সুখী মানুষের 'হাজার দ্বীপের দেশ'!



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
সুখী মানুষের 'হাজার দ্বীপের দেশ'!

সুখী মানুষের 'হাজার দ্বীপের দেশ'!

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালের শত বিরূপতার মধ্যেও 'হাজার দ্বীপের দেশ' নামে পরিচিত ফিনল্যান্ডের মানুষ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সুখী। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) প্রণীত 'ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট'-এ একাধিকবার তালিকার শীর্ষে অবস্থান করেছে ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড। টেকসই উন্নয়ন নেটওয়ার্কের সুখবিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে ফিনল্যান্ডের পরেই রয়েছে আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস।

তালিকায় সবচেয়ে তলানিতে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। এই দেশটির ওপরেই রয়েছে তানজানিয়া, জর্ডান, ভারত ও কম্বোডিয়া।

সুইডেন থেকে ফিনল্যান্ডে যেতে সমুদ্রপথে এক দ্বীপ টুর্কু। বহু পূর্বে, ফিনল্যান্ড যখন রাশিয়ার অধীন ছিল, তখন টুর্কু বন্দর ছিল দেশটির রাজধানী। পরে তা স্থানান্তরিত হয় হেলসিঙ্কিতে। টুর্কু থেকে দু’ঘণ্টার ট্রেনযাত্রায় যাওয়া যায় হেলসিঙ্কি শহরের প্রাণকেন্দ্রে।

ফিনল্যান্ডের এই যাত্রাপথের দু’পাশের শ্যামল শোভাকে স্বর্গীয় বললে ভুল হয় না। চোখ, মন জুড়িয়ে যায়। গোটা রেলপথের দুই পাশে ভেলভেটের মতো পেলব স্নিগ্ধ সবুজ উপত্যকা, ঝিরিঝিরি ডালপালা-যুক্ত কুচি কুচি পাতার আশ্চর্য সুন্দর গাছের সারি, হালকা সবুজ ঢালু জমিতে গাঢ় শ্যামল বৃক্ষের ঘন বনানী।

শহরে পা দিলেই টের পাওয়া যায় কনকনে ঠান্ডা হাওয়া ও লাগাতার ফিনফিনে মিহি বৃষ্টির পরশ । শীতল আবহাওয়া আর অনিন্দিত প্রকৃতির সমাবেশে ফিনল্যান্ডকে বলা হয় ‘হাজার দ্বীপের দেশ’। দেশটির আরেক নাম ‘ল্যান্ড অফ থাউজ়্যান্ড লেকস’। 'হাজার হ্রদের দেশ'। হ্রদগুলো সবই জনপদ বা শহরের অভ্যন্তরে এবং প্রতিটি হ্রদ ঘিরে বিস্তীর্ণ সবুজ মনোরম ঘাসজমি। প্রায় প্রতিটি জলাশয়ের পাশে দেখা যায় লোহার রেলিঙে অসংখ্য রং-বেরঙের তালা ঝুলছে। এর সঙ্গে ফিনিশদের এক অদ্ভুত বিশ্বাস জড়িত। প্রণয়পাশে আবদ্ধ যুগল বা নবদম্পতি এসে চার হাতে এই তালা লাগায় এবং চাবিটি পাশের জলাশয়ে নিক্ষেপ করে। অর্থাৎ ভালবাসার বন্ধনে চিরতরের সিলমোহর।


বহু বছর রাশিয়ার অধীনে থাকার ফলে ফিনল্যান্ডের বহু চার্চ ও মিনারের নির্মাণশৈলীতে রুশ প্রভাব স্পষ্ট। শহরের সৌন্দর্যের প্রধান অঙ্গ বিশেষ একজাতের গাছ। ডালগুলো পাতলা ও পাতারাশি চিক্বন, স্বচ্ছ হালকা সবুজ। শহরের প্রতিটি বীথি এই জাতের সারিবদ্ধ গাছে ছাওয়া। 

