৯ মাসে মালয়েশিয়ায় ৪৪১ বাংলাদেশির সেকেন্ড হোম



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত নয় মাসে মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ) কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ৪৪১ জন বাংলাদেশি। হংকংয়ের নাগরিকদের পরই গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশিরা।

২০০২ সালে মালয়েশিয়া সরকারের চালু করা এ কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এরপর থেকে এবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি অংশ নিয়েছেন, জানাচ্ছে পুত্রজায়া সূত্র।

মালয়েশিয়ার পর্যটন, কলা এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব দাতুক ইহসাম ইসহাক সোমবার (আগস্ট ২৬) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনো মালয়েশিয়াতে সবচেয়ে বেশি সেকেন্ড হোমে অংশ নেওয়া নাগরিক চীনের। এরপরই জাপান এবং বাংলাদেশ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে হংকংয়ে বিদ্রোহের পর থেকে সেখানকার নাগরিকরাও সেকেন্ড হোমের জন্য আবেদন বাড়িয়েছেন।

তবে তাদের অন্য সব আবেদনের মতোই নিয়ম মেনে সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

চলতি বছরের আগে ২০১২ সালে সেকেন্ড হোম প্রকল্পে সর্বোচ্চ বাংলাদেশিরা অংশ নেন। এ সংখ্যা ছিল ৩৮৮। এ বছরের প্রথম নয় মাসেই এ সংখ্যা দেখা যাচ্ছে ৪৪১।

সোমবার মালয়েশিয়ায় বিশ্ব পর্যটন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী তুন ড. মাহাথির মোহাম্মদ। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

২০১৫ সাল থেকে এ কর্মসূচিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে পর্যটন, কলা এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় হংকংয়ের নাগরিকদের এ কর্মসূচিতে আবেদন বেড়েছে। গত বছর ২৫১ জন আবেদন করেছিলেন। এবার নয় মাসেই আবেদন করেছেন ২৯৩ জন। এছাড়া বাংলাদেশিদের আবেদনও বেড়েছে।

এর আগে পর্যটন, কলা এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী দাতুক মোহামাদ্দিন কেতাপি জানিয়েছেন, বর্তমানে সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে বিভিন্ন দেশের ৪৩ হাজার ৯৪৩ জন নাগরিক রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন চীনের- ১৩ হাজার ৮৯২ জন।

মালয়েশিয়ার এ সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান তৃতীয়।

এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়া সরকারের প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে (এমএম২ এইচ)’ অংশ নিয়েছেন তিন হাজার ৭৪৬ জন বাংলাদেশি। এর মধ্যে ২৫০ জন সেখানে বাড়িও কিনেছেন। ওই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা যেমন তৃতীয় অবস্থানে আছেন, তেমনি বাড়ি কেনার ক্ষেত্রেও একই অবস্থানে তারা।

যেহেতু বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে অর্থ নিয়ে মালয়েশিয়ায় বাড়ি কেনার কোনো সুযোগ নেই। ফলে দেশের যারা সেখানে বাড়ি কিনেছেন, তারা মূলত টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ করেছিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।

সেকেন্ড হোম প্রকল্পের আওতায় মালয়েশিয়ার ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রেখে বিদেশি নাগরিক দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি বসবাস ও অন্যান্য সুবিধা পান। তারা সেখানে বাড়িও কিনতে পারেন।

সেকেন্ড হোম প্রকল্পে বাংলাদেশিরা অংশ নিচ্ছেন ২০০৩ সাল থেকে। মালয়েশিয়া সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর ৩২ জন বাংলাদেশি এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ পর্যন্ত মোট চার হাজার ১৮৭ জন বাংলাদেশি এতে অংশ নিয়েছেন।

মালয়েশিয়ার পর্যটনমন্ত্রী দাতুক কেতাপাই জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১৩১টি দেশের ৪৩ হাজার ৯৪৩ জন সেকেন্ড হোম প্রকল্পের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় সম্পদ রেখেছেন। যার মধ্যে চীনের পরে জাপানের অবস্থান। জাপানের চার হাজার ৮৮২ জন এ প্রকল্পে রয়েছেন। এরপরেই তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। যার সংখ্যা চার হাজার ১৮৭। এরপরে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের দুই হাজার ৭২৯ জন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার দুই হাজার ৫৬৮ জন।

