট হয়ে তেমনি কিছু কাজ তিনি করছেন। বিশেষ করে তার সাম্প্রতিক ফটোশ্যুট দেখে অনেকেই বলে থাকেন, তিনি নাকি আগের থেকে অনেক বদলে গেছেন। তাকে উচ্চাকাক্সক্ষী, উচ্চাভিলাসী বলতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না নেটিজেনরা। কিন্তু তারা বুঝতেই পারেননি রুনার মনের গহীনের কথা।

আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সে কথাই তিনি তুলে ধরেছেন। তা পড়লে এই তারকাকে আর যাই বলা হোক না কেন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী কিংবা উচ্চাভিলাসী বলা যাবে না। কারণ তিনি শুধু তারকাজীবনের ঝকমকে দুনিয়ায় বিশ্বাসী নন, তিনি সমানভাবে বাংলার আটপৌরে জীবনেও বিশ্বাসী।

রুনা খান / ছবি : নূর এ আলম

রুনা তার একমাত্র কন্যা রাজেশ্বরীর তিনটি ছবির একটি কোলাজ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এই গ্রামটার নাম মসদই, আমার দাদীবাড়ি। দাদাবাড়ি নয়, দাদীরই বাড়ি। আমার দাদী রাবেয়া খানম তার বাবার একমাত্র মেয়ে ছিলেন। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর বাবার ভিটাবাড়ী-ধানি জমি যা ছিলো সব একমাত্র উত্তরাধিকার সুত্রে তিনি পান। বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে নিজের গ্রামে-বাড়ীতে বসবাস শুরু করেন। এই গ্রামেই জন্ম আমার বাবা, চাচা, ফুপুর। পরে আমি, আমার ভাই..। আমার দাদার পৈত্রিক বাড়ি ঠিক এই গ্রাম থেকে তিন গ্রাম পর। ঐ গ্রামের নাম বরটিয়া। দাদী কে ‘দাদু’ ডাকতাম আমি। আমার বাবা ছিলেন পরিবারের বড় ছেলে। আর আমি আমার বাবার পরিবারে প্রথম সন্তান। দাদুবাড়ি বলতে আমি-আমরা সারাজীবন মসদইকেই বুঝেছি, বরটিয়াকে নয়। ৯০ সালে আমার দাদী প্রয়াত হন। সত্যি বলতে আমি আর আমার ভাই ছাড়া, আমার আর কোন কাজিনের স্মৃতিতে দাদী নেই, কারণ তাদের জন্মই হয়নি তখন। কিন্তু আমার ৬-৭ বছরের শিশু-মনের স্মৃতিতে রাবেয়া খানম ‘সবুজ স্নেহ-ভান্ডারের মূর্তি’।’

রাজেশ্বরীর ছবি দুটো ২০১৩ তে তোলা, তার ৩ বছর বয়সে

রুনা আরও লিখেছেন, ‘রাজেশ্বরীর নীচের ছবি দুটো ২০১৩ তে তোলা, মেয়ের ৩ বছর বয়সে। নিজের উপার্জনের টাকায় মসদই-এ এই জমি কিনেছি আমি। আমার নিজের উপার্জনে প্রথম এবং একমাত্র বৈষয়িক-সম্পত্তি! এ দেশের বেশীর ভাগ মানুষ গ্রামের পর শহুরে জীবন কাটিয়ে শেষ জীবন ইউরোপ-আমেরিকার মত উন্নত বিশ্বে কাটানোর চেষ্টা-চিন্তা করে। সেটাতেই হয়তো তাদের আরাম। কিন্তু এই সবুজ ধান, হলুদ সর্ষে, বৃষ্টি ভেজা বেলেমাটির সুঘ্রান এমনভাবে আমার মস্তিস্কের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে গেঁথে আছে, আমি কেবল এই সবুজ-হলুদের মাঝে ফিরে যেতে চাই!’

