আমি নাকি গান চোর: নোবেল



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাইনুল আহসান নোবেল

মাইনুল আহসান নোবেল

  • Font increase
  • Font Decrease

বিতর্ক যেনো কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না মাইনুল আহসান নোবেলের। এবার গান চুরির অভিযোগে খবরের শিরোনামে এসেছে জনপ্রিয় এই গায়কের নাম।

ক’দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে ‘দেশ’ শিরোনামের একটি গান শেয়ার করেছিলেন নোবেল। এরপরই তার বিরুদ্ধে গান চুরির অভিযোগ এনে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন ‘অ্যাবাউট ডার্ক’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট নাসির উল্লাহ।

নোবেলের বিরুদ্ধে গান চুরির অভিযোগ প্রসঙ্গে ‘অ্যাবাউট ডার্ক’ ব্যান্ডদলের গিটারিস্ট ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এরফান আহমেদ পূর্ণ বার্তা২৪.কমকে বলেছিলেন, ‘২০১৬ সালে ‘অ্যাবাউট ডার্ক’ প্রতিষ্ঠিত হয়। গান প্রকাশের শেষ সময়ে নোবেল আমাদের ব্যান্ডে যোগ দেয়। তবে ব্যান্ডের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আত্মসাৎ এর অভিযোগে তাকে ব্যান্ড থেকে কিছুদিন পরই বের করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি নোবেল যে গানটি নিজের বলে প্রকাশ করেছিলো গানটি ২০০৫ সালে নাসির উল্লাহ ভাইয়ের লেখা। ২০১৬ সালে গানটিতে দুইটি লাইন সংযোজন করে নোবেল। তবে তাকে দল থেকে বের করে দেওয়ার পর আমরা নোবেলের ওই দুই লাইন বাদ দিয়ে গানটি নতুন করে ‘তুমি’ শিরোনামে চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশ করেছি। এক বছর আগেও নোবেল এই গানটি নিজের দাবি করে প্রকাশ করেছিল। তবে আলোচনার মুখে সে সময়ও গানটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় সে। আর এবার যে গানটি নোবেল প্রকাশ করেছে সেটা আমাদের গান প্রকাশের আগে প্রাকটিস করা গানের রেকর্ড ভার্সনটা।’

গান চুরির বিষয়টি নিয়ে এতোদিন চুপ থাকলেও সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে নোবেল লিখেছেন- প্রসঙ্গ - #ABOUT_DARK (আমি নাকি গানচোর)

প্রথমত, এই বিষয় নিয়ে বিতর্কে যাওয়ার কোন ইচ্ছে আমার নেই। শুধুমাত্র আমার ভক্তদের সামনে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা আমার দায়িত্ব মনে করি। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আমি আজ কিছু কথা বলব।

মাইনুল আহসান নোবেল

যেহেতু #Underground_Music_Scene আজকের এই নোবেলকে তৈরি করেছে, অনেক অনুপ্রেরণা দিয়েছে। ছোট্ট দুটি ব্যান্ডের সঙ্গে নিয়মিত চর্চা করে করে এবং কিছু সংখ্যক শো করেই আমার আত্মবিশ্বাস এবং কণ্ঠ তৈরি হয়েছে, যা আজ কোটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে।

তাই, পুরো #communityটা আমাকে অপছন্দ করলেও তাদের প্রতি আমার একটি বিরাট শ্রদ্ধাবোধ রয়ে গেছে। আমি মনে করি তাদের অনেকেরই #potentials আছে আমার অবস্থানে, এমনকি আরও উঁচু পর্যায়ে পৌঁছানোর। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই বলতে পারেন আজকের আমার এই কলম ধরা।
শুরু থেকেই বলি, দুটি ব্যান্ডের গায়ক ছিলাম। একটি #Black_Stain যেখানে আমাকে অডিশনের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছিল এবং দ্বিতীয়টি “#ABOUT_DARK” যার প্রতিষ্ঠাতা আমি নিজে এবং আমার কয়েকজন ভাই-বন্ধু।

