মার্কিন মুল্লুকে বাঙালির স্বপ্ন-সারথি ‘আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রথম ভার্সিটির উদ্বোধনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন

বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রথম ভার্সিটির উদ্বোধনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন

  • Font increase
  • Font Decrease

**বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রথম ভার্সিটির উদ্বোধনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন

ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়ায় বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপের মালিকানাধীন ‘ইনোভেটিভ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর ইতিহাসে আরেকটি অধ্যায়ের সংযোজন ঘটলো যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘ইনোভেটিভ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’ চালুর মধ্যদিয়ে। বহুজাতিক এ সমাজে প্রবাসীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথেই শুধু নয়, বাংলাদেশের উদ্যমী এবং মেধাবিদের দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানের যে পাঠক্রম-তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উচ্চ বেতনে চাকরির পথ সুগম করবে। যতবেশী বাংলাদেশি বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরি পাবে ততবেশি অর্থ যাবে বাংলাদেশে এবং ইতিমধ্যেই তার প্রমাণ মিলতে শুরু করেছে।’ মার্কিন মুল্লুকে বাঙালির স্বপ্ন-সারথি হয়ে আবির্ভূত হলো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি-উল্লেখ করেন এমিরিটাস প্রফেসর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভার্সিটির মিলনায়তনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ অনুষ্ঠানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, পরিচালকমণ্ডলী, শিক্ষার্থী ছাড়াও অতিথি হিসেবে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, সামিট গ্রেুপের ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদ খান, ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার। ভিডিওতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. সাজ্জাদ হোসেন, জর্জিয়া স্টেট সিনেটর শেখ রহমান এবং প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা ড. নীনা আহমেদ।

অনুষ্ঠানস্থলে প্রধান অতিথি ড. মোমেনকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা জানানোর পর স্বাগত বক্তব্যে এই ভার্সিটির চ্যান্সেলর এবং সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষাও দেয়া হবে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে, যাতে গ্র্যাজুয়েশনের সাথে সাথেই চাকরি পান সকলে। যুক্তরাষ্ট্রে অসংখ্য শিক্ষার্থী ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেও মাসের পর মাস চাকরি পান না। কারণ, অনেক দফতরেই পূর্ব অভিজ্ঞতা লাগে। আইটি সেক্টরে চাকরি কখনোই মেলে না অভিজ্ঞতা না থাকলে। এই ইউনিভার্সিটিতে সে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই অনুমতি সংগ্রহ করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার হানিপ উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিভার্সিটি তথ্য-প্রযুক্তি, ব্যবসা-প্রশাসন, প্রজেক্ট এবং হেল্্থ কেয়ার ম্যানেজমেন্টে যথেষ্ঠ সুনাম কুড়িয়েছে। চলতি বছর এর মালিকানাসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় আমরা এসেছি। তাই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যাতে অবাধে ভর্তির সুযোগ পান সে চেষ্টা থাকবে। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের নামে দুটি স্কলারশিপ ঘোষণা দেয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীর এর একটি ব্যাচেলর এবং আরেকটি মাস্টার্স কোর্সের জন্য পাবেন। অর্থাৎ পুরো কোর্সের ৭৫% বৃত্তি দেয়া হবে। এর বাইরেও রয়েছে আরো দু’লাখ ডলারের স্কলারশিপ বাংলাদেশ থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে ইউনিভার্সিটি পরিচালনা পর্ষদের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ফারহানা হানিপ বলেন, গত দেড় দশকেরও অধিক সময়ে ‘পিপল এন টেক’র মাধ্যমে আমরা সংক্ষিপ্ত কোর্স দিয়ে মার্কিন আইটি সেক্টরে সাত হাজারের অধিক প্রবাসীকে উচ্চ বেতনে চাকরির পথ সুগম করেছি। সে অভিজ্ঞতায় আইটি, হেল্্থ, হিসাব বিজ্ঞাণ এবং ব্যবসা-প্রশাসনে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সের সাথেই কারিগারি শিক্ষা দেয়া হবে। সেটিই হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের বিশেষত।

রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও যাতে এই প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে ভালো বেতনে চাকরি পান, সে জন্যে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হবে সংশ্লিষ্ট সকলকে।

বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদ খান বলেছেন, পিপলেএনটেক’র মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ার হানিপ বহু বাংলাদেশিকে স্কলারশিপের মাধ্যমে মার্কিন আইটি সেক্টরে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে কারিগরি শিক্ষালাভে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীরা গ্র্যাজুয়েশনের পরই চাকরি পাবে বলে আশা করছি। সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক ঘটনা হচ্ছে এই ইউনিভার্সিটির টিউশন ফি তুলনামূলকভাবে কম, তারওপর রয়েছে স্কলারশিপ। বাংলাদেশ টেকনোলজিতে অনেক এগিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সেই ধারায় যুক্ত হয়ে এই ভার্সিটিও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াবে বলে আশা করছি।

ভয়েস অব আমেরিকার রোকেয়া হায়দার বলেছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের এগিয়ে চলার খবরাখবরের পাশাপাশি মূলধারায় সম্পৃক্ততার সংবাদ আমেরিকার বাংলা ভাষার প্রতিটি গণমাধ্যম প্রকাশ ও প্রচার করছি। ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিপের মাধ্যমে প্রবাসীদের সমৃদ্ধির পথে ধাবিত হবার ক্ষেত্রে আরেকটি অধ্যায়ের সংযোজন ঘটলো। আমি এই প্রয়াসের প্রশংসা করছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন তার দীর্ঘ বক্তব্যে বলেছেন, অভিবাসী সমাজের স্বপ্ন পূরণে অন্যতম প্রধান অবলম্বন হচ্ছে দক্ষ হিসেবে শিক্ষালাভ করা। বাংলাদেশের এক কোটি ২৩ লাখেরও অধিক মানুষ এখন বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। তারা যদি আন্তর্জাতিক মানের চাকরির উপযোগী শিক্ষালাভে সক্ষম হন তাহলে বাংলাদেশই প্রকারান্তরে উপকৃত হবে। ড. মোমেন বলেন, বাঙালিরা খুবই সৌভাগ্যবান এজন্যে যে, শেখ হাসিনার মত একজন নেতা পেয়েছি আমরা। তার দূরদর্শীতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের মডেল। আমি আরেকটি সুখবর দিতে চাই যে, গতকালই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করেছে। এটিও শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণেই সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৫ দিনের সরকারি সফরের শেষ দিন ড. মোমেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বক্তব্য দিলেন।

ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অধ্যাপক এপাসটলোস ইলিয়পলাসের উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে ড. মোমেনকে ‘প্রক্লেমেশন’ প্রদান করা হয় বাংলাদেশের সুনাম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে নিরলসভাবে কাজের জন্য। এরপর করতালির মধ্যে কেক ও ফিতা কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালিদের জন্যে নয়া ইতিহাসের শুভ সূচনা।

   

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের আকবর



কুয়েত করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুয়েত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আকবর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আদর্শ পাড়া হাদির গো বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে কুয়েতের রাবিয়া নামক স্থানে ইশারা আল কাসেমিতে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনায় ঘটে।

নিহতের আত্মীয় সাখাওয়াত হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন। শুক্রবার রাতে রাস্তা পারাপার করতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়।এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।'

বর্তমানে মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

;

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো



ড. হাসিন মাহবুব চেরী, সিনিয়র স্পেশালিস্ট সায়েন্টিস্ট, ইউকে
দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা বয়সের পরে আমরা আটকা পড়ি শুধুই মায়ার টানে। কোন মানুষটা আমাদের মন থেকে মায়া করে, এটাই সব কিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচ্য হয় আমাদের কাছে (অন্তত আমার কাছে ব্যাপারটা এখন তাই)।

