কেন প্রতি শতাব্দে প্রায় ১ মিটার করে বাড়ছে এভারেস্ট?



শুভ্রনীল সাগর, স্পেশালিস্ট রাইটার, বার্তা২৪.কম
মাউন্ট এভারেস্ট (PHOTO EPA)

মাউন্ট এভারেস্ট (PHOTO EPA)

  • Font increase
  • Font Decrease

চায়নার আগের পরিমাপে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ছিল ৮৮৪৪.৪৩ মিটার। নেপালের মাপে তা ছিল প্রায় চার মিটার বেশি। সম্প্রতি নতুনভাবে মেপে দেখা পর উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ৮৮৪৮.৮৬ মিটার অর্থাৎ ২৯,০৩২ ফুট। নেপাল ও চায়নার যৌথ সরকারি ঘোষণা, এভারেস্টের উচ্চতা প্রায় দশমিক ৮৬ মিটার বেড়েছে।

চায়না ও নেপাল দুই দেশের সীমান্তেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে এভারেস্ট। পর্বতারোহীরা দুই দেশ দিয়েই এতে চড়তে পারে। নেপালের বিদেশ মন্ত্রণালয় এবং সার্ভে বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দুই দেশের জরিপকারীরাই এভারেস্টের নতুন উচ্চতার ব্যাপারে একমত।

এর আগে, নেপাল ও চায়না বরাবরই চূড়ায় জমা বরফ ধরে উচ্চতা মাপা হবে কী, হবে না – তা নিয়ে দ্বিমত করতো। গত বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাঠমান্ডু সফরকালে এভারেস্টের নতুন উচ্চতার বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক ঘোষণা আসে।

গত কয়েকশো বছরের পরিমাপ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ইন্ডিয়ান ও ইউরাসিয়ান দুই ট্যাকটনিক প্লেটের সংঘর্ষে সৃষ্ট এ পর্বতশৃঙ্গের উচ্চতা প্রতি শতাব্দীতে প্রায় এক মিটার করে বেড়ে চলেছে। প্রায় ৫০-৬০ মিলিয়ন বছরের পুরনো এভারেস্টের মূল শরীর পাথুরে হলেও এর চূড়া বরফে আচ্ছাদিত। মূল চূড়ার জায়গাটুকুতে ছয়জন মানুষ ভালোভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। এই বরফাচ্ছাদিত চূড়ায় হিমবাহের তারতম্যের ফলেই এর উচ্চতা একটু একটু করে বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

চীনের জরিপকারীরা চূড়ায় চড়েন চলতি বছরের (২০২০) মে মাসে (GETTY IMAGES)

উচ্চতার মাপের ক্ষেত্রে দাপ্তরিক পার্থক্য কেন?

চীন কর্তৃপক্ষের বরাবরের বক্তব্য ছিল, মাউন্ট এভারেস্টের পাথুরে উচ্চতা (রক হাইট) ধরেই তাকে মাপতে হবে। অন্যদিকে, নেপালের দাবি, পাথুরে চূড়ায় জমা বরফের আস্তরণও উচ্চতায় ধরতে হবে।

২০০৫ সালে নেপাল উচ্চতা মাপার পর চীনের জরিপকারীরাও তাদের দিক থেকে মেপে ফেলে। ২০১২ সালে নেপালের সরকারি কর্মকর্তারা বিবিসি-কে জানান, চীনের মাপা উচ্চতা মেনে নিতে দেশটির (চীন) সরকার তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এরপর তারা নতুনভাবে উচ্চতা মাপার সিদ্ধান্ত নেয়।

এতোদিন নেপাল ১৯৫৪ সালে সার্ভে অব ইন্ডিয়ার মাপা উচ্চতাই (৮৮৪৮ মিটার) সরকারিভাবে ব্যবহার করে আসছিল। এই প্রথম দেশটি এভারেস্টের উচ্চতা মাপতে নিজস্ব উদ্যোগ নেয়। চার নেপালি ভূমি জরিপকারী আনুষ্ঠানিকভাবে মাপার কাজ শুরু করার আগে দুই বছর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