পথেঘাটে, ট্রামে-বাসে চলাচলের সময় দেখা যায়, দেশটির বৃদ্ধা এবং প্রৌঢ়া নাগরিকরা খুবই সম্ভ্রান্ত ও বিলাসবহুল পোশাক পরতে অভ্যস্ত। তবে তাঁরা কথাবার্তায়, আচরণে, খুব ধীর, স্থির ও সৌম্য প্রকৃতির। তরুণ-তরুণীর দল উচ্ছল হলেও উগ্র নয়। মেয়েরা বেশির ভাগ স্বর্ণকেশী, নীলনয়না। পর্যটকদের জন্য আদর্শ ফিনল্যান্ডে রয়েছে পরিভ্রমণের সুব্যবস্থা। ট্রামে চড়ে বসলে ঘণ্টাখানেক ধরে শহরের প্রধান সুন্দর অঞ্চল ও প্রসিদ্ধ নির্মাণগুলো দেখা হয়ে যায়। বিকেলের দিকে প্রকাণ্ড লঞ্চে সমুদ্রভ্রমণ এখনকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এর নাম ‘সুয়োমেনলিনা স্বিয়াবর্গ ট্যুর’। এতে ছোট ছোট দ্বীপে যাওয়ার চমৎকার আয়োজনে সারা রাত দেশ-বিদেশ অসংখ্য মানুষ মেতে থাকে। 

ফিনল্যান্ডের শহর ও তার মিনারগুলো এত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন যে দেখে বিস্মিত হতেই হয়। সেই পরিচ্ছন্নতার রহস্য হলো, চার-পাঁচটি গাড়ি জলের ধারা দিয়ে রাস্তাঘাট ও মিনারগুলোকে নিয়মিত ধুয়ে ধূলামুক্ত করছে। প্রত্যহ দিনের শুরু ও শেষের রুটিনকাজ এটি। প্রায়শই শীতল বৃষ্টির ফোঁটা সাফ করে দেয় সব স্থাপনা। চোখের সামনে উঁকি দেয় ঘোলাটেবর্ণ সজল আকাশ। যদিও রোদ আর বৃষ্টির খেলা চলে, তথাপি ফিনল্যান্ডের তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের কাছাকাছি।

বিখ্যাত হেলসিঙ্কি ডিজ়াইন ডিস্ট্রিক্ট চোখ-ধাঁধানো সব ডিজ়াইনারের দোকানে ভরপুর। পোশাকের বুটিক, আসবাবপত্র, গৃহশয্যা, প্রসাধনের যাবতীয় সজ্জাসামগ্রী, কিছুই বাদ নেই। শীতপ্রধান ফিনল্যান্ডে বাহারী ডিজাইনের ভারী পোশাকের খুবই প্রচলন রয়েছে। শীতকালে লোকজন দিনের বেলাতে ঠান্ডার তীব্রতায় কয়েকপ্রস্থ জামাকাপড় পরিধান করে একেবারে হাড়ের ভিতর বরফের পিন ফোটানো শীতে বের হন। শ্বেতশুভ্র অপূর্ব দৃশ্যে তখন মুক্তোর মতো বরফের অজস্র নিটোল দানা তীব্রবেগে ছড়িয়ে পড়ে কালো মসৃণ পিচরাস্তায়, ট্রামলাইনে, ফুটপাথে, চলন্ত গাড়ির ছাদে, পথচারীর ছাতায়, হম্যে, খিলানে ও মিনারে। বরফদানা-বৃষ্টি সাঙ্গ হলে ক্ষান্তবর্ষণসিক্ত আকাশে রামধনু আঁকা হয় রঙের অপরূপ বিন্যাসে।

ফিনল্যান্ডে পোষা সারমেয় সঙ্গে নিয়ে পথে বেরনো খুব বেশি চোখে পড়ে। অধিকাংশ মহিলাই চেন-বাঁধা ঝালর ঝালর লোমওয়ালা সাদা, কালো, বাদামি রঙের কুকুর নিয়ে চলেছেন। গুচ্ছ গুচ্ছ উজ্জ্বল বর্ণের টিউলিপ ফুটে আছে উদ্যানগুলোতে। উদ্যান সংলগ্ন অবশ্যই সুবিশাল হ্রদ দেখা যাবে। রাজধানী শহরের বিখ্যাত হ্রদের নাম লেক টুয়েলনলাঠি বে। হ্রদের ওপারে ব্যস্ত চলমান নগর, বিশিষ্ট কিছু স্থাপত্য । আর এপারে অসামান্য রূপসী নিরালা এক সবুজ উদ্যান। সে-উদ্যানের বৈশিষ্ট্য মোলায়েম ঘাসের উঁচু-নিচু ঢাল, অসংখ্য ছড়ানো গাছের ছায়ামাখা বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তর। চারিদিকে স্নিগ্ধ সবুজের সমারোহ।

