কানাডার ইমিগ্রেশন, কি করণীয়-জেনে নিন



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কানাডা

কানাডা

  • Font increase
  • Font Decrease

কানাডার ইমিগ্র্যান্ট হবার কথা ভাবছেন? ভাবছেন কিভাবে এই জটিল কাজটা সম্পন্ন করবেন? আপনার এই চিন্তার সুযোগে এক শ্রেণির প্রতারক, অসাধু ইমিগ্রেশন ব্যবসায়ী, যোগ্যতাবিহীন স্বঘোষিত ‘ প্রফেশনাল কনসালট্যান্ট এবং দালালরা  ইমিগ্রেশন প্রত্যাশী মানুষদের কাছ থেকে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, ইমিগ্রেশন করিয়ে দেওয়া, সার্ভিস চার্জের  নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এরকম অবস্থায় কিভাবে কানাডা’ নামক স্বপ্নের দেশটিতে স্থায়ীভাবে যাওয়া যেতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কানাডার স্কিল্ড মাইগ্রেশনের জন্য সবচেয়ে অত্যাবশকীয় প্রশ্নগুলো হচ্ছে:-

১. আবেদনের জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন?

২. আপনার সেই যোগ্যতাসমুহ আছে কি না?

৩. যদি না থেকে থাকে তবে সেই আংশিক ঘাটতিগুলো কি কি এবং উত্তরনের উপায় কি ?

কানাডা একটি দ্বিভাষিক (bilingual) দেশ। ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ এ দেশের অফিশিয়াল ভাষা। বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদেশগুলোর অন্যতম এই দেশটিতে রয়েছে কাজ করার প্রচুর সুযোগ ও বসবাস করার চমৎকার পরিবেশ। কানাডার নাগরিক হিসাবে আপনি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নাগরিকত্বও একইসাথে গ্রহণ করতে পারেন। আয়করের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কানাডায় উপার্জিত অর্থের উপর আয়কর দিতে হয়। কানাডায় পড়াশুনার ক্ষেত্রে ফেডারেল ও প্রভিন্সনাল সরকারের সরাসরি আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়। পাবলিক স্কুলে ১৮ বছর পর্যন্ত পড়াশুনা ফ্রি। নতুন অভিবাসী হিসাবে আপনার ভাষাগত দুর্বলতা থাকলে সরকারই আপনার জন্য ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিবে। যারা নতুন ব্যবসা করতে চাইবে তাদের জন্য রয়েছে অন্তত ২ লাখ ৫০ হাজার কানাডিয়ান ডলার লোনের ব্যবস্থা। নতুন অভিবাসী হিসাবে চাকরি পেতে অসুবিধা হলে বা অসুস্থ্যতাতার কারণে কাজ করতে না পারলে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নানা রকম আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। সাধারনত সরকার চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে আর্থিক সুবিধা দেয় তা দিয়ে প্রায় ৯৮ ভাগ চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা যায়। অভিবাসনের প্রোগ্রামগুলোকে মোটা দাগে নিম্নের কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায়।

১. ইকোনমিক ইমিগ্র্যান্টস

মোট ৭ টি সাব-ক্যাটাগরি রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো স্কিল্ড ওয়ার্কার, ফেডারেল স্কিল্ড ট্রেড, প্রভিন্সনাল নমিনি ক্লাস এবং কানাডিয়ান এক্সপেরিন্স ক্লাস। এক্সপ্রেস এন্ট্রি এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রাম। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখে সর্বশেষ ড্রতে ৩ হাজার ৩৫০ জন আইটিএ পেয়েছেন। সর্বনিম্ন সিআরএস স্কোর ছিল মাত্র ৪৩৮। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ২১ হাজার জন আইটিএ পেয়েছেন। এক্সপ্রেস এন্ট্রির মাধ্যমে প্রতি পনেরো দিনে ৩৫০০-৪০০০ স্কিলড ইমিগ্র্যান্ট হিসাবে আসার আমন্ত্রণ পাচ্ছে।   আইটিএ হচ্ছে ইনভাইটেশন টু অ্যাপ্লাই, অর্থাৎ এক্সপ্রেস এন্ট্রি পুল থেকে পিআর হিসেবে আবেদনের সুযোগ।  কমপক্ষে গ্র্যাজুয়েট, ২ বছরের উপরের চাকরির অভিজ্ঞতা, আই.ই.এল.টি.এস এ কমপক্ষে ৬.৫ থাকলে আবেদন করা যায়।

