কানাডায় বাংলা বই ও দেশজ ঐতিহ্যের প্রসারে আনোয়ার দোহা



ফারজানা নাজ শম্পা
কানাডায় বাংলা বই ও দেশজ ঐতিহ্যের প্রসারে আনোয়ার দোহা

কানাডায় বাংলা বই ও দেশজ ঐতিহ্যের প্রসারে আনোয়ার দোহা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আনোয়ার দোহা একজন অমায়িক সদালাপী ব্যক্তিত্ব যিনি দীর্ঘ সময় ধরে কানাডায় মূলধারায়বাংলা বইয়ের প্রসারও বাণিজ্যিকি করণে নিবেদিত থেকেছেন l বেঁচে থাকার ছক কাটা জীবন হতে একটু দুরে থেকে স্বতন্ত্র ধারায় চিন্তাকরেছেন আর হৃদয়ে ধারণ করেন বাংলাদেশের দেশাত্মবোধের ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা l কানাডায় মূলধারায়বাংলা বইয়ের সহজলভ্যতার অভাব জনিত শুন্যতা তাকে তাড়িত করতো সেই অদম্য বাসনা হতে কানাডায়বাংলাদেশি বিভিন্ন সংগঠন অধ্যুষিত জনপ্রিয় ড্যানফোর্থ সড়কে ২৯৭২ ড্যানফোর্থ এভিনিউতে নিজের শেষ সম্বলকে পুঁজি করে তুলে প্রতিষ্ঠান 'এটি এন মেগা স্টোর ( [email protected] l কানাডার পরবাসী বাঙালি ও পরবর্তীপ্রজন্মের কাছে তাঁর বাংলা ভাষা সাহিত্য ও কৃষ্টির আবহ লালিত উপকরণ সম্ভারে পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে একটি বিশেষ আলাপচারিতায় যাত্রা শুরু প্রসঙ্গে তিনি বলেন ' ২০০১ সালে প্রথমে আমার নিউ ইয়র্ক হতে কানাডায় আগমন l বাংলাদেশের দেশাত্মবোধ হৃদয়ে লালন করে২০০২ সালে প্রাথমিক ভাবে ধ্রপদী ও আধুনিক বাংলা গান চলচ্চিত্র র অডিও ও ভিডিও ক্যাসেট , সিডি ইত্যাদিযাত্রা শুরু করি l পরবর্তীতে তে স্থানীয় বাংলা বই প্রেমী কানাডা প্রবাসী কয়েকজনের বিশেষ উৎসাহ কানাডায় বাংলাভাষা সাহিত্য বিকাশের নিরিখেহৃদয়ে লালিত আমার অদম্য এবং সুপ্ত ইচ্ছের সফল বাস্তবায়ন ঘটে ২০০৬ সাল হতে l বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সব ধরনের বই , অভিধান বাংলাদেশের ও পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন উৎসব সাময়িকীযেমন ঈদ ও পূজা র বিষয়ে অন্যান্য উৎসব সংখ্যা ইত্যাদি নিয়ে সেই যাত্রা শুরু করে এখনো পর্যন্ত পথ চলছি l কোন আদর্শ প্রেক্ষপট তাঁকে এই উদ্যোগে প্রাণিত করেছিল সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ' আমি মূলত হিসাব বিজ্ঞানবিষয়ে প্রবাসে আমেরিকা ও কানাডা কয়েকটি উচ্চতর ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেই l কানাডায় হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষক রূপে দীর্ঘ সময় কর্মরত ছিলাম l