ফিনল্যান্ড উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে বাল্টিক সাগরের উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। ফিনল্যান্ড ইউরোপের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত দেশগুলোর একটি। এর এক-তৃতীয়াংশ এলাকা সুমেরুবৃত্তের উত্তরে অবস্থিত। এখানে ঘন সবুজ অরণ্য, অসংখ্য দ্বীপ আর প্রচুর হ্রদ ছাড়াও প্রাচীরঘেরা প্রাসাদের পাশাপাশি আছে অত্যধুনিক দালানকোঠা। দেশটির বনভূমি এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। এগুলোকে প্রায়ই ফিনল্যান্ডের 'সবুজ সোনা' নামে ডাকা হয়।


ফিনল্যান্ড প্রধানত একটি নিম্নভূমি অঞ্চল। কয়েক হাজার বছর আগেও এটি বরফে ঢাকা ছিল। বরফের চাপে এখানকার ভূমি স্থানে স্থানে দেবে গিয়ে হাজার হাজার হ্রদের সৃষ্টি করেছে। দেশটির সরকারি নাম ফিনল্যান্ড প্রজাতন্ত্র। তবে ফিনীয়রা নিজেদের দেশকে সুওমি বলে ডাকে। সুওমি শব্দের অর্থ হ্রদ ও জলাভূমির দেশ। তবে, ফিনল্যান্ড উত্তর দিকে স্থলবেষ্টিত। উত্তরে নরওয়ে ও পূর্বে রাশিয়ার সাথে এর সীমান্ত আছে। দক্ষিণে ফিনল্যান্ড উপসাগর এবং পশ্চিমে বথনিয়া উপসাগর। ফিনল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে হাজার হাজার ক্ষুদ্র, পাথুরে দ্বীপ আছে। এদের মধ্যে কতগুলোতে মনুষ্য বসতি আছে। এদের মধ্যে বথনিয়া উপসাগরের মুখে অবস্থিত অলান্দ দ্বীপপুঞ্জটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ফিনল্যান্ডের মেরু অঞ্চলে মে থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রায় সবসময় দিন থাকে। 'মধ্যরাতের সূর্যের' এই দিনগুলোতে ফিনল্যান্ডের নয়নাভিরাম উপকূলীয় এলাকাগুলিতে হাজার হাজার লোক নৌকা নিয়ে বেড়াতে বের হন। ফিনল্যান্ডের মধ্যভাগের বনভূমিতে অনেক পর্যটক রোমাঞ্চকর অভিযানের টানে ছুটে চলেন।

ফিনল্যান্ডকে সাধারণত স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের অংশ ধরা হয় এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ার সাথে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও আছে।  বহু শতাব্দী যাবৎ ফিনল্যান্ড দুই বিরোধী শক্তি সুইডেন ও রাশিয়ার মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ সীমান্ত দেশ হিসেবে বিদ্যমান। দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাস বহু পালাবদলের স্বাক্ষী।  ৭০০ বছর সুইডেনের অধীনে শাসিন হবার পর ১৮০৯ সালে এটি আবার রুশদের করায়ত্ত হয়। রুশ বিপ্লবের পর ১৯১৭ সালে এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৮ সালে ফিনল্যান্ড ও সোভিয়েত ইউনিয়ন বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার একটি চুক্তি সম্পাদন করে এবং ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দেশ দুইটির মধ্যে দৃঢ় অর্থনৈতিক বন্ধন ছিল। ১৯৯১ সালের পরে ফিনল্যান্ড ইউরোপমুখী হয় এবং ১৯৯৫ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে।

