২০২০ সালের সেরা সায়েন্স পিকচার্স (২য় পর্ব)



শুভ্রনীল সাগর, স্পেশালিস্ট রাইটার, বার্তা২৪.কম
PHOTOGRAPH BY SPENCER LOWELL, NATIONAL GEOGRAPHIC

PHOTOGRAPH BY SPENCER LOWELL, NATIONAL GEOGRAPHIC

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশ্বিক মহামারিকালে ছবিতে গোটা বছরকে ধরা ফটোগ্রাফারদের জন্য ছিল বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। সব ধরনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়াটাও ছিল দুঃসাধ্য।

কিন্তু এসব সীমাবদ্ধতা জয় করাই তো ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের কাজ। বছর শেষে তাদের এই জাতীয় বিশেষ আয়োজনের দিকে মুখিয়ে থাকে সবাই। মহামারীর বছর তাই কী, এইবারও না করলে চলে?

স্বনামধন্য এ ম্যাগাজিনটির প্রধান সায়েন্স ফটো এডিটর কার্ট মাচলার এতসব সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়েও আমাদের সামনে হাজির করেছেন ২০২০ সালের সেরা সব সায়েন্স পিকচার। মাইকেল গ্রেশকো মূল স্টোরি সাজালেও কিউরেট করেছেন কার্ট নিজেই।

গ্রহাণু, জীবাণু এবং অবশ্যই করোনা ভাইরাস – সেরা ছবিরগুলোর মধ্যে এরা অবধারিতভাবেই জায়গা করে নিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক দ্বিতীয় সেইসঙ্গে শেষ পর্বের ছবিগুলো:

