চকলেট মূলত মায়া ও অজটেক সভ্যতার অবদান। মায়া ও অজটেক সভ্যতার সময়কালে চকলেট পানীয় হিসেবে পান করা হতো। যা কোকোর বীজ থেকে তৈরি করা হতো। আজ ৭ জুলাই বিশ্ব চকলেট দিবস। ধারণা করা হয়, ইউরোপে ১৫৫০ সাল থেকে এ দিনে চকলেট দিবস পালিত হয়ে আসছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় চকলেট দিবস পালিত হয় ২৮ অক্টোবর। ঘানাতে কোকো সেলিব্রেটস চকলেট দিবস পালিত হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। তেতোমিষ্টি চকলেট দিবস ১০ জানুয়ারি, মিল্ক চকলেট দিবস ২৮ জুলাই, সাদা চকলেট দিবস ২২ সেপ্টেম্বর এবং চকলেট কভারিং দিবস ১৬ ডিসেম্বর।
দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন উপত্যকার এক বিশেষ উদ্ভিদ কোকো, যার বীজ থেকে তৈরি হয় চকলেট। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মধ্য আমেরিকার আরো কয়েকটি দেশে প্রথম এর চাষ শুরু হয়। এরপর এই বীজ আসে আফ্রিকায়।
আফ্রিকার আইভরি কোস্ট, ঘানা, নাইজেরিয়া ও ক্যামেরুনে ব্যাপকভাবে চাষ হয় কোকোর। বিশ্বের মোট কোকোর ৬০ শতাংশ উৎপাদিত হয় ঘানা ও আইভরি কোস্টে। তবে দেশ দুটি মূলত অপ্রক্রিয়াজাত বীজ রপ্তানি করে। বিশ্বের মোট চকলেট বিক্রি থেকে যে পরিমাণ আয় হয়, কোকো বিক্রি করে তার এক–দশমাংশ আয় হয় আফ্রিকার।
বিজ্ঞাপন
চকলেট তৈরির প্রধান কাঁচামাল কোকোর বীজ। আইভরি ও ঘানাতে কোকো ফার্মে বীজ সংগ্রহ, শুকানো, ভাজা ও গাঁজন প্রক্রিয়ার কাজের জন্য পার্শ্ববর্তী হতদরিদ্র দেশ নাইজেরিয়া, নাইজার, মালি, বুরিনা ফাসো থেকে সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অজস্র শিশু পাচার করা হয় শুধুমাত্র সস্তায় কোকো ফার্মগুলিতে কাজ করানোর জন্য।
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থা (আইএলও)-এর সাথে কোকো ফার্মগুলির হারকিন এঞ্জেন প্রোটোকল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যেখানে বলা হয়েছে—কোকো ফার্মগুলিতে শিশুশ্রম হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখতে এবং কোনো কোকো ফার্মে শিশুশ্রমের অভিযোগ পাওয়া গেলে উক্ত ফার্মের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও তা নথিতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। বাস্তবায়িত হয়নি। বিবিসির রিপোর্ট বলছে, শুধুমাত্র আইভরি কোস্টেই আট লক্ষ শিশু কোকো ফার্মে কাজ করছে। প্রতিদিন চকলেটের কাঁচামাল কোকো ফার্মে কাজ করতে গিয়ে মারা যাচ্ছে কোনো না কোনো শিশু।
পৃথিবীর অনেক দেশই চকলেটের জন্য বিখ্যাত। এরমধ্যে বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত।
আধুনিক চকলেটের জনক হলেন জোসেফ ফ্রে। তিনি ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে ডাচ কোকোর সঙ্গে অপসারিত কোকো মাখন মিশিয়ে প্রথম চকলেট পেস্ট তৈরি করেন।
ইউরোপের সাধারণ মানুষের কাছে চকলেট পৌঁছতে আর তেমন দেরি হয়নি। ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে ‘ক্যাডভেরি’ নামে একটি ছোট কোম্পানি চকলেট ক্যান্ডির বক্স ইংল্যান্ডে বাজারজাত করতে শুরু করে। এর কয়েক বছর পরই নেসলে বাজারে নিয়ে আসে মিল্ক চকলেট।
তারপর ক্রমান্বয়ে বর্তমানে চকলেট ব্যবসা এ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড দিবস উপলক্ষে লন্ডনে এক চায়ের আড্ডায় সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্বের সবয়েছে লম্বা ও সবচেয়ে খাটো দুই নারী।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ফুট ৭ইঞ্চি উচ্চতার তুরস্কের রুমেইসা গেলগির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ২ফুট ৭ইঞ্চি উচ্চতার ভারতের জ্যোতি আমগ। এই দুইজনের উচ্চতার পার্থক্য ৫ ফুট।
