থাইল্যান্ডে সন্তান জন্মদানের অভিজ্ঞতা



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যটন এলাকাগুলো ছাড়লে থাই জনগোষ্ঠীর ইংরেজি ভীতি উল্লেখযোগ্য। বরং কখনো ঔপনিবেশিক শাসনে না থাকায় ইংরেজিকে গ্রহণ করতে হয়নি বলে গর্বও করেন অনেকে। ফলে গত ১০ জুন যখন আমার স্ত্রী থাই পিবিএস টিভির সাংবাদিক কানালাওয়াই ওয়াক্লেহংকে ট্রাট হাসপাতালে ভর্তি করা হলো, আমার মৌখিক যোগাযোগেরও প্রায় সব পথ বন্ধ হয়ে গেলো। কম্বোডিয়া সীমান্ত ঘেষা ট্রাট থাইল্যান্ডের একটি বিভাগীয় শহর। বাংলাদেশে আমার অভিজ্ঞতায় ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া হলেই ইংরেজিতে মৌলিক শব্দ নাগরিকরা বলতে পারেন। অথচ এখানে বিরাট সব ডিগ্রিধারী চিকিৎসক বা আইনজীবীর পেট চেপে ধরলেও অন্য ভাষা বের হবে না। এদিকে আমার শ্বশুরবাড়িতেও স্ত্রী ছাড়া কারো পক্ষে ইংরেজিতে যোগাযোগ অসম্ভব। আর আমার থাই ভাষার জ্ঞানও হাটু ভাঙ্গা। তাই আধুনিক সময়ে গুগল ট্রান্সলেটেই ভরসা করতে হয়।

ট্রাট হাসপাতালে এর আগে ৩১ মে এবং ৭ জুন এসেছিলাম স্ত্রীকে গর্ভাবস্থার পরীক্ষা করাতে। আমার স্ত্রী যখন সন্তান সম্ভবা হয় তখন আমরা বাংলাদেশে। আমার দেখামতে থাইরা পরিচ্ছন্নতার ওপর বেশ গুরুত্ব দেয়। তাই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা সর্ম্পকে একটা পরিষ্কার ধারনা দেওয়ার জন্য তাকে পরীক্ষা করাতে ইউনাইটেড এবং ডাক্তার দেখাতে পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। দুটো হাসপাতালেরই আঙ্গিনা দেখে স্ত্রী আমাকে বলেছিলো, ‘এতো নোংরা কেন তোমাদের হাসপাতালগুলো!’ এখানে মানুষ সুস্থ হয়ে আসলেও তো অসুস্থ হয়ে যাবে! আর ইউনাইটেডে ২ হাজার ১০০ টাকা ভিজিট দিয়ে যখন ৫ মিনিটের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিলাম, সেটা শুনে ও বললো, এমন জানলে থাইল্যান্ডের সব চিকিৎসকরাইতো বাংলাদেশে চলে আসবে!

ইউনাইটেড বা এভারকেয়ারকে নোংরা বলার কারণ খুঁজে পেলাম এখানে একটি বিভাগীয় হাসপাতালে এসে। সব মিলিয়ে মাত্র আড়াই লাখ মানুষের বাস ট্রাট বিভাগে। তবে প্রতিবেশী দেশের প্রতি দায়িত্ব হিসেবে এই সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে পারেন কম্বোডিয়ার সাধারণ জনগণও। যদিও এক্ষেত্রে তাদের স্থানীয়দের তুলনায় বাড়তি খরচ গুণতে হয়। তবে ট্রাট হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা দেখে আমি মনে মনে ভাবি, ভাগ্য ভাল স্ত্রীকে দেশের সরকারি হাসপাতালে নেইনি। নিলে হয়তো মূর্ছা যেতো!