 সিয়াটলের ইউডব্লিউ মেডিসিনস হার্বারভিউ মেডিকেল সেন্টারে অর্থোপেডিক সার্জারি চলাকালে ব্যথা ভোলার জন্য ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভিআর) গেম খেলছেন রোগী ব্রেন্ট বাউয়ার। ব্রেন্ট তিনতলা ভবন থেকে পড়ে গিয়ে শরীরের অনেকগুলো হাড় ভেঙে ফেলেন। (PHOTOGRAPH BY CRAIG CUTLER, NATIONAL GEOGRAPHIC)
বিজ্ঞানীরা এখনও SARS-CoV-2 ভাইরাসের উৎপত্তি খুঁজে চলেছেন। ছবির এই হর্সসু বাদুড়কে ধরে নেওয়া হচ্ছে সম্ভাব্য পরিবেশক হিসেবে। সংরক্ষিত Rhinolophus ferrumequinum এর এই স্যাম্পলটি লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ন্যাচারাল হিস্টরি মিউজিয়ামের সংগ্রহ এবং ১৯২১ সালে উজবেকিস্তান থেকে এটি সংগ্রহ করা হয়। (PHOTOGRAPH BY CRAIG CUTLER, NATIONAL GEOGRAPHIC)
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের বানানো কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল ডোজ দেওয়া হচ্ছে এক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে শরীরের তাপমাত্রাকে প্রতিফলিত করতে আলোকচিত্রী একটি থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন। ছবিতে তাপমাত্রা শীতল নীল রঙ থেকে উষ্ণ কমলা রঙে পরিবর্তিত হয়েছে। (PHOTOGRAPH BY GILES PRICE, NATIONAL GEOGRAPHIC)
আলোকচিত্রী ড্যানিয়েল নপ ক্লাউনফিশ এমব্রায়োর পর‌্যায়ক্রম বিকাশকে (ফার্টিলাইজেশন টু হ্যাচিং) পাঁচটি ছবিতে ধরার চেষ্টা করেছেন। ছবিটি নিকন ৪৬তম অ্যানুয়াল স্মল ওয়ার্ল্ড ফটোমাইক্রোগ্রাফি কম্পিটিশানে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে। (IMAGE BY DANIEL KNOP, NATUR UND TIER-VERLAG NTV; COURTESY OF NIKON SMALL WORL)
লুইজিয়ানায় বোগালুসার আওয়ার লেডি অব দ্য অ্যাঞ্জেলস হসপিটালে চিকিৎসক জেরাল্ড ফরেট কোভিড-১৯ রোগী দেখার আগে সুরক্ষিত মাস্ক পরে নিচ্ছেন। (PHOTOGRAPH BY MAX AGUILERA-HELLWEG, NATIONAL GEOGRAPHIC)
হার্ভাড মেডিকেল স্কুল অ্যান্ড ম্যাসাচুয়েটস জেনারেল হসপিটালের একজন নিউরোসায়েন্টিস্ট ভিটালি নাপাডৌ, মস্তিক কীভাবে ব্যথা উপলব্ধি করে তা নিয়ে গবেষণা করছেন। মস্তিষ্ক তরঙ্গের (ব্রেইন ওয়েভ) প্যাটার্ন চিহ্নিত ও অনুসরণ করতে তিনি ইলেক্ট্রোএনসেফ্যালোগ্রাফি ব্যবহার করছেন। (PHOTOGRAPH BY ROBERT CLARK, NATIONAL GEOGRAPHIC)
আইসল্যান্ডের রেকজ্যানেস পেনিনসুলার একটি লাভাক্ষেত্রে বসানো এই কার্বন-নেগেটিভ গ্রিনহাউজে বেড়ে উঠছে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার বার্লি গাছ। পাশ্ববর্তী সভার্টসেঙ্গি পাওয়ার স্টেশন থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় ভূ-শক্তি (জিওথার্মাল এনার্জি) ও তাপ। (PHOTOGRAPH BY LUCA LOCATELLI, NATIONAL GEOGRAPHIC)
 ব্যবহারযোগ্য শিরা খুঁজে না পেয়ে ফার্নান্দো ইরিজারি ঘাড়েই পরিত্যক্ত ড্রাগ নিচ্ছেন। অনেকের মতো ফার্নান্দোরও অপিওইড আসক্তি শুরু হয় একটি দুর্ঘটনার পর ব্যথা মুক্তির নিরাময় হিসেবে। চলতি বছরের (২০২০) জানুয়ারি সংখ্যায় ব্যথার ওপর একটি স্টোরির অংশ হিসেবে ফার্নান্দো ফিলাডেলফিয়ার তার জীবন প্রত্যক্ষ করার জন্য আলোকচিত্রী ডেভিড গুটেনফেল্ডারকে আমন্ত্রণ জানান। (PHOTOGRAPH BY DAVID GUTTENFELDER, NATIONAL GEOGRAPHIC)
বুয়েনস আয়ার্সে আর্জেনটাইন মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসের সংগ্রহে থাকা পাঁচটি কাঠঠোকরা (Campephilus robustus). মিউজিয়ামগুলো জীববৈচিত্র্য রেকর্ড রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। শঙ্কার বিষয় হলো, ২০১৮ সালে বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনালের খবর, বিশ্বের ১১ হাজার প্রজাতির পাখির ৪০ শতাংশ বিলুপ্ত। (PHOTOGRAPH BY CRAIG CUTLER, NATIONAL GEOGRAPHIC)

আরও পড়ুন ২০২০ সালের সেরা সায়েন্স পিকচার্স (১ম পর্ব)

 

এক বিলাসবহুল বিয়ে, অতিথির উপহারই প্রায় লাখ টাকা করে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমেরিকান সিনেমা 'ক্রেজি রিচ এশিয়ানস'র কথা হয়তো মনে আছে? পুরো মনে না থাকলেও নিশ্চয়ই সিনেমায় আলোচিত একটি বিয়ের দৃশ্য মনে আছে। যেখানে বিয়েতে আসা সব অতিথিদের জন্য থাকে অর্থ উপহার, থাকে বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা। এমন অসম্ভাব্য মঞ্চসজ্জা আসলে সিনেমা বা কল্পকাহিনীতে সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার তা বাস্তবের দৃশ্যপটে হাজির। এমন উপলক্ষ তৈরি করেছেন চীনা সেলিব্রেটি ট্র্যাভেলার ডানা চ্যাং। সম্প্রতি এই সেলিব্রেটির বিয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই 'ক্রেজি রিচ এশিয়ানস'র দৃশ্য ফুটে ওঠেছে।

বিলাসবহুল এমন বিয়ের খবরের তথ্য দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

চীনা ওই বিয়েতে অতিথিদের রীতিমতো টাকা পয়সা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ওই ভিডিওর শুরুতে ডানা চ্যাং বলেছেন, ‘বাস্তবে একটি ক্রেজি রিচ এশিয়ান বিয়ে এমনই দেখায়। এর আগে এমন বিয়ে কোথাও দেখা যায়নি।’

সত্যিকার অর্থে ভিডিওটিতে যেমনটি দেখা গেছে, তা দেখে ডানার ফলোয়ারদের মাথা ঘুরে গেছে!