তবে কানাডায় মূলধারায় ও অভিবাসী বাঙালির অঙ্গনে বাংলাভাষার প্রসার পরিচিতি অব্যাহত রাখার তাগিদ ও বাংলা বইয়ের প্রাপ্তির শুন্যতা অন্তরে তীব্র তাড়না আমাকে বাংলাদেশের স্বকীয় পরিচয়সমৃদ্ধ এবং স্বতন্ত্র পরিচয়ে লালিত বাংলা বইয়ের দোকান গঠনের সিদ্ধান্ত নেবার শক্তি দেয় l সু সাহিত্যের মাধ্যমেই সুন্দর জীবনবোধসম্পন্ন জাতি গড়ে তোলা সম্ভব তাই কানাডায় অধিবাসী প্রবাসী দের ও পরবর্তী প্রজন্মেরমাঝে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস লালিত ক্ষেত্র সমুন্নত রাখার নিরিখে তাঁর এই উদ্যোগ l তাঁর অনুকরণীয় জীবন দর্শন আদর্শেও বিশ্বাস প্রসঙ্গে তিনি জানান ' একজন বাঙ্গালী হিসেবে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিসত্তার প্রতি দায়বদ্ধতা ছোটবেলা থেকে বইয়ের সাথে আমার গভীর সম্পৃক্ততা এবং অপরকে ভাল বই পড়ানোর মানসিক তৃপ্তি এবংএই প্রক্রিয়ায় সুকুমার বিকাশে এই দর্শনেই কানাডায় বাংলা বই বিপণন ও সম্প্রসারণে আগ্রহী হয়েছি। আলোকিত মানুষগড়ার কারিগর শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আবু সায়িদের জীবন বোধ আমার অনুকরণীয় আদর্শ ।' তাঁর এই প্রতিষ্ঠানেরবাংলা বইয়ের সংগ্রহ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন দুই বাংলার বরণীয় লেখকদের স্মরণীয় জনপ্রিয় লেখাউপন্যাস ও কবিতা , অনুবাদ গল্প সমৃদ্ধ সকল বয়সের পাঠক উপযোগি বই আমাদের সংগ্রহে আছে। শিশুদের জন্যবাংলা বর্ণ শেখা , গণিত ও সংখ্যা গণনা , ছড়া, কবিতা ও পল্পের বই এবং কিশোরদের জন্য ফিক্শান নন ফিকশানসবধরনের উপন্যাস,গল্প ও কবিতাসহ বাংলা ভাষায় রচিত বিভিন্ন ধর্মীয় বই সংগ্রহে রয়েছে। পাঠকদের চাহিদা অনুসারে অর্ডার নেয়া হয় l বাংলা সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করে যেমন মৃৎ শিল্প , পোড়ামাটি , বাঁশ, বেত ও কাঠজাত মনকাড়া গৃহসজ্জা , চিত্র ও উপহার সামগ্রী , বাংলাদেশের পতাকা ও পতাকা খচিত টি-সার্ট সুভেনীর, লুঙ্গি, গামছা ইত্যাদি।বাংলাদেশের ঐতিহ্য ইতিহাস ধারন না লালন করে না পণ্যসামগ্রী আমি আমাদের সংগ্রহে রাখি না। '

নিজের জন্ম পরিবার ও শিক্ষাজীবন ও জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত প্রসঙ্গে 'আমার জন্ম ১৯৫৪ সালের অগাস্ট মাসে বৃহত্তর কুমিল্লার চাঁদপুরজেলায়। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করি , আমারপড়ালেখা র বিষয়ের সাথে যদিও ভাষা-সংস্কৃতির সাথে যোগাযোগ কম তথাপী আমার বাংলা ভাষা ও ঐতিহ্যের প্রতি অদম্য নেশা সদাই আমাকে আকৃষ্ট রাখতো। কর্ম দক্ষতার প্রসারে দেশে বিদেশে হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক একাধিক পেশাভিত্তিক ডিপ্লোমা নিয়ে আমার অধ্যায়ন জীবনের পরিধি প্রায় ৩৫ বছর। আমাদের ৪৩ বছরেরবিবাহিত জীবনে তিন কন্যা সন্তানের গর্বিত পিতা আমি l কন্যারা সবাই বিবাহিতা এবং স্বামী সন্তানদের নিয়েটরেন্টো তে আছেন । আমার স্ত্রী শুধু আমার জীবনেরই নয় আমার ব্যাবসায় সার্বক্ষণিক সঙ্গিনী। আমার স্মরনীয় মূহুর্ত যখন বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করি এবং " কাজীর সামনে কবুল বলা”। আমার জীবনেরস্মরনীয় ঘটনাবলী অপারশুন্যতা হতে সৃষ্টি ''পিতা ও মাতার মৃ্ত্যু শোক।" আমার অবসর মেলে খুব কম আমার মতে অবসর হলো এককথায় আগামী কালের জন্য মগজ ধোলাই।তাঁর পছন্দের সাহিত্যেকদের বিষয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল 'দুই বাংলার প্রায়সব লেখকই আমার প্রিয় তবে সবার লেখাই যে আমার সম মাত্রায় ভালো লাগে এমন নয় , রম্য রসাত্মক লেখা বেশী আকৃষ্ট করে l আগ্রহের তালিকায় আছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় , সৈয়দ মুজতবা আলী, জসিমউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ প্রমুখ। ভ্রমন, শপিং আর ভাল কোন বই সংগ্রহ করে অন্যকে পড়ানো আমার শখ বলতেপারেন। অদূর ভবিষ্যতে কানাডার বাংলা সাহিত্য অনুরাগী এবং সংস্কৃতি প্রেমীদের সহযোগিতায় টরেন্টোতে একটি বাংলা পাঠগার প্রতিষ্ঠা করা আগামীর কর্ম পরিকল্পনা।বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নিয়ে প্রকাশনা এবং গবেষনাসম্পর্কে তাঁর মতামত 'মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণা অবশ্যই হচ্ছে l তবে বাস্তবতা হলো এক্ষেত্রে প্রকৃত গবেষনার চেয়েঅনেক লোকদেখানো বা রাজনৈতিক প্রভাবযুক্ত হয়ে পড়ছে যা আমার বিবেচনায় সঠিক দিক নির্দেশনা বিহীনউদ্যোগ l মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নিরপেক্ষ এবং নির্মোহ দেশাত্মবোধের অবস্থান হতে কাজ করতে হবে l ' তাঁর এই প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন 'আমার প্রাপ্তির অভিজ্ঞতায় কঠোর বাঁধা এবং উৎসাহদুটোই ছিল। বাংলা বইকে কানাডায়'মূলধারায় বানিজ্যিক পন্য হিসাবে আজকের গ্রহণযোগ্য স্থানে নেবারঅভিপ্রায়ে আমাকে প্রচুর কাঠখড়ি পোড়াতে হয়েছে , কানাডায় হাজার হাজার ডলার ভর্তূকি দিতে হয়েছে এবংএখনো হচ্ছে ,তবে আমার শখ বা দেশপ্রেম দুই কারনে কোন বাঁধা ই আমাকে দমিয়ে রাখতে পারছে না এবং হাল ছাড়িনি l '

