'আমাদের অহংকার করার মত একটি দেশ আছে, দেশটাকে ভালোবাসুন'



জুয়েল সাদত
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

'আমাদের অহংকার করার মত একটি দেশ আছে, দেশটাকে ভালোবাসুন' উল্লেখ করে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, 'আপনারা দেশটাকে ভালোবাসবেন। বিদেশ থেকে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করতে একটি শক্তিশালী চক্র কাজ করছে, আপনারা সজাগ থাকবেন।'

গত ১৮ ডিসেম্বর সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার ওররান্ডোর আপনা ইভেন্ট সেন্টারে সন্ধা ৭টায় সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় উৎসব ও নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ড. সিদ্দিকুর রহমান আরো বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগ একটি অনুকরণীয় সংগঠন। আজ বিদায়ী সভাপতিকে যেভাবে সম্মান জানিয়ে বিদায় জানানো হচ্ছে তা দেখার ও শেখার বিষয়। এই কমিটির উপদেষ্টায় যারা আছেন তারা দেশের গর্বিত সন্তান।'

তিন পর্বের বিজয় উৎসবের শুরুতে বিদায়ী সভাপতি জয়নাল চৌধুরীকে ক্রেস্ট দিয়ে বিদায় জানান নতুন সভাপতি কাজী আসিফ ইকবাল (সুকন)।

মূল অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ও ডিজিটাল বাংলাদেশের ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়ে। ছিল বাচ্চাদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সেন্টু মহানগর আওয়ামী লীগের মূল আলোচনা পর্বের উপস্থাপনা করেন। প্রথমে জাতীয় সংগীত, কোরআন তেলাওয়াত ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে নীরবতা পালন করা হয়ে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী ইকবাল হায়দার বলেন, 'বিশ্বের একমাত্র জাতি আমরা ভাষার জন্য ও দেশের জন্য রক্ত দিয়েছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল।'

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একাধিক গ্রন্থের লেখক উপদেষ্টা ডাক্তার নুরুল আমিন বলেন, 'আমাদের সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগ আজ আমেরিকার একটি ভালো সংগঠন। প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি হিসাবে গর্ব বোধ করি।'

বিশেষ অতিথির বক্তব্য উপদেষ্টা ডাঃ মুরাদ খাঁন ঠাকুর বলেন, 'বাংলাদেশের ৫০ বছরের অর্জন নিয়ে গবেষণা চলছে৷ আমাদের বর্তমান সরকারের সুযোগ্য নেতৃত্বেই দেশ নানা সূচকে বিশ্বে সমাদৃত।'

উপদেষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা শামীম মৃধা বলেন, 'বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্বারা বর্তমানে সম্মানিত। তাদের সন্তানরা-ও সম্মান ও গর্ববোধ করেন, তার পিতার কারণে।'

আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা যুগ্ম সম্পাদক নাজিম উল্লাহ লিটন, সহ-সভাপতি সাংবাদিক - কলামিস্ট জুয়েল সাদাত, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহার হোসেন, সিনিয়র সভাপতি জাহাঙ্গির সরদার, সহ সভাপতি মেহেদি বাবুল।

সভাপতির বক্তব্যে কাজী আসিফ ইকবাল সুকন বলেন, 'আমরা সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার সকলকে দাওয়াত করেছিলাম সম্মিলিতভাবে বিজয উৎসব পালনের জন্য। সবাই এসেছেন, আমরা ধন্যবাদ জানাই সকলকে। আমাদের আগামীতে আরো বড়ো পরিসরে বিজয় দবস আয়োজনের সুযোগ থাকবে।'

দ্বিতীয় পর্বে আনোয়ার হোসেন সেন্টু ও নাজিম উল্লাহ লিটনের সম্পদনায় বিজয় উৎসবের ম্যাগাজিন "স্বপ্ন" এর মোড়ক উন্মোচন করেন আমন্ত্রিত অতিথি ও উপদেষ্টাগণ। চমৎকার প্রচ্ছদের ৯২ পৃষ্ঠার তথ্যবহুল "স্বপ্ন" ম্যাগাজিন সকলের দৃষ্টি কাড়ে।