২০০২ সালেই ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ গ্রহণ করে থাইল্যান্ড। এর ফলে স্থানীয়রা সরকারি হাসপাতালগুলোতে মাত্র ৩০ বাথ বা ৮০ টাকায় বাচ্চা জন্ম দেওয়া থেকে শুরু করে ক্যান্সারের চিকিৎসা পর্যন্ত হয়। শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ খরচ নয়, এই খরচে ওষুধ, পরীক্ষা এবং ডায়াগোনসিসের খরচও বহন হয়।

আমার স্ত্রী চাকরি সূত্রে থাকেন ব্যাংককে। এর আগে গত ডিসেম্বরে সেখানে চুলাবরন ক্যান্সার হাসপাতালে তাকে নিয়ে গিয়েছিলাম গর্ভাবস্থার নিয়মিত চেক-আপে।

চুলাবরন হাসপাতালটি সরকারি হাসপাতাল নয়, বর্তমান রাজার বোন বা ভ্যালেড রাজকন্যার অনুদানে চলা একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। সেখানে ৮ মাস পর্যন্ত নিয়মিত চেকআপ করা হতো পে’র। সেখানে যে চিকিৎসক ছিলেন, ওয়টসিলা, প্রতিবার তার কাছে গেলে তিনি প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট গল্প করতেন। আমার অবস্থা, স্ত্রীর চাকরির অবস্থা, দেশের অবস্থা এসব নিয়ে। কারণ হচ্ছে একটাই, ডাক্তার হিসেবে রোগীকে আরও সহজ করা। চুলাবরনের চিকিৎসকই ৩২ সপ্তাহ হয়ে গেলে স্ত্রীর ফাইল ট্রাট হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় ইমেইলে। আমরা যখন হাসপাতাল থেকে বের হই দেশে, আমাদের হাত ভর্তি যেমন অনেক ফাইল আর টেস্টের ফলাফল থাকে, এখানে আমার স্ত্রী বা সন্তানের এখন পর্যন্ত কোন চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজ চোখে পড়েনি। কারণ সবই আছে হাসপাতালের নির্দিষ্ট সার্ভারে।

ট্রাট থাইল্যান্ডের ধনী প্রদেশগুলোর মধ্যে একটি। এখানে মানুষের মাথাপিছু আয় থাইল্যান্ডের অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় ভাল। তবে সেই অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক নেই। সরকারি হাসপাতালের বাইরে শুধু রয়েছে বেসরকারি ‘ব্যাংকক হাসপাতাল।’ যেহেতু পর্যটন স্থান হিসেবে ট্রাট পশ্চিমাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়, তাই তাদের জরুরি সেবা ও মেডিকেল ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করে এই বেসরকারি হাসপাতালটি। রয়েছে কয়েকটি ক্লিনিকও, সেখানে একজন বা দুজন করে চিকিৎসক রয়েছেন শুধু পরামর্শ দেওয়ার জন্য। তবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালের বাইরে একটিও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চোখে পড়েনি। আর প্রেসক্রাইবড ওষুধ নিতে হলেও শহরের ৫টি ফার্মেসির বাইরে নেওয়ার সুযোগ নেই।

ট্রাট হাসপাতালেও যখন স্ত্রী চেক আপে যেতো, এখানকার চিকিৎসক অনেকক্ষণ সময় দিতেন, গল্প করতেন। এতো সময় পেতেন কিভাবে চিকিৎসক? এখানে কি রোগীর চাপ কম? না, বরং এখানেও রোগীর চাপ রয়েছে। পাশের দেশের রোগীর চাপও অনেক। বিষয়টা হচ্ছে এই চিকিৎসকের হাতে সময় রয়েছে। দুপুর ২টা বা ৩টা বাজলেই নিজের চেম্বার বা বেসরকারি ক্লিনিকে যাওয়ার তাড়া নেই। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিকেও আলাদা করে সময় দিতে হচ্ছে না।

১০ তারিখ রাতে যখন স্ত্রীর গর্ভধারণের ব্যথা উঠলো সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে গেলাম হাসপাতালে। থাইল্যান্ডকে ইউনিফর্মের দেশও বলা যেতে পারে। যেখানে স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে, সরকারি কর্মকর্তা, বাস চালক, সবারই আলাদা আলাদা পোশাক রয়েছে। আর হাসপাতালেতো সেটি আরও কঠোরভাবে মানা হয়। চিকিৎসক, নার্স, আয়া, ট্রলিম্যান, কর্মচারী, কর্মকর্তা সবার আলাদা আলাদা পোশাক রয়েছে। তাই কে কোন কাজে নিয়োজিত সেটি বুঝতে সমস্যা হয় না।

