অ্যাথলেটদের অবসর-পরবর্তী বিচিত্র পেশা



সাফাত জামিল, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
ক্রিকেট অধ্যায় শেষে বক্সিংয়ে নাম লেখান ফ্লিনটফ

ক্রিকেট অধ্যায় শেষে বক্সিংয়ে নাম লেখান ফ্লিনটফ

  • Font increase
  • Font Decrease

অবসর নেওয়া ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের প্রাণবন্ত ও লক্ষ্যকেন্দ্রিক মানসিকতা খেলোয়াড়ি দিনগুলোর পরও যেভাবে তাঁদেরকে প্রতিশ্রুতিশীল ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তা করে, তা যে কারো জন্যই শিক্ষণীয়। অ্যাথলেটদের অবসর-পরবর্তী জনপ্রিয় পেশাগুলোর মধ্যে রয়েছে অভিনয়, গান, কোচিং, ব্যবসা, টেলিভিশন ধারাভাষ্য ইত্যাদি। তবে অবসর নেওয়া অনেক অ্যাথলেটের অপ্রত্যাশিত আর বিচিত্র সব পেশা বাছাইয়ের তথ্যে নিশ্চিতভাবেই চোখ কপালে উঠবে আপনার।

উইলিয়াম ‘মুকি’ উইলসনের কথাই ধরুন। দীর্ঘ ১২ বছরের সফল বেসবল ক্যারিয়ারে নিউইয়র্ক মেটসের হয়ে ওয়ার্ল্ড সিরিজসহ মুকি জিতেছেন অনেক কিছু। অবসরের পরও মেটসের সাথে নানা কার্যক্রমে যুক্ত থাকা মুকির সুপ্ত আগ্রহ রয়েছে আরেকটি বিষয়ে—ট্রাক ড্রাইভিং! “প্রয়োজনের তাগিদে নয়, ব্যাপারটাকে বরং আমি বেশ উপভোগই করি”—এক সাক্ষাতকারে বলছিলেন তিনি। ড্রাইভিংয়ের নেশায় গাড়ি ছেড়ে ট্রাক কেন, সেটি অবশ্য জানা যায়নি।

◤ বেসবল ছেড়ে ট্রাক ড্রাইভিংয়ে মনোনিবেশ করেছেন মুকি উইলসন  ◢


তবে খেলা ছাড়ার আগেই তিনবারের এনবিএ চ্যাম্পিয়ন শ্যাকিল ও’নিল ২০০৫ সালে সম্মানিত হন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি মার্শাল হিসেবে। অবসর-পরবর্তী সময়ে টেলিভিশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করা শ্যাক বেশ কয়েকবার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হন যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকাণ্ডে। ২০১৫ সালে দক্ষিণ ফ্লোরিডার রিজার্ভ পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নেবার আগে এই জনপ্রিয় বাস্কেটবল খেলোয়াড় একই পদে কাজ করেছেন লস এঞ্জেলেস ও মায়ামিতে।

◤ রিজার্ভ পুলিশ অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন শ্যাক  ◢


ফুটবলের বুটজোড়া তুলে রাখবার পর বেশ ব্যাতিক্রমী এক পেশাতেই যুক্ত হন সাবেক ইংলিশ তারকা ডেভিড হিলিয়ার। তাঁর ক্লাব আর্সেনালের নামের অর্থ হচ্ছে অস্ত্রাগার, আর হিলিয়ার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পর্বে বনে গিয়েছেন দমকলকর্মী। নব্বই দশকের অগ্রভাগে গানারদের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, লিগ কাপ জেতা হিলিয়ার দ্য সান পত্রিকাকে জানান, স্ত্রীর পরামর্শেই বেছে নিয়েছিলেন দমকলকর্মীর কাজ। “ফায়ার ব্রিগেডের কাজে সহজেই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি, কেননা বাড়ি থেকে দূরে পুরো ৩-৪ দিন আমরা প্রায় ১২ জন একসাথে যুক্ত থাকি—ঠিক যেমনটা থাকা হতো ম্যাচের আগে আর্সেনালের টিম হোটেলে”, বলছিলেন হিলিয়ার।

