পৃথিবী বাঁচাতে স্পেস সোলার পাওয়ার স্টেশনই ভরসা?



শুভ্রনীল সাগর, স্পেশালিস্ট রাইটার, বার্তা২৪.কম
ছবি: NASA

ছবি: NASA

  • Font increase
  • Font Decrease

দেখে মনে হবে কোনো সায়েন্স ফিকশন সিনেমা! জায়ান্ট সব সোলার পাওয়ার স্টেশন মহাশূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছে। বিশেষ প্রক্রিয়ায় পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে শক্তি (এনার্জি)। প্রায় ধ্বংস হতে থাকা পৃথিবী শক্তি পেয়ে বেঁচে উঠছে ঠিক শেষ মুহূর্তে..

অবশ্য এই ধারণা একেবারে কল্পকাহিনীও নয়। ১৯২০ সালে রাশিয়ান বিজ্ঞানী কনস্ট্যানটিন টিসিওলকোভস্কি পৃথিবীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এই ভাবনা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। ১শ বছর পর বিজ্ঞানীরা টিসিওলকোভস্কির ওই ভাবনাকেই বাস্তবে রূপ দেওয়ার কথা ভাবছেন। না ভেবে উপায়ও নেই! গত ১শ বছরে বিশ্বব্যাপী মানুষ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ আর সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের বিদ্যুতের ব্যবহার। এই সীমাহীন শক্তির জোগান দিতে প্রকৃতি-পরিবেশ ধ্বংস করা প্রায় সারা!

কিন্তু কথা হলো, বিদ্যুতের প্রয়োজন তো থেমে থাকবে না! আবার পরিবেশ ধ্বংস করে ক্রমাগত নিউক্লিয়ার বা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে থাকলে পৃথিবীটাই বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে। অন্য গ্রহে তো এখনও যাওয়ার উপায় নেই! কাজেই শক্তির জোগানের জন্য ভাবতে হবে বিকল্প ব্যবস্থা।  

স্পেস সোলার পাওয়ার স্টেশন মডিউল

পরিবেশের কথা চিন্তা করে তথা পৃথিবীকে বাঁচাতে গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বজুড়ে নবায়নযোগ্য শক্তি (রিনিউয়েবল এনার্জি) প্রযুক্তি উন্নত করা ভীষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। উন্নত বিশ্ব এ নিয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছে। উন্নত প্রযুক্তিগত দক্ষতায় কম খরচে কীভাবে এই পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদন করা যায়, সবার মাথা ব্যথা এখানেই।

নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে প্রধান সীমাবদ্ধতা হলো, নিয়মিত শক্তির উৎসের জোগান। বাতাসকে কাজে লাগিয়ে শক্তি তখনই উৎপন্ন হবে যখন বাতাস বইবে। একইভাবে সূর্য আলো দিলেই মিলবে সৌরশক্তি বা সোলার এনার্জি। বিশ্বের সব দেশের আবহাওয়া এক নয়। কোথাও সূর্যই ওঠে না মাসের পর মাস। আর পরিবেশ দুষণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনে বাতাস-বৃষ্টিরও মর্জি বোঝা মুশকিল। এজন্য এককভাবে মানব সম্প্রদায়ই দায়ী অবশ্য!

যাইহোক, জীবন যাপন এখন এমন যে, ৩৬৫ দিনের ২৪ ঘণ্টাই আমাদের বিদ্যুৎ লাগবে। কাজেই শক্তি উৎপাদনের উৎসগুলো সম্পূর্ণভাবে নবায়নযোগ্য করার আগে আমাদের এমন একটি উৎস লাগবে যেখান থেকে অফুরান শক্তি সংগ্রহ করা যাবে।

যেহেতু সৌরজগতে আমাদের বাস তাই পৃথিবীর জন্য একমাত্র অফুরান শক্তির আধার হলো সূর্য। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য উপায়, মহাশূন্যেই সৌরশক্তি উৎপন্ন করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় পৃথিবীতে নিয়ে আসা। এই ভাবনা মাথায় রেখেই কাজ করছিলেন টিসিওলকোভস্কি। শতবছর আগে প্রযুক্তিগত নানা সীমাবদ্ধতায় আশানুরূপ ফল তিনি পাননি। তবে তার উত্তরসূরী বিজ্ঞানীরা হয়তো পেতে পারেন। নতুন করে এই হাইপোথিসিসের ওপর কাজ শুরু করেছেন তারা।

