করোনা ও মোনালিসা হাসি!



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
মোনালিসার হাসির মতোই দুর্বোধ্য করোনা। সংগৃহীত

মোনালিসার হাসির মতোই দুর্বোধ্য করোনা। সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মোটের উপর স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল সবকিছু। খুলে গিয়েছিল আকাশপথ, পর্যটন ক্ষেত্র, জাদুঘরের দরজা। মানুষ আবার অশেষ আনন্দে করোনাকালের ঘরবন্দি পরিস্থিতি পেরিয়ে বের হয়ে এসেছিল উন্মুক্ত চরাচরে।

মিউজিয়ামে আবদ্ধ বিশ্বসভ্যতা এবং শিল্প ও সংস্কৃতির উজ্জ্বল নিদর্শনগুলোর সামনে আবার এসে দাঁড়িয়েছিল মানুষ। সেলফি তুলেছিল বিশ্বখ্যাত মোনালিসার চিরায়ত হাসিতে মাখা ছবির সামনে। ফিরে আসা সেই প্রায়-স্বাভাবিক পরিস্থিতি পুনরায় অপসারিত হওয়ার পথে আতঙ্ক ছড়ানো বৈশ্বিক মহামারি করোনার চতুর্থ আঘাতে। করোনায় আপাতত মুছে যাবে মোনালিসা হাসি। আবার বন্ধ হবে জনপদ, পর্যটনকেন্দ্র, জাদুঘর, প্রদর্শনকক্ষ।

সবারই জানা আছে যে, কোভিড-১৯-পরবর্তী পৃথিবীর সঙ্গে আগের পৃথিবীর মিল থাকবে না। স্বেচ্ছা-নিভৃতিতে ছটফট করতে করতে ‘আবার সব নর্মাল’-এর জন্য দিন গোনা আজকের মানুষের পক্ষে সেই সত্যটা হজম করা বেশ কঠিন যে, আবার ধেয়ে আসছে করোনা।

আবার আসছে দমবন্ধ করা শূন্যতার মধ্যে এলোমেলো কিছু বইপত্র ছড়ানো নিঃসঙ্গ, বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন, যেখানে বইয়ের কয়েকটি পৃষ্ঠা উড়ছে। মার্কাস অরেলিয়াস, এপিক্টেটাস, স্পিনোজা, পাসকাল মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন ইউরোপীয় জীবনের পরিসরে।

হয়তো বিশেষ করে মানুষকে বিদ্ধ করছে পাসকালের সেই অমোঘ প্রশ্ন: ‘তবে এখন আমি কী করব? কী করব আমি?’ প্রাচীন প্রজ্ঞার দিকেও ধাবিত হচ্ছে কোনও কোনও মানুষ। কিন্তু মন বসছে না মহামারি ও তাণ্ডবে। ইউরোপের উপান্তে লড়ছে রুশ-ইউক্রেন আর অকাতরে মরছে মানুষ। চারপাশে শক্তির কুৎসিত রণহুঙ্কার সঙ্কুল পরিস্থিতিকে করে তুলেছে আরও বিষময়।

প্রবল ভয়কে শমিত করতে চারপাশের বিরাট ও ভয়াল নৈঃশব্দ্যকে আঁকড়ে ধরেছে অসহায় মানুষ। অতলান্তিকের ধারে সুদূর ফরাসি শহর লা রশেল থেকে কিংবা ভার্সাই, মিউনিখ, প্রাগ, হেগ থেকে জানানো হচ্ছে, সেদেশের মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে বসেও আশ্চর্য বই পড়ছে মানুষ, শিল্পের জন্য আকুতি জানাচ্ছে। এক জাদু-লণ্ঠন হয়ে শিল্প-নন্দনের অপরিসীম জগৎ ভুলিয়ে দিচ্ছে ভয়, আতঙ্ক, শূন্যতাবোধ ও একাকীত্ব।

জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে প্রকটিত হচ্ছে এই সত্য যে, করোনা যেন কোনওভাবেই আমাদের পিছু ছাড়তে চাইছে না। এই ভাইরাস কোনও না কোনওভাবে আমাদের পিছু নিয়েই রেখেছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে এখন আমাদের কাছে নতুন বিপদের কারণ ওমিক্রন বিএ.৪ ও বিএ.৫। এই দুই ভাইরাস ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে ইউরোপ ছাড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়াতেও। আর এই দুটি ভাইরাস যে অত্যন্ত সংক্রামক এই নিয়েও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে হয়ে যেতে হবে সতর্ক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান Tedros Adhanom Ghebreyesus-ও এই সাবভ্যারিয়েন্ট নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। তাঁর কথায়, আমরা দেখতে পারছি না যে এই ভাইরাস কী ভাবে নিজের শাখা প্রশাখা বাড়াচ্ছে। মিউটেশনের বিষয়টিও অনেকসময়ই বোঝা যাচ্ছে না। তাই আগামীদিনে কী হবে বলা মুশকিল।

