চীনে নিজ অর্থায়নে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ১১ হাজার মাস্ক বিতরণ
চীনে করোনাভাইরাসের মহামারি প্রতিরোধে নিজ অর্থায়নে ১১ হাজার মাস্ক বিতরণ করেছেন মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান আনিক নামে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
তিনি চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অফ ফাইনান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এন্ড ইকনোমিক্স বিভাগে ৩য় বর্ষের অধ্যায়নরত।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির ইন্টারন্যাশনাল ডরমিটরিতে বিভিন্ন দেশের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর মাঝে এ মাস্কগুলো বিতরণ করা হয়।
মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান আনিক বলেন, 'করোনাভাইরাস মহামারিতে চীনে সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহার অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়। আমার চীনা বন্ধুরা সেখানকার পরিস্থিতি জানালে খুব খারাপ লাগছিল। তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন হাজারসহ বিভিন্ন সংস্থায় ১১ হাজার মাস্ক ডোনেশন করি। এর ফলে চীনের বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য দেশের ছাত্রদের বাংলাদেশের সুনাম করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।'
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায়, সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে মাস্ক চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। এতে হঠাৎ করেই মাস্কের সংকট দেখা দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের মহামারি ও সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে এই সংকট সময়ে সার্জিকাল মাস্ক পেয়ে খুশি হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বাংলাদেশসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর প্রশংসা করেছে তারা। এ কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ পত্র দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়রত বিদেশি শিক্ষার্থী কেট বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের বন্ধু অনিকের আন্তরিকতা এবং এই কঠিন সময়ে তার সহযোগিতার জন্য প্রশংসা করেছি।'
ঘানার শিক্ষার্থী ছাত্র ইবরে আলী ইসসাহ কুলো বলেন, 'সকল শিক্ষার্থীকে অসাধারণ সহায়তার জন্য অনিক এবং বাংলাদেশের সকল মানুষকেও ধন্যবাদ জানাই। আমাদের একজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষার্থীদের কাছে যে নতুন মাস্ক পৌঁছে দিয়েছি তার প্রশংসা করি।'
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ, নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা, ডরমিটরিতে স্প্রে করা সহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নিয়মিত খোঁজখবর রাখছে বলে জানিয়েছেন সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।