কিছুদিন পর #Black_Stain থেকে আমরা একটি এ্যালবাম রিলিজ করি যার নাম “নির্বাসিত স্বাধীনতার পর” এবং অন্যদিকে ”#ABOUT_DARK” নিয়ে আমরা নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে থাকি।

#ABOUT_DARK এর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে আমি একজন, তাই এই ব্যান্ডের প্রতি দ্বায়িত্ববোধটা একটু বেশিই ছিল সবসময়। অনেক ঝড়ঝাপটা একসঙ্গে মোকাবিলা করেছি। এক পর্যায় গিয়ে একজন গিটারিস্ট নিয়োগ করি যে অন্যান্য ব্যান্ড-মেম্বারদের তুলনায় বয়সে অনেকটাই বড়। তার নাম নাসির উল্লাহ (ছুট্টি)। বয়স আনুমানিক ৪০।

প্র্যাকটিসের দিনগুলোতে ঢাকার ট্রাফিক পাড়ি দিয়ে ডেমরা থেকে শ্যামলী (অন্তত ২০ কি:মি) লোকাল বাস-লেগুনায় ঝুলে আসতে হতো আমাকে। যারা ঢাকাতে থাকেন অথবা এই রুটে যাওয়া আসা করেছেন, তারা বুঝবেন আমি কোন ভোগান্তির কথা বলছি। টানা দুটি বছরের সাধনার ফলাফল #ABOUT_DARK ব্যান্ড এবং আমার লেখা গানটি, যার নাম “#দেশ” এখন “#তুমি” নামকরণ হয়েছে।

এখন আসি জনাব #ছুট্টির বৈশিষ্টে। বয়স বেশি এজন্য সব ব্যান্ড মেম্বাররাই উনার কথা মেনে চলত। এক কথায় উনার চাটুকারিতাই করত। কিন্তু আমি কখনই চাটুকার ছিলাম না, এখনও নই। যে কারণে #ছুট্টি মিয়া আমাকে তখনও পছন্দ করতেন না, এখনও করেন না।

অনেক ইতিহাস-পাতিহাস হলো, এবার আসি মূল প্রসঙ্গে। সত্যি বলতে “#দেশ” গানটির আংশিক সুর ছুট্টি ভাইয়েরই করা ছিল। কিন্তু গানটির প্রাণদাতা আমি #নোবেল! গানটির যে ভার্সন আমি আমার পেইজে পোস্ট করেছিলাম তার সম্পূর্ণ লিরিক্স আমার লেখা, অনেকাংশে সুর আমারই করা, কম্পোজিশনে রয়েছে আমার ছোয়া, আমি ব্যান্ডে থাকাকালীনই গানটি প্রথম রেকর্ড হয় এবং সবচেয়ে বড় কথা এই গানের বেড়ে ওঠার পেছনে রয়েছে আমার রক্ত-ঘাম ঝরানো পরিশ্রম। এই গানের প্রতি কি আমার অধিকার নেই?

আমার ব্যান্ড ছাড়ার প্রসঙ্গে এবার কিছু বলা যাক। “#দেশ” গানটি রিলিজ হবে-হবে, সমস্ত রেকর্ডিং হয়ে গেছে। মিক্স-মাস্টারের কাজ চলছে, এমন সময়ে আমরা #ABC রেডিওতে একটি শো পাই। তখনকার সময়ে কোন নাম পরিচয় ছাড়া একটি ব্যান্ডের জন্য রেডিওতে শো পাওয়া মানে বিরাট ব্যাপার! এবং আমার প্ল্যান ছিল ওখানে কিছু বাংলা-ইংরেজি কভার গান করব এবং শো চলাকালীন আমরা রেডিওতে আমাদের মৌলিক গান “#দেশ” রিলিজ করব। কারণ ওই মুহূর্তে রেডিওর চেয়ে বড় কোন প্লাটফর্ম আমাদের হাতে ছিল না।

কিন্তু বরাবরের মতই সবাই এই প্রস্তাবে রাজি হলেও জনাব ছুট্টি দ্বিমত পোষণ করেন। স্বভাবতই বাকিরা চাটুকারিতা করলেন। এমতাবস্থায় আমি বাধ্য হলাম ওই একনায়কতন্ত্র থেকে সরে আসতে। পরে উনারা নতুন গায়ক নিয়ে নেন।