এনবিএ হল অব ফেমার আদ্রিয়ান ড্যান্টলি খেলা ছাড়বার পর যুক্ত হন ডেনভার নাগেটসের সহকারী কোচ হিসেবে। তবে ২০১৩ সালে সব ছেড়ে ড্যান্টলি নেমে পড়েন ইস্টার্ন মিডল স্কুলের শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারে সহায়তা বা ক্রসিং গার্ডের কাজে। বিপুল সম্পদশালী এই বাস্কেটবল গ্রেটের কাছে নতুন এই পেশা অবশ্যই বাড়তি আয়ের মাধ্যম নয়। “আমি কেবল বাচ্চাদের জন্য এটি করেছি,” বলেছিলেন ড্যান্টলি, “আমি সারা দিন বাড়ির চারপাশে বসে থাকতে চাইনি। গত সাত মাসে আমি নিশ্চিতভাবে দুটি জীবন বাঁচিয়েছি, দুবার গাড়িচাপা পড়ারও অবস্থা হয়েছিল আমার। এই পথে চলা প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ ড্রাইভিংয়ের সময় ফোনকল বা টেক্সটিংয়ে ব্যস্ত থাকে আর ক্রসিং গার্ড হিসেবে যুক্ত না হলে বিষয়টা আমার অজানাই রয়ে যেত।”

◤ হিলিয়ার, সাবেক আর্সেনাল তারকা এখন দমকলকর্মী  ◢


ফাবিয়েন বার্থেজের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? ফ্রান্সের হয়ে ১৯৯৮ ফুটবল বিশ্বকাপ জেতা টেকো মাথার এই গোলরক্ষক বেশ আলোচিত ছিলেন ডি-বক্সে দুরন্ত গতিতে ছোটাছুটির জন্য। অবসরের পর সেই গতির খেলায় আরো ভালোভাবে ঝুঁকেছেন মোটরস্পোর্ট ইভেন্ট লিঁ মা-এ নাম লিখিয়ে। ২০১৪ সালে নবম আর ২০১৬ সালে অষ্টম স্থানে থেকে প্রতিযোগিতা শেষ করলেও ২০১৭ সালে সাবেক এই ম্যান ইউনাইটেড গোলরক্ষক ট্র্যাক ছাড়েন ফিনিশিং লাইনে পৌঁছাবার আগেই।

◤ গোলকিপিংয়ের পর মোটরস্পোর্টিংয়ে ঝোঁকেন ফাবিয়েন বার্থেজ ◢


মাথায় পাওয়া আঘাতের সাথে যুদ্ধে হার মেনে মাত্র ৩১ বছর বয়সেই অবসর নেন লিভারপুল সেন্টার-ব্যাক ড্যানিয়েল অ্যাগার। তবে মাঠের বাইরেও বেশ সপ্রতিভ অ্যাগার পরবর্তীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন পেশাদার উল্কি বা ট্যাটুশিল্পী হিসেবে। বর্তমান সময়ে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ট্যাটু পার্লার ‘ট্যাটুডু’-এর জন্ম হয় এই ড্যানিশ ডিফেন্ডারের হাত ধরে।

ইংলিশ অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ২২ গজের মারমুখী মেজাজ বজায় রেখেছেন অবসরের পরও। তবে উইলো ব্যাটের বদলে হাত চালিয়েছেন বক্সিং গ্লাভস মুড়িয়ে। তাঁর এই বক্সিংপ্রীতি নিয়ে বিবিসি একটি ডকুমেন্টারিও বানিয়েছে। শুরুর দিকের বেশ কটি লড়াইয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করা ফ্লিনটফ ম্যানচেস্টারের এক রিংয়ে হারিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন বক্সার রিচার্ড ডসনকে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হওয়া ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের জার্মান দলের সদস্য টিম উইজ আবার ছাড়িয়ে গেছেন ফ্লিনটফকেও। ভের্ডার ব্রেমেনের সাবেক গোলরক্ষক ফুটবল-অধ্যায় শেষ করে নাম লেখান পেশাদার রেসলিংয়ে। জনপ্রিয় ‘ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট’ বা ডব্লুডব্লুই ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে যুক্ত হয়ে রিংয়ে বেশ ভালোই নাম করেন একসময়ের দক্ষ পেনাল্টি সেভার উইজ।