বিজয় উৎসবের আকর্ষণীয় শিশুদের উন্মুক্ত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে ২৪ জন অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্য সেরাদের বাছাই করে ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার প্রদান করেন মোহাম্মদ সফি, নাজিম উল্লাহ লিটন, কাজী আসিফ ইকবাল সুকন।

সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগ বিজয় উৎসবে দীর্ঘদিন সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের পেছনে ও কমিউনিটিতে নিবেদিত কাজ করার জন্য দুই জনকে কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। তারা হলেন ডেমোক্রটিক রাজনীতিতে সম্পৃক্ত এ কে এম হোসেন হিটু ও নোরেন হায়দার।

তারা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে কমিউনিটির সকলকে ও সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগকে ১৭তম বিজয় দিবস পালনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান "বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী" গ্রন্থ সকলকে উপহার দেন।

বিজয় উৎসবের মূল আকর্ষণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নাজিম উল্লাহ লিটন। রোকশানা মির্জা দেশের গান দিয়ে শুরু করেন। তিনি একাধারে দশটি জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন। রোকশানার পার্ফমেন্স দর্শকদের আনন্দ দান করে৷

রাত ১১টায় মঞ্চে আসেন বাউল সম্রাট সফি মন্ডল। অসাধারণ পরিবেশনায সফি মন্ডল মাতিয়ে রাখেন পুরো ১ ঘণ্টা। চমৎকার গায়কী ভঙ্গি ও লোকজ পোষাকের সফি মন্ডল জনপ্রিয় লোকজ সংগীত পরিবেশন করেন। রাত বাড়তে থাকে দর্শকরা বসে গান শোনেন দেশের গান, মাটির গান, মুগ্ধতায় নাঁচতে থাকেন। দেশপ্রেমের 'বাংলাদেশ' পুরো মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।

সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মুরাদ হোসেন, নাজিম উল্লাহ লিটন, আব্দুল জলিল,জুয়েল সাদাত, আনোয়ার হোসেন সেন্টু, মিজানুর রহমান সামশু,কাজী লোপা,রোকেয়া আকতার মিশু,আবু সাইদ, মোহম্মদ শফি, মিজান মোস্তফা সবুজ, জাহাঙ্গীর সরদার,আলো আহমদ প্রমুখ।

   

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের আকবর



কুয়েত করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুয়েত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আকবর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আদর্শ পাড়া হাদির গো বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে কুয়েতের রাবিয়া নামক স্থানে ইশারা আল কাসেমিতে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনায় ঘটে।

নিহতের আত্মীয় সাখাওয়াত হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন। শুক্রবার রাতে রাস্তা পারাপার করতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়।এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।'

বর্তমানে মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

;

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো



ড. হাসিন মাহবুব চেরী, সিনিয়র স্পেশালিস্ট সায়েন্টিস্ট, ইউকে
দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা বয়সের পরে আমরা আটকা পড়ি শুধুই মায়ার টানে। কোন মানুষটা আমাদের মন থেকে মায়া করে, এটাই সব কিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচ্য হয় আমাদের কাছে (অন্তত আমার কাছে ব্যাপারটা এখন তাই)।

কারণ, আমরা বুঝতে শিখি যে, আমাদের আশেপাশে বন্ধুরূপী অসংখ্য মুখের ভিড়ে শুধু মাত্র সেই মুখগুলোই মূল্যবান - যার কাছে আমি মূল্যবান। আর ঠিক একারণেই সুদূর বিলাতের বিভূঁই পরিবেশে ফারহানা হোসেন আপু যখন বললো দেশ থেকে আসা ইলিশ তোমাকে আর Rumana Newlands কে ছাড়া খাবো না বলে তুলে রেখেছি, কবে আসবে? মনে হলো এই ভালোবাসার ডাক পাবার মতো ভাগ্য আসলে ক'জনেরই বা হয়? তাই প্রচন্ড ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই হুট করে একবেলার জন্যে লন্ডন থেকে গ্লাসগো উড়ে চলে গেলাম।

এই ঝটিকা সফর বহু কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তবে অর্ধেক দিনের এই মেমরি আমাকে আবার শেখালো:

Life is not about quantity, it`s all about quality. So it doesn`t matter what you have in life, but who you have only matters.