সবসময় নিজের সিদ্ধান্তকেই সঠিক মনে করার কারণে বাংলাদেশের একজন সম্ভাবনাময় গিটারিস্ট হওয়া সত্বেও এখনও জনাব ছুট্টির প্রতিভা সবার কাছেই অজানা।

ওদের নতুন গায়ক আমার স্বরভঙ্গি নকল করে গানটি গাওয়ার চেষ্টা করেছে এবং ব্যান্ডটা আমার লেখা লিরিক্সকে লিপ্যন্তর (transliterate) করেছে মাত্র। এত কিছুর পরেও যদি বুঝতাম গানটির প্রতি ওরা কোন সুবিচার করতে পেরেছে, তাহলে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া এই কাদা ছোড়াছুড়ির মধ্যে আমি যেতাম না। কিন্তু যেতে বাধ্য হলাম কারণ নিজের সৃষ্টি করা গান নিজের সন্তানের মত। সন্তানের প্রাপ্য পরিচর্যা না পাওয়া কোন বাবার কাছেই গ্রহনযোগ্য নয়।

তাই USA-তে থাকাকালীন ছুট্টি ভাইয়ের সঙ্গে আমি কথা বললাম। নিজের অজান্তে হয়ে যাওয়া সকল ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে, নিজের লেখা গানটির আমার গাওয়া ভার্সন রিলিজ করার অনুমতি চাইলাম। দেখলাম উনি অনুমতি দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে দ্বায়িত্ব দিয়ে দিলাম লিরিক্স ভিডিও বানানোর জন্য।

মাইনুল আহসান নোবেল

সমস্ত কাজ প্রায় শেষ, তখন ছুট্টি মিয়ার টনক নড়লো। আমাকে বললো, গানটি তুমি পাবলিশ করতে পারবে না। হয়তো মনে মনে এটাই চলছিল যে একটি গান নোবেলের কণ্ঠে শোনার পর অন্য কারও কণ্ঠে কেনই বা শুনবে?

ভালো কথা, মনে চাপা কষ্ট নিয়ে তখন আর আমি গানটি রিলিজ করলাম না। কিন্তু নিজের অনেক সাধনার ফসল এই গান “#দেশ” তাই মনের তীব্র আকাঙখা সামাল দিতে না পেরে গানটি আপনাদের কাছে পৌঁছানোর একটু চেষ্টা করেছিলাম।

গানের আমার কোন অভাব নেই যে আমার গান চুরি করতে হবে। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের অনেক রেকর্ড লেবেল আমাকে তাদের জন্য মৌলিক গান করার অনুরোধ করছেন। তবে সৃষ্টিকর্তা গানের গলার সাথে সাথে আমার মধ্যে আরেকটি ব্যাপারও দিয়েছেন। সেটা হচ্ছে গানের বিষয়ে আমি প্রচণ্ড খুঁতখুঁতে। যার কারণে এখনও বাজারে আমার মৌলিক গান আসেনি।

আশা করি আমার ভক্তরা আমাকে ক্ষমা করবেন। আমাকে নিন্দুকেরা গালিগালাচ করুক এটা আপনাদের একান্তই কাম্য নয়, সবই আমি বুঝি। আমাকে ক্ষমা করবেন এবং খুব শীঘ্রই আসছে আমার, আপনার সবার অপেক্ষিত #সুনন্দা।

   

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চলছে ভোট গণনা, আসেননি অনেক তারকা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফেরদৌস আহমেদ, মৌসুমী, শাকিব খান ও পপি

ফেরদৌস আহমেদ, মৌসুমী, শাকিব খান ও পপি

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ১৯ এপ্রিল সকাল থেকে বিএফডিসি প্রাঙ্গণে চলছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচন। সকাল সাড়ে ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি ছিল, ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল সাড়ে ৫টায়। এখন চলছে ভোট গণনা। 