মহাশূন্যভিত্তিক সোলার পাওয়ার স্টেশনের অনেকগুলো সুবিধার মধ্যে প্রধান একটি হলো, ২৪ ঘণ্টাই তীব্র সূর্যের আলো পাওয়া। পৃথিবী যেখানে ১২ ঘণ্টা সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হয়, মহাশূন্যে এই সমস্যা নেই। এছাড়া সূর্যরশ্মি পৃথিবীর অনেকগুলো মণ্ডল পেরিয়ে আসতে আসতে তেজ ও শক্তি অনেক কমে যায়। মহাশূন্যভিত্তিক সোলার পাওয়ার স্টেশনগুলো সূর্যের যতটা কাছ থেকে সম্ভব শক্তি সংগ্রহ করতে পারবে।

সোলার সেল থেকে বিদ্যুৎ রূপান্তরিত করে শক্তি তরঙ্গে রূপান্তরিত করে পাঠাতে হবে পৃথিবীতে

কিন্তু শুনতে যতোটা সহজ লাগছে বাস্তবে রূপ দেওয়াটা ততোটাই কঠিন। সীমাবদ্ধতা নম্বর এক, এতো বড় বড় সোলার পাওয়ার স্টেশন পৃথিবী থেকে পাঠানো, প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রণ ও দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণ। একেকটি সোলার পাওয়ার স্টেশন ১৪শ ফুটবল মাঠের সমান বড়। মহাশূন্যে জায়গার অভাব নেই কিন্তু মুহূর্তের সংঘর্ষে গুড়িয়ে দেওয়ার মতো বস্তু অসংখ্য। সীমাবদ্ধতা নম্বর দুই, যথাসম্ভব ওজন কম রেখে একেকটি সোলার পাওয়ার স্টেশন মহাশূন্যে পাঠানোর খরচ।

বিজ্ঞান ও সভ্যতার অগ্রগতিতে সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা বরাবরই ছিল। সেগুলো জয় করাই আবিষ্কার ও উদ্ভাবন। বিজ্ঞানীরাও থেমে নেই। আপাতত একটি প্রস্তাবিত সমাধান, হাজার খানেক ছোট ছোট স্যাটেলাইট বানানো। মহাকাশে গিয়ে সবাই একসঙ্গে মিলে এক হয়ে একটি বড় সৌরশক্তি উৎপাদক হিসেবে কাজ করবে। ২০১৭ ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ক্যালটেক) এক হাজার আল্ট্রালাইট সোলার সেল টাইলস দিয়ে বানানো ‘মডিউলার পাওয়ার স্টেশন’র একটি ডিজাইনও করেছে। তারা এর একটি প্রোটোটাইপও বানিয়েছে যার ওজন প্রতি স্কয়ার মিটারে মাত্র ২৮০ গ্রাম।  

সম্প্রতি, থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি মহাশূন্য শক্তি (স্পেস পাওয়ার) ব্যবহারের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুল থ্রিডি প্রিন্টিংয়ে আল্ট্রালাইট সোলার সেল থেকে সোলার সেইল প্রিন্ট করতে কাজ করছে। সোলার সেইল হলো খুবই কম ওজনের ভাঁজ করে ফেলা যায় এমন উচ্চ প্রতিফলন ক্ষমতা সম্পন্ন পর্দা। এটি সূর্যের বিকিরণকে নিয়ন্ত্রণ ও শক্তিতে রূপান্তরিত করে কোনো জ্বালানি ছাড়াই একটি মহাকাশযান চালাতে সক্ষম। সোলার সেল থেকে সোলার সেইলে রূপান্তরিত করে কীভাবে বড় একটি জ্বালানিমুক্ত স্পেস পাওয়ার স্টেশন বানানো যায় এটা নিয়েই কাজ করে চলেছে তারা।    