দেশে অনেককে দেখেছিলাম, গর্ভধারণের রুমের সামনে বসে অপেক্ষা করতে। আমিও সেই প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম। তবে আমাকে ফেরত পাঠালেন কর্তব্যরত নার্স, গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে বললেন, ওকে লেবার রুমে নেওয়া হয়েছে। যখন বাচ্চা হবে, তোমাকে খবর দেওয়া হবে। এখানে বসে থাকার কোন ব্যবস্থা নেই। আমাকেও সহজভাবে মেনে বাসায় ফিরে আসতে হল।

১১ জুন স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে আমার ছেলে সন্তানের জন্ম হলো। মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ রয়েছেন। আমি আবার তাড়াহুড়ো করে ছুটে চললাম হাসপাতালের দিকে মা ও ছেলেকে বাসায় নিয়ে আসতে। কিন্তু যেয়ে আবারও হতাশ হতে হলো। ছেলে ও মা’কে দেখলাম কয়েক সেকেন্ডের জন্য। বাধ্যগতভাবেই অবস্টেট্রিক ওয়ার্ডে থাকতে হবে দুই দিন।

দেশ থেকে যারা ফোন দিচ্ছিলেন, তারা অনেকেই জানতে চাচ্ছিল, কেন দুই দিন থাকতে হবে? আসলে কি সাধারণ নিয়মে প্রসব হয়েছে সন্তান? নাকি সার্জারি প্রয়োজন হয়েছিল? আবার অনেকেই বললেন, দেখো দুই দিন কি বেশি টাকার জন্য রাখছে নাকি হাসপাতাল? আসলে বাংলাদেশের প্রচলিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এই ধরনের প্রশ্ন আসে আমাদের। আমারও এসেছিল। অবস্টেট্রিক ওয়ার্ডে শুধু মা ও সন্তানরা থাকে এখানে। আর কোন এটেনডেন্টকে থাকতে দেওয়া হয়নি। কেন? উত্তরে জানা যায়, এতে মা ও সন্তানের বাঁধনটা শক্ত হয়। আর বেশি মানুষ আসলে রোগ জীবাণু প্রবেশের সম্ভাবনাও বাড়ে। আর করোনার মধ্যেতো সেটা আরও বেশি কঠোরভাবে মানা হয়। তাই অগত্যা আরও দুইদিন অপেক্ষা করতে হলো মা ও ছেলেকে দেখতে।

তবে মা ও সন্তানকে নিয়ে হাসপাতাল ছাড়ার সময় দেখলাম এই দুইদিন বাধ্যতামূলক থাকার কারণে আমাকে কোন বাড়তি খরচ বহন করতে হয়নি। প্রসবের জন্য যে ৮০ টাকা খরচ করেছিলাম, সেটি সর্বসাকুল্যে খরচ। আর মা ও সন্তানকে বিভিন্ন হাইজিন সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। এরও তিন দিন পরে যখন আবার আমরা সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করাতে গেলাম এবার সন্তানের মাকে দেওয়া হলো ৩৪৫ বাথ, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার টাকার সমান। এটা সরকারি হাসপাতালে জন্ম নেওয়া সকল সন্তানদের দেওয়া হয় প্রাথমিক খরচ হিসেবে।

এছাড়াও যেসব মা ও বাবার আয় বছরে ১ লাখ বাথ বা প্রায় ৩ লাখ টাকার নিচে তাদেরকে প্রতি মাসে দেওয়া হয় ১ হাজার ৮০০ বাথ বা প্রায় ৫ হাজার ৪০০ টাকা। এই ক্যাটাগরিতে আমার স্ত্রী না পড়ায় সে এই অর্থ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

১৭ জুন সকাল থেকে স্ত্রী বলছিলেন, তার মনে হচ্ছে ছেলের চেহারা হলুদ হয়ে রয়েছে। আমরা আবারও দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম, সেখানে তার বিলুরুবিন পরীক্ষা করা হলো এবং চিকিৎসক জানালেন ভয়ের কারণ নেই। সন্তান সুস্থ আছে। এবং এবার আমি জানতে পারলাম, এই শহরে আগামী ৬ মাস সন্তানকে চিকিৎসা করাতে এবং কোন পরীক্ষা নিরীক্ষাতে আমাদের আর কোন খরচ বহন করতে হবে না।