ভিডিও থেকে জানা গেছে, নববিবাহিত দম্পতি তাঁদের অতিথিদের সারা জীবন মনে রাখার মতো একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দিয়েছেন। অতিথিদের তাঁরা একটি পাঁচতারা হোটেলে পাঁচ দিনের জন্য রেখেছিলেন। আর এই সময়ের মধ্যে অতিথিদের যে কোনো প্রয়োজনে রোলস রয়েস এবং বেন্টলির মতো ব্যয়বহুল সব গাড়ির বহর সদা প্রস্তুত ছিল। বিয়ের জমকালো সাজসজ্জা এতটাই চোখধাঁধানো ছিল যে, অনেকে এটিকে ইউরোপীয় ভেবে ভুল করবেন।

এমন দৃশ্যকে আরও আকর্ষণীয় করেছে ফুল ও তাদের ছবি দিয়ে বানানো বিয়ের কার্ড।

চীনা রীতিতে অতিথিরা সাধারণত পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে যান এবং সেগুলো বর-কনের সাফল্য কামনায় উপহার হিসেবে দান করেন। তবে ডানার বিয়েতে ঘটেছে উলটো চিত্র। এতে অতিথিরা টাকা দেননি বরং উপহার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন রাজকীয় লাল রঙয়ের এক খাম। যার মধ্যে ছিল ৮০০ ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৪ হাজার টাকা। তবে এতেই সীমাবদ্ধ ছিলো না ডানা চ্যাং। ডলারের পাশাপাশি অতিথিদের বাড়ি ফেরার রিটার্ন টিকিটও সরবরাহ করেছিলেন ওই দম্পতি।

তাদের এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এতে অনেকেই তাদের অভিব্যক্তি তুলে ধরেছেন। এমন বিয়েকে অনেকেই আবার চলতি বছরের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী বিয়ে হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

ভিডিওর নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘হে দয়াময়, উনি কোন লেবেলের বিলিয়নিয়ার।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘ঈশ্বর তুমি আমাকে কিছু না দিয়ে অন্যদের কত কিছু দিয়েছ!’

রসিকতা করে আরেকজন লিখেছেন, ‘ভিডিও দেখে গরিবেরা কাঁদছে।’ 

অনেকে এই দম্পতির উদারতা এবং নম্রতার প্রশংসা করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "অতিথিদের উপহার দেওয়ার জন্য তারা খুবই নম্র। এমন পরিস্থিতি টাকা থাকলেই সবাই করতে পারে না।"

অনেকেই আবার এমন কাজের নিন্দা করেছেন।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আপনাদের এমন কাজ কোনো ভালো শ্রেণির সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে না।"

তবে সমালোচক আর প্রশংসাকারীদের এক পাশে রেখে বিষয়টিকে দেখলে নতুন কিছুরই আবির্ভাব ঘটেছে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। হয়তো এর সাথে আপনিও দ্বিমত হবেন না। 

;

পৃথিবীকে ছাড়িয়ে ‘স্বর্গে জমি’ বিক্রি চলছে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে আমরা অনেক কিছুই দেখতে পাই, শুনতে পাই। এইতো কয়েক মাস আগে চাঁদে জমি কেনার একটি বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। তবে এবার আর চাঁদে নয়, চাইলে 'স্বর্গে জমি' কিনতে পারবেন! আসলেই কী তাই?