তারা আরও বলছে, সম্ভাবনা এখানেই শেষ নয়। আমরা কেবল পৃথিবী থেকে উপকরণ মহাকাশে নিয়ে পাওয়ার স্টেশন বানানোর চিন্তাতেই থেমে নেই, বরং মহাশূন্যে প্রাপ্ত উপকরণ কাজে লাগিয়েই কীভাবে মহাকাশে তা বানানো যায় সেসব নিয়েও কাজ করছি।

এ তো গেলো মহাশূন্যে পাওয়ার স্টেশন বানানো নিয়ে সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়-আশয়গুলো। ধরা যাক, মহাশূন্যে পাওয়ার স্টেশন বানানো গেলো। এইবার আসল কাজ হলো, উৎপাদিত শক্তি পৃথিবীতে আনা যাবে কীভাবে?

এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা, সোলার সেল থেকে বিদ্যুৎ রূপান্তরিত করে শক্তি তরঙ্গ (এনার্জি ওয়েভ) বানানো এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড ব্যবহার করে পৃথিবীর পৃষ্ঠে একটি অ্যান্টেনা বসিয়ে সেখানে স্থানান্তর করা। অ্যান্টেনা আবার শক্তি তরঙ্গকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করবে। জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশান এজেন্সির গবেষকরা ইতোমধ্যেই একটি নকশা দাঁড় করিয়ে ফেলেছে এবং একটি অরবিট সিস্টেমও প্রদর্শন করা সারা।

কাজ যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে আশাবাদী হওয়াই যায়। হয়তো আমাদের জীবদ্দশাতেই তা দেখে যেতে পারবো! এই আশা দিচ্ছে চীনও। তারা ‘ওমেগা’ নামে একটি সিস্টেম দাঁড় করিয়েছে যেটি মহাশূন্য থেকে সর্বোচ্চ ২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎশক্তি পৃথিবীতে পাঠাতে সক্ষম। এই সমপরিমাণ বিদ্যুৎ পৃথিবীতে উৎপাদন করতে চাইলে প্রায় ৬০ লাখেরও বেশি সোলার প্যানেল লাগবে। চূড়ান্ত ফল হাতে পেতে চীন ২০৫০ সালের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।   

চাঁদে গবেষণার জন্য পাঠানো রোবটযান লুনার রোভার্সকে শক্তি সরবরাহ করতে পরীক্ষামূলকভাবে খুব শীঘ্রই ছোট সোলার পাওয়ার স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। মানব সভ্যতার আরেকটি বিস্ময়কর মাইলফলক ‘স্পেস সোলার পাওয়ার স্টেশন’র প্রথম কারিগরি পদক্ষেপ হয়তো এর মধ্য দিয়েই শুরু হলো!

এক বিলাসবহুল বিয়ে, অতিথির উপহারই প্রায় লাখ টাকা করে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমেরিকান সিনেমা 'ক্রেজি রিচ এশিয়ানস'র কথা হয়তো মনে আছে? পুরো মনে না থাকলেও নিশ্চয়ই সিনেমায় আলোচিত একটি বিয়ের দৃশ্য মনে আছে। যেখানে বিয়েতে আসা সব অতিথিদের জন্য থাকে অর্থ উপহার, থাকে বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা। এমন অসম্ভাব্য মঞ্চসজ্জা আসলে সিনেমা বা কল্পকাহিনীতে সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার তা বাস্তবের দৃশ্যপটে হাজির। এমন উপলক্ষ তৈরি করেছেন চীনা সেলিব্রেটি ট্র্যাভেলার ডানা চ্যাং। সম্প্রতি এই সেলিব্রেটির বিয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই 'ক্রেজি রিচ এশিয়ানস'র দৃশ্য ফুটে ওঠেছে।

বিলাসবহুল এমন বিয়ের খবরের তথ্য দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

চীনা ওই বিয়েতে অতিথিদের রীতিমতো টাকা পয়সা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ওই ভিডিওর শুরুতে ডানা চ্যাং বলেছেন, ‘বাস্তবে একটি ক্রেজি রিচ এশিয়ান বিয়ে এমনই দেখায়। এর আগে এমন বিয়ে কোথাও দেখা যায়নি।’

সত্যিকার অর্থে ভিডিওটিতে যেমনটি দেখা গেছে, তা দেখে ডানার ফলোয়ারদের মাথা ঘুরে গেছে!