নেপালের সার্ভে বিভাগের মুখপাত্র দামোদার ধাকাল বিবিসি-কে বলেন, এর আগে আমরা নিজেরা কখনও জরিপ করিনি। এখন আমাদের একটি নবীন কারিগরি দল রয়েছে। আমরা নিজেরাই এখন এটা করতে পারি।

হিমশীতল পরিবেশে উচ্চতা-পরিমাপক যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে গিয়ে গত বছর পায়ের আঙুল হারান দলের প্রধান জরিপকারী খিমলাল গৌতম।

ফিরে এসে বিবিসি নেপালি-কে তিনি বলেন, পর্বতারোহীদের কাছে বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছানো একটি বিরাট অর্জন। আমাদের জন্য এটা ছিল কেবলই শুরু।

এইবার অতীতের অন্যান্য জরিপের মতো ভুল আমরা করিনি। আমরা যথাসম্ভব ত্রুটি এড়ানোর জন্য উচ্চতা মাপার ক্ষেত্রে সময় বেছে নিয়েছিলাম রাত ৩টা। দিনের আলোয় চূড়ার বরফ গলে যায়, তখন সঠিক উচ্চতার পরিমাপ মেলে না, যোগ করেন তিনি।

গত বছর (২০১৯) নেপালি জরিপকারীরা চূড়ায় চড়েন (GETTY IMAGES)

কেন সঠিক উচ্চতা এতো প্রশ্নবিদ্ধ?

কিছু ভূতাত্ত্বিকের ধারণা, ২০১৫ সালের বড় ভূমিকম্পে এভারেস্টের উচ্চতার তারতম্য ঘটেছে। ৭.৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে নেপালে প্রায় নয় হাজার মানুষ নিহত হয় এবং সেসময় বেসক্যাম্প তুষারপাতে চাপা পড়ে নিহত হন কমপক্ষে ১৮ জন পর্বতারোহী।

অন্যদিকে, এভারেস্টের চূড়ায় বরফের আস্তরণ সঙ্কুচিত হয়ে এই ভূমিকম্প ঘটে বলে মত কিছু ভূতাত্ত্বিকের। কাঠমান্ডুর দক্ষিণ দিকে (ভূমিকম্পস্থলের নিকটবর্তী স্থান) ল্যাংট্যাং হিমালের মতো হিমালয়ের অনেক চূড়ার উচ্চতা ওই ভূমিকম্পের পর এক মিটার মতো কমে গেছে বলে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন।

অন্যরা আবার দ্বিমত করে বলছেন, ট্যাকটনিক প্লেট যেটির উপর এভারেস্ট বসে আছে, সেটির স্থানান্তরের ফলে সৃষ্ট এই ভূমিকম্প। হিমালয় চূড়াগুলোও এই একই প্লেটে স্থিত।

২০১৫ সালের এই বড় ভূমিকম্পও নতুন করে এভারেস্টের উচ্চতা মাপার কারণ বলে জানান নেপালের সার্ভে বিভাগের মুখপাত্র ধাকাল।

কীভাবে নতুন করে মাপা হলো মাউন্ট এভারেস্ট?

সাধারণত পাহাড়-পর্বতের উচ্চতা মাপা হয় সমুদ্রপৃষ্ঠকে ভিত্তি ধরে। নেপাল বঙ্গোপসাগরকে মূল ভিত্তি ধরে উচ্চতা মেপেছে। ইতোমধ্যেই ভারত বঙ্গোপসাগর থেকে এভারেস্টের নিকটবর্তী নেপাল-ভারত সীমান্তে একটি বেজ পয়েন্ট জরিপ করে রেখেছে। নেপালের জরিপকারীরাও এই পয়েন্টটি ব্যবহার করেন। এভারেস্ট থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে এই পয়েন্ট থেকে নেপাল লাইন অব সাইট স্টেশনের একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করে। এখান থেকেই এভারেস্ট প্রথম দৃশ্যমান হয়। এরপর তারা অনেকগুলো পয়েন্টের চেইন তৈরি করে পরবর্তীতে একত্রে জুড়ে দেয়।     

