‘এলিয়েন এসেছিল ২০১৭ সালে এবং আরও আসছে’



শুভ্রনীল সাগর, স্পেশালিস্ট রাইটার, বার্তা২৪.কম
ওহমুআহমুআহ’র রেন্ডারিং এবং ইনসেটে অধ্যাপক লোয়েব (Photo: NY Post)

ওহমুআহমুআহ’র রেন্ডারিং এবং ইনসেটে অধ্যাপক লোয়েব (Photo: NY Post)

  • Font increase
  • Font Decrease

সিনেমাগুলোতে যেমন দেখা যায়, বড় একটি ফ্লাইং সসারে করে মহাকাশ থেকে এলিয়েন পৃথিবীতে আসে। কিন্তু বাস্তবে যদি এলিয়েন আমাদের গ্রহে আসে তাহলে হয়তো এমনটি হবে না। সেটি হবে একটি এলিয়েন সভ্যতার জঞ্জাল!

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি’র জোতির্বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ার অধ্যাপক এভি লোয়েব’র মত এমনই। তিনি বিশ্বাস করেন, সেই আবর্জনার কিছুর অংশ তিনি খুঁজে পেয়েছেন।

চলতি বছরের আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রকাশিতব্য তার বই ‘এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল: দ্য ফার্স্ট সাইন অব ইনটেলিজেন্ট লাইফ বেয়ন্ড আর্থ’-এ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, সৌরজগতে পাওয়া একটি বিশেষ বস্তু নিছকই উড়ে আসা কোনো পাথর খণ্ড নয় বরং সেটি এলিয়েন প্রযুক্তির একটি অংশ।

বস্তুটি ২৫ আলোকবর্ষ দূরে আমাদের নিকটবর্তী নক্ষত্র ‘ভেগা’ থেকে পৃথিবীর দিকে উড়ে আসে। ২০১৭ সালের ০৬ সেপ্টেম্বর সৌরজগতের অরবিটাল প্লেনে বস্তুটি ইন্টারসেপ্টটেড অর্থাৎ বাধা পায়।

সেবছরেরই ০৯ সেপ্টেম্বর, বস্তুটির ট্র্যাজেক্টরি (ধুমকেতু, গ্রহাণু বা মহাকাশে উড়ন্ত কোনো বস্তু যে পথ ধরে যায়) তাকে সূর্যের কাছে নিয়ে আসে এবং মাসের শেষের দিকে শুক্র গ্রহের কক্ষপথ থেকে দূরে ঘণ্টায় ৫৮,৯০০ মাইল গতিতে এটি বিস্ফোরিত হয়। এরপর ০৭ অক্টোবর, পেগাসাস নক্ষত্র এবং এর বাইরে অন্ধকারের দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার আগে এটি পৃথিবীকে অতিক্রম করে।

হাওয়াইয়ে স্থাপিত পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপ ‘প্যানরমিক সার্ভে টেলিস্কোপ অ্যান্ড র‌্যাপিড রেসপন্স সিস্টেম (প্যান-এসটিআরআরএস)’-এ সর্বপ্রথম এটি ধরা পড়ে। প্রাথমিকভাবে মহাকাশের এই বস্তুটির ছদ্মনাম দেওয়া হয় ওহমুআহমুআহ (Oumuamua)। হাওয়াই শব্দ Oumuamua’র (উচ্চারণ ওহমুআহমুআহ) ইংরেজি অর্থ ‘স্কাউট’।

ওহমুআহমুআহ লম্বায় প্রায় ৩০০ ফুট। মহাকাশে এর চেয়েও অনেক বড় বড় বস্তুদের ওড়াউড়ি চলতেই থাকে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের জন্য এটি বিশেষ একটি বস্তু। কারণ, আমাদের সৌরমণ্ডলে এটি প্রথম কোনো সৌরজগত বহির্ভূত বস্তু (ইন্টারস্টেলার অবজেক্ট)। জোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, এটি সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা আবদ্ধ ছিল না। এর মানে, এটি ভ্রমণের উদ্দেশ্যেই এসেছিল।