সুপ্রাচীন জনপদ হলেও ফিনল্যান্ড ইউরোপের সবচেয়ে নবীন রাষ্ট্রগুলোর একটি। তবে দেশটির প্রাচীনত্ব, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র‌্য সুবিদিত। বিশেষত আধুনিক স্থাপত্যকলা ও শিল্পকারখানা ডিজাইনে ফিনল্যান্ডের সুনাম আছে। সাউনা তথা ফিনীয় ধাঁচের বাষ্পস্নান বিশ্ববিখ্যাত এবং এটি ফিনীয় দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফিনল্যান্ড সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পরে। ১৯৩৯-৪০ এর ৩ মাসব্যাপী শীতকালীন যুদ্ধে সোভিয়েত রাশিয়া ফিনল্যাণ্ড আক্রমণ করে। সেসময় হেলসিঙ্কিতে বিপুল বোমাবর্ষণ হয়। মস্কো শান্তি চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি হলেও ফিনল্যাণ্ড উপসাগরে সোভিয়েত কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। ফিনল্যান্ডের রাজনৈতিক ব্যবস্থা একটি অর্ধ-রাষ্ট্রপতিশাসিত প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা আইনসভার উপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা হতে স্বাধীন।

আয়তনের তুলনায় ফিনল্যান্ডে মানুষ খুবই কম, মোট জনসংখ‍্যা প্রায় ৫৫ লক্ষ । গড়ে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৬ জন বসবাস করে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন জনস‍ংখ‍্যার দিকে দিয়ে ফিনল্যান্ডের অবস্থান তৃতীয়। ফিনল্যান্ডের দক্ষিণদিকের এস্পো, ভান্তা এবং হেলসিংকি, এই তিনটি শহর হচ্ছে সবচেয়ে বড় এবং এদেরকে একসংগে বৃহত্তর হেলসিংকি বলা হয়ে থাকে। মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাস করে এই বৃহত্তর হেলসিংকিতে। এরপরে জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক দিয়ে উল্লেখ করার মত শহর হচ্ছে তামপেরে, ওউলু এবং ইভাস্কলা, এই শহর গুলোর জনসংখ‍্যা এক লক্ষের উপর। ফিনল্যান্ডের মোট জনসংখ‍্যার ৩.৪% হল বিদেশি নাগরিক, যেটি ইউরোপের দেশগুলের মধ্যে সবচেয়ে কম। বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে বেশির ভাগই হল রাশিয়ান, সুইডিশ এবং ইস্তোনিয়ান।

ফিনল্যান্ডে সামাজিক নিরাপত্তা ও শিক্ষাকে উচ্চতর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষা একটি জন্মগত অধিকার ও রাষ্ট্রকর্তৃক প্রদত্ত সেবা হিসেবে বিবেচিত হয় ফিনল্যান্ডে। এখানে ৭ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা বিনামূল্যে শিক্ষা লাভ করে। প্রাথমিক স্কুলে ৬ বছর এবং মাধ্যমিক স্কুলে ৩ বছর লেখাপড়া করা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী ফিনল্যান্ডের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিশ্বের শিক্ষাছকের শীর্ষে অবস্থান করছে। গবেষণার ফলাফল ভাষা, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়াবলীর ভিত্তিতে হয়েছে।

উচ্চশিক্ষার জন্য ফিনল্যান্ডে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়, অসংখ্য কলেজ এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ স্কুল রয়েছে। ইউরোপের যে দেশেগুলোতে টিউশন ফি ছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যায় তাদের একটি ফিনল্যান্ড। ফলে এদেশে প্রতি বছর এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। তবে তাদের বেশিরভাগই স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভর্তি হয়। এদেশে বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার বিশেষ সুযোগ রয়েছে। এখানে অভিবাসীদের ছেলেমেয়েদের জন্য তাদের নিজেদের ভাষা শিক্ষার সুযোগও রয়েছে, রয়েছে সাংস্কৃতিক বিকাশের সুযোগও।

সুখী দেশ ফিনল্যান্ড ঐশ্বর্যময় প্রকৃতি, নাগরিক অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক বহুমাত্রিকতার পাশাপাশি শিক্ষা ও সুসভ্যতার জন্য প্রসিদ্ধ। হানাহানি ও অসাম্যে সংক্ষুব্ধ আর অস্থির পৃথিবীতে এক 'স্বপ্নের দেশ' রূপে উজ্জ্বলতর অবস্থান লাভ করেছে ফিনল্যান্ড।

   

বৃষ্টি নাকি ধান, কী প্রার্থনায় দেশ?



