উপকূল সেবায় একদল নিরবিচ্ছিন্ন তরুণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নাম সাইফুল ইসলাম সায়েম। বাসা রাঙ্গাবালী উপজেলা সদরের হাইস্কুলের পিছন দিকের ভাড়াটিয়া। বয়স ২০ এর কোঠায়। বাবা ক্ষুদ্র কাঠ ব্যবসায়ী। মা, বড় বোন ও ছোট ভাই সহ মোট পাঁচজনের অভাবের সংসার তাদের। বড় বোন উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে জেলা শহরের পড়াশোনা করলেও জোটেনি চাকরি, বেকার জীবন কাটাচ্ছেন। ছোট ভাই হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং সাইফুল ইসলাম সায়েম, তিনি পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি বিভাগে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। সবমিলিয়ে বাবা-মা-ভাই-বোনসহ পাঁচজনের সংসার কোনোরকম চলে যাচ্ছে।

সাইফুল ইসলাম সায়েমের ইচ্ছা ও স্বপ্ন ছিল, দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করার। এ কারনেই তিনি স্কুলজীবন থেকেই স্কাউটিং, জাগ্রত তারুণ্য, ধ্রুবতারা ইয়ূথ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, বিডি ক্লিন সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং সেবামূলক কাজ শুরু করেন। কিন্তু এসব সংগঠনের মাধ্যমে তার প্রকৃত স্বপ্ন ও ইচ্ছা পূরণ না হওয়ায়।

নিজেই সংগঠন তৈরির উদ্যোগ নেন, এলাকায় যুব গোষ্ঠীকে নিয়ে। এরই ধারাবাহিকতার প্রয়াসে সৃষ্টির অগ্রযাত্রায় রূপ নেয় একটি স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন। একদল নিরবিচ্ছিন্ন যুবক একই ছালাতলে এনে কল্যাণধর্মী কার্য বাস্তবায়ন ও মানবতার সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগের উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ এই প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হয়ে এবং সংগঠনের প্রাণশক্তি হলো অদম্য, প্রাণচঞ্চল যুবশক্তি এই বিষয়টিকে চিহ্নিত করে সামনে রেখে কিছু সংখ্যক যুবগোষ্ঠী সাংগঠনিক প্রঙ্ঘা সমন্বিত করে ও সমাজকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে এলাকার সর্বস্তরের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে রাষ্ট্রীয় বিধি-বিধানের সাথে সংগতি রেখে ২০২০ সালের ২৫ শে অক্টোবর উপকূল সেবায় ইতিবাচক পথে মানবতার সাথে ‘রাঙ্গাবালীবাসী’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ‘রাঙ্গাবালীবাসী’ নামে খুলে ফেলেন একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন।

লেখাপড়ার পাশাপাশি এই সংগঠনের মাধ্যমে জনগণের সেবা দিতে সর্বদা নিয়োজিত থাকেন সায়েম। এভাবে দেশের দুর্ভোগ ও ক্রান্তিলগ্নে ‘রাঙ্গাবালীবাসী’ স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করে একের পর এক রাঙ্গাবালীর জনসাধারণের কাছে সুপরিচিত এবং প্রিয়মুখ হয়ে উঠেছে সর্বমহলে এই শিক্ষিত বেকার তরুণ।

প্রাণঘাতী করোনা মহামারীতে মানুষ যখন দিশেহারা। আপন হয়ে যাচ্ছে পর, চেনা মানুষ যখন হচ্ছে অচেনা এবং প্রিয় মানুষটি হয়ে যাচ্ছে অপ্রিয়, ঠিক তখন ও অন্যান্য দেশপ্রেমিকদের মত রাঙ্গাবালীর অসহায় ও দরিদ্র মানুষের কথা ভেবে সমাজের বিত্তশালী লোকদের কাছে হাত পেতে আর্থিক অনুদান এনে পাশে দাঁড়িয়েছেন ‘রাঙ্গাবালীবাসী’ স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন।