এই অবস্থায় প্রতিটি মানুষকে যে সতর্ক হয়ে যেতে হবে, এই বিষয়টি কিন্তু একেবারে নিশ্চিত। প্রফেসর টিম স্পেকটর, জোয়ে কোভিড অ্যাপের প্রধান এই প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের প্রতিটি মানুষকেই কোভিডের এই নতুন দুই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত অনেকের আবার গন্ধ চলে যাচ্ছে।

আসলে ডেল্টা ভ্যারিরিয়েন্টের সময় এই লক্ষণ বেশি দেখা গিয়েছিল। তবে এখন সময়টা বদলে গিয়েছে। এক্ষেত্রে ডেল্টার সময় দাঁড়িয়ে অন্যান্য সমস্যার তুলনায় বেশি দেখা দিয়েছিল এই লক্ষণ। কিন্তু এবার ফের দেখা মিলছে এই উপসর্গের। এর নাম অ্যানসোমনিয়া। এই জটিলতা থাকলে মানুষ কিছুটা সময় বা অনেকটা সময়ের জন্য গন্ধ পান না। তার থেকেই সমস্যা দেখা দেয়।

এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ৪ জুন (শনিবার) থেকে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) পর্যন্ত বাংলাদেশব্যাপী টিকার বুস্টার ডোজ সপ্তাহ ঘোষণা করেছে সরকার। এই সময়ে ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব সবাই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পর টিকার তৃতীয় ডোজ নেওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মঙ্গলবার (৩১ মে) প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন রোগি শনাক্ত হয়েছেন ২৬ জন। একই সময়ে করোনায় মৃত্যু শূন্য। দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯ হাজার ১৩১ জন। নতুন শনাক্ত নিয়ে সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৯ জন এবং এখন পর্যন্ত ১৯ লাখ ২ হাজার ৭৬০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

পরিসংখ্যানের দিক থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আপাতত উদ্বেগজনক না হলেও বিশ্বপরিস্থিতির আলোকে সতর্কতা অবশ্যম্ভাবী। মোনালিসার হাসির মতোই দুর্বোধ্য করোনাও কখন আনন্দ, কখন বিষাদ, কখন বিদ্রূপমাখা তীর হানবে আচমকা, বলা অসম্ভব। বিশ্বব্যাপীই বিজ্ঞানিরা করোনার রূপ-রূপান্তরের পেছনে ছুটতে ছুটতে হয়রান। ফলে সুরক্ষার খাতিরে স্বাস্থ্যগত বিধিনিয়ম পালন, সামাজিক দূরত্ব বজায়, মাস্ক পরিধান, স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং অবশ্যই টিকাকরণ জারি রাখতেই হবে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে। 

   

চোখের ড্রপ ভেবে সুপারগ্লু দিয়ে ফেলছে!



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
জেনিফার এভারসোল। ছবি: সংগৃহীত

জেনিফার এভারসোল। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্টারনেট হল একটি অদ্ভুত জায়গা, যেখানে তথ্য অবাধে প্রবাহিত হয়। এর মাধ্যমে বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষকে সংযুক্ত করা যায় মুহুর্তের মধ্যেই।। তবুও, এই বিশাল বিস্তৃতির মধ্যে, আপনি অদ্ভুত এবং অপ্রত্যাশিত বিষয়বস্তু পাবেন। বিশেষ করে কিছু ভিডিও আপনাকে অবাক করে দিবে! এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) ভাইরাল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার এভারসোল নামে এক নারী চোখের ড্রপ ভেবে ভুল করে দিয়ে ফেলছে সুপারগ্লু। ভিডিওটি শেয়ারের পর রাতারাতী ভাইরাল হয়ে যায়। বেশ কিছু গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গনমাধ্যম এনডিটিভি। 

পিপল ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি চলতি বছরের জুন মাসে ঘটেছে। ক্লিপটি প্রথমে এক্স-এ ভাইরাল হওয়ার পর অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমেও ভাইরাল হয়।

জেনিফার এভারসোল জানান, আমার চোখের ড্রপগুলো সুপারগ্লুর পাশেই ছিল এবং এগুলোর আকার একই ছিল। আমি মনোযোগ না দেয়াতে চোখের ড্রপ ভেবে ভুল করে সুপারগ্লু দিয়ে ফেলি। 

