গোলাপী রঙের পুকুর
রহস্যজনকভাবে গোলাপী রঙ ধারণ করেছে হাওয়াইয়ের একটি পুকুরের পানি। অদ্ভুত এই দৃশ্য সরাসরি দেখতে পুকুর পাড়ে বাড়ছে উৎসুক জনতার ভিড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি প্রকাশের পর থেকে এই স্থানে মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা উদ্ভট এই ঘটনাটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মাউয়ের কেলিয়া পুকুর ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজের স্বেচ্ছাসেবকরা বলেছেন, তারা এর আগে কখনো এমন কিছু দেখেননি।
শরণার্থী ব্যবস্থাপক ব্রেট উলফ বলেন, সমুদ্র সৈকতে হাঁটার সময় অজ্ঞাত একজন ‘এখানে অদ্ভুত কিছু হচ্ছে’ বলে আমাকে সতর্ক করেছিলেন। তবে আমি তা ততটা আমলে নেইনি।
ঘটনাটা আপাতত দৃষ্টিতে মজার মনে হলেও, সংশ্লিষ্টরা মনে করেন পুকুরের পানি গোলাপী হওয়ার কারণ আরো বেশি উদ্বেগজনক হতে পারে। এর পিছনে বিজ্ঞানীদের হাত থাকার সম্ভাবনার কথাও বলছেন তারা। এর আগে মাউইয়ে অদ্ভুত এক খরার সম্মুখীন হয়, যার পেছনে বিজ্ঞানীদের হাত থাকার অভিযোগ উঠেছিল।
এদিকে পানিতে থাকা বিষাক্ত শেত্তলাগুলো ল্যাব পরীক্ষা করলেও পানির এভাবে গোলাপী রঙ ধারণ করার মূল কারণ এখনো জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে হ্যালোব্যাকটেরিয়া নামক একটি জীবের উপস্থিতির ফলে এমনটা হতে পারে।
হ্যালোব্যাকটেরিয়া হলো এক ধরনের আর্কিয়া বা এককোষী জীব যা উচ্চমাত্রার লবণসহ জলের মধ্যে বসবাস করে। কেলিয়া পুকুর আউটলেট এলাকার ভিতরের লবণাক্ততা বর্তমানে সমুদ্রের পানির লবণাক্ততার দ্বিগুণ।
মিঃ উলফ বলেন, পুকুরটিতে আগে খরা এবং উচ্চ লবণাক্ততার ঘটনা ঘটে। তবে হঠাৎ পানির রঙ পরিবর্তন হওয়াটা সত্যিই রহস্যজনক। এই প্রকৃত কারণ জানতে ডিএনএ বিশ্লেষণ করা দরকার।
এদিকে এই ঘটনার মূল কারণ অনুসন্ধান না হওয়া এবং পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জলে প্রবেশ না করা এবং সেখানে মাছ ধরা বা ওই পুকুরের মাছ খেতে নিষেধ করা হয়েছে ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজের পক্ষ থেকে।