ট্রাট ছোট শহর। সবাই প্রায় সবাইকে চেনেন। এখানে ডাক্তার যাযারিকপাতি সিনথু’র অধীনে আমার সন্তান জন্ম নিয়েছে, তার সঙ্গে এক বিকেলে দেখা হলো পার্কে। দৌড়াতে গিয়েছিলেন তিনিও। বললাম, আপনারা রোগীদের অনেক সময় দেন। এই পেশাটাকে আসলেই মহৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন আপনারা। উত্তরে তিনি বললেন, আমি যখন এই পেশায় আসি, তখন আমি সেবা করার জন্য এসেছি। এখানে আলাদা কোন মহত্ব নেই। শিক্ষক, সাংবাদিকের মতো পেশাই এই চিকিৎসা। তবে অতি অর্থের পেছনে দৌড়ালে কোন পেশাই আর মহৎ থাকে না।

ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজকে ২০০২ সালেই গ্রহণ করেছে থাইল্যান্ড। এর কারণ হিসেবে দেখা গিয়েছে, জনগণকে যদি স্বাস্থ্য সুবিধা কম মূল্যে দেওয়া যায়, এতে সরকারেরই ব্যয় কমে। সাধারণ মানুষ যদি স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় বহন করতেই জীবন অতিবাহিত করে দেয়, এতে রাষ্ট্রেরই অগ্রগতি থেমে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন বড় সংখ্যক রোগী ভারতের পরই ব্যাংককে আসে চিকিৎসা করাতে। এখানে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কয়েকগুণ বেশি খরচে চিকিৎসা করান। কিন্তু এই রোগীরা বিদেশে আসছে, তার কারণ কিন্তু স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদেরই বের করতে হবে। আমি শুধু একটি কেস স্টাডি উল্লেখ করেছি।

   

সুন্দরবনের জল-জঙ্গলের রূপকথা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
খুলনার দাকোপ উপজেলার সুন্দরবন ঘেঁষা গ্রাম নলিয়ান/ছবি: নূর এ আলম

খুলনার দাকোপ উপজেলার সুন্দরবন ঘেঁষা গ্রাম নলিয়ান/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

ওপাড়ে ঘন বন জঙ্গল, মাঝখানে শিবসা নদী আর এপাড়ে বাঁধের ধারের জমিতে সারিবদ্ধ ঝুলন্ত বাড়ি। জঙ্গলে হেঁটে বেড়ায় চিত্রা হরিণ, নদীর ডাঙ্গায় দেখা মেলে ভোঁদরের। সবুজভাব নদীতে ডিঙি নৌকায় জীবিকার সন্ধানে মাছ ধরে ঝুলন্ত বাড়ির বাসিন্দা। সবমিলে যেন জল-জঙ্গলের রূপকথা।

দৃশ্যটি খুলনার দাকোপ উপজেলার সুন্দরবন ঘেঁষা গ্রাম নলিয়ানের। এখানে জল-জঙ্গলের সঙ্গে মানুষের বসবাস। সুন্দরবনের সৌন্দর্য ও উপকূ্লের তাণ্ডব সহ্য করা নলিয়ানকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন বার্তা২৪.কম-এর ফটো এডিটর নূর এ আলম।

শিবসা নদীর বাঁধের পাশে নলিয়ান। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখানকার মানুষের জীবন চলে ঝুঁকি নিয়ে/ছবি: নূর এ আলম


শিবসা নদীর বাঁধের পাশে নলিয়ান। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখানকার মানুষের জীবন চলে ঝুঁকি নিয়ে। ঘূর্ণিঝড় আইলার প্রলয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়া এখনকার বাসিন্দারা এখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি।

জোয়ারের পানির সমান উঁচু খুঁটির ওপর মাচা পেতে বানানো হয়েছে ঘর/ছবি: নূর এ আলম


নিজের বসতভিটা হারানোর পর ঠাঁই হয়েছে বাঁধের ধারের জমিতে। সেখানেও ঘর বানানোর মতো আর মাটি অবশিষ্ট নেই। ফলে জোয়ারের পানির সমান উঁচু খুঁটির ওপর মাচা পেতে বানানো হয়েছে ঘর।