তবে, জ্যোতি আমেগের সঙ্গে বেশ মিল আছে বলে জানিয়েছে রুমেইসা গেলগি। তারা দুজনেই নিজেদের যত্ন নেওয়া, গহনা, মেকআপ প্রভৃতি বিষয়ের প্রতি বেশ আগ্রহী।
উচ্চতাগত কারণে দুজনের মধ্যে চোখের যোগাযোগ করা যায় নি। যার ফলে একে অপরের মনেরভাব বুঝতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রুমেইসা গেলগি।
অপরদিকে, এই সাক্ষাৎকে বেশ উপভোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন জ্যোতিক আমগ।
উল্লেখ্য, রুমেইসা গেলগি একজন ওয়েব ডিজাইনার। তার উচ্চতার জন্য তিনি একইসঙ্গে বিভিন্ন দিক থেকে রেকর্ড গড়েছেন। এখনও পর্যন্ত নারীদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা হাত, সবচেয়ে বড় কান, গড় উচ্চতা এসকল বিষয়ের রেকর্ডের অধিকারী এই তুর্কি নারী।
অপরদিকে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত জ্যোতি আমগ একজন মিডিয়া অভিনেত্রী। অ্যাকনোড্রোপ্লাসিয়া নামক হাড়ের রোগের জন্য তার এই অবস্থা হয়েছে। ধারণা করা হয়েছে গর্ভে ভ্রূণ অবস্থায়ই এই সমস্যা হয়েছে।
তবে আকারে ছোট হওয়া সত্ত্বেও মিডিয়া জগতে তিনি বেশ পরিচিতি। মার্কিন টেলিভিশন সিরিজ ‘আমেরিকান হরর স্টোরি: ফ্রিক শো’ তে তিনি অভিনয় করেছেন।
উত্তর আমেরিকায় ম্যাকারনি পেঙ্গুইনের ৪০তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। এটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বেশি বয়সের পেঙ্গুইন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সিওয়ার্ল্ড সান দিয়াগো নামের এক ব্যক্তি এই আয়োজন করেছেন।
তিনি জানান, সাধারণ অবস্থায় এই ধরনের পেঙ্গুইন ১৫-২০ বছর বাঁচে। সেখানে এই পেঙ্গুইনটি ৪০ বছর অতিক্রম করেছে। এটি তার প্রত্যাশিত জীবনকাল ছাড়িয়ে গেছে।
তবে এই পেঙ্গুইনটি তার চোখের দৃষ্টিশক্তি কিছুটা হারিয়েছে বলেছে জানান তিনি। দৃষ্টিশক্তিজনিত সমস্যা থাকলেও শ্রবণশক্তিতে এখনও বেশ ভালো আছে। পরিচিত কণ্ঠস্বরকে সহজেই বুঝতে পারে পেঙ্গুইনটি।
পেঙ্গুইনটির দৈনন্দিন কাজ সম্পর্কে সান দিয়াগো জানান, পানির পাত্রে বুদবুদ সৃষ্টি করা, বিভিন্ন জিনিস দিয়ে খেলা করা। এছাড়া পেঙ্গুইনটির সঙ্গে কেউ কথা বললে তখন বেশ আনন্দিত হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া, পেঙ্গুইনটির মেজাজ খারাপ হলে তখন পেঙ্গুইনটির ঘুমানোর চেষ্টা করেন।
ধীর পায়ে আসছে শীত। শোনা যাচ্ছে শিশিরের পদধ্বনি। এদিকে, দূষণ ও যান্ত্রিক তাণ্ডবে রাজধানী ঢাকা হয়ে আছে উতপ্ত। তবে, ছোট শহর আর গ্রামের দিকে কুয়াশার প্রলেপ মেখে হাজির শীতের আগাম পরশ।
বাংলাদেশের পরিবেশগত বৈচিত্র্যের কারণে উত্তরবঙ্গে, সিলেটে, চট্টগ্রামে শীত চলে আসে আগেভাগে। ফলে আবহাওয়ার নির্দেশ মেনে তীব্র শীত আসার আগেই নাগরিক রসনায় যুক্ত হয়েছে শীতের আমেজ। পোশাকেও আসছে পরিবর্তন। বাহারি রঙের গলাবন্ধ, ফুলহাতা জামা-কাপড় আলমারির বন্দিজীবন থেকে বের হয়ে মানুষের শরীরে ঝলমল করছে।
খাবার-দাবার নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনও শেষ নেই। মৌসুম ও পরিবেশের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিটি সমাজেই বেছে নেওয়া হয় উপযুক্ত খাবার-দাবার। যে কারণে শীত-প্রধান আর গ্রীষ্ম-প্রধান অঞ্চলের খাদ্য তালিকা সম্পূর্ণ আলাদা। বাংলাদেশেও ঋতুতে ঋতুতে বদলায় খাদ্যাভ্যাস, রুচি ও খাবারের মেনু।