অন্যদিকে, চীনের জরিপকারীরা শ্যানডংয়ের পূর্ব প্রদেশের ইয়েলো সি-কে ভিত্তি করে জরিপ চালায় বলে চায়না ডেইলির খবর।

দুই দেশেরই জরিপকারীরা চূড়ার উচ্চতা মাপার ক্ষেত্রে ত্রিকোণোমিতির সমীকরণ ব্যবহার করেছেন। কিন্তু নিচ থেকে যতই গাণিতিক হিসাব হোক না কেন, কাউকে না কাউকে চূড়ায় উঠতেই হতো।

গত বছর (২০১৯) নেপালি জরিপকারীরা চূড়ায় চড়েন। অন্যদিকে, চীনের জরিপকারীরা চূড়ায় চড়েন চলতি বছরের (২০২০) মে মাসে।

নেপালের মুখপাত্ররা জানান, তারা একদম সঠিক ফলাফল পেতে ত্রিকোণোমিতির গাণিতিক হিসাবে ১২টি আলাদা আলাদা নিচের চূড়ার (লোয়ার পিক) উচ্চতা অন্তর্ভুক্ত করেছেন। চীনও একই পদ্ধতিতে হিসাব করেছে বলে তাদের দেশের মিডিয়ার খবর।

উভয়ই উচ্চতা পরিমাপের ক্ষেত্রে গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম ব্যবহার করেছে। এর আগে চায়না ১৯৭৫ ও ২০০৫ সালে এভারেস্টের উচ্চতা মেপেছিল।

হিমালয়ান ডাটাবেজ বলছে, দ্বিতীয় জরিপকারী দল চাইনিজ ভার্সনের একটি জিপিএস ডিভাইস চূড়ায় স্থাপন করেছে।

এইবার চীনের জরিপকারীরা ব্যবহার করেছেন সেদেশেরই বেইডৌ (BeiDou) নেভিগেশন সিস্টেম। যেটিকে মার্কিন-মালিকাধীন গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’র (জিপিএস) প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ বিষয়ে সিনহুয়া’র খবর, পরিবেশগত সুরক্ষার পাশাপাশি বেইডৌ সিস্টেম হিমবাহ পরিমাপসহ বরফের ঘনত্ব, আবহাওয়া ও বাতাসের গতিবেগ মাপতে সাহায্য করে।

অন্যদিকে, নেপাল মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা মাপতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি অনুসরণ করেছে জানান ধাকাল।

এক বিলাসবহুল বিয়ে, অতিথির উপহারই প্রায় লাখ টাকা করে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমেরিকান সিনেমা 'ক্রেজি রিচ এশিয়ানস'র কথা হয়তো মনে আছে? পুরো মনে না থাকলেও নিশ্চয়ই সিনেমায় আলোচিত একটি বিয়ের দৃশ্য মনে আছে। যেখানে বিয়েতে আসা সব অতিথিদের জন্য থাকে অর্থ উপহার, থাকে বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা। এমন অসম্ভাব্য মঞ্চসজ্জা আসলে সিনেমা বা কল্পকাহিনীতে সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার তা বাস্তবের দৃশ্যপটে হাজির। এমন উপলক্ষ তৈরি করেছেন চীনা সেলিব্রেটি ট্র্যাভেলার ডানা চ্যাং। সম্প্রতি এই সেলিব্রেটির বিয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই 'ক্রেজি রিচ এশিয়ানস'র দৃশ্য ফুটে ওঠেছে।

বিলাসবহুল এমন বিয়ের খবরের তথ্য দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

চীনা ওই বিয়েতে অতিথিদের রীতিমতো টাকা পয়সা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ওই ভিডিওর শুরুতে ডানা চ্যাং বলেছেন, ‘বাস্তবে একটি ক্রেজি রিচ এশিয়ান বিয়ে এমনই দেখায়। এর আগে এমন বিয়ে কোথাও দেখা যায়নি।’

সত্যিকার অর্থে ভিডিওটিতে যেমনটি দেখা গেছে, তা দেখে ডানার ফলোয়ারদের মাথা ঘুরে গেছে!