মিসেস এভারসোল আরও জানান, সুপারগ্লু দেওয়ার পর আমি চোখে গরম অনুভব করি। তারপর তীব্র জ্বালাপোড়া শুরু করে। এতে আমার চোখ বন্ধ হয়ে যায়।

এ ঘটনার পর দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে হাসপাতালে পৌঁছাই। তারপর একজন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করার পর এখন চোখ খুলতে পারছি। 

ভিডিওটি টিকটকে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ এটা দেখেছে। 

;

আন্দিজ পর্বতমালার আলু বাঁচানোর চেষ্টা গবেষকদের



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে আলু অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর আন্দিজ পর্বতমালা আলু উৎপাদন বেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পরিবর্তিত আবহাওয়ায় আলু চাষে ঝুঁকি মোকাবিলা করে কিভাবে এ জাতের আলু চাষ করা যায় তা নিয়ে গবেষণা করছে আলু বীজ গবেষকরা।

স্থানীয় স্টার্চ জাতীয় খাদ্য সমূহের প্রধান উৎস হলো এ পর্বতমালার আলু। পেরুর একটি অলাভজনক সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব আন্দাজের নির্বাহী সহকারী ট্যামি স্টেনার বলেছেন, আন্দিজ পর্বত মালার আলু অনেকটা গোলাপের মতো। দেখতেও অনেক সুন্দর।

তিনি বলেন, মায়েরা যখন ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে যায় তখন তাকে এ আলুর খোসা ছাড়িয়ে দিতে বলেন। এ সময় খুব যত্নসহকারে আলুর খোসা ছাড়াতে হয় যাতে তার আকৃতি নষ্ট না হয়। 

সমুদ্রপৃষ্ঠের ৩২০০ মিটার থেকে৫০০০ মিটার উপরে আন্দিজ পর্বতমালায় ১৩০০ টিরও বেশি জাতের আলু জন্মায়। এগুলো ফ্যাকাশে নয় যা ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুপারমার্কেট গুলোতে পাওয়া যায়। এ পর্বতের আলু সাধারণত বেগুনি, গোলাপী, লাল এবং কালো, সেইসাথে সাদা এবং হলুদ হয়ে থাকে।

এ আলু প্রক্রিয়াজাত করতে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। কিছু আছে ফ্রিজে শুকিয়ে নিতে হয়। কিছু যা শুধুমাত্র পুরো রান্না করা যায়, যেগুলি রান্নার জন্য খোসা ছাড়িয়ে কাটা যায়।

স্বতন্ত্র আলুর জাতগুলোর প্রায়শই বর্ণনামূলক নাম থাকে যা তাদের আকৃতি বর্ণনা করে। জাতগুলোর মধ্যে অন্যতম হল পুমার পাঞ্জা, লামার নাক।

পেরুর শহর পিসাকের কাছে ছয়টি আদিবাসী সম্প্রদায় ২০০২ সালে আলু পার্ক গড়ে তোলে। এই অঞ্চলে জন্মানো আলুর জিনগত বৈচিত্র্য এবং সেইসাথে তাদের চাষ করা লোকেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

অন্যান্য স্থানীয় আন্দিয়ান ফসল ভুট্টা থেকে কুইনোয়াও এখানে জন্মায়। পার্কে ব্যবহৃত কৃষি পদ্ধতিগুলো হাজার বছর ধরে বিকশিত হয়েছে। কৃষকরা প্রায় ১০,০০০ হেক্টর (৩৮ বর্গ মাইল) জমিতে সারা বছরই একাধিকবার ফসল উৎপন্ন হয়।

অনেক জাতের আলুর মধ্যে যেগুলো হারিয়ে যেতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খায়িতে নিতে পারবে স্থানীয় কৃষক ও গবেষকরা সেগুলো সংরক্ষণ করেছে।

স্টেনার বলেন, আলুগুলো প্রায় ৮ হাজার বছর আগে থেকে আন্দিজ পর্বতমালায় জন্মানো শুরু করে। তাই আলু কীভাবে চাষ করা হয় সে সম্পর্কে অনেক ইতিহাস ও পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান রয়েছে। আলু পার্কে যে কাজটি চলছে তা বিশ্বজুড়ে মূল্যবান খাদ্য গাছপালা সংরক্ষণ এবং পরিবর্তিত জলবায়ুতে খাদ্য অভিযোজনের উপায় খুঁজে বের করার একটি বড় প্রচেষ্টার অংশ।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বীজ সংরক্ষক সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। স্বালবার্ড গ্লোবাল সিড ভল্ট ২০১৭ সালে পটেটো পার্কের প্রতিনিধিসহ সারা বিশ্ব থেকে আলু বীজে সংস্করণ করে।