সব ডর-ভয়কে পদদলিত করে এগিয়ে এসেছেন আর্ত মানবতার সেবায়। করোনা মহামারী মোকাবেলায় জীবনের ঝুঁকি থাকলেও নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নেতৃত্বে শুরু করেছেন মানুষের কল্যাণে কাজ। মাইকিং করে জনসাধারণের মাঝে সর্তকতা ও সচেতনতা সৃষ্টি করা, অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নেতৃত্বে ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া।

এমনকি মাহে রমজানে অসহায় ও দরিদ্র রোজাদারদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা ছিল তাদের প্রধান কাজ। আর্ত মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে নিজেকে গর্বিত মনে করছে পটুয়াখালীর ‘রাঙ্গাবালীবাসী’ স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের উদীয়মান তরুণরা। এই কর্মযজ্ঞের মধ্যে দিয়ে রাঙ্গাবালীর অসহায় ও দরিদ্র মানুষ স্বস্তি ও শান্তি পেয়েছে এবং মেটাতে পেরেছে তাদের তারণা।

২০২০ সালের ৮ মার্চ যখন বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় এবং করোনার প্রদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর ঠিক তখন থেকেই রাঙ্গাবালীর স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি ’রাঙ্গাবালীবাসী’ স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন মানুষের কল্যাণে। ‘করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আতঙ্ক নয়, সচেতনতা জরুরি’ — এই উপলব্ধি সব মানুষের কাছে পৌছে দিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নেতৃত্বে রাস্তায় নেমে পড়েন হ্যান্ডমাইক নিয়ে উপজেলা সদরের অলিগলিতে।

দিনরাত মানুষকে সচেতন ও সতর্ক থাকার প্রচারণা করেও ক্ষান্ত হননি ‘রাঙ্গাবালীবাসী’ স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের তরুণরা। শুরু করেন পাড়া-মহল্লায় জীবাণুনাশক স্প্রে ও মাস্ক বিতরন কর্মসূচী। এভাবেই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন এই সংগঠনটি। ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে তিনি উপকূল সেবায় ইতিবাচক পথে কাজ করেছেন দিবারাত্র।

স্থানীয়রা জনান, করোনা ভাইরাস মোকাবেলা প্রতিরোধসহ বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে ‘রাঙ্গাবালীবাসী’ যেসব ভূমিকা রাখছেন। সেগুলো আমাদের জন্য সমাজের অনুপ্রেরণা হয়ে আছে। ‘রাঙ্গাবালীবাসী’ সংগঠনের মত আমরা যদি সবাই এই ভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করি তাহলে দেশটা সত্যিই সোনার বাংলায় পরিণত হবে। আমার রাঙ্গাবালীবাসীর প্রতিষ্ঠাতা সায়েমকে সেলুট জানাই।

রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মু. সাইদুজ্জামান মামুন খান বলেন, রাঙ্গাবালীবাসী সংগঠনটি বিভিন্ন সময়ে সমাজের জন্য ইতিবাচক আয়োজন করে থাকে যা আমাদের খুব ভালো লাগে। চলমান করোনা মহামারি, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য। তারা সমাজের জন্য কাজ করছে। তাদের প্রতি আমার ভালবাসা থাকবে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, রাঙ্গাবালীবাসী সংগঠনটি আমার কাছে খুব পরিচিত। কারণ তারা উপকূল সেবায় ইতিবাচক পথে কাজ করেছে। তাদের পাশে রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসন সবসময় আছে এবং থাকবে। জয় হোক রাঙ্গাবালীবাসীর।