ভিডিও থেকে জানা গেছে, নববিবাহিত দম্পতি তাঁদের অতিথিদের সারা জীবন মনে রাখার মতো একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দিয়েছেন। অতিথিদের তাঁরা একটি পাঁচতারা হোটেলে পাঁচ দিনের জন্য রেখেছিলেন। আর এই সময়ের মধ্যে অতিথিদের যে কোনো প্রয়োজনে রোলস রয়েস এবং বেন্টলির মতো ব্যয়বহুল সব গাড়ির বহর সদা প্রস্তুত ছিল। বিয়ের জমকালো সাজসজ্জা এতটাই চোখধাঁধানো ছিল যে, অনেকে এটিকে ইউরোপীয় ভেবে ভুল করবেন।

এমন দৃশ্যকে আরও আকর্ষণীয় করেছে ফুল ও তাদের ছবি দিয়ে বানানো বিয়ের কার্ড।

চীনা রীতিতে অতিথিরা সাধারণত পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে যান এবং সেগুলো বর-কনের সাফল্য কামনায় উপহার হিসেবে দান করেন। তবে ডানার বিয়েতে ঘটেছে উলটো চিত্র। এতে অতিথিরা টাকা দেননি বরং উপহার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন রাজকীয় লাল রঙয়ের এক খাম। যার মধ্যে ছিল ৮০০ ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৪ হাজার টাকা। তবে এতেই সীমাবদ্ধ ছিলো না ডানা চ্যাং। ডলারের পাশাপাশি অতিথিদের বাড়ি ফেরার রিটার্ন টিকিটও সরবরাহ করেছিলেন ওই দম্পতি।

তাদের এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এতে অনেকেই তাদের অভিব্যক্তি তুলে ধরেছেন। এমন বিয়েকে অনেকেই আবার চলতি বছরের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী বিয়ে হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

ভিডিওর নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘হে দয়াময়, উনি কোন লেবেলের বিলিয়নিয়ার।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘ঈশ্বর তুমি আমাকে কিছু না দিয়ে অন্যদের কত কিছু দিয়েছ!’

রসিকতা করে আরেকজন লিখেছেন, ‘ভিডিও দেখে গরিবেরা কাঁদছে।’ 

অনেকে এই দম্পতির উদারতা এবং নম্রতার প্রশংসা করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "অতিথিদের উপহার দেওয়ার জন্য তারা খুবই নম্র। এমন পরিস্থিতি টাকা থাকলেই সবাই করতে পারে না।"

অনেকেই আবার এমন কাজের নিন্দা করেছেন।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আপনাদের এমন কাজ কোনো ভালো শ্রেণির সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে না।"

তবে সমালোচক আর প্রশংসাকারীদের এক পাশে রেখে বিষয়টিকে দেখলে নতুন কিছুরই আবির্ভাব ঘটেছে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। হয়তো এর সাথে আপনিও দ্বিমত হবেন না। 

;

পৃথিবীকে ছাড়িয়ে ‘স্বর্গে জমি’ বিক্রি চলছে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে আমরা অনেক কিছুই দেখতে পাই, শুনতে পাই। এইতো কয়েক মাস আগে চাঁদে জমি কেনার একটি বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। তবে এবার আর চাঁদে নয়, চাইলে 'স্বর্গে জমি' কিনতে পারবেন! আসলেই কী তাই?

চলতি সপ্তাহে মেক্সিকোর একটি গির্জা ‘স্বর্গে জমি বিক্রি’ করছে বলে- এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য এর আগে একজন এই বিষয়টি নিয়ে টিকটকে একটি ভিডিও ছেড়েছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, এমন বিষয় প্রচার পর্যন্তই তারা সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং জমির প্লট বিক্রি করে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহও করেছে চার্চটি। 

এ নিয়ে অনেক মূলধারার গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে। এসব খবরে বলা হয়েছে, ইগলেশিয়া দেল ফাইনাল দে লস গির্জা ‘স্বর্গে একখণ্ড জমি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে।