ওহমুআহমুআহ’র কোনো ছবি তোলা যায়নি কিন্তু জোতির্বিজ্ঞানীরা প্যান-এসটিআরআরএস অভজারভেটরি টেলিস্কোপ দিয়ে দিস্তা দিস্তা তথ্য সংগ্রহ করেছেন। প্রথম দিকে, বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন, এটি সাধারণ কোনো ধূমকেতু বা গ্রহাণু। কিন্তু পরে তাদের ধারণা পাল্টে যায়।

অধ্যাপক লোয়েব এটি ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, কেমন হবে যদি আদিম কোনো গুহাবাসী একটি স্মার্টফোন দেখে? সারাজীবন সে পাথর দেখে অভ্যস্ত তাই স্মার্টফোন হাতে নিয়ে সে হয়তো ভাববে, এটি চকচকে কোনো পাথর। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছিল।

এটি কোনো ধূমকেতু ছিল না। এটি ছিল এলিয়েন সভ্যতা থেকে আসা কোনো বাতিল প্রযুক্তি, যোগ করেন তিনি।

বেশ কয়েকটি অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য লোয়েবকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। এর মধ্যে প্রথম, ওহমুআহমুআহ’র মাত্রা বা ডাইমেনশান। বস্তটি কিভাবে সূর্যের আলোতে প্রতিফলিত হয় সেটি খুব মনোযোগ দিয়ে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। এর উজ্জ্বলতা প্রতি আট ঘণ্টায় পরিবর্তিত হয়। এর মানে, পুরো ঘূর্ণন বা আবর্তন (রোটেশান) সম্পূর্ণ করতে এটি এই পরিমাণ সময় নেয়।

নীল বৃত্তে প্রথম কোনো সৌরজগত বহির্ভূত বস্তু ও হমুআহমুআহ’র সমন্বিত ছবি (Photo: ESO/K. Meech)

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওহমুআহমুআহ অস্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল। এটি সাধারণ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতুর চেয়ে কমপক্ষে ১০ গুণ বেশি প্রতিক্ষেপক বা প্রতিফলনকারী। এর পৃষ্ঠভাগ কোনো উজ্জ্বল ধাতু দিয়ে তৈরি।

ওহমুআহমুআহ’র সরণও (বস্তুর এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়া) বেশ বিস্ময়কর। যেভাবে এটি সূর্য থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলেছে (যেমনটি নভোযানগুলো করে থাকে) তা বিজ্ঞানীদের কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছে।

পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমে, বিজ্ঞানীরা সূর্যকেন্দ্রিক মহাকর্ষীয় বলের প্রভাবে মহাকাশের কোনো বস্তুর কোন পথে ও কত গতিতে সরণ হবে তা নির্ণয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে বস্তুটি যত সূর্যের কাছে যাবে তত বেশি গতিতে নিজের দিকে টানতে থাকবে। কিন্তু ওহমুআহমুআহ পদার্থবিজ্ঞানের সরণসূত্র ও নির্ণিত ট্র্যাজেক্টরি অনুসরণ করেনি। এর মানে, সূর্যের মহাকর্ষীয় বল ছাড়াও অন্যকোনো উচ্চ গতি বস্তুটিকে অন্যদিকে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।

সহজে বললে, গ্রহাণুগুলো সাধারণত একই ত্বরণে উড়ে যায়। সূর্যকে অতিক্রমকালে এদের পৃষ্ঠভাগ উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লেজের দিক থেকে একবার হিমায়িত গ্যাস নির্গত হয়। রকেট ইঞ্জিন এভাবেই কাজ করে।

বিজ্ঞানীরা খুব মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন, ওহমুআহমুআহ এমন কোনো হিমায়িত গ্যাস বা ধুলো নির্গমন করেনি। এমনকি অন্যকিছু নির্গমনের কোনো চিহ্নও পাননি।

লোয়েবও নিশ্চিত, এটি কোনোভাবেই সাধারণ কোনো গ্রহাণু বা বস্তু নয়। এসব তথ্য-উপাত্তই তাকে বিশ্বাস যোগাচ্ছে, ওহমুআহমুআহ এলিয়েন সভ্যতারই কোনো প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ।

বস্তুটি আসলে কী?