কারণ, আমরা বুঝতে শিখি যে, আমাদের আশেপাশে বন্ধুরূপী অসংখ্য মুখের ভিড়ে শুধু মাত্র সেই মুখগুলোই মূল্যবান - যার কাছে আমি মূল্যবান। আর ঠিক একারণেই সুদূর বিলাতের বিভূঁই পরিবেশে ফারহানা হোসেন আপু যখন বললো দেশ থেকে আসা ইলিশ তোমাকে আর Rumana Newlands কে ছাড়া খাবো না বলে তুলে রেখেছি, কবে আসবে? মনে হলো এই ভালোবাসার ডাক পাবার মতো ভাগ্য আসলে ক'জনেরই বা হয়? তাই প্রচন্ড ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই হুট করে একবেলার জন্যে লন্ডন থেকে গ্লাসগো উড়ে চলে গেলাম।

এই ঝটিকা সফর বহু কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তবে অর্ধেক দিনের এই মেমরি আমাকে আবার শেখালো:

Life is not about quantity, it`s all about quality. So it doesn`t matter what you have in life, but who you have only matters.

আর জীবনে নিজের পরিবারের মানুষ ছাড়াও কারো সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আসলেই বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। ফারহানা আপু এবং সাজ্জাদ ভাইয়ার আন্তরিকতায় আবারো মুগ্ধ হতে হতে তাই ভাবছিলাম, যদিও আমি সবসময় সবার থেকে ভালো জিনিস গুলো শেখার চেষ্টা করি তবে কিছু কিছু কোয়ালিটি আসলে মানুষের মধ্যে আসে 'ইন বিল্ট' হয়ে, যেটা অন্য কেউ হয়তো হাজার চেষ্টা করেও আয়ত্ত্ব করতে পারে না!

অন্যকে স্পেশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ফিল করানোও ঠিক সেরকমই একটা ইন বিল্ট কোয়ালিটি যেটা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেঔ অনুপস্থিত। যেমন আপু এবং ভাইয়া (আমার দেখা দুই অন্যতম ব্রিলিয়ান্ট এবং down to earth মানুষ) যেভাবে ওয়ার্কিং ডে 'র শেষে আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করা থেকে শুরু করে নিজের হাতে রান্না করা বহু পদের মুখরোচক খাবার এবং নিজের হাতে বানানো মিষ্টি'র আয়োজন করলেন, স্কটল্যান্ডে এসে আমার ভাইয়ের সাথে দেখা হবে না বলে আমার ভাই কেও আবেরডিন থেকে ডেকে নিয়ে আসলেন, এবং আসবার পথে একগাদা খাবার প্যাক করে ব্যাগে নিজের হাতে ঢুকিয়ে দিয়ে একদম এডিনবরা এয়ারপোর্ট এর সিকিউরিটি পর্যন্ত এসে বিদায় দিয়ে গেলেন - এই আন্তরিকতাটা বোধহয় একেবারে মনের গভীর থেকে না আসলে করা সম্ভব নয়।

আসলে জীবনে আমরা বহু অপাত্রে আমাদের ভালোবাসা এবং সময় দান করে নষ্ট করি, বহু মানুষের ব্যবহার দেখে মনে হয় সত্যিই বোধহয় স্বার্থপর না হওয়াটাই আজকাল বোকামি। তবে পরমুহূর্তেই আবার যখন এরকম সুন্দর মনের মানুষ গুলোর আন্তরিকতায় অবাক এবং মুগ্ধ হই, তখন মনে হয় এই সুন্দর মনের মানুষগুলোর উপস্থিতির জন্যেই আসলে জীবনটা এতো সুন্দর। আর এরকম মানুষের উপস্থিতি আমাদের ঠিক একইভাবে ওনাদের মতোই অন্য কারো জীবনেও নিজের উপস্থিতি দিয়ে তার জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

;

শেখ হাসিনার সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে: থাই সরকারের মুখপাত্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর থাইল্যান্ডে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছাবেন। পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থাই সরকারের মুখপাত্র চাই ওয়াচারানক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিন এর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে আসছেন।

শেখ হাসিনার ভ্রমণের সময় উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য গভর্মেন্ট হাউজে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন শ্রেত্থা থাবিসিন।

চাই ওয়াচারানক জানান, ২০০২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম থাইল্যান্ড সফর। এই সফরে দুই দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগীতা বৃদ্ধি, বিশেষত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও যোগাযোগ, পর্যটন এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান থাই সরকারের মুখপাত্র। 

;

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;