তবে কানাডা সরকার অগ্রাধিকার ভিক্তিতে ১০ টি পেশাজীবীদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে । পেশাগুলো হলো সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং,  প্রজেক্ট ম্যানেজার, বিজনেস অ্যানালিস্ট, কাস্টমার সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ, আইটি প্রজেক্ট ম্যানেজার, সিনিয়র অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও ম্যানুফ্যাকচারিং। এ ছাড়া অন্যান্য  দক্ষ পেশাজীবীরাও আবেদন করতে পারবেন। নিশ্চিত জব অফার হলে ফাইলটি কনফার্ম করা সম্ভব।

আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রামের মতো নর্দার্ন ওন্টারিওতে খুব শিগগিরই একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালু হচ্ছে। একমাত্র সাস্কাচেওয়ান ছাড়া সব প্রভিন্সেই শুধুমাত্র এক্সপ্রেস এন্ট্রিতে আবেদনকারি  বা যাদের কানাডার ভ্যালিড জব অফার আছে বা যারা কানাডাতে টেম্পোরারি ফরেন ওয়ার্কার কিংবা ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে কাজ করছেন তাদেরই  নমিনেশন দিচ্ছে। ওন্টারিও, নিউব্রান্সউইক, কুইবেক, প্রিন্স অ্যাডওয়ার্ড আইল্যান্ডসহ অন্যান্য সব প্রভিন্সেই ফ্রেঞ্চ জানা লোকজন বা যাদের কানাডীয় প্রফেশনাল লাইসেন্স আছে  বা যাদের আপন ভাইবোন কানাডাতে আছে তাদেরই নমিনেশন দিচ্ছে।

২. ফ্যামিলি ক্লাস:

নিকট আত্বীয়র মধ্যে কেউ যদি কানাডার স্থায়ী নাগরিক থেকে থাকে তবে তিনি তার পরিবারের অন্য সদস্যদের স্পন্সর করে নিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদী ও জটিল। এই প্রক্রিয়ায় ২০১৯ সালে ২০ হাজার পিতামাতা বা তার আগের প্রজন্ম আসতে পারবেন।  এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে লটারী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাত্র ৫০০০ কোটা দিয়ে।

৩.  স্টুডেন্ট ভিসা:

কানাডা ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের ভিসা অনেক সহজ করে দিয়েছে। তারা যাতে পড়াশোনা শেষ করে খুব দ্রুত চাকরি পায় এবং পিআর হতে পারে সে জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কানাডা ২০১৯ সালে কমপক্ষে ৫ হাজার ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ভিসা ইস্যু করবে, এ কথা আইআরসিসি থেকে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে প্রথমে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করতে হবে এবং অফার লেটার গ্রহন করতে হবে। এরপর আবেদন করতে হবে স্টাডি পারমিটের জন্য। কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা নামক কোন ভিসা হয় না। আবেদন করতে হয় ইটিএ নামক ভিসার জন্য। তবে ৬ মাসের কম সময়ের মেয়াদের কোন প্রোগ্রামের জন্য কোন স্টাডি পারমিট নিতে হয় না। এই ধরনের ভিসার জন্য আর্থিক সামর্থ্যর সাথে ভালো আই.ই.এল.টি.এস স্কোরও থাকতে হয়।

৫. টুরিস্ট ভিসা:

প্রতি বছর প্রায় ৩৫ মিলিয়ন লোক কানাডায় ভিজিট করতে যায়।২ ধরনের টুরিস্ট ভিসা হয়। সিঙ্গেল এন্ট্রি এবং মাল্টিপোল এন্ট্রি। সর্বোচ্চ ১০ বছরের মাল্টিপোল ভিসা দিয়ে থাকে। তবে একসাথে থাকা যায় ৬ মাস পর্যন্ত। সাধারনত ৩ সপ্তাহের মত সময় লাগে ভিসা ইস্যু করতে। অন লাইন ও অন পেপার এই দুই মাধ্যমে আবেদন করা যায়। আবেদন করতে মুলত যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:

২ কপি সদ্য তোলা রঙ্গিন ছবি (পাসপোর্ট সাইজ, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড, ম্যাট পেপার ল্যাব প্রিন্ট) ।

- ৬ মাস মেয়াদের পাসপোর্ট।

- পাসপোর্টের ১ ও ২ নং পাতার ফটোকপি (পুরানো পাসপোর্ট থাকলে অবশ্যই তা সাথে নিতে হবে) ।

- জাতীয় পরিচয় পত্র- এর ফটোকপি (বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ-এর ফটোকপি।

- ইংরেজী অক্ষরে ছাপা দুই কপি ভিজিটিং কার্ড ( ব্যবসায়ী ও চাকুরিজীবি উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য )।

- ৬ মাস ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট (ব্যাংকের সীল ও স্বাক্ষর সহ অরিজিনাল কপি ও ১ সেট ফটোকপি) ।

- ট্রেড লাইসেন্স –এর ফটোকপি সহ ইংরেজি অনুবাদ ও নোটারাইজড এর অরিজিনাল কপি (ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) ।

- কোম্পানির দুই কপি ইংরেজি অনুবাদ ও নোটারাইজড এর অরিজিনাল কপি ( ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) ।

- সদ্য বিবাহিত ক্ষেত্রে নিকাহ নামা এর ফটোকপি সহ ইংরেজী অবুবাদ ও নোটারাইজড এর অরিজিনাল কপি।

- N.O.C –নো অবজেকশন সার্টিফিকেট এর অরিজিনাল কপি ও ১ সেট ফটোকপি (বেসরকারি চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) ।

- অবসরের কাগজ এর ফটোকপি ইংরেজী অনুবাদ ও নোটারাইজড এর অরিজিনাল কপি (অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।

- স্টুডেন্ট আইডি কার্ড অথবা সর্বশেষ বেতন রশিদের ফটোকপি (ছাত্র/ ছাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) ।

বাংলাদেশের যে কয়েকজন অভিবাসন আইনজীবী অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম  আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ । নিজের যোগ্যতা যাচাই করার জন্য অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সাথে দেখা করতে তার খান টাওয়ার, ৫১ সোনারগাঁও জনপথ, সেক্টর ৭, উত্তরা, ঢাকায় অবস্থিত তার অফিস ভিজিট করতে পারেন অথবা তথ্যর জন্য ভিজিট করতে পারেন Worldwide Migration Consultants Ltd এর  www.wwbmc.com ওয়েবসাইটটিতে অথবা কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন বিষয়ে আপনার যেকোনো জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে  ইমেইল করুন:   [email protected] ই-মেইল করে  নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করলে  ফ্রি অ্যাসেসমেন্ট রেজাল্টও পেতে পারেন অতি সহজে। ফোনে প্রাথমিক তথ্যের জন্য কথা বলতে পারেন: ০১৯০৪০৩৬৮৯৮,   ০১৯৮৭৭১৪২৯০,  ০১৯০৪০৩৬৮৯৯, ০১৯০৯-০৮৩৯৬৩, ০১৯০৯-০৮৩৯৬২, ০১৭৮৫৭০০৭৫৮,  এসব নম্বরে।

 

   

যুক্তরাজ্যের রিফিউজিদের মানবিক সহযোগিতা দিচ্ছে এইডমিইউকে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যুক্তরাজ্যের রিফিউজিদের মানবিক সহযোগিতা দিচ্ছে এইডমিইউকে