কবির য়াহমদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
বৃষ্টি নাকি ধান, কী প্রার্থনায় দেশ?

বৃষ্টি নাকি ধান, কী প্রার্থনায় দেশ?

  • Font increase
  • Font Decrease

‘পথের কেনারে পাতা দোলাইয়া করে সদা সঙ্কেত/ সবুজে হদুদে সোহাগ ঢুলায়ে আমার ধানের ক্ষেত/ ছড়ায় ছড়ায় জড়াজড়ি করি বাতাসে ঢলিয়া পড়ে/ ঝাঁকে আর ঝাঁকে টিয়ে পাখিগুলে শুয়েছে মাঠের পরে/ কৃষাণ কনের বিয়ে হবে, তার হলদি কোটার শাড়ী/ হলুদে ছোপায় হেমন্ত রোজ কটি রোদ রেখা নাড়ি/ কলমী লতার গহনা তাহার গড়ার প্রতীক্ষায়/ ভিনদেশী বর আসা যাওয়া করে প্রভাত সাঁঝের নায়।’ পল্লীকবি জসীম উদদীনের ‘ধান ক্ষেত’ কবিতার অপূর্ব চিত্রায়ন কৃষকের শ্রম-ঘাম আর প্রকৃতির তরফে। কাব্যে-পঙক্তির বিমূর্ত চিত্র মূর্ত হয়েছে বিস্তীর্ণ মাঠে। কিষান-কিষানির বুক ভরা আশার সার্থক রূপায়ন হতে চলেছে এ-মৌসুমে।

এখন ভরা বৈশাখ। এ-সময়টা বোরো ধানের। বোরো ধান দেশের খাদ্যচাহিদার অন্তত ৫৫ শতাংশ মিটিয়ে থাকে। দেশের হাওরভুক্ত ৭টি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওরে এই বোরোর চাষ বেশি হয়ে থাকে। এই ধান অতিবৃষ্টি, বন্যা ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে দেশের খাদ্যচাহিদায় ঘাটতি পড়ে না। তাই এই ধান চাষ থেকে শুরু করে ঘরে ফসল তোলা পর্যন্ত অনুকূল আবহাওয়া, বিশেষ করে রোদের উপস্থিতি অতি জরুরি। বর্তমানে সে পরিস্থিতি চলছে।

সিলেট অঞ্চলের মানুষ বলে এই অঞ্চলের মানুষের চাওয়া-পাওয়া, হতাশা-উচ্চাশার সঙ্গে আমি পরিচিত। তাদেরকে উদাহরণ হিসেবে টানছি। তাদের সঙ্গে থেকে জেনেছি, বোরো মৌসুমে নির্বিঘ্নে ঘরে ফসল তোলা কতটা জরুরি। গবাদি পশুর খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি খড় সংরক্ষণও। তীব্র রোদ এখানে সমস্যার নয়, এটা বরং আনন্দের। কারণ এই রোদ গা পোড়ালেও বুক ভরা আশার সার্থক বাস্তবায়নের পথ দেখায়। দেশের যে খাদ্যচাহিদা, যে খাদ্যনিরাপত্তা সেটা এই বোরো ধানের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই চাষ থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে দরকার হয় প্রকৃতির সহায়তা। এবার এখন পর্যন্ত সে সহায়তা আছে, যদিও এ মাসের শুরুর দিকে একবার ঝড়বৃষ্টিসহ শঙ্কার কালমেঘ হাতছানি দিয়েছিল। সেটা আপাতত দূরে সরেছে।