আর জীবনে নিজের পরিবারের মানুষ ছাড়াও কারো সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আসলেই বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। ফারহানা আপু এবং সাজ্জাদ ভাইয়ার আন্তরিকতায় আবারো মুগ্ধ হতে হতে তাই ভাবছিলাম, যদিও আমি সবসময় সবার থেকে ভালো জিনিস গুলো শেখার চেষ্টা করি তবে কিছু কিছু কোয়ালিটি আসলে মানুষের মধ্যে আসে 'ইন বিল্ট' হয়ে, যেটা অন্য কেউ হয়তো হাজার চেষ্টা করেও আয়ত্ত্ব করতে পারে না!

অন্যকে স্পেশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ফিল করানোও ঠিক সেরকমই একটা ইন বিল্ট কোয়ালিটি যেটা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেঔ অনুপস্থিত। যেমন আপু এবং ভাইয়া (আমার দেখা দুই অন্যতম ব্রিলিয়ান্ট এবং down to earth মানুষ) যেভাবে ওয়ার্কিং ডে 'র শেষে আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করা থেকে শুরু করে নিজের হাতে রান্না করা বহু পদের মুখরোচক খাবার এবং নিজের হাতে বানানো মিষ্টি'র আয়োজন করলেন, স্কটল্যান্ডে এসে আমার ভাইয়ের সাথে দেখা হবে না বলে আমার ভাই কেও আবেরডিন থেকে ডেকে নিয়ে আসলেন, এবং আসবার পথে একগাদা খাবার প্যাক করে ব্যাগে নিজের হাতে ঢুকিয়ে দিয়ে একদম এডিনবরা এয়ারপোর্ট এর সিকিউরিটি পর্যন্ত এসে বিদায় দিয়ে গেলেন - এই আন্তরিকতাটা বোধহয় একেবারে মনের গভীর থেকে না আসলে করা সম্ভব নয়।

আসলে জীবনে আমরা বহু অপাত্রে আমাদের ভালোবাসা এবং সময় দান করে নষ্ট করি, বহু মানুষের ব্যবহার দেখে মনে হয় সত্যিই বোধহয় স্বার্থপর না হওয়াটাই আজকাল বোকামি। তবে পরমুহূর্তেই আবার যখন এরকম সুন্দর মনের মানুষ গুলোর আন্তরিকতায় অবাক এবং মুগ্ধ হই, তখন মনে হয় এই সুন্দর মনের মানুষগুলোর উপস্থিতির জন্যেই আসলে জীবনটা এতো সুন্দর। আর এরকম মানুষের উপস্থিতি আমাদের ঠিক একইভাবে ওনাদের মতোই অন্য কারো জীবনেও নিজের উপস্থিতি দিয়ে তার জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

;

শেখ হাসিনার সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে: থাই সরকারের মুখপাত্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর থাইল্যান্ডে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছাবেন। পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থাই সরকারের মুখপাত্র চাই ওয়াচারানক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিন এর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে আসছেন।

শেখ হাসিনার ভ্রমণের সময় উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য গভর্মেন্ট হাউজে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন শ্রেত্থা থাবিসিন।

চাই ওয়াচারানক জানান, ২০০২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম থাইল্যান্ড সফর। এই সফরে দুই দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগীতা বৃদ্ধি, বিশেষত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও যোগাযোগ, পর্যটন এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান থাই সরকারের মুখপাত্র। 

;

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;