রুনা খান / ছবি : নূর এ আলম

এরপর রুনা তার মনের বাসনার কথাটা বলেছেন। যাতে বোঝা যায় তিনি কতোটা মাটির কাছের মানুষ। তার ভাষ্য, ‘মেয়েটা বড় হয়ে নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে শিখে গেলেই, আমি ইডাব্লিউকে (তারা স্বামী এষন ওয়াহিদ) পোঁটলায় ভরে নিয়ে রাবেয়া খানমের (তার দাদী) সবুজ-হলুদ ভান্ডারে গিয়ে ছোট্ট একখানা মাটির ঘর তুলে বসতি গড়বো! শুরুতে ইডাব্লিউ অনেক ক্যাউ-ম্যাউ করবে! পোকা-পিঁপড়া.. উহুহহহ, লোকটা বারান্দায় পানের পিক ফেলে গেলো, দেখছো.. মুরগী মল ত্যাগ করলো.. এসব বলে! তবে এসব জটিলতাও আমি কাটিয়ে উঠতে পারবো আশা করি। কারণ ইডাব্লিউকে বশ করার মন্ত্র আমি জানি।’

কন্যা রাজেশ্বরী ও স্বামী এষন ওয়াহিদকে নিয় রুনা খান

সবশেষে রুনা লিখেছেন, ‘আমি সবুজে জন্মেছি, সবুজে বড় হয়েছি, তাই আমার পুরো মাথা জুড়ে সবুজ। ইডাব্লিউ’র জন্ম-শৈশব-কৈশোর-প্রেম-যৌবন-সংসার-মধ্যবয়স-সাপ্তাহিক সান্ধ্যকালীন অবকাশ-আড্ডা সব এই শহরে! এমন একটা লোককে পিঁপড়া,পানের পিক, মুরগীর মলের সাথে খাপ খাওয়ানো শেখাতে আমাকে তো একটু এফোর্ট দিতেই হবে, তাইনা? বুদ্ধি হবার পর থেকে আমি আমার আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণদের জন্য এফোর্ট দিয়ে যাচ্ছি, বুড়াকালেও এফোর্ট দেবার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি..। একদিন এই সবুজে-হলুদে ফেরত যাবো..!’

রুনা খান / ছবি : নূর এ আলম
;

স্বামীর অবসরে দেশ ছাড়তে চান অনুষ্কা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিরাট কোহলি এবং অনুস্কা শর্মা

বিরাট কোহলি এবং অনুস্কা শর্মা

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা দম্পতি বিরাট কোহলি এবং অনুস্কা শর্মা। আউট সাইডার হয়েও ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে বলিউডে নিজের জায়গা পোক্ত করেছেন। ব্যক্তিজীবনেও আছেন বেশ সুখী। স্বামী বিরাট এবং দুই সন্তান ভামিকা এবং আকয় কে নিয়ে তার সুখী পরিবার। তবে বিরুষ্কা দম্পতি সপরিবারেই পাড়ি জমাতে পারেন বিদেশে। তাও অস্থায়ী নয়, পাকাপোক্তভাবেই থেকে যাওয়ার পরিকল্পনায় রয়েছেন। সুদূর ব্রিটেনেই নাকি সন্তানদের বড় করার পছন্দের জায়গা বিরুষ্কার। এতদিন এসব কেবল গুঞ্জন ছিল। ছেলে আকয়ের জন্ম ব্রিটেনে গোপনে হওয়ার থেকে এর সূত্রপাত হয়েছিল। সেই আগুনে এবার ঘি ঢাললেন বিরাট নিজেই।

সম্প্রতি একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে বিশ্ব রেকর্ড সেট করা ভারতীয় প্রাক্তন দলনেতা তার অবসরের সময়ের প্ল্যান নিয়ে কথা বলেন। বিরাট বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের সবাইকেই একদিন ক্যারিয়ারের শেষ দিনটি দেখতে হবে। আমি সারাজীবন খেলতে পারবো না। আমি এর পেছনেও কাজ করে রাখছি। আমি নিশ্চিতভাবেই কোনো আফসোস রাখবো না।’

অবসর দিয়ে কথা বরছেন বিরাট কোহলি

তিনি আরও বলেন, ‘খেলার জন্য আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে যাচ্ছি। তবে আমার কাজ শেষ হলে, আমি চলে যাব। আমাকে বেশ কিছু সময়ের জন্য দেখতে পাবেন না।’

কোথায় যাবেন তা স্পষ্ট না করলেও ভক্তদের ধারণা, যুক্তরাজ্যেই গা ঢাকা দেবেন বিরুষ্কার পরিবার। ভামিকার  জন্ম থেকেই সন্তানকে ক্যামেরার সামনে আনায় অনীহা দেখান এই দম্পতি। মাঝে বিনা অনুমতিতে খেলার মাঠে মেয়ের ছবি তোলায় ক্ষেপে যান বিরাট-অনুষ্কা। এখন তাদের পরিবারে দুই সন্তান। পাপ্পারাজিদের থেকে সন্তানদের দূরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত।

তবে অন্যদিকে অনুষ্কার ভক্তরা চিন্তিত তাদের প্রিয় নায়িকার ক্যারিয়ার নিয়ে। স্বামী-সন্তানের জন্য দেশ ছাড়লে তার ঊর্ধ্বগামী অভিনয় ক্যারিয়ারে ধস না নামে!