ভিডিও থেকে জানা গেছে, নববিবাহিত দম্পতি তাঁদের অতিথিদের সারা জীবন মনে রাখার মতো একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দিয়েছেন। অতিথিদের তাঁরা একটি পাঁচতারা হোটেলে পাঁচ দিনের জন্য রেখেছিলেন। আর এই সময়ের মধ্যে অতিথিদের যে কোনো প্রয়োজনে রোলস রয়েস এবং বেন্টলির মতো ব্যয়বহুল সব গাড়ির বহর সদা প্রস্তুত ছিল। বিয়ের জমকালো সাজসজ্জা এতটাই চোখধাঁধানো ছিল যে, অনেকে এটিকে ইউরোপীয় ভেবে ভুল করবেন।

এমন দৃশ্যকে আরও আকর্ষণীয় করেছে ফুল ও তাদের ছবি দিয়ে বানানো বিয়ের কার্ড।

চীনা রীতিতে অতিথিরা সাধারণত পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে যান এবং সেগুলো বর-কনের সাফল্য কামনায় উপহার হিসেবে দান করেন। তবে ডানার বিয়েতে ঘটেছে উলটো চিত্র। এতে অতিথিরা টাকা দেননি বরং উপহার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন রাজকীয় লাল রঙয়ের এক খাম। যার মধ্যে ছিল ৮০০ ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৪ হাজার টাকা। তবে এতেই সীমাবদ্ধ ছিলো না ডানা চ্যাং। ডলারের পাশাপাশি অতিথিদের বাড়ি ফেরার রিটার্ন টিকিটও সরবরাহ করেছিলেন ওই দম্পতি।

তাদের এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এতে অনেকেই তাদের অভিব্যক্তি তুলে ধরেছেন। এমন বিয়েকে অনেকেই আবার চলতি বছরের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী বিয়ে হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

ভিডিওর নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘হে দয়াময়, উনি কোন লেবেলের বিলিয়নিয়ার।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘ঈশ্বর তুমি আমাকে কিছু না দিয়ে অন্যদের কত কিছু দিয়েছ!’

রসিকতা করে আরেকজন লিখেছেন, ‘ভিডিও দেখে গরিবেরা কাঁদছে।’ 

অনেকে এই দম্পতির উদারতা এবং নম্রতার প্রশংসা করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "অতিথিদের উপহার দেওয়ার জন্য তারা খুবই নম্র। এমন পরিস্থিতি টাকা থাকলেই সবাই করতে পারে না।"

অনেকেই আবার এমন কাজের নিন্দা করেছেন।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আপনাদের এমন কাজ কোনো ভালো শ্রেণির সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে না।"

তবে সমালোচক আর প্রশংসাকারীদের এক পাশে রেখে বিষয়টিকে দেখলে নতুন কিছুরই আবির্ভাব ঘটেছে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। হয়তো এর সাথে আপনিও দ্বিমত হবেন না। 

;

পৃথিবীকে ছাড়িয়ে ‘স্বর্গে জমি’ বিক্রি চলছে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে আমরা অনেক কিছুই দেখতে পাই, শুনতে পাই। এইতো কয়েক মাস আগে চাঁদে জমি কেনার একটি বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। তবে এবার আর চাঁদে নয়, চাইলে 'স্বর্গে জমি' কিনতে পারবেন! আসলেই কী তাই?

চলতি সপ্তাহে মেক্সিকোর একটি গির্জা ‘স্বর্গে জমি বিক্রি’ করছে বলে- এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য এর আগে একজন এই বিষয়টি নিয়ে টিকটকে একটি ভিডিও ছেড়েছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, এমন বিষয় প্রচার পর্যন্তই তারা সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং জমির প্লট বিক্রি করে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহও করেছে চার্চটি। 

এ নিয়ে অনেক মূলধারার গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে। এসব খবরে বলা হয়েছে, ইগলেশিয়া দেল ফাইনাল দে লস গির্জা ‘স্বর্গে একখণ্ড জমি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে।