রাঙ্গাবালীবাসী স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল ইসলাম সায়েম বলেন, মানুষের জন্য কিছু করাটাই আমাকে আনন্দ দেয়, মনের তৃষ্ণা মিটায়। আর আমি যে কাজগুলো করছি সেগুলো আমার একার পক্ষে সম্ভব হয়নি, আমার বন্ধু-বান্ধব, স্থানীয় বিত্তবান, দানবীর ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা ও ভালোবাসার ফলে সম্ভব হয়েছে। আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে যতদিন বাঁচিয়ে রেখেছে ততোদিন মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদিত রাখবো, এটাই আমার ইচ্ছা।

   

৫০ বছর আগে মহাকাশ থেকে তোলা পৃথিবীর ছবি আজও শ্রেষ্ঠ



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সালটা ১৯৬৮। বিশ্বব্যাপী মানুষ মেতে উঠেছিল বড়দিনের আনন্দে। তখনো জানতো না, বড়দিন উপলক্ষে তারা একটি বিশেষ উপহার পেতে চলেছে। পৃথিবী থেকে আমরা হরহামেশাই চাঁদ দেখি। অমাবস্যা-পূর্ণিমা, এমনকি পক্ষের মাঝামাঝি সময়ের বদৌলতে নানা দৃষ্টিকোণে নানা আকারের চাঁদ দেখতে পাই। তবে চাঁদ থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন? এরকমটা হয়তো অনেকেই ভাবেন।

নাসার মহাকাশচারীরা অ্যাপোলো ৪ এ করে তখন চাঁদের চারপাশে টহল দিচ্ছে। সেখান থেকে তারা চাঁদের বাসকারীদের দৃষ্টিতে পৃথিবী কেমন হবে তার এক নমুনা জোগাড় করেন। ক্রিসমাসের কিছুদিন আগে ক্রুরা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার সময় ব্যারেন লুনার হরিজোন থেকে একটি ছবি তোলে। সেখানে সুদূর মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একটি সুন্দর দৃশ্য ধারণ করা হয়। চমৎকার সেই রঙিন ছবিটি সবকিছু পরিবর্তন করতে চলেছিল।

ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন নভোচারী বিল অ্যান্ডার্স এবং জিম লাভেল। ছবিটি ধারণ করার পর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান। অর্ধ শতাব্দী পার হয়ে যাওয়ার পরও এটিকে প্রকৃতির সবচেয়ে আইকনিক ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এটিই মহাকাশ থেকে তোলা প্রথম রঙিন এবং উচ্চ রেজুলেশনের ছবি।

১৯৭০ সালে পরিবেশ সচেতনতা এবং এই ব্যাপারে সক্রিয়তা বাড়ানোর উদ্দেশে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পৃথিবী দিবস প্রচারিত হওয়ার কারণে ছবিটিকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাইকেল প্রিচার্ড ছবিটিকে নিখুঁত দাবি করেন। তিনি বলেন, এই ছবিটি পৃথিবীর এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছিল, যা আগে কোনো ছবি করতে পারেনি। প্রকাণ্ড মহাবিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব কতটা ক্ষুদ্র গ্রহ, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ছবিটি।

১৯৬০ সালের পরই পৃথিবী নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করে। ষাটের দশকের শেষভাগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মানুষ অনুধাবন করে পৃথিবীকে আজীবন একইভাবে ব্যবহার করা যাবে না। গ্রহের প্রতি আমাদের আরও অনুরাগী হতে হবে। সেই উদ্দেশে ১৯৬৯, ‘৭০ ও ‘৭১ সালে ‘ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ’, মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি’ এবং ‘গ্রিনপিস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ছবিটি প্রকাশের ১৮ মাস পর ২০ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক পৃথিবী রক্ষার আন্দোলনে রাস্তায় নামে।

পৃথিবী রক্ষা করার জন্য মানুষদের উৎসাহিত করার বেলায় ছবিটি অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। এখনো অবদি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পাঠানো ছবিগুলোর মধ্যে ১৯৬৮ সালে বড়দিনের আগে তোলা সেই ছবিটিকে শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করা হয়।

;

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;