ঘানির মতো শেখ হাসিনাকেও পালাতে হবে: ফারুক
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির মতো শেখ হাসিনাকেও একদিন পালাতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় সাবেক চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক।
গত মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জয়নাল আবেদীন ফারুক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ভোট বিহীন নির্বাচনের অবৈধ ও স্বৈরাচারী সরকার’ আখ্যায়িত করে বলেন, অতীত ইতিহাস বলে স্বৈরাচার কোনদিন চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। হাসিনা সরকারও পারবে না। সময় বেশীদিন নয়, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির মতো শেখ হাসিনাকেও পালাতে হবে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন দেখি কার জনপ্রিয়তা বেশী, আওওয়ামী লীগের নাকি বিএনপি’র।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে দেয়া বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জিয়ার লাশ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। অথচ সেদিন লক্ষ লক্ষ জনতা জিয়ার জানাযায় শরিক হয়েছিলেন তারাই স্বাক্ষী। জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল কিনা সে বিষয়ে ‘মিড নাইট সরকারের প্রধানমন্ত্রী’ কি বললো তা বাংলাদেশের জনগণ পাত্তা দেয় না। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে জিয়াউর রহমানের লাশ কেউ সরাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
আওয়ামী লীগ সরকারের সকল বাঁধা পেরিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে অচিরেই বিএনপি বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্টিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, হতাশ হবেন না, ঐক্যবদ্ধ থেকে এগিয়ে যান। পদ-পদবীর জন্য দূরে থাকবেন না, দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করবেন না।
স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উদযাপন কমিটি, যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক সচিব জসিম ভূঁইয়া। সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন।
পরে বেলুন উড়িয়ে কেক কাটেন জয়নাল আবেদীন ফারুক। এসময় দলীয় নেতা-কর্মীরাও এক একটি করে বেলুন উড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। তারা দল এবং জিয়া-খালেদা ও তারেকের নামে নানা শ্লোগান দেন। বিশেষ দোয়া মুনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। সভায় স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরোত্তমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ শাহবাজ আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সর্বস্থরের নেতা-কর্মী ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র যুবদল, শ্রমিকদল, মহিলাদল, ছাত্রদল, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ প্রভৃতি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী সংগঠনের ব্যানার নিয়ে এতে অংশ নেন।
সমাবেশে দলের উল্লেখযোগ্য নেতা-কর্মীর মধ্যে বীর মুক্তিযাদ্ধা যথাক্রমে মীর মশিউর রহমান, আবুল কালাম আজাদ (মেয়র) ও সুরুজ্জামান এবং যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমদসহ বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন, আবদুস সবুর, বাসেত রহমান, মোশারফ হোসেন সবুজ, এবাদ চৌধুরী, মাকসুদুল হক চৌধুরী, জাফর তালুকদার, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, আহবাব চৌধুরী, ফারুক হোসেন মজুমদার, নিরা রব্বানী, বদিউল আলম, বেলাল চৌধুরী, মনজুর মোর্শেদ, ভিপি জসিম, আতিকুল হক আহাদ, এলমাক হোসেন ফয়সাল, নাসিম আহমেদ, মোতাহার হোসেন, শেখ হায়দার আলী, জামালুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান মুকুল, কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, রেজাউল আজাদ ভুঁইয়া, এজিএম জাহাঙ্গীর হাসাইন, সাইফুর খান হারুন, জীবন শফিক, ওয়াদুদ বিন ইসলাম, আব্দুর রহিম, শরীফুল খালিশদার, ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী, ফরিদ খন্দকার, জাবেদ উদ্দীন, আহসান উল্লাহ মামুন, এমদাদ তরফদার, মহসিন মিয়া লাল, শাহাদত হোসেন রাজু, মনিরুল ইসলাম মনির, বাদল মির্জা, মোহাম্মদ আলী রাজা, মোহাম্মদ লতিফ, শেখ ফরিদ, মিরাজ হোসাইন, মোহাম্মদ হারুন, আল মামুন সবুজ, জিয়াউল হক মিশন, হাসান আলী, মোহাম্মদ তওফিক, চৌধুরী তানিম আহমেদ, তোফায়েল আহমেদ, আল মাহমুদ সবুজ, মজিবুর রহমান লাভলু, শাহীন আহমেদ রাফী, মুজীবুর রহমান, জুবেল আহমেদ, মো: লতিফ, শেখ ফরিদ, মিরাজ হোসাইন, মির্জা আজম, মো. অভিক, প্রিন্স, রুবেল খলিল জাহাঙ্গীর, মাইনুল করিম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।