অভিনয় জীবনেও অনুষ্কা যেমন ভক্তদের পছন্দের তালিকায় থাকেন, ঠিক তেমনই তার ব্যক্তিজীবন নিয়েও ভক্তদের পছন্দের সেরা তিনি। স্বামী  বিরাট কোহলির সঙ্গে তার প্রণয়, পরিণয় এরপর সংসারে দুই কন্যা ও পুত্রের আগমন যেন তাদের ভক্তদের জীবনেরও বিশেষ আনন্দের মুহূর্ত!

সন্তান ভামিকার সঙ্গে অনুষ্কা-বিরাট

ঠিক তেমনই প্রিয় তারকা দম্পতির কোনো নেতিবাচক খবরও ভক্তদের মনে দুখের  কালো মেঘ বয়ে আনে। প্রিয় খেলোয়াড় বিরাট কোহলিকে অবসরের সময়ের কথা বলতে শুনে অশ্রুসিক্ত হয়ে যায় ভক্তরা।  অনুষ্কার  অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়েও শঙ্কা ভর করেছে ভক্তদের মনে।  কারণ এর আগেও বিরতি নিয়ে আগের ট্র্যাক ধরে রাখতে পারেন নি অনেক বলি শিল্পী।  বিরাটের অবসরে অনুষ্কা  কি বিরতি নেবেন? বা বিরতির পর ফিরলে কি একই সাফল্য ধরে রাখতে পারবেন? এই নিয়ে নেটিজেনদের চিন্তার শেষ নেই।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া  

;

ভাঙা হাতে কানের লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়ার কালো যাদু



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর কানে বসেছে চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব।’ ৭৭তম জমকালো এই আসরে ইতোমধ্যে নজরকাড়া লুকে ভিড় জমাচ্ছেন দেশি-বিদেশি সব তারকা। এবার ভাঙা হাতে কানের লাল গালিচায় কালো যাদু দেখালেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কান চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিনে লাল গালিচায় সম্মোহনী জাদু চালালেন বলিউডের রাই সুন্দরী। পঞ্চাশের গণ্ডি পেরোনো ঐশ্বর্যর রূপর ছটায় ঝলমলিয়ে উঠল কান। বরাবরের মতো এবারের আসরেও আবেদনময়ী লুকে রূপের দ্যুতি ছড়িয়েছেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী।

কানের লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়ার কালো যাদু

রেড কার্পেটে অভিনেত্রী হেঁটেছেন ফাল্গুনি-শেন পিককের কালো-সোনালি গাউন পরে। গাউনের লম্বা টেইল নজর কেড়েছে সবার।

মেয়ে আরাধ্যার হাত ধরেই ফ্রান্সে হাজির হয়েছেন বচ্চন বধূ। প্লাস্টার জড়ানো হাতে তাকে মুম্বই এয়ারপোর্টে দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। রেড কার্পেটেও প্লাস্টার হাতেই দেখা মিলল তার।

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারী সোনার গয়নাসহ নীতা লুল্লা শাড়িতে প্রথম হাঁটেন রেড কার্পেটে। সেই বছরই তার ছবি দেবদাস সেখানে প্রিমিয়ার হয়েছিল। তিনি অভিনেতা শাহরুখ খান এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই উৎসবে হাজির থেকেছেন এই অভিনেত্রী। ল’রিয়াল প্যারিসের অন্যতম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে রেড কার্পেট রেখেছেন মাতিয়ে।

;

মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা জানালেন নিপুণ সমর্থিত শিল্পীরা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা জানালেন নিপুণ সমর্থিত শিল্পীরা

মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা জানালেন নিপুণ সমর্থিত শিল্পীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে জয়ী মিশা-ডিপজল প্যানেলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন নিপুণ সমর্থিত ১০৩ জন শিল্পী।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে নতুন এই কমিটিকে বরণ করে নেন তারা। এ সময় শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিপুল উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত ১৯ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডিএ তায়েব, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে কমল।

কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু রিয়ানা পারভিন পলি ও সনি রহমান।

;