যুক্তরাজ্যের রিফিউজিদের মানবিক সহযোগিতা দিচ্ছে এইডমিইউকে

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত রিফিউজি যারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে এইডমিইউকে। কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করা এসকল মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও খাবার সরবরাহ করে যাচ্ছে এই অর্গানাইজেশন। ‘ইউনাইটিং ফর বেটার কমিউনিটি’ এই স্লোগানকে ধারন করে এইডমিইউকে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৯ মে) ইয়র্ক মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে রিফিউজি দু’শতাধিক পরিবারের মাঝে খাবার পরিবেশন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এই উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, যুক্তরাজ্যে যারা রিফিউজি স্ট্যাটাসে আছেন তাদের মধ্যে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের সনাক্তের মাধ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এইডমিইউকে। সংস্থাটির এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, মানবতার সেবায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানাবিদ সচেতনতামুলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে এই সংস্থাটি। সংস্থাটির উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন অনুষ্ঠানের বক্তারা।

কর্মসূচিতে ইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এইডমিইউকে’র অ্যাডভাইজার খালেকুজ্জামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আখলাকুজ্জামান হারুন, রাকিব আলী, মাহতাব শামীম, ফারুক মিয়া, এইডমিইউকে’র সিইও মাকসুদ রহমান, ফিনান্স ডিরেক্টর দেওয়ান ছয়েফ আহমেদ, প্রোজেক্ট ও প্লানিং ডিরেক্টর জিহান আহমেদ চৌধুরী, কমিউনিকেশন হেড রিয়াজ চৌধুরী, ইভেন্ট হেড আনামু হক।

;

কুয়েতে বসেই এনআইডি সেবা পাবেন প্রবাসীরা



কুয়েত করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুয়েত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ অপেক্ষার পর কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে দেশটিতে থাকা প্রায় ৩ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির।

শুক্রবার (৩ মে) স্থানীয় সময় বিকেলর দেশটির মিসিলা এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আশিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবীব খান।

ইসি আহসান হাবীব খান বলেন, কুয়েত প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, তারা যেন জাতীয় পরিচয় পত্র এখান থেকে পায়। আমাদের এম্বাসেডরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং আমাদের কাছে অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমি এখানে এসেছি। এর সাথে প্রবাসীদের আশাটা পূরণ হল। এই অনুষ্ঠানের আজকে উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রবাসীরা অনেকদিন ধরে দীর্ঘ প্রতিক্ষা ছিল কবে এনআইডি পাবেন।

তিনি আরও বলেন, প্রবাস জীবনটা খুবই কষ্টের, প্রবাসীরা আমাদের দেশের জন্য অনেক কিছু করে। আমি মাঝে মাঝে বলি, প্রবাসীরা হচ্ছে দেশের প্রাণ। প্রবাসীদেরকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তারা অনেক কিছুর বিনিময়ে বিদেশ থেকে দেশে অর্থ পাঠাচ্ছে। পাশাপাশি তারা নিজেদের পরিবার-পরিজনকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত মো. আশিকুজ্জামান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি একটি দেশের নাগরিক হিসেবে অত্যন্ত জরুরি। এনআইডি ছাড়া যেমন প্রয়োজনীয় অনেক কাজ সম্পন্ন করা অসম্ভব, ঠিকই তেমনই সুনির্দিষ্ট একটি দেশের নাগরিক মর্যাদাও পাবেন না। আজ কুয়েতে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রমের উদ্বোধন হওয়ার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হলো।

দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসে বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতারা ও প্রবাসী গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিতি ছিলেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ সরকার ও কুয়েতে দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান।

এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবীব খান দূতাবাসে প্রবাসীদের এনআইডি নিবন্ধনের কার্যক্রম প্রক্রিয়ার বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে আলোচনাসভায় এনআইডি নিয়ে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় ১৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে স্মার্ট এনআইডি কার্ড প্রদান করেন।

;