   

যুক্তরাজ্যের রিফিউজিদের মানবিক সহযোগিতা দিচ্ছে এইডমিইউকে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যুক্তরাজ্যের রিফিউজিদের মানবিক সহযোগিতা দিচ্ছে এইডমিইউকে

যুক্তরাজ্যের রিফিউজিদের মানবিক সহযোগিতা দিচ্ছে এইডমিইউকে

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত রিফিউজি যারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে এইডমিইউকে। কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করা এসকল মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও খাবার সরবরাহ করে যাচ্ছে এই অর্গানাইজেশন। ‘ইউনাইটিং ফর বেটার কমিউনিটি’ এই স্লোগানকে ধারন করে এইডমিইউকে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৯ মে) ইয়র্ক মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে রিফিউজি দু’শতাধিক পরিবারের মাঝে খাবার পরিবেশন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এই উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, যুক্তরাজ্যে যারা রিফিউজি স্ট্যাটাসে আছেন তাদের মধ্যে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের সনাক্তের মাধ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এইডমিইউকে। সংস্থাটির এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, মানবতার সেবায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানাবিদ সচেতনতামুলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে এই সংস্থাটি। সংস্থাটির উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন অনুষ্ঠানের বক্তারা।

কর্মসূচিতে ইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এইডমিইউকে’র অ্যাডভাইজার খালেকুজ্জামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আখলাকুজ্জামান হারুন, রাকিব আলী, মাহতাব শামীম, ফারুক মিয়া, এইডমিইউকে’র সিইও মাকসুদ রহমান, ফিনান্স ডিরেক্টর দেওয়ান ছয়েফ আহমেদ, প্রোজেক্ট ও প্লানিং ডিরেক্টর জিহান আহমেদ চৌধুরী, কমিউনিকেশন হেড রিয়াজ চৌধুরী, ইভেন্ট হেড আনামু হক।

;

কুয়েতে বসেই এনআইডি সেবা পাবেন প্রবাসীরা



কুয়েত করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুয়েত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ অপেক্ষার পর কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে দেশটিতে থাকা প্রায় ৩ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির।

শুক্রবার (৩ মে) স্থানীয় সময় বিকেলর দেশটির মিসিলা এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আশিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবীব খান।

ইসি আহসান হাবীব খান বলেন, কুয়েত প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, তারা যেন জাতীয় পরিচয় পত্র এখান থেকে পায়। আমাদের এম্বাসেডরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং আমাদের কাছে অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমি এখানে এসেছি। এর সাথে প্রবাসীদের আশাটা পূরণ হল। এই অনুষ্ঠানের আজকে উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রবাসীরা অনেকদিন ধরে দীর্ঘ প্রতিক্ষা ছিল কবে এনআইডি পাবেন।

তিনি আরও বলেন, প্রবাস জীবনটা খুবই কষ্টের, প্রবাসীরা আমাদের দেশের জন্য অনেক কিছু করে। আমি মাঝে মাঝে বলি, প্রবাসীরা হচ্ছে দেশের প্রাণ। প্রবাসীদেরকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তারা অনেক কিছুর বিনিময়ে বিদেশ থেকে দেশে অর্থ পাঠাচ্ছে। পাশাপাশি তারা নিজেদের পরিবার-পরিজনকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত মো. আশিকুজ্জামান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি একটি দেশের নাগরিক হিসেবে অত্যন্ত জরুরি। এনআইডি ছাড়া যেমন প্রয়োজনীয় অনেক কাজ সম্পন্ন করা অসম্ভব, ঠিকই তেমনই সুনির্দিষ্ট একটি দেশের নাগরিক মর্যাদাও পাবেন না। আজ কুয়েতে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রমের উদ্বোধন হওয়ার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হলো।

দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসে বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতারা ও প্রবাসী গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিতি ছিলেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ সরকার ও কুয়েতে দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান।

এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবীব খান দূতাবাসে প্রবাসীদের এনআইডি নিবন্ধনের কার্যক্রম প্রক্রিয়ার বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে আলোচনাসভায় এনআইডি নিয়ে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় ১৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে স্মার্ট এনআইডি কার্ড প্রদান করেন।