কিষান-কিষানির দরকার এখন তীব্র রোদ। তারা এটা পাচ্ছে। দেশে তীব্র তাপদাহ। এখানেও এর ব্যতিক্রম নয়। তবু তারা এই রোদের প্রার্থনায় রয়েছে। বৃষ্টি এখন তাদের কাছে দুর্যোগ-সম। কারণ এই বৃষ্টি এবং অতি-বৃষ্টিসৃষ্ট বন্যা তাদের স্বপ্নসাধ গুঁড়িয়ে ভাসিয়ে নিতে পারে সব। ২০১৭ সালের দুঃসহ স্মৃতি এখনও বিস্মৃত হয়নি সুনামগঞ্জের কৃষকেরা। সে বছর সুনামগঞ্জের ছোট-বড় ১৩৭ হাওরের ফসল বন্যায় এবার ভেসে গিয়েছিল। গতবার কৃষক নির্বিঘ্নে ফসল ঘরে তুলেছেন। এরআগের বছর অন্তত ২০টি হাওরের ফসলহানি হয়েছিল বন্যায়।

প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল ক্ষেতের ফসল, দেশের খাদ্যনিরাপত্তা। এখানে প্রচণ্ড তাপদাহ তাই প্রভাব ফেলে সামান্যই। রোদে পুড়ে, প্রয়োজনে ছাতা মাথায় দিয়ে কিষান-কিষানিরা স্বপ্ন তোলেন ঘরে। তারা বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা না করে বরং রোদ আরও কিছুদিন অব্যাহত রাখার প্রার্থনায় বসেন। কৃষকেরা পরিমিত বৃষ্টি চায় চৈত্র মাসে, বৈশাখে চায় খাঁ খাঁ রোদ্দুর, কারণ এই রোদে সোনালী ধান ঘরে ওঠে। লোককথার প্রচলিত, ধান তোলার মৌসুমে ঝড়বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে ফসল রক্ষা করার জন্য হাওরবাসীরা তন্ত্রসাধক বা ‘হিরাল’ ও ‘হিরালি’-দের আমন্ত্রণ জানাতেন। তারা এসে মন্ত্রপাঠ করে ঝড়বৃষ্টি থামানোর জন্য চেষ্টা করতেন। লোকায়ত বিশ্বাস থেকে আগেকার মানুষজন এমন আচার পালন করতেন। এসবে সত্যি কাজ হতো কিনা সেটা বিতর্ক এবং ব্যক্তি-বিশ্বাসসাপেক্ষ, তবে এই হিরাল-হিরালিদের আমন্ত্রণ বলে বৈশাখে একদম বৃষ্টি চায় না হাওরের কৃষক।

হাওরপারের মানুষেরা যখন রোদ অব্যাহত থাকার প্রার্থনায়, তখন দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে পুড়তে থাকা মানুষেরা আছেন বৃষ্টিপ্রার্থনায়। দেশের জায়গায়-জায়গায় বৃষ্টি প্রার্থনায় ইস্তিস্কার নামাজ পড়া হচ্ছে, গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ আসছে এর। কোথাও প্রবল বিশ্বাসে কেউ কেউ ‘ব্যাঙের বিয়ে’ দিচ্ছেন, এটাও বৃষ্টি প্রার্থনায়। সামাজিক মাধ্যমে গরমের তীব্রতার আঁচ মিলছে, বৃষ্টি নাকি ধান—কোনটা জরুরি এই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ। কেবল তাই নয়, বাংলাদেশের প্রচণ্ড তাপদাহ নিয়ে বিশ্বমিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে দেশের মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। গণমাধ্যমগুলো বলছে, প্রচণ্ড গরমের কারণে টানা দ্বিতীয় বছর বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের ঘোষণাও এসেছে। বৃষ্টি-প্রার্থনায় নামাজের আয়োজনের কথাও এসেছে বিশ্বমিডিয়ায়।

একদিকে প্রচণ্ড তাপদাহ, অন্যদিকে খাদ্যনিরাপত্তার প্রধান উপকরণ ধান ঘরে তোলার অনিশ্চয়তা—তবু অনেকের কাছে সাময়িক স্বস্তিই যেন মুখ্য। অথচ আর দিন দশেক বেরো আবাদ-এলাকায় বৃষ্টি না নামলে ধানগুলো ঘরে ওঠত কৃষকের। নিশ্চিত হতো খাদ্যনিরাপত্তার।