ভোট দিতে সকালে তেমন কোন ভোটার উপস্থিত না থাকলেও জুমার নামাযের পর কিছু তারকা এফডিসি প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। ভোট গ্রহণের সময় শেষ দিকে চলে এলেও দেখা যায়নি চলচ্চিত্রের অনেক জনপ্রিয় তারকাদের। জানা গেছে, তাদের অনেকেই ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যার কারণে ভোট দিতে পারছেন না।

এরমধ্যে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। তিনি বর্তমান নতুন সিনেমার শুটিংয়ে ভারতের হায়দরাবাদে অবস্থান করছেন।

গত নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়ী হলেও এবার ভোটের মাঠ থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন অরুণা বিশ্বাস। দেশে না থাকার কারণে এবার ভোট দিতে আসতে পারছেন না।

৮ বছর পর এফডিসিতে ভোট দিতে এলেন কাজী মারুফ

এছাড়াও এদিন ভোট দিতে পারছেন না এমন তালিকায় রয়েছেন সুপারস্টার শাবনূও, চিত্রনায়ক ও সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ, প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী, পপি, পূর্ণিমা, শাহরিয়ার নাজিম জয়, আজিজুল হাকিম, আনিসুর রহমান মিলন, রেসি, বিপাশা কবির, সোহানা সাবাসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী।

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুইটি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি মিশা-ডিপজল পরিষদ, অন্যটি কলি-নিপুণ পরিষদ।

এর মধ্যে সভাপতি পদে লড়ছেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও দাপুটে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক পদে গেল আসরের মতো এবারও প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭০ জন। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন খোরশেদ আলম খসরু।

;

নতজানু হয়েও কোন পক্ষের সমর্থন পেলেন না জোভান



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ভিডিও বার্তায় জোভান ও ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্য

ভিডিও বার্তায় জোভান ও ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান পড়েছেন দারুণ ঝামেলায়। তার একটি নাটককে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একপক্ষের সমালোচনায় অবশেষে নতজানু হয়ে ভিডিও বার্তা দিলেন তিনি। তাতেও সেই পক্ষের মন গলাতে পারলেন না। উল্টো তারা জোভানের বাকী নাটকগুলোকেও বয়কটের সুর তুলছে!

ঝামেলা এখানেই শেষ নয়। জোভান নতজানু হয়ে দুঃখ প্রকাশ করায় আরেকপক্ষ তাকে দারুণভাবে করছেন সমালোচনা। এই পক্ষে আবার রয়েছেন তারই সহকর্মীরা। তারা জোভানের সাহস ও শিনদাঁড়ার শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত গেল ঈদুল ফিতরে প্রচারিত জোভানের নাটক ‘রূপান্তর’ নিয়ে। রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এই নাটক প্রচারের পরই এটি নিয়ে অন্তর্জালে ফুঁসে ওঠে একাংশ দর্শক। নিরুপায় হয়ে নাটকটি ইউটিউব থেকেও নামিয়ে ফেলা হয়।

 ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্যে সামিরা খান মাহি ও জোভান

কিন্তু রেহাই মেলেনি তাতেও। অগত্যা অভিনেতা জোভান নিজেই গা ঢাকা দেন, বন্ধ করে রাখেন নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল। অবশেষে আজ ১৯ এপ্রিল ভোর রাতে দেখা দিয়েছেন তিনি। একটি ভিডিও বার্তা নিয়ে হাজির হলেন। যেখানে আকুতিভরা কণ্ঠে ক্ষমা চেয়েছেন দর্শকের কাছে।

আতঙ্ক আর অসহায়ত্বে ভরা চাহনিতে জোভান বলেন, ‘এই ঈদে আমার বেশ কিছু নাটক এসেছে। প্রথম দিন থেকেই ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। এই ঈদটা আমার খুব সুন্দর ঈদ হতে পারতো আপনাদের ভালোবাসায়, সাপোর্টে। কিন্তু সেটা হয়নি। একটা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে আপনারা যেমন কষ্ট পেয়েছেন, আমিও কষ্ট পাচ্ছি। আমি কিন্তু একদমই ভালো নেই।’