আসলে ব্যঙ্গ করে ইভানজেলিক্যাল গির্জার নাম করে এই ‘স্বর্গে জমি বিক্রি’র কথা বলা হচ্ছে। যাঁরা কাজটি করেছেন, তাঁরা এর মাধ্যমে গির্জার একশ্রেণির ধর্মগুরুর প্রতারণার কথা তুলে ধরতে চেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সংগঠনের পেজটি বেশ জনপ্রিয়।

তারা বলছে, প্লটের প্রতি বর্গমিটারের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার অর্থ দাঁড়ায় ১১ হাজার ৭৫৮ টাকা। আগ্রহী ক্রেতারা আমেরিকান এক্সপ্রেস, অ্যাপল পে ব্যবহার করে অর্থপ্রদান করতে পারেন বা পেমেন্ট প্ল্যান অ্যাপের মাধ্যমেও এই অর্থ দেওয়া যাবে।

ওই গির্জার ধর্মযাজককে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মযাজক ২০১৭ সালে স্বর্গে প্লট বিক্রয়ের বিষয় নিয়ে ঈশ্বরের সাথে কথা বলেছেন। তখন তাকে ঈশ্বর ওই প্লট বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন।

এ বিষয়তি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পরে যায় সামাজিক মাধ্যমে। অনেকেই তাদের নিজেদের অভিমত তুলে ধরেছেন।

একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আমি আশা করি ধর্মযাজক আমাকে স্বর্গে কিছু জমি ক্রয় করা সুযোগ দেবেন। আমি প্রথমে তাকে সেখানে পাঠাব এরপর তাকে ফেসটাইমের মাধ্যমে আমাকে কল দিতে বলব যাতে আমি কি কিনতে যাচ্ছি তা দেখতে পারি।"

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমার জানা দরকার, কারা জমি দিচ্ছে, যাতে আমি তাদের স্বর্গের জমিতে মূল্যছাড়ের অফার দিতে পারি।’

তৃতীয় আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ঈশ্বরের নামে এমন চুরির কাজ শয়তানের কাজ।’

;

টাকার বান্ডিল দিয়ে তৈরি ‘কার্পেট’, হাঁটলেন প্রেমিকাকে নিয়ে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধনী ব্যক্তিরা তাদের অর্থসম্পদ দেখানোর জন্য কতই কিছু না করে। মাঝেমধ্যে তারা এমন কিছু কাজ করে যা শেষ পর্যন্ত স্রেফ পাগলামির পর্যায়ে চলে যায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক নিন্দা কুড়িয়েছে। তারা এমন কাজকে 'জঘন্য' বলেও অভিহত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রাশিয়ান এক উদ্যোক্তা তার প্রেমিকার হাত ধরে তাকে টাকার বান্ডিলের উপর দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ঘটনাটি অনেক পুরাতন। কিন্তু নতুন করে আবার ব্যবহারকারীদের সামনে এলে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন রাশিয়ান উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সের্গেই কোসেনকো। তিনি ‘মিস্টার থ্যাংক ইউ’ নামেও পরিচিত। ভিডিও তৈরি এবং প্রেমিকাকে ‘রাজকীয় অভ্যর্থনা’ দিতেই নগদ টাকার বান্ডিল দিয়ে ‘কার্পেট’ তৈরি করেছিলেন তিনি।

ভিডিওতে দেখা যায়, কোসেনকোর প্রেমিকা একটি হেলিকপ্টার থেকে নেমে তার হাত ধরে নগদ টাকার স্তূপের ওপর দিয়ে হাঁটছেন। ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনটি ‘প্রেম-পূর্ণ ইমোজি’ দেয়া ছিল।

কার্পেট হিসাবে ব্যাঙ্কনোট ব্যবহারের এমন ভিডিও দেখে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। অনেকেই আবার এই দম্পতিকে "ধনের কুৎসিত প্রদর্শন" বলে আখ্যায়িত করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, নোটগুলো জাল।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ''আপনি অনেক ধনী হতে পারেন, কিন্তু এভাবে টাকা নষ্ট করাটা উচিত না। এই টাকা দিয়ে আপনি শত শত পরিবারকে সাহায্য করতে পারতেন এবং হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার জোটাতে পারতেন।''