যথেষ্ট অদ্ভুত শোনালেও একটি সম্ভাবনা, পৃথিবীরই কোনো প্রযুক্তিতে এটি মিলতে পারে। প্রায় ৪শ বছর আগে, জোতির্বিদ জোহাননেস কেপলার পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, গ্রহাণুদের লেজ থেকে নির্গত গ্যাস তাদেরকে বাড়তি গতি এনে দেয়। ঠিক এটিই তিনি নভোযান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভেবেছিলেন।

বলাই বাহুল্য, তার বৈজ্ঞানিক ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে পরবর্তীকালের বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে লাইট-সেইল বানাতেও একই প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন তারা। লাইট-সেইল হলো, খুবই কম ওজনের ভাঁজ করে ফেলা যায় এমন উচ্চ প্রতিফলন ক্ষমতা সম্পন্ন পর্দা যা সূর্য থেকে আসা কণাগুলো (পার্টিকল) ধারণ করতে সক্ষম এবং শূন্যগর্ভের মধ্য দিয়ে নভোযানকে উচ্চগতি সরবরাহ করতে পারে। অন্যদিকে, পৃথিবী থেকে লাইট-সেইলে পাঠানো শক্তিশালী লেজারের মাধ্যমে এই গতি আরও বাড়িয়ে ফেলা সম্ভব।

শিল্পীর আঁকা ওহমুআহমুআহ’র সম্ভাব্য আকার (Photo: Mark Garlick/Science Photo Library)

অধ্যাপক লোয়েব পরীক্ষামূলকভাবে পার্শ্ববর্তী নক্ষত্রে লাইট-সেইলচালিত ছোট নভোযান পাঠানোর একটি প্রকল্পে জড়িত। তিনি বলছেন, আমরা পৃথিবীবাসীরা যদি এমন ভাবনা (লাইট-সেইল প্রযুক্তি) ভাবতে পারি তাহলে এলিয়েনরা নয় কেন?

তিনি আর তার সহকর্মীর ধারণা, ওহমুআহমুআহ আসলে এরকমই লাইট-সেইল প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে যা তাকে অস্বাভাবিক ত্বরণে সূর্যকে অতিক্রম করতে সাহায্য করেছে।

বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত পদ্ধতির কারণে লোয়েব শতভাগ নিশ্চিত হতে না পারলেও তার জোর বিশ্বাস, বস্তুটি এলিয়েন সভ্যতার কোনো যন্ত্রাংশ।

এলিয়েন সভ্যতা খোঁজের একমাত্র উপায় হলো তাদের জঞ্জালগুলোর খোঁজ করা। যেমন অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা ‘ট্র্যাশ’ ধরে ধরে মূল প্রতিবেদনে এগোন, বলছেন লোয়েব।

বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের অনেকেই তার এই তত্ত্বে বিশ্বাসী নন। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সায়েন্স ইনস্টিটিউট ‘ন্যাচার অ্যাস্ট্রোনমি’-তে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ওহমুআহমুআহকে এলিয়েনদের যন্ত্রাংশ বলার পক্ষে আমরা কোনো জবরদস্ত প্রমাণ পাইনি।

এ নিয়ে লোয়েবের বক্তব্য, পৃথিবীর বাইরেও যে ভিন্ন সভ্যতা রয়েছে এই সম্ভাবনা নিয়ে কিছু মানুষ আলোচনা করতে চায় না। তারা মনে করে, একমাত্র তারাই বিশেষ ও অনন্য। আমার মনে হয়, আমাদের এই গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।

এক বিলাসবহুল বিয়ে, অতিথির উপহারই প্রায় লাখ টাকা করে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমেরিকান সিনেমা 'ক্রেজি রিচ এশিয়ানস'র কথা হয়তো মনে আছে? পুরো মনে না থাকলেও নিশ্চয়ই সিনেমায় আলোচিত একটি বিয়ের দৃশ্য মনে আছে। যেখানে বিয়েতে আসা সব অতিথিদের জন্য থাকে অর্থ উপহার, থাকে বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা। এমন অসম্ভাব্য মঞ্চসজ্জা আসলে সিনেমা বা কল্পকাহিনীতে সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার তা বাস্তবের দৃশ্যপটে হাজির। এমন উপলক্ষ তৈরি করেছেন চীনা সেলিব্রেটি ট্র্যাভেলার ডানা চ্যাং। সম্প্রতি এই সেলিব্রেটির বিয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই 'ক্রেজি রিচ এশিয়ানস'র দৃশ্য ফুটে ওঠেছে।

বিলাসবহুল এমন বিয়ের খবরের তথ্য দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

চীনা ওই বিয়েতে অতিথিদের রীতিমতো টাকা পয়সা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ওই ভিডিওর শুরুতে ডানা চ্যাং বলেছেন, ‘বাস্তবে একটি ক্রেজি রিচ এশিয়ান বিয়ে এমনই দেখায়। এর আগে এমন বিয়ে কোথাও দেখা যায়নি।’

সত্যিকার অর্থে ভিডিওটিতে যেমনটি দেখা গেছে, তা দেখে ডানার ফলোয়ারদের মাথা ঘুরে গেছে!