আমিরাতের আবুধাবিতে ঋণের দায়ে প্রবাসীর আত্মহত্যা



সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই), করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ঋণেয় দায়ে আত্মহত্যা করেছেন এক বাংলাদেশি প্রবাসী। নিহত মোহাম্মদ শিবলি সাদিক (৩৮) লক্ষীপুর জেলার লক্ষীপুর সদরের বাঞ্ছানগর গ্রামের মৃত মো. হারুন উর রশিদের ছেলে।

নিহতের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই মোহাম্মদ মনির জানায়, শিবলি দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিছুদিন আগে দেশ থেকে ঋণ নিয়ে এখানে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। সাম্প্রতিক তার ব্যবসায়ী পার্টনার রিয়েল এস্টেট এ বিনিয়োগ করা সকল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঋণের চাপ ও পার্টনার কর্তৃক প্রতারিত হয়ে হতাশয় ভুগছিলেন তিনি।

পরে হতাশাগ্রস্থ হয়ে আত্মহননের মত কঠিন সিদ্ধান্ত নেন শিবলি। এখন পর্যন্ত মৃতের ব্যাবসায়ী পার্টনার প্রতারকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো জানান, মৃত শিবলি একই গ্রামের মো. আবুল কাশেমের মেয়ে তানজিনা আফরিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে নিঃসন্তান ছিলেন তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবিতে নিযুক্ত শ্রম কাউন্সেলর লুৎফুন নাহার নাজীম বলেন, মৃত্যুর খবর আমারা জেনেছি। মরদেহ এখন বানিয়াছ এর কেন্দ্রীয় মর্গে রয়েছে।

দেশটির আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ দেশে পৌঁছাতে দূতাবাস দ্রুত পদক্ষেপ নিবে এবং প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস তৈরির বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী আবুধাবির শেখ হামদান সড়কে তার বাসস্থল বিল্ডিং এর ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানায় আবুধাবি পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।


তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু

;

বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন নতুন প্রজন্মকে জানানোর আহবান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, সংগ্রাম ও রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে প্রবাসী বাংলাদেশি ও নতুন প্রজন্মকে আরো ভালোভাবে জানানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি একই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ যে অসাধারণ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে তা দেশে-বিদেশে তুলে ধরার জন্যও তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলস সিটিতে ৭ম আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাতির দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারাজীবন সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং তার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতার এই সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ প্রবাসীদের ও নতুন প্রজন্মকে আরো ভালোভাবে অবহিত করা আমাদের সকলের কর্তব্য।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত দেড় দশকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, এই অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানে আমাদের সকলকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সকালে শুরু হয় দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান। পরে জাতির পিতার জীবন, সংগ্রাম ও রাজনৈতিক দর্শনের ওপর অনুষ্ঠিত হয় সিরিজ আলোচনা।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন সম্মেলনের সম্মানিত অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, লস এঞ্জেলেসস্থ বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম, ক্যালিফোর্নিয়ার প্যারিস সিটি মেয়র মাইকেল ভার্গাস, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মুহাম্মদ ফজলুর রহমান এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক নজরুল আলম।

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ড. নুরুন নবী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রানা হাসান মাহমুদ। ডঃ নুরুন নবীর সভাপতিত্বে ‘বঙ্গবন্ধুর বৈদেশিক নীতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবসম্মত বাস্তবায়ন” শীর্ষক এক বিশেষ সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ওপর নির্মিত একাধিক তথ্যচিত্র প্রদর্শন, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও শিশু-কিশোরদের জন্য বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ওপর বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলসের একক সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনব্যাপী এ সম্মেলনের শেষ হয়।

এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সন্মান জানানো হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন এবং বোস্টন গ্লোবের ফটোজার্নালিস্ট ডঃ উইলিয়াম ফিংকেলকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়।

আগামী তিনটি সম্মেলন যথাক্রমে ওয়াশিংটন ডিসি, মিশিগান এবং জর্জিয়াতে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডঃ নুরুন নবী।

;