আসলে ব্যঙ্গ করে ইভানজেলিক্যাল গির্জার নাম করে এই ‘স্বর্গে জমি বিক্রি’র কথা বলা হচ্ছে। যাঁরা কাজটি করেছেন, তাঁরা এর মাধ্যমে গির্জার একশ্রেণির ধর্মগুরুর প্রতারণার কথা তুলে ধরতে চেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সংগঠনের পেজটি বেশ জনপ্রিয়।

তারা বলছে, প্লটের প্রতি বর্গমিটারের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার অর্থ দাঁড়ায় ১১ হাজার ৭৫৮ টাকা। আগ্রহী ক্রেতারা আমেরিকান এক্সপ্রেস, অ্যাপল পে ব্যবহার করে অর্থপ্রদান করতে পারেন বা পেমেন্ট প্ল্যান অ্যাপের মাধ্যমেও এই অর্থ দেওয়া যাবে।

ওই গির্জার ধর্মযাজককে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মযাজক ২০১৭ সালে স্বর্গে প্লট বিক্রয়ের বিষয় নিয়ে ঈশ্বরের সাথে কথা বলেছেন। তখন তাকে ঈশ্বর ওই প্লট বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন।

এ বিষয়তি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পরে যায় সামাজিক মাধ্যমে। অনেকেই তাদের নিজেদের অভিমত তুলে ধরেছেন।

একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আমি আশা করি ধর্মযাজক আমাকে স্বর্গে কিছু জমি ক্রয় করা সুযোগ দেবেন। আমি প্রথমে তাকে সেখানে পাঠাব এরপর তাকে ফেসটাইমের মাধ্যমে আমাকে কল দিতে বলব যাতে আমি কি কিনতে যাচ্ছি তা দেখতে পারি।"

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমার জানা দরকার, কারা জমি দিচ্ছে, যাতে আমি তাদের স্বর্গের জমিতে মূল্যছাড়ের অফার দিতে পারি।’

তৃতীয় আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ঈশ্বরের নামে এমন চুরির কাজ শয়তানের কাজ।’

;

টাকার বান্ডিল দিয়ে তৈরি ‘কার্পেট’, হাঁটলেন প্রেমিকাকে নিয়ে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধনী ব্যক্তিরা তাদের অর্থসম্পদ দেখানোর জন্য কতই কিছু না করে। মাঝেমধ্যে তারা এমন কিছু কাজ করে যা শেষ পর্যন্ত স্রেফ পাগলামির পর্যায়ে চলে যায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক নিন্দা কুড়িয়েছে। তারা এমন কাজকে 'জঘন্য' বলেও অভিহত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রাশিয়ান এক উদ্যোক্তা তার প্রেমিকার হাত ধরে তাকে টাকার বান্ডিলের উপর দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ঘটনাটি অনেক পুরাতন। কিন্তু নতুন করে আবার ব্যবহারকারীদের সামনে এলে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন রাশিয়ান উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সের্গেই কোসেনকো। তিনি ‘মিস্টার থ্যাংক ইউ’ নামেও পরিচিত। ভিডিও তৈরি এবং প্রেমিকাকে ‘রাজকীয় অভ্যর্থনা’ দিতেই নগদ টাকার বান্ডিল দিয়ে ‘কার্পেট’ তৈরি করেছিলেন তিনি।

ভিডিওতে দেখা যায়, কোসেনকোর প্রেমিকা একটি হেলিকপ্টার থেকে নেমে তার হাত ধরে নগদ টাকার স্তূপের ওপর দিয়ে হাঁটছেন। ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনটি ‘প্রেম-পূর্ণ ইমোজি’ দেয়া ছিল।

কার্পেট হিসাবে ব্যাঙ্কনোট ব্যবহারের এমন ভিডিও দেখে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। অনেকেই আবার এই দম্পতিকে "ধনের কুৎসিত প্রদর্শন" বলে আখ্যায়িত করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, নোটগুলো জাল।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ''আপনি অনেক ধনী হতে পারেন, কিন্তু এভাবে টাকা নষ্ট করাটা উচিত না। এই টাকা দিয়ে আপনি শত শত পরিবারকে সাহায্য করতে পারতেন এবং হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার জোটাতে পারতেন।''