ভিডিও থেকে জানা গেছে, নববিবাহিত দম্পতি তাঁদের অতিথিদের সারা জীবন মনে রাখার মতো একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দিয়েছেন। অতিথিদের তাঁরা একটি পাঁচতারা হোটেলে পাঁচ দিনের জন্য রেখেছিলেন। আর এই সময়ের মধ্যে অতিথিদের যে কোনো প্রয়োজনে রোলস রয়েস এবং বেন্টলির মতো ব্যয়বহুল সব গাড়ির বহর সদা প্রস্তুত ছিল। বিয়ের জমকালো সাজসজ্জা এতটাই চোখধাঁধানো ছিল যে, অনেকে এটিকে ইউরোপীয় ভেবে ভুল করবেন।

এমন দৃশ্যকে আরও আকর্ষণীয় করেছে ফুল ও তাদের ছবি দিয়ে বানানো বিয়ের কার্ড।

চীনা রীতিতে অতিথিরা সাধারণত পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে যান এবং সেগুলো বর-কনের সাফল্য কামনায় উপহার হিসেবে দান করেন। তবে ডানার বিয়েতে ঘটেছে উলটো চিত্র। এতে অতিথিরা টাকা দেননি বরং উপহার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন রাজকীয় লাল রঙয়ের এক খাম। যার মধ্যে ছিল ৮০০ ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৪ হাজার টাকা। তবে এতেই সীমাবদ্ধ ছিলো না ডানা চ্যাং। ডলারের পাশাপাশি অতিথিদের বাড়ি ফেরার রিটার্ন টিকিটও সরবরাহ করেছিলেন ওই দম্পতি।

তাদের এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এতে অনেকেই তাদের অভিব্যক্তি তুলে ধরেছেন। এমন বিয়েকে অনেকেই আবার চলতি বছরের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী বিয়ে হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

ভিডিওর নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘হে দয়াময়, উনি কোন লেবেলের বিলিয়নিয়ার।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘ঈশ্বর তুমি আমাকে কিছু না দিয়ে অন্যদের কত কিছু দিয়েছ!’

রসিকতা করে আরেকজন লিখেছেন, ‘ভিডিও দেখে গরিবেরা কাঁদছে।’ 

অনেকে এই দম্পতির উদারতা এবং নম্রতার প্রশংসা করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "অতিথিদের উপহার দেওয়ার জন্য তারা খুবই নম্র। এমন পরিস্থিতি টাকা থাকলেই সবাই করতে পারে না।"

অনেকেই আবার এমন কাজের নিন্দা করেছেন।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আপনাদের এমন কাজ কোনো ভালো শ্রেণির সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে না।"

তবে সমালোচক আর প্রশংসাকারীদের এক পাশে রেখে বিষয়টিকে দেখলে নতুন কিছুরই আবির্ভাব ঘটেছে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। হয়তো এর সাথে আপনিও দ্বিমত হবেন না। 

;

পৃথিবীকে ছাড়িয়ে ‘স্বর্গে জমি’ বিক্রি চলছে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে আমরা অনেক কিছুই দেখতে পাই, শুনতে পাই। এইতো কয়েক মাস আগে চাঁদে জমি কেনার একটি বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। তবে এবার আর চাঁদে নয়, চাইলে 'স্বর্গে জমি' কিনতে পারবেন! আসলেই কী তাই?