◤ ১৯৯২ এর জাতীয় ক্রিকেট হিরো ইমরান খান এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ◢


খেলাধুলার প্রশস্ত মাঠ ছেড়ে রাজনীতির বন্ধুর ময়দানে এসেছেন অবসরে যাওয়া অনেক ক্রীড়াব্যক্তিত্ব। তবে দীর্ঘ এ তালিকায় জ্বলজ্বলে এক ব্যতিক্রম ইমরান খান। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের এযাবতকালের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় এই ইমরানই কিনা, সে বিষয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে বিশ্বকাপজয়ী হার্টথ্রব এই অলরাউন্ডার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারেও নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। ১৯৯২-এর জাতীয় ক্রিকেট হিরো এখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

   

৫০ বছর আগে মহাকাশ থেকে তোলা পৃথিবীর ছবি আজও শ্রেষ্ঠ



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সালটা ১৯৬৮। বিশ্বব্যাপী মানুষ মেতে উঠেছিল বড়দিনের আনন্দে। তখনো জানতো না, বড়দিন উপলক্ষে তারা একটি বিশেষ উপহার পেতে চলেছে। পৃথিবী থেকে আমরা হরহামেশাই চাঁদ দেখি। অমাবস্যা-পূর্ণিমা, এমনকি পক্ষের মাঝামাঝি সময়ের বদৌলতে নানা দৃষ্টিকোণে নানা আকারের চাঁদ দেখতে পাই। তবে চাঁদ থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন? এরকমটা হয়তো অনেকেই ভাবেন।

নাসার মহাকাশচারীরা অ্যাপোলো ৪ এ করে তখন চাঁদের চারপাশে টহল দিচ্ছে। সেখান থেকে তারা চাঁদের বাসকারীদের দৃষ্টিতে পৃথিবী কেমন হবে তার এক নমুনা জোগাড় করেন। ক্রিসমাসের কিছুদিন আগে ক্রুরা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার সময় ব্যারেন লুনার হরিজোন থেকে একটি ছবি তোলে। সেখানে সুদূর মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একটি সুন্দর দৃশ্য ধারণ করা হয়। চমৎকার সেই রঙিন ছবিটি সবকিছু পরিবর্তন করতে চলেছিল।

ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন নভোচারী বিল অ্যান্ডার্স এবং জিম লাভেল। ছবিটি ধারণ করার পর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান। অর্ধ শতাব্দী পার হয়ে যাওয়ার পরও এটিকে প্রকৃতির সবচেয়ে আইকনিক ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এটিই মহাকাশ থেকে তোলা প্রথম রঙিন এবং উচ্চ রেজুলেশনের ছবি।

১৯৭০ সালে পরিবেশ সচেতনতা এবং এই ব্যাপারে সক্রিয়তা বাড়ানোর উদ্দেশে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পৃথিবী দিবস প্রচারিত হওয়ার কারণে ছবিটিকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাইকেল প্রিচার্ড ছবিটিকে নিখুঁত দাবি করেন। তিনি বলেন, এই ছবিটি পৃথিবীর এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছিল, যা আগে কোনো ছবি করতে পারেনি। প্রকাণ্ড মহাবিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব কতটা ক্ষুদ্র গ্রহ, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ছবিটি।

১৯৬০ সালের পরই পৃথিবী নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করে। ষাটের দশকের শেষভাগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মানুষ অনুধাবন করে পৃথিবীকে আজীবন একইভাবে ব্যবহার করা যাবে না। গ্রহের প্রতি আমাদের আরও অনুরাগী হতে হবে। সেই উদ্দেশে ১৯৬৯, ‘৭০ ও ‘৭১ সালে ‘ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ’, মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি’ এবং ‘গ্রিনপিস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ছবিটি প্রকাশের ১৮ মাস পর ২০ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক পৃথিবী রক্ষার আন্দোলনে রাস্তায় নামে।

পৃথিবী রক্ষা করার জন্য মানুষদের উৎসাহিত করার বেলায় ছবিটি অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। এখনো অবদি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পাঠানো ছবিগুলোর মধ্যে ১৯৬৮ সালে বড়দিনের আগে তোলা সেই ছবিটিকে শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করা হয়।

;

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;