এক একটি ঘর দাঁড়িয়ে আছে নড়বড়ে খুঁটির ওপরে/ছবি: নূর এ আলম


তাই এক একটি ঘর দাঁড়িয়ে আছে নড়বড়ে খুঁটির ওপরে। মোটামুটি মাঝারি ঝড় হলেই ঘরগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়।

নলিয়ানবাসীর দিনতিপাত করেন মাছ ধরে এবং সুন্দরবনে জীবিকার সন্ধান করে/ছবি: নূর এ আলম


নলিয়ানবাসীর দিনতিপাত করেন মাছ ধরে এবং সুন্দরবনে জীবিকার সন্ধান করে। সুন্দরবনে জেলেরা দিনে রাতে মাছ ধরে, তারা দিন-রাতের হিসাব করে না।

 শিবসায় ঝাঁপি জাল ফেলে মাছ ধরছেন জেলে/ছবি: নূর এ আলম


 শিবসায় ঝাঁপি জাল ফেলে মাছ ধরেন তারা। কিনারা দিয়ে কাদায় হাঁটা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

নারীরাও মাছ ধরতে সুন্দরবনের কাঁদামাটিতে নেমে যান ঠ্যালা জাল নিয়ে/ছবি: নূর এ আলম


এরপরও নারীরাও মাছ ধরতে সুন্দরবনের কাঁদামাটিতে নেমে যান ঠ্যালা জাল নিয়ে। অনেক জেলে ডিঙি নৌকায় করে শিবসায় ঘুরে মাছ শিকার করেন।

জেলেরা ডিঙি নৌকায় করে শিবসায় ঘুরে মাছ শিকার করেন/ছবি: নূর এ আলম


বর্ষায় শিবসার জলে ডুবে থাকা নলিয়ানের এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাওয়ার জন্য এই ডিঙি নৌকাগুলো ব্যবহার করা হয়।

শিবসা নদী/নূর এ আলম


নলিয়ানে উপকূলের বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করা চিত্র শুধু নয়, রয়েছে সুন্দরবনের নৈসর্গিক প্রকৃতি। শিবসার অপার সৌন্দর্য।

গাছে গাছে সাদা বকের উড়াউড়ি/ছবি: নূর এ আলম


নদীর পাড়ে চোখে পড়ে ঘন গাছপালার সবুজ বন। যাতে চোখ জুড়িয়ে আসে।

হোগলা পাতার ঝিরি ঝিরি শব্দ/ছবি: নূর এ আলম


যেখানে রয়েছে হোগলা পাতার ঝিরি ঝিরি শব্দ। গাছে গাছে সাদা বকের উড়াউড়ি, ভেসে আসে পাখির কিচিরমিচির। 

নলিয়ান পর্যটন কেন্দ্রে জঙ্গলের ভেতরে লোহার ব্রিজ/ছবি: নূর এ আলম


পর্যটকদের জন্য জঙ্গল ভেদ করে তৈরি করা লোহার ব্রিজ। পর্যটকরা সুন্দরবনে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হলে এই ব্রিজে হেলেন দিয়ে প্রকৃতির গন্ধ মেখে নেয়।

জঙ্গলে হরিণ খুনশুটিতে ব্যস্ত/ছবি: নূর এ আলম


সুন্দরবনের প্যাঁচেপ্যাঁচে কাঁদায় হেঁটে যেতে যেতে হঠাৎ দেখা মিলে হরিণের দলের সঙ্গে। জঙ্গলে তারা তখন নিজেদের মধ্যে খুনশুটিতে ব্যস্ত।

মায়াবী চোখে তাকিয়ে হরিণ/ছবি: নূর এ আলম


এরই ফাঁকে মায়াবী চোখ নিয়ে তাকিয়ে দেখে দু’পা বিশিষ্ট মানুষের দিকে। আড় চোখে তাকায় গাছের ডালে ঝুলে থাকা বানরের দলও। তারা সারাদিন বনে দৌড়ঝাঁপ করে।

বানরের দৌঁড়ঝাপ/ছবি: নূর এ আলম


নলিয়ানের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। শিবসা নদীতে কুমিরও ভেসে ওঠে।