এই ধরনের সংস্থাগুলো মূল্যবান ফসল হারানোর বিরুদ্ধে একটি অত্যাবশ্যক রক্ষাকবচ হতে পারে। এগুলো বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কের একটি অংশে পরিণত হলে কৃষকর খাদ্যের জিনগত বৈচিত্র্য রক্ষা করতে পারবে।

ছোট চাষীরা হাজার হাজার বিরল এবং অস্বাভাবিক ফসলের জাতগুলো বাগানে, খামারে চাষ করে বীজ সংরক্ষণের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখে। প্রকৃতপক্ষে, গবেষণায় দেখা গেছে যে বৈশ্বিক বীজ বৈচিত্র্যের সিংহভাগই জিন ব্যাঙ্কের পরিবর্তে বিশ্বের ২.৫ বিলিয়ন ক্ষুদ্র ধারকদের হাতে রয়েছে।

পূর্বে কৃষিতে একটি নির্দিষ্ট ফসলের বৈচিত্র্যময় পরিসর বৃদ্ধি করা হত। যখন বিজ্ঞানীরা ভুট্টা এবং গমের মতো প্রধান ফসলের "উন্নত" জাতের প্রজনন শুরু করে তখন অনেক কৃষক এগুলোকে গ্রহণ করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া টেকের প্রযুক্তির ইতিহাসের অধ্যাপক হেলেন অ্যান কারি বলেছেন, "কৃষিতে গভীর রূপান্তর ঘটেছে, অনেক ফসল স্থানান্তর হয়েছে। এতে নতুন ফসল চাষ হচ্ছে।

বীজ ব্যাংক যা জিনব্যাঙ্ক নামেও পরিচিত। তারা কয়েক দশক ধরে বীজ এবং অন্যান্য উদ্ভিদ সামগ্রী সঞ্চয়ে রাখে। কিন্তু যেখানে জমিতে চাষের মাধ্যমে ফসল সংরক্ষণ করতে হয় সেটা করতে পারছে না তারা। প্রকৃতপক্ষে, বীজ সংরক্ষণ করতে এবং ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন ধরণের ফসলের স্টুয়ার্ড করার জন্য একজন কৃষক না হয়েও তা সংরক্ষন করা যায়।

বীজ সংরক্ষণের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অলাভজনক সংস্থা সিড সেভারস এক্সচেঞ্জ আইওয়া, তাদের জিন ব্যাঙ্কে বীজের দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণ এবং কৃষকদের সাথে তাদের বীজ ভাগ করে নিয়ে জমিতে চাষের মাধ্যমে সংরক্ষণ করছে।

আলু পার্কে কৃষকদের গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিভিন্ন আলুর জাতগুলোর জন্য গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে তারা পাহাড়ের অনেক উচ্চতায় চলে যাচ্ছে।

স্টেনার বলেছেন, "তারা ইতিমধ্যেই অনেক উঁচুতে রয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আরো উঁচুতে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ সম্প্রদায়ের একজন প্রবীণ কৃষক বলেছেন: "আপনি আকাশে আলু চাষ করতে পারবেন না। তাই, কৃষকরা পরিবর্তে কম উচ্চতায় পুনরায় আলু চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

;

৭৪ বছর ছুটিহীন কর্মজীবন!



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
মেলবা মেবানের বিদায়ী অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

মেলবা মেবানের বিদায়ী অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছুটি ছাড়া আপনি কতদিন চাকরি করতে পারবেন? এমন প্রশ্নের উত্তর একেক জনের কাছে একেক রকম হলেও, কেউই দীর্ঘ সময় ছুটিহীন চাকরি করবেন এমন উত্তর আশা করা যায় না। কিন্তু, অসুস্থ হলে যে সবারই ছুটি প্রয়োজন হবে সেটা নিশ্চিত। তবে এই কথাটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মেলবা মেবানের (৯০) জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ, এই নারী তাঁর ৭৪ বছরের কর্মজীবনে কখনও ছুটি কাটাননি আরও অবাক করার বিষয় হচ্ছে অসুস্থ হলেও সে হাসিমুখে তাঁর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে গেছেন। মার্কিন গনমাধ্যম ফক্স নিউজের বরাত দিয়ে এমন খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলি মেইল।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, মেলবা মেবানে ১৯৪৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে মেয়ার এন্ড স্মিথ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ‘লিফট গার্ল’ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে এটি অধিগ্রহণ করে নেয় ডিলার্ড। মেয়ার পরবর্তী বছরগুলোতে পুরুষদের পোশাক এবং কসমেটোলজিতে কাজ শুরু করেন ধরে তিনি এখানেই কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ ৭৪ বছর কর্মজীবনে তিনি কখনও ছুটি নেননি এমনকি অসুস্থ হলেও না। 