আরেকজন বলেছেন, ''এভাবে টাকার অপমান করা লজ্জাজনক।''

উল্লেখ্য, সের্গেই কোসেনকো ইনস্টাগ্রামে নিজেকে একজন গায়ক, উদ্যোক্তা ও ক্রিয়েটর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সামাজিক মাধ্যমের এই প্ল্যাটফর্মে তার চার কোটির বেশি ফলোয়ার রয়েছে।

;

রূপময় বর্ষায় খুলনা নগরীর সৌন্দর্য



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে বর্ষাকাল। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঋতু বর্ষা। খুলনায় তীব্র তাপদাহের পর টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নগরী যেন এক নতুন রূপে সেজে উঠেছে। প্রতিটি গাছ, পাতা আর ফুল যেন ফিরে পেয়েছে নতুন প্রাণ। রাস্তাঘাট, পার্ক আর বাগানগুলো সবুজে ভরে উঠেছে।

প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। রাস্তা দিয়ে হাঁটলেই আপনার চোখ আটকে যাবে সেই সব রঙ বেরঙের ফুলে। বৃষ্টির জলে ধুয়ে-মুছে ঝকঝকে হয়ে উঠেছে সবকিছু, যা মানুষের মনকে প্রফুল্ল করে তুলছে।


গাছের পাতায় জমে থাকা জলবিন্দুগুলো রোদ্দুরে রঙধনুর মতো ঝিলমিল করছে। ফুটপাতের ধারে ধারে ফুটে ওঠা রঙ বেরঙের ফুলগুলি যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা এক একটি ছবিতে পরিণত হয়েছে। লাল, নীল, হলুদ, বেগুনিসহ সব রঙ মিলিয়ে যেন এক স্বপ্নীল দৃশ্য। গাছের নিচে জমে থাকা জলকাদায় শিশুদের কাদামাখা খেলাও নতুন রঙ যোগ করেছে নগরীর এই নবরূপে।

মানুষের মনে এই পরিবর্তন যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে একটু সময় বের করে মানুষজন বিকেলে পার্কে ঘুরতে বেরিয়েছে। শিশুদের হাসি-খুশি মুখ আর তরুণ-তরুণীদের আড্ডায় মুখরিত চারপাশ। প্রিয়জনের সঙ্গে হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছে তারা।


নগরীর এই নবরূপ শুধু মানুষকে নয়, পশু-পাখিকেও নতুন উদ্যমে ভরিয়ে তুলেছে। গাছের ডালে ডালে পাখির কলরব আর ভেজা ভেজা গন্ধ মিশে পরিবেশকে আরও মধুর করে তুলেছে। পাখিরা যেন আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে, তাদের ডাকে প্রাণের সুর বাজছে।

নগরীর প্রতিটি কোনে এখন নতুন কাহিনী। পুরনো দেয়ালেও যেন নতুন রঙের ছোঁয়া লেগেছে। বৃষ্টির পরে সেই মাটি ভেজা গন্ধে মনে হয় যেন এক টুকরো গ্রাম উঠে এসেছে শহরের বুকে।

বৃষ্টি যে খুলনা মহনগরীর এমন পরিবর্তন এনে দিতে পারে, তা হয়তো অনেকেই ভাবেনি। এই নবরূপ শুধু নগরবাসীর নয়, পুরো প্রকৃতির এক মিলিত উৎসব। এ যেন এক নতুন সকাল, এক নতুন শুরু। প্রতিদিনের ব্যস্ততায়, ধুলো-ময়লার মাঝে হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য এখন আবার ফিরে এসেছে, যা দেখে মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।


প্রকৃতির এই অপরূপ রূপের প্রশংসা করতে করতে সময় কেটে যায় নিমিষেই। নগরী যেন নতুন করে বাঁচতে শিখেছে। ফের শুরু হয়েছে তাপদাহ। তারপরও দুদিনের এই বৃষ্টি শেষে নগরী যেন রূপে রঙে আরও বেশি সুন্দর, আরও বেশি প্রিয় হয়ে উঠেছে সবার কাছে।

;