ভাল বই আমাদের পরিশুদ্ধ মনন গঠন এবং বিশুদ্ধ চিন্তা করতে শেখায় l এই বোধ কে সামনে রেখে ই আনোয়ারদোহা টরেন্টো তে অগ্রসর হয়েছেন l টরেন্টো সংক্ষিপ্ত সফর এবং আনোয়ার দোহা ভাইয়ের দোকানে যখনই গিয়েছি তিনি উষ্ণআন্তরিকতায় ও পারিবারিক আতিথ্য আমাদের ভরিয়ে রেখেছেন l আমি লিখি তা অবগত হয়ে গুরুত্বপূর্ন বইয়েরপাঠ ও কেনার নির্দেশনা ও বই উপহার দিয়েছেন l আমাদের আলাপচারিতায় অমায়িক সদালাপী এবং দেশপ্রেমিকএই প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব অনর্গল বলেছিলেন বাংলাদেশের অশ্রুত ইতিহাসের মূল্যবান বিভিন্ন দিক l কানাডায় বাংলা ভাষা ইতিহাস এবং ঐতিহ্য কে হৃদয়ে ধারন করে শ্রদ্ধাভাজন আত্মপ্রত্যয় দীপ্ত এই ব্যক্তিত্বের উদ্যোগ সুদীর্ঘ সফলতা লাভকরুক l আনোয়ার দোহা ভাইয়ের কানাডার মূলধারায় বাংলা বইয়ের দীর্ঘ পথযাত্রায় মাঝে মধ্যেই 'এ টি এন মেগাস্টোর গ্রন্থনীড়ে কানাডায় বসবাসরত এবং কানাডায় সফর কারী বাংলা ভাষা সাহিত্যের অনেক কালজয়ী সাহিত্যকসাংষ্কৃতিক গুণীজনের মিলন মেলায় পরিণত হয় l আর কানাডার বাংলা সাহিত্য ইতিহাস অনুরাগী পরবাসী পাঠকলেখক সহ অভিবাসী পাঠকের খুঁজে পায় দেশের স্বকীয় আত্মপরিচয়সমৃদ্ধ চিন্তার আনন্দেলোক l কোভিড মহামারীকালিন সময়ে কানাডায় বাংলাবইয়ের ক্রেতা সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেলেও আনোয়ার দোহা দমে জাননি l

কানাডা ও উত্তরআমেরিকার প্রবাসী বাঙালিরা তাঁর প্রতিষ্ঠান হতে বই কিনে বাংলা ভাষী ও বাংলাদেশি রা তাঁদের জাতিগত আত্মপরিচয়জাত চিন্তার উত্তরণ ঘটিয়ে আনোয়ার দোহা ভাইযের অনন্য উদ্যোগের পাশে আছেন।