আরেকজন বলেছেন, ''এভাবে টাকার অপমান করা লজ্জাজনক।''

উল্লেখ্য, সের্গেই কোসেনকো ইনস্টাগ্রামে নিজেকে একজন গায়ক, উদ্যোক্তা ও ক্রিয়েটর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সামাজিক মাধ্যমের এই প্ল্যাটফর্মে তার চার কোটির বেশি ফলোয়ার রয়েছে।

;

রূপময় বর্ষায় খুলনা নগরীর সৌন্দর্য



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে বর্ষাকাল। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঋতু বর্ষা। খুলনায় তীব্র তাপদাহের পর টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নগরী যেন এক নতুন রূপে সেজে উঠেছে। প্রতিটি গাছ, পাতা আর ফুল যেন ফিরে পেয়েছে নতুন প্রাণ। রাস্তাঘাট, পার্ক আর বাগানগুলো সবুজে ভরে উঠেছে।

প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। রাস্তা দিয়ে হাঁটলেই আপনার চোখ আটকে যাবে সেই সব রঙ বেরঙের ফুলে। বৃষ্টির জলে ধুয়ে-মুছে ঝকঝকে হয়ে উঠেছে সবকিছু, যা মানুষের মনকে প্রফুল্ল করে তুলছে।


গাছের পাতায় জমে থাকা জলবিন্দুগুলো রোদ্দুরে রঙধনুর মতো ঝিলমিল করছে। ফুটপাতের ধারে ধারে ফুটে ওঠা রঙ বেরঙের ফুলগুলি যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা এক একটি ছবিতে পরিণত হয়েছে। লাল, নীল, হলুদ, বেগুনিসহ সব রঙ মিলিয়ে যেন এক স্বপ্নীল দৃশ্য। গাছের নিচে জমে থাকা জলকাদায় শিশুদের কাদামাখা খেলাও নতুন রঙ যোগ করেছে নগরীর এই নবরূপে।

মানুষের মনে এই পরিবর্তন যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে একটু সময় বের করে মানুষজন বিকেলে পার্কে ঘুরতে বেরিয়েছে। শিশুদের হাসি-খুশি মুখ আর তরুণ-তরুণীদের আড্ডায় মুখরিত চারপাশ। প্রিয়জনের সঙ্গে হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছে তারা।


নগরীর এই নবরূপ শুধু মানুষকে নয়, পশু-পাখিকেও নতুন উদ্যমে ভরিয়ে তুলেছে। গাছের ডালে ডালে পাখির কলরব আর ভেজা ভেজা গন্ধ মিশে পরিবেশকে আরও মধুর করে তুলেছে। পাখিরা যেন আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে, তাদের ডাকে প্রাণের সুর বাজছে।

নগরীর প্রতিটি কোনে এখন নতুন কাহিনী। পুরনো দেয়ালেও যেন নতুন রঙের ছোঁয়া লেগেছে। বৃষ্টির পরে সেই মাটি ভেজা গন্ধে মনে হয় যেন এক টুকরো গ্রাম উঠে এসেছে শহরের বুকে।

বৃষ্টি যে খুলনা মহনগরীর এমন পরিবর্তন এনে দিতে পারে, তা হয়তো অনেকেই ভাবেনি। এই নবরূপ শুধু নগরবাসীর নয়, পুরো প্রকৃতির এক মিলিত উৎসব। এ যেন এক নতুন সকাল, এক নতুন শুরু। প্রতিদিনের ব্যস্ততায়, ধুলো-ময়লার মাঝে হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য এখন আবার ফিরে এসেছে, যা দেখে মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।


প্রকৃতির এই অপরূপ রূপের প্রশংসা করতে করতে সময় কেটে যায় নিমিষেই। নগরী যেন নতুন করে বাঁচতে শিখেছে। ফের শুরু হয়েছে তাপদাহ। তারপরও দুদিনের এই বৃষ্টি শেষে নগরী যেন রূপে রঙে আরও বেশি সুন্দর, আরও বেশি প্রিয় হয়ে উঠেছে সবার কাছে।

;