;

আমিরাতের আবুধাবিতে ঋণের দায়ে প্রবাসীর আত্মহত্যা



সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই), করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ঋণেয় দায়ে আত্মহত্যা করেছেন এক বাংলাদেশি প্রবাসী। নিহত মোহাম্মদ শিবলি সাদিক (৩৮) লক্ষীপুর জেলার লক্ষীপুর সদরের বাঞ্ছানগর গ্রামের মৃত মো. হারুন উর রশিদের ছেলে।

নিহতের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই মোহাম্মদ মনির জানায়, শিবলি দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিছুদিন আগে দেশ থেকে ঋণ নিয়ে এখানে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। সাম্প্রতিক তার ব্যবসায়ী পার্টনার রিয়েল এস্টেট এ বিনিয়োগ করা সকল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঋণের চাপ ও পার্টনার কর্তৃক প্রতারিত হয়ে হতাশয় ভুগছিলেন তিনি।

পরে হতাশাগ্রস্থ হয়ে আত্মহননের মত কঠিন সিদ্ধান্ত নেন শিবলি। এখন পর্যন্ত মৃতের ব্যাবসায়ী পার্টনার প্রতারকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো জানান, মৃত শিবলি একই গ্রামের মো. আবুল কাশেমের মেয়ে তানজিনা আফরিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে নিঃসন্তান ছিলেন তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবিতে নিযুক্ত শ্রম কাউন্সেলর লুৎফুন নাহার নাজীম বলেন, মৃত্যুর খবর আমারা জেনেছি। মরদেহ এখন বানিয়াছ এর কেন্দ্রীয় মর্গে রয়েছে।

দেশটির আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ দেশে পৌঁছাতে দূতাবাস দ্রুত পদক্ষেপ নিবে এবং প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস তৈরির বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী আবুধাবির শেখ হামদান সড়কে তার বাসস্থল বিল্ডিং এর ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানায় আবুধাবি পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।


তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু

;

বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন নতুন প্রজন্মকে জানানোর আহবান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, সংগ্রাম ও রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে প্রবাসী বাংলাদেশি ও নতুন প্রজন্মকে আরো ভালোভাবে জানানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি একই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ যে অসাধারণ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে তা দেশে-বিদেশে তুলে ধরার জন্যও তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলস সিটিতে ৭ম আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাতির দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারাজীবন সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং তার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতার এই সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ প্রবাসীদের ও নতুন প্রজন্মকে আরো ভালোভাবে অবহিত করা আমাদের সকলের কর্তব্য।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত দেড় দশকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, এই অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানে আমাদের সকলকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সকালে শুরু হয় দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান। পরে জাতির পিতার জীবন, সংগ্রাম ও রাজনৈতিক দর্শনের ওপর অনুষ্ঠিত হয় সিরিজ আলোচনা।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন সম্মেলনের সম্মানিত অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, লস এঞ্জেলেসস্থ বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম, ক্যালিফোর্নিয়ার প্যারিস সিটি মেয়র মাইকেল ভার্গাস, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মুহাম্মদ ফজলুর রহমান এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক নজরুল আলম।

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ড. নুরুন নবী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রানা হাসান মাহমুদ। ডঃ নুরুন নবীর সভাপতিত্বে ‘বঙ্গবন্ধুর বৈদেশিক নীতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবসম্মত বাস্তবায়ন” শীর্ষক এক বিশেষ সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ওপর নির্মিত একাধিক তথ্যচিত্র প্রদর্শন, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও শিশু-কিশোরদের জন্য বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ওপর বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলসের একক সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনব্যাপী এ সম্মেলনের শেষ হয়।

এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সন্মান জানানো হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন এবং বোস্টন গ্লোবের ফটোজার্নালিস্ট ডঃ উইলিয়াম ফিংকেলকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়।

আগামী তিনটি সম্মেলন যথাক্রমে ওয়াশিংটন ডিসি, মিশিগান এবং জর্জিয়াতে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডঃ নুরুন নবী।

;