   

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা



সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) থেকে তোফায়েল পাপ্পু:
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে ধুলিকণা সৃষ্টি করে কিছু উপকূলীয় এবং অভ্যন্তরীণ এলাকায় মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকাল পর্যন্ত আর্দ্রতা থাকবে। আমিরাতের ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি (এনসিএম) এর তথ্যমতে সারা দেশে আবহাওয়ার অবস্থা রৌদ্রোজ্জ্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে কিছু অংশে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ এবং বৃষ্টিপাতের সাথে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।

কিছু উপকূলীয় এবং অভ্যন্তরীণ এলাকায় মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকাল পর্যন্ত আর্দ্র থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বাতাসের কারণে ধুলো উড়বে।

এদিতে কারও যদি ধূলিকণার অ্যালার্জি থাকে এমন কেউ বাইরের দিকে না যায় এবং বাহিরে যেসব শ্রমিক কাজ করছেন তাদেরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেননা কখনও কখনও হালকা থেকে মাঝারি বাতাস, ১৫-২৫ বেগে, ৪৫ কিমি/ঘন্টা বেগে, ধুলো এবং বালি উড়তে পারে।"

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১-৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫-২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।


উপকূলীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৭-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পার্বত্য অঞ্চলে ৩০-৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। পার্বত্য অঞ্চলে আর্দ্রতা ৬০-৮০ শতাংশ মাঝারি থাকবে, যেখানে উপকূলীয় অঞ্চলে এটি ৭০-৯০ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এনসিএম আরও বলেছে যে মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকালে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়তে পাওে এবং কিছু অভ্যন্তরীণ এবং উপকূলীয় এলাকায় কুয়াশা এবং কুয়াশা তৈরি হচ্ছে। মাঝারি বাতাস প্রত্যাশিত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলরেখা বরাবর সমুদ্র তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকবে।

;

মালয়েশিয়ায় পুলিশের মোটরসাইকেল কিনে বিপাকে বাংলাদেশি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ-ইস্ট এশিয়া, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ান পুলিশের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল মাত্র ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত বা ৩০ হাজার টাকায় কেনেন একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। সেটা চালানোও শুরু করেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো টিকটকে বড় কথা বলতে গিয়ে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই মালয়েশিয়ান পুলিশের মোটরসাইকেল চালানোর বিষয়টি টিকটকে বড়াই করে জানান দেন প্রবাসী। ভিডিওটিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। আর সেটা চোখে পড়ে মালয়েশিয়ান পুলিশের। অবশেষে খুঁজে বের করা হয় তাকে।

সেপাং জেলা পুলিশের প্রধান সহকারী কমিশনার ওয়ান কামারুল আজরান ওয়ান ইওসুফ বলেন, সেপাং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের একজন সদস্যের মোটরসাইকেল ছিল সেটি। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।

তিনি বলেন, পুলিশ সদস্য তার মোটর সাইকেলটি মেকানিক দোকানে নিয়ে যান কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ঠিক করতে।

মোটরসাইকেলটি অনেকদিন ধরেই পরিচর্যা করা হয়নি। পরে মেকানিক দোকানের বাংলাদেশি কর্মচারী বলেন, ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিতের বিনিময়ে তিনি মোটরসাইকেলটি কিনতে চান। মোটর সাইকেলের মালিক এই প্রস্তাবে রাজি হন।

এরপর ক্রেতা বাংলাদেশি টিকটকে একটি ভিডিও প্রকাশ করলে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে তিনি নিজেই বলেন যে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই তিনি গাড়িটা চালাচ্ছেন। এবং দ্বি-চক্র যানটির সড়ক কর পরিশোধ করা নেই।

এছাড়াও ১৫০০ রিঙ্গিত দিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলটি কিনেছেন বলেও জানান তিনি।

ওয়ান কামারুল আজরান বলেন, ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়লে গত শনিবার ওই বাংলাদেশি ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়।

রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৮৭ এর ২৬ (১) ধারায় তাকে জরিমানাসহ শাস্তি দেয়া হয়েছে বিনা লাইসেন্সে মোটর সাইকেল চালনার জন্য।

;

প্রবাস স্কিম নিয়ে বৈরুতস্থ দূতাবাসের আলোচনা সভা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রবাস স্কিম নিয়ে লেবানন দূতাবাসের আলোচনা সভা