‘রূপান্তর’ নাটকের প্রসঙ্গে জোভানের জবাবদিহি এরকম, “রূপান্তর’ নাটককে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা একদমই অপ্রত্যাশিত। এই নাটকের মাধ্যমে কারও ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। আমি নিজেও একটা মুসলিম পরিবারের ছেলে। আমি জানি, ধর্মকে কতটা বিশ্বাস করি, আল্লাহকে শ্রদ্ধা করি। এই নাটকের মাধ্যমে আমরা কোনও কিছুকে নরমালাইজ করা বা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করিনি। কেবল একটি চরিত্র উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটার মাধ্যমে এতগুলো মানুষকে কষ্ট দিয়েছি, এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সবার কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”

ফারহান আহমেদ জোভান

সবশেষে অনুরোধের সুরে জোভান বলেছেন, ‘দীর্ঘ এগারো বছর যাবত নাটক করছি। আজকে আমার যে অবস্থান, এর পেছনে আমার একার নয়, অবশ্যই দর্শকের ভালোবাসা ও সাপোর্ট ছিল। আমার কাজ করার মূল উদ্দেশ্য হলো দর্শককে একটু বিনোদন দেওয়া, সেজন্যই এত কষ্ট। এরপর থেকে আরেকটু বেশি সচেতন থাকবো চরিত্র বাছাই করতে। যাতে তাদের মনঃক্ষুণ্ণ না হয়, কষ্ট না পায়। আমার যে কাজগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে, তার চেয়েও ভালো কাজ উপহার দেবো। শুধু একটাই অনুরোধ, আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না। আমার জন্য দোয়া করবেন।’

যদিও জোভানের ভিডিও বার্তার কমেন্ট বক্স দেখলে আঁচ করা যায়, তার এই আর্তনাদ গলাতে পারছে না নেটিজেনদের মন। গণহারে তার নাটক বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে তারা। বিপরীতে অনেকেই জোভানের এই পরাজিত কণ্ঠ ও মুখ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বলছেন, প্রকৃত শিল্পী কখনোই এতোটা নতজানু হয় না।

উল্লেখ্য, নীহার আহমেদের চিত্রনাট্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটি নির্মিত হয়েছে। এর গল্পটি মূলত একজন তরুণ চিত্রশিল্পীকে ঘিরে। যিনি শৈশবে ট্রেন দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের। যার ফলে তিনি জানতেই পারেননি তার বাবা-মা কে কিংবা কোন ধর্মের মানুষ। বড় হয়েছেন শিশু আশ্রমে। বড় হয়ে হয়েছেন চিত্রকর। পেয়েছেন খ্যাতিও। এর মধ্যে একজন ধনীর দুলালী তার আঁকায় মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন। বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয় চিত্রকরকে। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাকে দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। এরপর তার চিকিৎসকের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি আসলে একটি হরমোন জনিত বিরল জটিলতায় ভুগছেন। তিনি দেখতে পুরুষের মতো হলেও মানসিকভাবে তিনি একজন নারী।

ফারহান আহমেদ জোভান

গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় ‘রূপান্তর’ নাটকটি উন্মুক্ত করা হয় ইউটিউবে। রাতে বেশ কিছু দর্শকের পক্ষ থেকে আপত্তি পেয়ে সেটি ১৬ এপ্রিল সকালে তুলেও নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। একই নাটক ডাউনলোড করে অসংখ্য ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করছে সমালোচনাকারীদের একটা বড় অংশ। তারাই আবার এমন নাটক নির্মাণ ও প্রচারণার প্রতিবাদ করছেন! এমনকি নির্মাতা-শিল্পীদের হুমকিও দিচ্ছে অনেকে। যা নিয়ে আতঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা।

;

আগামী মাসেই সোহেল-নীলা জুটির ‘শ্যামাকাব্য’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘শ্যামাকাব্য’র জুটি সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

‘শ্যামাকাব্য’র জুটি সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

গুণী নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘শ্যামাকাব্য’ নিয়ে দর্শকের আগ্রহ রয়েছে। এই ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন সদ্য ভারতের ফিল্মফেয়ার পুরস্কারজয়ী অভিনেতা সোহেল মণ্ডল ও জনপ্রিয় লাক্স তারকা নীলাঞ্জনা নীলা। তারা ছাড়াও এক ঝাক তারকা শিল্পীকে নিয়ে নির্মিত সরকারি অনুদানের এই সিনেমাটি গত ২৪ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা ছিল।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