চলতি সপ্তাহে মেক্সিকোর একটি গির্জা ‘স্বর্গে জমি বিক্রি’ করছে বলে- এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য এর আগে একজন এই বিষয়টি নিয়ে টিকটকে একটি ভিডিও ছেড়েছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, এমন বিষয় প্রচার পর্যন্তই তারা সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং জমির প্লট বিক্রি করে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহও করেছে চার্চটি। 

এ নিয়ে অনেক মূলধারার গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে। এসব খবরে বলা হয়েছে, ইগলেশিয়া দেল ফাইনাল দে লস গির্জা ‘স্বর্গে একখণ্ড জমি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে।

আসলে ব্যঙ্গ করে ইভানজেলিক্যাল গির্জার নাম করে এই ‘স্বর্গে জমি বিক্রি’র কথা বলা হচ্ছে। যাঁরা কাজটি করেছেন, তাঁরা এর মাধ্যমে গির্জার একশ্রেণির ধর্মগুরুর প্রতারণার কথা তুলে ধরতে চেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সংগঠনের পেজটি বেশ জনপ্রিয়।

তারা বলছে, প্লটের প্রতি বর্গমিটারের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার অর্থ দাঁড়ায় ১১ হাজার ৭৫৮ টাকা। আগ্রহী ক্রেতারা আমেরিকান এক্সপ্রেস, অ্যাপল পে ব্যবহার করে অর্থপ্রদান করতে পারেন বা পেমেন্ট প্ল্যান অ্যাপের মাধ্যমেও এই অর্থ দেওয়া যাবে।

ওই গির্জার ধর্মযাজককে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মযাজক ২০১৭ সালে স্বর্গে প্লট বিক্রয়ের বিষয় নিয়ে ঈশ্বরের সাথে কথা বলেছেন। তখন তাকে ঈশ্বর ওই প্লট বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন।

এ বিষয়তি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পরে যায় সামাজিক মাধ্যমে। অনেকেই তাদের নিজেদের অভিমত তুলে ধরেছেন।

একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আমি আশা করি ধর্মযাজক আমাকে স্বর্গে কিছু জমি ক্রয় করা সুযোগ দেবেন। আমি প্রথমে তাকে সেখানে পাঠাব এরপর তাকে ফেসটাইমের মাধ্যমে আমাকে কল দিতে বলব যাতে আমি কি কিনতে যাচ্ছি তা দেখতে পারি।"

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমার জানা দরকার, কারা জমি দিচ্ছে, যাতে আমি তাদের স্বর্গের জমিতে মূল্যছাড়ের অফার দিতে পারি।’

তৃতীয় আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ঈশ্বরের নামে এমন চুরির কাজ শয়তানের কাজ।’

;

টাকার বান্ডিল দিয়ে তৈরি ‘কার্পেট’, হাঁটলেন প্রেমিকাকে নিয়ে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধনী ব্যক্তিরা তাদের অর্থসম্পদ দেখানোর জন্য কতই কিছু না করে। মাঝেমধ্যে তারা এমন কিছু কাজ করে যা শেষ পর্যন্ত স্রেফ পাগলামির পর্যায়ে চলে যায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক নিন্দা কুড়িয়েছে। তারা এমন কাজকে 'জঘন্য' বলেও অভিহত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রাশিয়ান এক উদ্যোক্তা তার প্রেমিকার হাত ধরে তাকে টাকার বান্ডিলের উপর দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ঘটনাটি অনেক পুরাতন। কিন্তু নতুন করে আবার ব্যবহারকারীদের সামনে এলে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন রাশিয়ান উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সের্গেই কোসেনকো। তিনি ‘মিস্টার থ্যাংক ইউ’ নামেও পরিচিত। ভিডিও তৈরি এবং প্রেমিকাকে ‘রাজকীয় অভ্যর্থনা’ দিতেই নগদ টাকার বান্ডিল দিয়ে ‘কার্পেট’ তৈরি করেছিলেন তিনি।

ভিডিওতে দেখা যায়, কোসেনকোর প্রেমিকা একটি হেলিকপ্টার থেকে নেমে তার হাত ধরে নগদ টাকার স্তূপের ওপর দিয়ে হাঁটছেন। ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনটি ‘প্রেম-পূর্ণ ইমোজি’ দেয়া ছিল।

কার্পেট হিসাবে ব্যাঙ্কনোট ব্যবহারের এমন ভিডিও দেখে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। অনেকেই আবার এই দম্পতিকে "ধনের কুৎসিত প্রদর্শন" বলে আখ্যায়িত করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, নোটগুলো জাল।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ''আপনি অনেক ধনী হতে পারেন, কিন্তু এভাবে টাকা নষ্ট করাটা উচিত না। এই টাকা দিয়ে আপনি শত শত পরিবারকে সাহায্য করতে পারতেন এবং হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার জোটাতে পারতেন।''

