প্রকৃতির জন্য আশীর্বাদ হবে প্লাস্টিক খেকো মাশরুম

  • মহিউদ্দিন আহামেদ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রকৃতির জন্য আশীর্বাদ হবে প্লাস্টিক খেকো মাশরুম

প্রকৃতির জন্য আশীর্বাদ হবে প্লাস্টিক খেকো মাশরুম

এই প্রকৃতির বুকে যদি ক্ষতিকর কোন বর্জ্যের তালিকা করা হয় তবে প্লাস্টিক তার মধ্যে বেশ উপরের দিকে থাকবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এই পৃথিবীতে মানুষ ১৯৫০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৮১৬ মিলিয়ন কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি করে ফেলেছে। আর দিন দিন যে সেটা বাড়ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এসব অব্যবহৃত প্লাস্টিকের মধ্যে ৯ শতাংশ পুড়ে ছাই হয়েছে। বাকিগুলো বর্জ্য হিসেবে এই পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠে বা পানিতে অবস্থান করছে।

প্লাস্টিক যেহেতু খুবই ধীর গতির পচনশীল একটি বস্তু তাই পরিবেশ রক্ষায় অনেক দেশে পলিথিনের ব্যবহার সীমিত করে পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা করছে। কিন্তু এতসব করেও প্লাস্টিক বর্জ্য কমানো যাচ্ছে না কোনভাবেই। তবে এবার মনে হয় প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে একটু আশার আলো দেখা যাচ্ছে। কারণ বিজ্ঞানীরা এমন একটি মাশরুম আবিষ্কার করেছেন যার খাবার মূলত এই প্লাস্টিক।

বিজ্ঞাপন

পেস্টালোটিওপিস মাইক্রোস্পোরা নামের এই মাশরুম প্লাস্টিকের উপাদান পলিউরেথেন খায় এবং তা জৈব পদার্থে রূপান্তর করে। তার মানে দাঁড়ালো যেখানে প্লাস্টিক বর্জ্যের ভাগাড় সেখানে এই মাশরুমের চাষ করলে প্লাস্টিক বর্জ্য কমে গিয়ে তা আবার জৈব রূপে পৃথিবীতে ফেরত আসবে এবং পৃথিবী বিরাট এক দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

প্লাস্টিকখোর এই মাশরুমের আবিষ্কার করেছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে এই মাশরুম শুধুমাত্র আমাজনের জঙ্গলেই পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন এই বাদামি মাশরুম যেখানে অক্সিজেন কম সেখানেও জন্মাতে পারে। কারণ এটি প্লাস্টিকে থাকা পলিউরেথেন গ্রহণ করে এবং সেটিকে জৈব পদার্থে রূপান্তর করে। জৈব পদার্থের মাধ্যমে এটি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায়। এই মাশরুম প্লাস্টিককে মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে জৈব পদার্থে রূপান্তর করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

তবে এটি খাওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় কোন গবেষণা করেনি। এ বিষয়ে আলাদাভাবে গবেষণা করেছে ইউট্রেচট বিশ্ববিদ্যালয়। তারা গবেষণা করে দেখেছে এই ধরনের মাশরুম সাধারণ মানুষও খেতে পারে। এই ধরনের মাশরুম খাওয়ার সময় বা রান্না করার সময় অ্যালকোহলের গন্ধও পাওয়া যায়।