চলতি সপ্তাহে মেক্সিকোর একটি গির্জা ‘স্বর্গে জমি বিক্রি’ করছে বলে- এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য এর আগে একজন এই বিষয়টি নিয়ে টিকটকে একটি ভিডিও ছেড়েছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, এমন বিষয় প্রচার পর্যন্তই তারা সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং জমির প্লট বিক্রি করে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহও করেছে চার্চটি। 

এ নিয়ে অনেক মূলধারার গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে। এসব খবরে বলা হয়েছে, ইগলেশিয়া দেল ফাইনাল দে লস গির্জা ‘স্বর্গে একখণ্ড জমি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে।

আসলে ব্যঙ্গ করে ইভানজেলিক্যাল গির্জার নাম করে এই ‘স্বর্গে জমি বিক্রি’র কথা বলা হচ্ছে। যাঁরা কাজটি করেছেন, তাঁরা এর মাধ্যমে গির্জার একশ্রেণির ধর্মগুরুর প্রতারণার কথা তুলে ধরতে চেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সংগঠনের পেজটি বেশ জনপ্রিয়।

তারা বলছে, প্লটের প্রতি বর্গমিটারের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার অর্থ দাঁড়ায় ১১ হাজার ৭৫৮ টাকা। আগ্রহী ক্রেতারা আমেরিকান এক্সপ্রেস, অ্যাপল পে ব্যবহার করে অর্থপ্রদান করতে পারেন বা পেমেন্ট প্ল্যান অ্যাপের মাধ্যমেও এই অর্থ দেওয়া যাবে।

ওই গির্জার ধর্মযাজককে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মযাজক ২০১৭ সালে স্বর্গে প্লট বিক্রয়ের বিষয় নিয়ে ঈশ্বরের সাথে কথা বলেছেন। তখন তাকে ঈশ্বর ওই প্লট বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন।

এ বিষয়তি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পরে যায় সামাজিক মাধ্যমে। অনেকেই তাদের নিজেদের অভিমত তুলে ধরেছেন।

একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আমি আশা করি ধর্মযাজক আমাকে স্বর্গে কিছু জমি ক্রয় করা সুযোগ দেবেন। আমি প্রথমে তাকে সেখানে পাঠাব এরপর তাকে ফেসটাইমের মাধ্যমে আমাকে কল দিতে বলব যাতে আমি কি কিনতে যাচ্ছি তা দেখতে পারি।"

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমার জানা দরকার, কারা জমি দিচ্ছে, যাতে আমি তাদের স্বর্গের জমিতে মূল্যছাড়ের অফার দিতে পারি।’

তৃতীয় আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ঈশ্বরের নামে এমন চুরির কাজ শয়তানের কাজ।’

;

টাকার বান্ডিল দিয়ে তৈরি ‘কার্পেট’, হাঁটলেন প্রেমিকাকে নিয়ে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধনী ব্যক্তিরা তাদের অর্থসম্পদ দেখানোর জন্য কতই কিছু না করে। মাঝেমধ্যে তারা এমন কিছু কাজ করে যা শেষ পর্যন্ত স্রেফ পাগলামির পর্যায়ে চলে যায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক নিন্দা কুড়িয়েছে। তারা এমন কাজকে 'জঘন্য' বলেও অভিহত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রাশিয়ান এক উদ্যোক্তা তার প্রেমিকার হাত ধরে তাকে টাকার বান্ডিলের উপর দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ঘটনাটি অনেক পুরাতন। কিন্তু নতুন করে আবার ব্যবহারকারীদের সামনে এলে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন রাশিয়ান উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সের্গেই কোসেনকো। তিনি ‘মিস্টার থ্যাংক ইউ’ নামেও পরিচিত। ভিডিও তৈরি এবং প্রেমিকাকে ‘রাজকীয় অভ্যর্থনা’ দিতেই নগদ টাকার বান্ডিল দিয়ে ‘কার্পেট’ তৈরি করেছিলেন তিনি।

ভিডিওতে দেখা যায়, কোসেনকোর প্রেমিকা একটি হেলিকপ্টার থেকে নেমে তার হাত ধরে নগদ টাকার স্তূপের ওপর দিয়ে হাঁটছেন। ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনটি ‘প্রেম-পূর্ণ ইমোজি’ দেয়া ছিল।

কার্পেট হিসাবে ব্যাঙ্কনোট ব্যবহারের এমন ভিডিও দেখে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। অনেকেই আবার এই দম্পতিকে "ধনের কুৎসিত প্রদর্শন" বলে আখ্যায়িত করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, নোটগুলো জাল।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ''আপনি অনেক ধনী হতে পারেন, কিন্তু এভাবে টাকা নষ্ট করাটা উচিত না। এই টাকা দিয়ে আপনি শত শত পরিবারকে সাহায্য করতে পারতেন এবং হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার জোটাতে পারতেন।''