চিরায়ত বাংলার গ্রামে-গঞ্জে শীতের আবহে পাওয়া যায় খেজুরের রস, পিঠা, পুলি। বাংলার শীত মানেই বিচিত্র খাবারের সম্ভার। গ্রামের খাদ্য তালিকা শহরের ব্যস্ততা ও ভিড়ে পাওয়া সহজ নয়। শহরের বাস্তবতায় চট-জলদি খাবারের দস্তুরই বেশি। ফাস্ট ফুড, ইনস্ট্যান্ড কফি, চটপটি এন্তার পাওয়া যায় শহরের গলি, মোড় ও এভিনিউ-এ।
তবে, ইদানিং শহরেও পাওয়া যাচ্ছে শীতের পিঠা, পুলি। প্রসার বাড়ছে চিরায়ত খাবারের আইটেমগুলোর। খালা ও নানী বয়সী মহিলারা নানা জাতের পিঠা সরাসরি তৈরি করছেন জ্বলন্ত উনুনে। নানা বয়সের মানুষ ভিড় করে খাচ্ছেন সেসব। এভাবেই শাশ্বত বাংলার ঐতিহ্য ফিরে আসছে নগরের বিন্যাসে। মানুষ উপভোগ করতে পারছেন শীত ঋতুর খাদ্য সম্ভার।
শহর ভেদে ও এলাকার পার্থক্যে খাবারের পরিবর্তন বিশেষ ভাবে লক্ষ্যণীয়। দেশের বিভিন্ন শহরের খাদ্য-বৈচিত্র্যের মতোই বন্দর নগরী চট্টগ্রামের একেক এলাকায় দেখা পাওয়া যায় একেক রকমের খাদ্য তালিকা। চট্টগ্রাম শহরের এক প্রান্তে বৃহত্তর পাহাড়তলী এলাকাকে বলা যায় ‘রেল শহর‘। রেলের বহু কারখানা ও প্রতিষ্ঠান এখানে অবস্থিত। এক সময় রেলের কাজে যুক্ত হয়েছিল বিহারি লোকজন। তাদের অনেকেই এখনও রয়েছেন পাহাড়তলীর ওয়্যারলেস, ঝাউতলা, আম বাগান, সর্দার বাহাদুর কলোনি, পাঞ্জাবি লাইন, আকবর শাহ প্রভৃতি মহল্লায়। এখানেও চলে এসেছে শীতের পিঠা। তবে, সেগুলো চিরায়ত বাংলার মাটির উনুনে সরাসরি বানানোর বদলে তৈরি হচ্ছে আলাদা ভাবে। বলা ভালো, বাঙালি ও বিহার-উত্তর ভারতের উর্দু ভাষী সংস্কৃতির মিশেল হয়েছে এসব খাবারে।
পাহাড়তলী ওয়্যারলেস মোড়ে কায়দা করে সাজানো অনেকগুলো পিঠার দোকানের পাশাপাশি রয়েছে চাট হাউস। যেখানে মৌ মৌ করছে কাবাব, হালিম, তেহারি, নলা, বট, তন্দুরের সুগন্ধ। ঢাকায় যেমন মোহাম্মদপুর ও মীরপুরে বিহারি কলোনিগুলোর আশেপাশে পাওয়া যায় মাংসের অনেক রকম সুস্বাদু আইটেম, চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর কয়েকটি পয়েন্টেও মিলছে সেসব খাবার। আশেপাশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্পোরেট হাউসের তরুণ জনশক্তি ভিড় করছেন এসব দোকানে।
‘বেশির ভাগ সময় কফি শপে বসা হলেও মাঝেমাঝে স্বাদ বদল করতে এসব দোকানেও আসি', বললেন আইরিন শম্পা। তিনি বন্ধুদের নিয়ে খেতে খেতে বললেন, `খোলামেলা পরিবেশে মাংসের আইটেম বা পিঠা টেস্টে চেঞ্জের জন্য বেশ ভালো। শীতের আমেজে এসব ঝাল খাবার এক ধরনের উষ্ণতা দেয়।‘
খাদ্য বা খাদ্যাভ্যাস নিয়ে মানুষের আগ্রহ ঐতিহাসিক। খাবার বিষয়ক আলাপ-আলোচনা, ব্লক, পটকাস্ট বর্তমানে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। তার একটি কারণ হয়তো মানুষের যাপনের ইতিহাসের সঙ্গে এর ওতপ্রোতভাবে সম্পর্ক। ক্যারল ক্যুনিহান, কেন আলবালা, কৃষ্ণেন্দু রায়, লিজ়ি কলিংহ্যাম, তপন রায়চৌধুরী তাবড় পণ্ডিতেরা লিখেছেন, খাদ্য ও খাদ্যাভ্যাস কীভাবে সমাজচিত্রকে ফুটিয়ে তোলে। খাদ্য যে শুধু রসাস্বাদনের কথা বলে তা তো নয়, বৈচিত্র্য ও বৈষম্যের কথাও বলে। সংস্কৃতি তথা বর্ণ, লিঙ্গ, জাতপাতের ভেদাভেদের কথাও বলে।