প্রবাস স্কিম নিয়ে লেবানন দূতাবাসের আলোচনা সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় প্রবাস স্কিম সম্পর্কে জানাতে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে লেবাননের বৈরুতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাংলাদেশের সকল নাগরিকের টেকসই ভবিষ্যৎ আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ইচ্ছা ও তার দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ। এ সময় রাষ্ট্রদূত লেবাননে অবস্থানকারী বাংলাদেশি প্রবাসীদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় প্রবাস স্কিমে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান।

সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় অনেক প্রবাসী সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রবাস স্কিমে রেজিস্ট্রশন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এ স্কিম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন।

;

আরব আমিরাতে মঞ্চায়িত হলো ‘জনকের অনন্তযাত্রা’



তোফায়েল আহমেদ (পাপ্পু), দুবাই করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জনকের অনন্তযাত্রা

জনকের অনন্তযাত্রা

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ নিয়ে রচিত নাটক ‘জনকের অনন্তযাত্রা’ মঞ্চস্থ হয়েছে । ইতিমধ্যে নাটকটি সরকারিভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় মঞ্চস্থ হয়েছে।

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও প্রবাসীদের নাট্যদল হিজল নাট্যমঞ্চর প্রথম প্রযোজনা জনকের অনন্তযাত্রা। মাসুম রেজার রচনা ও নির্দেশনায় নাটকটি শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) মঞ্চস্থ হয় আরব বিশ্বের সংস্কৃতির রাজধানী শারজার একটি অডিটোরিয়ামে। এসময় অভিনেতাদের অনবদ্য অভিনয় ও নাটকের বিষয়বস্তু সাড়ে তিন শতাধিক প্রবাসীদের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়া অবস্থায় বহু দর্শককে কাঁদতে দেখা যায়।

এতে অভিনয় করেন দেশের প্রথমসারির বেশ কয়েকজন অভিনেতা। তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন প্রবাসী অভিনেতারাও। এর মধ্যে আছেন- আজিজুল হাকিম, শামছি আরা সায়েকা, রামিজ রাজু, শিবলী আল সাদিক, এসএম শাফায়েত, উচ্ছ্বাস, নাজমুল হক, মেহেদি হাসান, জাহুর হোসাইন শাহীন, জসিম উদ্দিন, পলাশ, নাজমা জর্জ প্রমুখ।

এ নাটক প্রসঙ্গে মাসুম রেজা বলেন, জনকের অনন্তযাত্রা শুধু একটি নাটক নয়, বরং বাঙালি জাতির নির্মম ইতিহাস। নাটকটির প্রতিটি চরিত্রের জন্য যখন আমি স্ক্রিপ্ট লিখি, তখন নিজেই কান্না করেছি। যে মানুষটি দেশকে স্বাধীন করল, তাকেই হত্যা করা হয়েছে। সঙ্গে পুরো পরিবারকে, যেখানে ছিল ১০ বছর বয়সী একজন শিশুও। পরদিন ভোরে পরিবারের সবাইকে সমাধিস্থ করা হয় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে। কেবল বঙ্গবন্ধুকে কফিনে করে নিয়ে যাওয়া হয় তার চিরচেনা নিজভূমি টুঙ্গিপাড়ায়। একজন মুসলমানকে যেভাবে সমাধিস্থ করা হয়, সেভাবেই হয়েছিল পিতার অন্তিম শয়ান।

তিনি বলেন, তথ্য ও গবেষণার মাধ্যমে ১৬ আগস্টের সারা দিনের খন্ডচিত্র জোড়া দিয়ে সাজানো হয়েছে জনকের অনন্তযাত্রা নাটকের গল্প। এ নাট্যে সেদিনের ইতিহাস হয়ে উঠেছে গল্পনির্ভর, আর গল্পটা হয়েছে ইতিহাস নির্ভর।

কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, ৭৫-এর ঘাতকেরা জাতির পিতার দাফন নিয়ে যে নির্মমতা দেখিয়েছিল নাটকটিতে আমরা তা দেখতে পেলাম। হত্যাকাণ্ড ও দাফন নিয়ে ইতিহাস বিকৃতকারীদের জন্য নাটকটি সঠিক জবাব দিচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরা মুগ্ধ হয়ে নাটকটি দেখেছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কনস্যুলেটের শ্রম সচিব মুহাম্মদ আব্দুস সালাম, পাসপোর্ট সচিব কাজী ফয়সাল, প্রথম সচিব শাহনাজ পারভীনসহ কনস্যুলেটের কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।

;