আরেকজন বলেছেন, ''এভাবে টাকার অপমান করা লজ্জাজনক।''

উল্লেখ্য, সের্গেই কোসেনকো ইনস্টাগ্রামে নিজেকে একজন গায়ক, উদ্যোক্তা ও ক্রিয়েটর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সামাজিক মাধ্যমের এই প্ল্যাটফর্মে তার চার কোটির বেশি ফলোয়ার রয়েছে।

;

রূপময় বর্ষায় খুলনা নগরীর সৌন্দর্য



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে বর্ষাকাল। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঋতু বর্ষা। খুলনায় তীব্র তাপদাহের পর টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নগরী যেন এক নতুন রূপে সেজে উঠেছে। প্রতিটি গাছ, পাতা আর ফুল যেন ফিরে পেয়েছে নতুন প্রাণ। রাস্তাঘাট, পার্ক আর বাগানগুলো সবুজে ভরে উঠেছে।

প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। রাস্তা দিয়ে হাঁটলেই আপনার চোখ আটকে যাবে সেই সব রঙ বেরঙের ফুলে। বৃষ্টির জলে ধুয়ে-মুছে ঝকঝকে হয়ে উঠেছে সবকিছু, যা মানুষের মনকে প্রফুল্ল করে তুলছে।


গাছের পাতায় জমে থাকা জলবিন্দুগুলো রোদ্দুরে রঙধনুর মতো ঝিলমিল করছে। ফুটপাতের ধারে ধারে ফুটে ওঠা রঙ বেরঙের ফুলগুলি যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা এক একটি ছবিতে পরিণত হয়েছে। লাল, নীল, হলুদ, বেগুনিসহ সব রঙ মিলিয়ে যেন এক স্বপ্নীল দৃশ্য। গাছের নিচে জমে থাকা জলকাদায় শিশুদের কাদামাখা খেলাও নতুন রঙ যোগ করেছে নগরীর এই নবরূপে।

মানুষের মনে এই পরিবর্তন যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে একটু সময় বের করে মানুষজন বিকেলে পার্কে ঘুরতে বেরিয়েছে। শিশুদের হাসি-খুশি মুখ আর তরুণ-তরুণীদের আড্ডায় মুখরিত চারপাশ। প্রিয়জনের সঙ্গে হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছে তারা।


নগরীর এই নবরূপ শুধু মানুষকে নয়, পশু-পাখিকেও নতুন উদ্যমে ভরিয়ে তুলেছে। গাছের ডালে ডালে পাখির কলরব আর ভেজা ভেজা গন্ধ মিশে পরিবেশকে আরও মধুর করে তুলেছে। পাখিরা যেন আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে, তাদের ডাকে প্রাণের সুর বাজছে।

নগরীর প্রতিটি কোনে এখন নতুন কাহিনী। পুরনো দেয়ালেও যেন নতুন রঙের ছোঁয়া লেগেছে। বৃষ্টির পরে সেই মাটি ভেজা গন্ধে মনে হয় যেন এক টুকরো গ্রাম উঠে এসেছে শহরের বুকে।

বৃষ্টি যে খুলনা মহনগরীর এমন পরিবর্তন এনে দিতে পারে, তা হয়তো অনেকেই ভাবেনি। এই নবরূপ শুধু নগরবাসীর নয়, পুরো প্রকৃতির এক মিলিত উৎসব। এ যেন এক নতুন সকাল, এক নতুন শুরু। প্রতিদিনের ব্যস্ততায়, ধুলো-ময়লার মাঝে হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য এখন আবার ফিরে এসেছে, যা দেখে মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।


প্রকৃতির এই অপরূপ রূপের প্রশংসা করতে করতে সময় কেটে যায় নিমিষেই। নগরী যেন নতুন করে বাঁচতে শিখেছে। ফের শুরু হয়েছে তাপদাহ। তারপরও দুদিনের এই বৃষ্টি শেষে নগরী যেন রূপে রঙে আরও বেশি সুন্দর, আরও বেশি প্রিয় হয়ে উঠেছে সবার কাছে।

;