প্রকৃতির ওপর আমাদের হাত নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই; তবু মনে করি আমাদের আকাঙ্ক্ষার প্রকাশে কৃষকদের গুরুত্ব থাকা উচিত। আমাদের চাওয়ায় হয়তো প্রকৃতির রীতি বদলাবে না, তুমুল রোদ্দুরের দেশে হঠাৎ বৃষ্টি নামবে না, তবে ধান ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত রোদ্দুর কামনায় কৃষক স্বস্তি পাবে; ভাবতে পারবে এই দেশ আছে তাদের সঙ্গে।

কৃষকের জয় হোক। অন্তত বোরো-এলাকায় প্রকৃতি কৃষকের সঙ্গে থাকুক।

;

৫০ বছর আগে মহাকাশ থেকে তোলা পৃথিবীর ছবি আজও শ্রেষ্ঠ



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সালটা ১৯৬৮। বিশ্বব্যাপী মানুষ মেতে উঠেছিল বড়দিনের আনন্দে। তখনো জানতো না, বড়দিন উপলক্ষে তারা একটি বিশেষ উপহার পেতে চলেছে। পৃথিবী থেকে আমরা হরহামেশাই চাঁদ দেখি। অমাবস্যা-পূর্ণিমা, এমনকি পক্ষের মাঝামাঝি সময়ের বদৌলতে নানা দৃষ্টিকোণে নানা আকারের চাঁদ দেখতে পাই। তবে চাঁদ থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন? এরকমটা হয়তো অনেকেই ভাবেন।

নাসার মহাকাশচারীরা অ্যাপোলো ৪ এ করে তখন চাঁদের চারপাশে টহল দিচ্ছে। সেখান থেকে তারা চাঁদের বাসকারীদের দৃষ্টিতে পৃথিবী কেমন হবে তার এক নমুনা জোগাড় করেন। ক্রিসমাসের কিছুদিন আগে ক্রুরা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার সময় ব্যারেন লুনার হরিজোন থেকে একটি ছবি তোলে। সেখানে সুদূর মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একটি সুন্দর দৃশ্য ধারণ করা হয়। চমৎকার সেই রঙিন ছবিটি সবকিছু পরিবর্তন করতে চলেছিল।

ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন নভোচারী বিল অ্যান্ডার্স এবং জিম লাভেল। ছবিটি ধারণ করার পর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান। অর্ধ শতাব্দী পার হয়ে যাওয়ার পরও এটিকে প্রকৃতির সবচেয়ে আইকনিক ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এটিই মহাকাশ থেকে তোলা প্রথম রঙিন এবং উচ্চ রেজুলেশনের ছবি।

১৯৭০ সালে পরিবেশ সচেতনতা এবং এই ব্যাপারে সক্রিয়তা বাড়ানোর উদ্দেশে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পৃথিবী দিবস প্রচারিত হওয়ার কারণে ছবিটিকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাইকেল প্রিচার্ড ছবিটিকে নিখুঁত দাবি করেন। তিনি বলেন, এই ছবিটি পৃথিবীর এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছিল, যা আগে কোনো ছবি করতে পারেনি। প্রকাণ্ড মহাবিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব কতটা ক্ষুদ্র গ্রহ, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ছবিটি।

১৯৬০ সালের পরই পৃথিবী নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করে। ষাটের দশকের শেষভাগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মানুষ অনুধাবন করে পৃথিবীকে আজীবন একইভাবে ব্যবহার করা যাবে না। গ্রহের প্রতি আমাদের আরও অনুরাগী হতে হবে। সেই উদ্দেশে ১৯৬৯, ‘৭০ ও ‘৭১ সালে ‘ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ’, মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি’ এবং ‘গ্রিনপিস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ছবিটি প্রকাশের ১৮ মাস পর ২০ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক পৃথিবী রক্ষার আন্দোলনে রাস্তায় নামে।

পৃথিবী রক্ষা করার জন্য মানুষদের উৎসাহিত করার বেলায় ছবিটি অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। এখনো অবদি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পাঠানো ছবিগুলোর মধ্যে ১৯৬৮ সালে বড়দিনের আগে তোলা সেই ছবিটিকে শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করা হয়।

;

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;