কিন্তু সে সময় ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। তখন নির্মাতা সৌদ জানিয়েছিলেন, ‘‘দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত। চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম, এমন পরিস্থিতিতে দর্শক সিনেমা হলে এসে ছবি দেখতে চাইবেন না। দর্শকের জন্যই তো আমাদের সিনেমা। তাদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা জরুরী। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ‘শ্যামাকাব্য’ জাতীয় নির্বাচনের পরেই মুক্তি দেব।’’

নীলাঞ্জনা নীলা ও সোহেল মণ্ডল। ছবি : নূর এ আলম

অবশেষে ছবিটি মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ছবিটির নায়ক সোহেল মণ্ডল জানান, ‘‘আসছে ৩ মে আপনার নিকটস্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘শ্যামাকাব্য’।’’

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ধাচের ছবিটিতে প্রেমের বিষয়টিও বেশ স্পষ্ট। এতে নীলাকে দেখা যাবে শ্যামা’র চরিত্রে। আর সোহেল মণ্ডল রয়েছেন আজাদ নামের একটি চরিত্রটি।

নীলাঞ্জনা নীলা ও সোহেল মণ্ডল। ছবি : নূর এ আলম

নায়ক-নায়িকা দুজনই বললেন, তাদের চরিত্র দুটি একেবারেই নতুন। তাদের রসায়নও দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদী। নীলার ভাষায়, শ্যামা মেয়েটি খুব শান্ত। দেখলে চোখে আরাম দেবে। আর সোহেল এখনই তার চরিত্রের কোন গোমর ফাঁস করতে চান না।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

ছবিতে একটি মাত্র গান রয়েছে। নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের লেখা ‘পাখি যাও যাও’ শিরোনামের সেই গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। চমকপ্রদ বিষয় হলো সেই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের বিখ্যাত দুজন শিল্পী। একজন হিন্দুস্তানি ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের কিংবদন্তি পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, অন্যজন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী।

;

ধর্মকর্মে মন দিয়েছেন অশ্লিল যুগের নায়ক মেহেদি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চিত্রনায়ক মেহেদির একাল-সেকাল

চিত্রনায়ক মেহেদির একাল-সেকাল

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢালিউডে যে সময়টা অশ্লিলতায় ছেয়ে গিয়েছিল, সে সময়ের অন্যতম ব্যস্ত নায়ক ছিলেন মেহেদি। ‘পাগল মন’ চলচ্চিত্র দিয়ে সিনেমা জগতে জায়গা করে নেওয়ার পর অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে অশ্লিল ছবির সংখ্যাই বেশি। এখনো ইউটিউবে তার অশ্লিল নাচ গানের ভিডিও’র দেখা মেলে।

কিন্তু মানুষ মাত্রই বদলায়। বাংলা সাহিত্যে বিখ্যাত উক্তি রয়েছে, ‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়, কিন্তু বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়।’

তেমনি বদল ঘটেছে চিত্রনায়ক মেহেদির জীবনেও। অনেক দিন থেকেই চলচ্চিত্র আঙিনায় তাকে দেখা যায় না। আজ তাকে দেখা গেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে। সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মেহেদি।

চিত্রনায়ক মেহেদি

জানালেন, তিনি এখন ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করেছেন। বললেন, নিয়মিত তবলিগ জামাত চিল্লায় যেতে হচ্ছে। যেহেতু আমি মুসলিম, তাই আমাকে নিয়মিত নামাজ রোজা করতে হবে। এখন সেটা খুব মনোযোগের সঙ্গে করতে হচ্ছে।

চলচ্চিত্র থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হননি তিনি, সামনে তার চলচ্চিত্র আসছে বলেও জানালেন। বললেন, আমি চলচ্চিত্র থেকে একেবারেই হারিয়ে যাইনি। সামনে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আমার চারটি চলচ্চিত্র।

;