নদীর তীরে দেখা মেলে বিলুপ্তিপ্রায় প্রাণী ভোঁদরের/ছবি: নূর এ আলম


জনশ্রুতি আছে, কুমির আর মানুষের মধ্যে মাঝে মাঝে যুদ্ধও হয়।

 শিবসা নদীতে কুমিরও ভেসে ওঠে। জনশ্রুতি আছে, কুমির আর মানুষের মধ্যে মাঝে মাঝে যুদ্ধও হয়/ছবি: নূর এ আলম

বড় বড় ঘূর্ণিঝড় যারা মোকাবিলা করা নলিয়ানের কাছে কুমির আর এমন কি! সব কিছু তোয়াক্কা করে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকাটাই বড় বিষয় তাদের কাছে!

;

ইতিহাসে ২৮ মার্চ: বর্ণবাদের প্রতিবাদে কিংয়ের পক্ষে ২৫ হাজার মানুষ



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে মিছিলে নামেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র

বর্ণবাদের বিরুদ্ধে মিছিলে নামেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র

  • Font increase
  • Font Decrease

মানব ইতিহাস আমাদের অতীতের কথা বলে। আজ যা কিছু বর্তমান তার ভিত্তি তৈরি হয়েছিল আমাদের অতীতের কারণেই। সেই অতীতের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো ছাপ রেখে যায় ইতিহাসের পাতায়।  

আজ ২৮ মার্চ, ২০২৪। ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখঅ যাবে, আজকে ঘটেছিল নানা ঐতিহাসিক ঘটনা। জেনে নেয়া যাক, কি ঘটেছিল আজকের তারিখে!

*মার্টিন লুথার কিং ছিলেন বর্ণবাদের বিপরীত আন্দোলনকারী আফ্রিকান নেতা। ১৯৬৫ সালে তিনি কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন। সেখানে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ তাকে সমর্থন করে মিছিলে নেমেছিলেন আজকের তারিখে। এই বিক্ষোভ পরবর্তীতে আলাবামায় জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার তৈরিতে বিশেষ প্রভাব ফেলেছিল।    

*যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় থ্রি মাইল আইল্যান্ড পারমাণবিক কেন্দ্রে ১৯৭৯ সালে পানির পাম্প ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে চারপাশে তেজস্ক্রিয় বাষ্প এবং আয়োডিন ছড়াতে শুরু করে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত ৫০০ জন কর্মী এই বাষোপর সংস্পর্শে আসায় শারীরিক সমস্যার আশঙ্কায় ছিল। আমেরিকার জনগণ এই ঘটনায় দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।  

*১৯৮৬ সালে অ্যাচেসন এবং লিলিয়েনথাল পারমারবিক শক্তি সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। সেখানে আন্তর্জাতিকভাবে পারমাণবিক শক্তির নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা উল্লেখ করেন তারা। ২৮ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট তাদের সেই রিপোর্টটি প্রকাশ করে।

*হিলসবোরো দুর্ঘটনায় প্রায় ১শ লোকের প্রায় গিয়েছিল ১৯৯১ সালে। শেফিল্ডে পিষ্ট হয়ে ৯৬ জন লিভারপুল ফুটবল সমর্থক নিহত হন। এছাড়া আরও দেড় শতাধিক ভক্ত আহত হন। এই বিপর্যয়ে আদালতের রায়ে অসন্তুষ্ট ছিল নিহতদের পরিবার। তাই, আজকের তারিখে তারা রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিল।

*১৯৩৬ সালে শুরু হওয়া স্পেনের গৃহযুদ্ধ ১৯৩৯ সালের ২৮ মার্চ শেষ হয়েছিল।

;

তালপাতার পাখায় ঘোরে সংসারের চাকা



মাহবুবা পারভীন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আঁকাবাঁকা রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি তালগাছ। যা দেখে মনে পড়ে যায় রবী ঠাকুরের কবিতা ‘তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে, উঁকি মারে আকাশে।’ বলছি বগুড়ার কাহালু উপজেলার আড়োলা গ্রামের কথা। বর্তমানে গ্রামটি তাল পাখার গ্রাম নামে পরিচিত। এই গ্রামে প্রবেশ করতেই দেখা যায় নারী-পুরুষ সবাই তালপাতা দিয়ে পাখা বানানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গরমে তালপাতার পাখার বাতাস গা জুড়িয়ে যায়।

বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের পাশাপাশি দুটি গ্রাম। একটির নাম যোগীরভবন, অপরটি আড়োলা আতালপাড়া। ইতোমধ্যে গ্রাম দুটি পাখার গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, দুটি গ্রামে একেক পাড়ায় একেক ধরনের পাখা তৈরি হয়। যোগীরভবন গ্রামে নারীরা তৈরি করেন হাতলপাখা বা ডাঁটপাখা। আর আড়োলা আতালপাড়ায় তৈরি হয় ঘোরানো পাখা বা ঘুন্নী পাখা আর পকেট পাখা। পাখা তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন দুটি গ্রামের সব নারী। শীতের শেষে বসন্তকালে, অর্থাৎ ফাল্গুন মাস থেকে পাখা তৈরির কাজ শুরু হয়।

পাখা তৈরিতে ব্যস্ত নারী

গ্রামে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে বাড়ির উঠানে রং তুলির আঁচড়ে ঘুরানো পাখা রাঙিয়ে তুলছেন সখিনা বেগম। রাঙানো পাখা বাঁধায় করছেন গোলজার। বাঁধা হয়ে গেলে পাখাটি বিক্রি করবেন তিনি।

হাতপাখার গ্রামে এবার ২০ লাখ পাখা বিক্রির প্রস্তুতি চলছে। এই পাখা চৈত্র মাস থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত বিক্রি হবে।

গ্রামের নারী-পুরুষ, শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা অবসর সময়ে পাখা তৈরির কাজ করেন। বংশ পরম্পরায় এই দুই গ্রামের মানুষ তালপাখা তৈরির কাজ করে আসছেন বলে জানান গ্রামের বাসিন্দারা। গরমে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে দিন দিন বাড়ছে পাখার চাহিদা, সেই সঙ্গে বাড়ছে পাখা তৈরির কাজের পরিধি।

আড়োলা গ্রামের খন্দকার বলেন, দাদার আমল থেকে তারা তাল পাতা দিয়ে হাতপাখা তৈরির কাজ করে আসছেন। কৃষি কাজের পাশাপাশি তালপাখা তৈরির কাজ করেন তিনি। তার স্ত্রীও সংসারের কাজের ফাঁকে রঙের আচর দিয়ে তাল পাখার সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ করে থাকেন। আকরাম আকন্দ বলেন, গত বছর তিনি পাখা বিক্রি করে সংসার খরচ বাদে এক লাখ টাকা সঞ্চয় করেছেন। তার মতে গত বছর দুই গ্রাম থেকে ১৫ লাখ তালপাখা বিক্রি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এবার চাহিদা বাড়ায় ২০ লাখ পাখা বিক্রি হবে বলে তিনি জানান।

জানা যায়, তালগাছের পাতা (স্থানীয় ভাষায় তালের ডাগুর) দিয়ে তিন ধরনের পাখা তৈরি হয়। স্থানীয়ভাবে নাম দেয়া হয়েছে- পকেট পাখা, ঘুরানী পাখা এবং ডাগুর পাখা।

পাখা তৈরিতে তালের পাতা ছাড়াও বাঁশ, সুতা এবং লোহার তার প্রয়োজন হয়। পাখা তৈরির পর বিভিন্ন রঙের আচর দিয়ে সৌন্দর্য বাড়ানো হয়। ১০ টাকায় কেনা তাল গাছের একটি পাতা বা ডাগুড় দিয়ে তৈরি হয় বড় পাখা বা ডাগুর পাখা ২টি, ঘুরানী পাখা ৪টি এবং পকেট পাখা ৬টি।

তালপাতার পাখা

পাখা তৈরির কারিগর জানান, বছরের আশ্বিন মাস থেকে শুরু হয় বাঁশ এবং তালপাতা সংগ্রহের কাজ। এরপর বাঁশ ছোট ছোট আকারে কাটতে হয়। তালপাতাও কেটে পাখা তৈরির উপযোগী করা হয়। ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে পাখা তৈরির কাজ। চৈত্র মাসের শুরু থেকে পাখার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বাহারি রঙ করে বিক্রয় উপযোগী করা হয়।

রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা আসেন তালপাখা কিনতে।

যোগীর ভবন গ্রামের মামুনুর রশিদ বলেন, তিনি প্রতি বছর ১৭ থেকে ১৮ হাজার ডাগুর পাখা তৈরি করেন। এই পাখাগুলো বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাখার চাহিদা বেশি বলে জানান মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, একটি তাল পাতা বা ডাগুরের দাম ১০ টাকা হলেও বাঁশ ও রঙের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে খরচ বেড়ে গেছে।

আতাইল পাড়া গ্রামের পারভীন, মর্জিনা, সাবিনা, বেবি, সুমি জানান, তারা প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি হাত পাখা তৈরি করে বিক্রি করেন। বছরের ছয় মাস সংসারের কাজের ফাঁকে হাতপাখা তৈরির কাজ করে তারা বাড়তি আয় করছেন। এইসব নারীরা তাদের সৌখিন জিনিস কিনে থাকেন নিজের টাকায়।

পকেট পাখা ১১ টাকা, ঘুরানী পাখা ২০ টাকা এবং ডাগুর পাখা ৩০ টাকা দরে ব্যাপারীরা পাইকারি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তারা আবার বিভিন্ন মেলা কিংবা হাটে বাজারে খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করছেন।

গরমের সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ার কারণে হাতপাখার চাহিদা বাড়ছে বলে পাখা কিনতে আসা ব্যাপারী করিম জানান। শহর এবং গ্রামে তীব্র গরম থেকে একটু প্রশান্তি পেতে ধনী-গরিব সবাই হাত পাখার ব্যবহার করে আসছেন যুগ যুগ ধরে।

;

ইতিহাসে ২৭ মার্চ:স্পেনে জোড়া বিমান সংঘর্ষে নিহত ৫৮৩



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্পেনে জোড়া বিমান সংঘর্ষে নিহত ৫৮৩

স্পেনে জোড়া বিমান সংঘর্ষে নিহত ৫৮৩

  • Font increase
  • Font Decrease

সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সময়ের সাথে বছরের পর বছর কেটে যায়। বর্তমান হয় অতীত। তার সাথেই তৈরি হয় ইতিহাসের। মানব সভ্যতায় ঘটে যাওয়া ইতিহাস হয়ে থাকে জাতির কাছে স্মরণীয়। প্রতি বছর যখন ক্যালেন্ডারে একই তারিখগুলো ফিরে আসে, মানুষ পুরনো ঘটনার স্মৃতিচারণ করে।

আজ ২৭ মার্চ, ২০২৪। বিগত বছরগুলোতে এই তারিখে ঘটা অনেক ঘটনা হয়েছে স্মৃতিতে অমলিন। ইতিহাসের পাতায় জুড়ে গেছে নতুন নতুন ঘটনা। চলুন জেনে নিই,আজকের তারিখে কি ঘটেছিল!    

১৯৭৭ সালে স্পেনে টেনেরিফ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ডাচ এয়ারলাইনের সেই দুর্ঘটনায় কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রানওয়েতে দু’টো জেট বিমানের সংঘর্ষে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে উৎপন্ন বিধ্বংসী দাবানলে সর্বমোট ৫৮৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়।

বিশাল এক ঢেউয়ের আঘাতে ১৯৮০ সালে উত্তর সাগরের প্ল্যাটফর্ম ধসে পড়ে। রিগটি ডান্ডি থেকে ২৩৫ মাইল পূর্বে সেই আবাসন প্ল্যাটফর্ম দুর্ঘটনায় ১২৩ জন শ্রমিক মারা যান।

১৯৮৯ সালে সোভিয়েত সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচনে কমিউনিটি পার্টির অনেক রাশিয়ান উচ্চতর কর্মকর্তা পরাজিত হন। তৎকালীন সময়ে এই ঘটনাকে একটি বিদ্রোহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল।     

১৯৬৩ সালে ব্রিটেনে রেললাইন কম ব্যবহৃত হওয়ার কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিপুল ক্ষতি হয়। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মোট রেলব্যবস্থার এক-চতুর্থাংশ সেবা কমিয়ে দেওয়া হবে। এই নিয়ে সুদূরপ্রসারী একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল ২৭ মার্চ।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

;