আরেকজন বলেছেন, ''এভাবে টাকার অপমান করা লজ্জাজনক।''

উল্লেখ্য, সের্গেই কোসেনকো ইনস্টাগ্রামে নিজেকে একজন গায়ক, উদ্যোক্তা ও ক্রিয়েটর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সামাজিক মাধ্যমের এই প্ল্যাটফর্মে তার চার কোটির বেশি ফলোয়ার রয়েছে।

;

রূপময় বর্ষায় খুলনা নগরীর সৌন্দর্য



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে বর্ষাকাল। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঋতু বর্ষা। খুলনায় তীব্র তাপদাহের পর টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নগরী যেন এক নতুন রূপে সেজে উঠেছে। প্রতিটি গাছ, পাতা আর ফুল যেন ফিরে পেয়েছে নতুন প্রাণ। রাস্তাঘাট, পার্ক আর বাগানগুলো সবুজে ভরে উঠেছে।

প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। রাস্তা দিয়ে হাঁটলেই আপনার চোখ আটকে যাবে সেই সব রঙ বেরঙের ফুলে। বৃষ্টির জলে ধুয়ে-মুছে ঝকঝকে হয়ে উঠেছে সবকিছু, যা মানুষের মনকে প্রফুল্ল করে তুলছে।


গাছের পাতায় জমে থাকা জলবিন্দুগুলো রোদ্দুরে রঙধনুর মতো ঝিলমিল করছে। ফুটপাতের ধারে ধারে ফুটে ওঠা রঙ বেরঙের ফুলগুলি যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা এক একটি ছবিতে পরিণত হয়েছে। লাল, নীল, হলুদ, বেগুনিসহ সব রঙ মিলিয়ে যেন এক স্বপ্নীল দৃশ্য। গাছের নিচে জমে থাকা জলকাদায় শিশুদের কাদামাখা খেলাও নতুন রঙ যোগ করেছে নগরীর এই নবরূপে।

মানুষের মনে এই পরিবর্তন যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে একটু সময় বের করে মানুষজন বিকেলে পার্কে ঘুরতে বেরিয়েছে। শিশুদের হাসি-খুশি মুখ আর তরুণ-তরুণীদের আড্ডায় মুখরিত চারপাশ। প্রিয়জনের সঙ্গে হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছে তারা।


নগরীর এই নবরূপ শুধু মানুষকে নয়, পশু-পাখিকেও নতুন উদ্যমে ভরিয়ে তুলেছে। গাছের ডালে ডালে পাখির কলরব আর ভেজা ভেজা গন্ধ মিশে পরিবেশকে আরও মধুর করে তুলেছে। পাখিরা যেন আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে, তাদের ডাকে প্রাণের সুর বাজছে।

নগরীর প্রতিটি কোনে এখন নতুন কাহিনী। পুরনো দেয়ালেও যেন নতুন রঙের ছোঁয়া লেগেছে। বৃষ্টির পরে সেই মাটি ভেজা গন্ধে মনে হয় যেন এক টুকরো গ্রাম উঠে এসেছে শহরের বুকে।

বৃষ্টি যে খুলনা মহনগরীর এমন পরিবর্তন এনে দিতে পারে, তা হয়তো অনেকেই ভাবেনি। এই নবরূপ শুধু নগরবাসীর নয়, পুরো প্রকৃতির এক মিলিত উৎসব। এ যেন এক নতুন সকাল, এক নতুন শুরু। প্রতিদিনের ব্যস্ততায়, ধুলো-ময়লার মাঝে হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য এখন আবার ফিরে এসেছে, যা দেখে মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।


প্রকৃতির এই অপরূপ রূপের প্রশংসা করতে করতে সময় কেটে যায় নিমিষেই। নগরী যেন নতুন করে বাঁচতে শিখেছে। ফের শুরু হয়েছে তাপদাহ। তারপরও দুদিনের এই বৃষ্টি শেষে নগরী যেন রূপে রঙে আরও বেশি সুন্দর, আরও বেশি প্রিয় হয়ে উঠেছে সবার কাছে।

;