খাবার বিষয়ক বইও বেশ পাঠকপ্রিয়তা পাচ্ছে আজকাল। মুঘল খাবারের নানা ধরন নিয়ে রয়েছে একাধিক বেস্ট সেলার বই। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন ঘরানার খাদ্য, যেমন হায়দরাবাদী, দক্ষিণ ভারতীয়, কাশ্মিরী সম্পর্কে এবং বিশেষত স্ট্রিটফুড নিয়ে বিস্তর লেখালেখি রয়েছে। অধুনা নীলাঞ্জন হাজরা ‘খিচুড়ি‘র আদ্যোপান্ত নিয়ে লিখেছেন আস্ত একটি বই। আমাদের জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, চাল-ডাল মিশ্রিত এই খাদ্যের চমৎকার উপস্থাপনা রয়েছে বইটিতে। লেখক জানিয়েছেন, উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে আদি-মধ্যযুগে প্রচলিত নিরামিষ খিচুড়ির সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ এবং ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়ার জন্য বানানো ‘রাইস আ লা স্যোর নাইটিঙ্গল’ সম্পর্কেও।
বাংলাদেশের শহরগুলোতে, বিভিন্ন অঞ্চলে, ঋতুতে ঋতুতে খাবারের যে বৈচিত্র্য, তা নিয়ে গবেষণা হয়েছে কমই। সামাজিক বিজ্ঞানের পরিসরে খাদ্য সংস্কৃতি ও রুচির মধ্যকার সম্পর্ক পরিমাপ করাও একটি জরুরি কাজ বটে। নাগরিক রসনায় শীতের আমেজ মেখে মুখরোচক খাদ্য আস্বাদনের পাশাপাশি সেসবের উৎপত্তি, বিকাশ ও ইতিহাস জানাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং চিত্তাকর্ষক।
শিশুদের জন্য বুকের দুধ দান করে পুরাতন রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন টেক্সাসের অ্যালিস ওগলেট্রি নামের এক নারী।
ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি এক প্রতিবেদেন এই খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলায় হয় , অ্যালিস ওগলেট্রি অকাল শিশুদের জন্য তিনি এবার ২৬৪৫ লিটার বুকের দুধ দান করেছেন। এর আগে ২০১৪ সালে ১৫৬ লিটার দুধ দান করে প্রথমবারের মতো রেকর্ড গড়েছিলেন এই নারী। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিশুকে বুকের দুধ দিয়ে সাহায্য করেছেন তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১০ সালে আমেরিকান এই নারী বুঝতে পেরেছিল যে, স্বাভাবিকের চেয়ে তার বেশি দুধ উৎপাদন হচ্ছে। তাই ছেলের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত দুধ অপচয় হবে বিধায় তিনি এর বিকল্প ব্যবহারের জন্য হাসাপাতালে যোগাযোগ করেন। হাসপাতাল থেকেই তিনি জানতে পারেন যে, দুধ অন্যান্য শিশুদের জন্য দান করা যায়।
এ বিষয়ে অ্যালিস ওগলেট্রি জানান, মানুষকে সাহায্য করার জন্য তার একটি বড় মন আছে। সবসময় অর্থ দিয়ে সহায়তা করতে পারেন না। তাই শিশুদের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রতিনিয়ত দুধ দান করার বিষয়ে তিনি আরও জানান, ‘আমি সব সময় প্রচুর পানি পান করতাম, আমি পাম্প করার জন্য আমার সময়সূচীর সাথে সামঞ্জস্য রেখেছিলাম, আমি স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছিলাম এবং আমি আমার মতো পাম্প করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। কারণ আমি জানতাম এই পরিশ্রম কতগুলো শিশুকে সাহায্য করবে।’
অ্যালিস ওগলেট্রির এই অনুদান উত্তর টেক্সাসের মায়েদের মিল্ক ব্যাংকে সংগৃহীত হয়। মাদার্স মিল্ক ব্যাংক অব নর্থ টেক্সাসের নির্বাহী পরিচালক শাইনা স্টার্কস গিসেন ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘অ্যালিস ওগলেট্রি ভঙ্গুর শিশুদের জন্য একটি অবোধ্য পরিমাণ উদ্বৃত্ত স্তনদুগ্ধ দান করার জন্য তার অসাধারণ প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে আমাদের আবারও বিস্মিত ও অনুপ্রাণিত করেছে।’