মেলবার সম্পর্কে টাইলারের ডিলার্ডের স্টোর ম্যানেজার জেমস সায়েঞ্জ ফক্স নিউজকে বলেন, তিনি শুধু একজন বিক্রয়কর্মী নন। তিনি একজন মা। তিনি গাইড করেন। তিনি জীবন সম্পর্কে উপদেশ দেন। তিনি বহু গুণের অধিকারী। 

তিনি আরও জানান, মেলবা তাঁর মুখে হাসি নিয়ে প্রতিদিন কাজ শুরু করতেন।

তিনি বিক্রয়ে পারদর্শী ছিলেন এবং এমন কোন গ্রাহক বা সহকর্মী ছিল না যে তাকে ভালোবাসে না। তার পরে যারা এখানে কাজ শুরু করেছে তাদের সবাইকে খুব সুন্দরভাবে প্রশিক্ষন দিয়েছেন এবং শিখিয়েছেন। 

মেবানে জানান, কর্মস্থলে কখনো বিরক্ত হতেন না তিনি। সেখানকার সবাইকে ভালোবাসতেন এবং প্রতিদিন কাজে যেতে পছন্দ করতেন। অবসর নেওয়ার পর এখন বিশ্রাম, ভ্রমণ এবং ভালো খাবার খেয়ে দিনযাপন করতে চান তিনি। 

মেবানের কয়েক দশকের কাজ এবং নিষ্ঠার প্রতি সম্মান জানাতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে তাঁকে স্টোরের দীর্ঘতম কর্মক্ষম কর্মচারী হওয়ার জন্য ‘সার্টিফিকেট অব এক্সিলেন্স’ পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

;

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল 'ব্ল্যাকি', সম্পদ ৩ কোটি ডলার



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল 'ব্ল্যাকি'। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল 'ব্ল্যাকি'। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাধারণত যখন কেউ মারা যায় তখন তাঁর সম্পদের অংশ পরিবারের সদস্যদের কাছে রেখে যান। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায়ও দান করে থাকেন। তবে, যুক্তরাজ্যের বাকিংহ্যামশায়ারের বাসিন্দা বেন রিয়া যা করেছেন তা বিরল! স্রেফ ভালোবাসা থেকেই তাঁর সম্পদের বড় একটি অংশ প্রিয় পোষা বিড়াল ‘ব্ল্যাকির’ জন্য দিয়ে যান। আর এতেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল হয়ে উঠে ‘ব্ল্যাকি’। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট থেকে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

রেকর্ড সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ১৯৮৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ব্ল্যাকির নাম উঠেছে। সেই নাম ৩৫ বছর ধরে এখনো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল হিসেবে গিনেসের পাতায় বিড়ালটির এই স্বীকৃতি অক্ষুণ্ন রয়েছে। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সবচেয়ে ধনী বিড়ালটির সম্পদের পরিমাণ আসলে কত?

গিনেস ওয়ার্ল্ড বলছে, যখন ব্ল্যাকি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়ালের স্বীকৃতি পেয়েছিল, তখন সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ডলার। বর্তমানে যা ৩ কোটি ২০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

গিনেস ওয়ার্ল্ডের তথ্য মতে, ‘ব্ল্যাকির’ মালিক বেন রিয়া প্রাচীন জিনিসপত্র ক্রয় এবং বিক্রি করে কোটি ডলারের মালিক হন। ১৯৮৮ সালে এই ধনকুব মারা গেলে সম্পদের বিশাল একটি অংশ বিড়ালের নামে দিয়ে যান। তবে বেনের পরিবার ছিল কিন্তু সে একাই বসবাস করতো।  

তার বেশিরভাগ অর্থই তিনটি দাতব্য সংস্থার মধ্যে উইল করে যান। যেই সংস্থাগুলো পোষা প্রাণীদের দেখভাল ও সুরক্ষা দিয়ে থাকে। উইলে তিনি উল্লেখ করেন, যতদিন ব্ল্যাকি বেঁচে থাকবে ততদিন প্রাণীটির দেখভাল করতে হবে। 

তবে বেনের প্রিয় ব্ল্যাকি কত দিন বেঁচে ছিল কিংবা বেনের মৃত্যুর পর ব্ল্যাকির ভাগ্যে কী জুটেছিল, সেই বিষয়ে গিনেসের ওয়েবসাইটে কিছু না জানালেও এই রেকর্ড এখন পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি সেটি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি ।

;