স্লোভেনিয়ায় বিড়ম্বনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা



রাকিব হাসান, স্লোভেনিয়া থেকে
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ মধ্য ইউরোপের দেশ ‘স্লোভেনিয়া’। যার আয়তন ৭৮২৭.৪ বর্গমাইল। দেশটির আয়তন যেমন খুব বেশি বড় নয় তেমনি দেশটিতে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও খুব বেশি নয়। প্রায় একুশ লাখ জনগোষ্ঠীর দেশটির উত্তরে অস্ট্রিয়া, পশ্চিমে ইতালি, উত্তর-পূর্বে হাঙ্গেরি, দক্ষিণ-পূর্বে ক্রোয়েশিয়া এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে আড্রিয়াটিক সাগরের উপকূলবেষ্টিত। 

যদিও স্লোভেনিয়া বলতে গেলে নতুন একটি রাষ্ট্র তবুও শিক্ষাক্ষেত্রে দেশটির অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। স্লোভিন দেশটির প্রধান ভাষা হলেও প্রায় সবাই ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন। ইফ ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি ইনডেক্স অনুযায়ী স্লোভেনিয়ার স্কোর ৬৪.৪৮ যা সারা পৃথিবীর মধ্যে নবম এবং এক সময় কমিউনিজম শাসন ব্যবস্থার প্রচলন ছিলো এমন দেশগুলোর মধ্যে প্রথম। নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রিয়ার পরপরই স্লোভেনিয়ার অবস্থান।

ইউনিভার্সিটি অব লুবলিয়ানা, ইউনিভার্সিটি অব মারিবোর, ইউনিভার্সিটি অব নোভা গোরিছা, ইউনিভার্সিটি অব প্রিমরস্কা দেশটির উল্লেখযোগ্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। এদের মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব লুবলিয়ানা এবং ইউনিভার্সিটি অব মারিবোর আন্তর্জাতিক যে কোনও সূচকে সারা পৃথিবীর প্রথম পাঁচশোটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে স্থান পেয়েছে। আমাদের দেশ থেকে যখন কেউ বাইরের কোনও দেশে আসার জন্য পরিকল্পনা করে প্রথমে তার মাথায় যে বিষয়টি কাজ করে সেটি হচ্ছে ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যারিয়ার এবং এ ক্ষেত্রে স্লোভেনিয়া অনেকটাই নমনীয়।

দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পি.এইচ.ডি সকল ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ডিগ্রি প্রোগ্রাম পাওয়া যায় ইংরেজিতে এবং এখনও ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় স্লোভেনিয়াতে অনেক কম খরচে পড়াশুনা করা যায়। স্লোভেনিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনও লেভেলে পড়াশোনা করতে হলে এক বছরে টিউশন ফি ২,৮০০ ইউরো থেকে ৪,০০০ ইউরোর মতো প্রয়োজন এবং দেশটির জীবনযাত্রার ব্যয়ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে অনেক কম। আবার আমাদের দেশ থেকে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে আসতে চান অনেকের মাঝেই পার্টটাইম চাকরির চিন্তা-ভাবনা কাজ করে এ ক্ষেত্রেও স্লোভেনিয়া অনেকটা নমনীয়। ‘এম জব সার্ভিস’ এবং ‘ই-স্টুডেন্ট সার্ভিস’ নামে দুইটি অর্গানাইজেশন রয়েছে যারা শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম চাকরির ব্যাপারে সহযোগিতা করে থাকে । এই দুইটি অর্গানাইজেশন স্লোভেনিয়ার প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্বারা স্বীকৃত। এছাড়াও রয়েছে ‘বনি বা সাবসিডাইজস মিল’ এবং ‘সাবসিডাইজস বাস সার্ভিস’ নামে দুইটি বিশেষ পরিষেবা যেখানে আপনি একজন স্টুডেন্ট হিসেবে অনেকটা সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার কিংবা গণপরিবহন ব্যবহারের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

কাজেই এটা বলা যায় যে যদি কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশ থেকে বাইরের দেশে আসতে চান বিশেষ করে ইউরোপে। তাদের জন্য স্লোভেনিয়া হতে পারে একটি উল্লেখ করার মতো জায়গা। আরও একটি সমস্যার সম্মুখীন হন অনেকে ইউরোপে আসার পর, আর সেটা হচ্ছে বছর শেষে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট পারমিট রি-নিউ করার ক্ষেত্রে এবং এদিক থেকেও স্লোভেনিয়াতে এখন পর্যন্ত তেমন জটিলতা নেই। যদি আপনি শিক্ষার্থী হন আপনাকে আপনার ইউনিভার্সিটি থেকে একটি লেটারের ব্যবস্থা করতে হবে যা আপনার স্টুডেন্ট স্ট্যাটাস সম্পর্কে বর্ণনা প্রদান করবে সে লেটার এখানকার স্থানীয় ইমিগ্রেশন অফিস বা উপরাভনা এনোটাতে জমা দিলেই আপনি আপনার টেম্পোরারি রেসিডেন্ট পারমিট রি-নিউ করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

স্লোভেনিয়াতে এতো সুযোগ-সুবিধা থাকলেও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্লোভেনিয়াতে স্টুডেন্ট জবের ক্ষেত্রে কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। গ্রেট ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক এ সকল দেশের আইনে বলা আছে যে একজন শিক্ষার্থী সপ্তাহে বিশ ঘণ্টার অধিক কাজ করতে পারবে না কিন্তু স্লোভেনিয়াতে সে রকম আইন নেই। তাই এখানে চাইলে যে কেউ যে কোনও সময় ফুলটাইম কাজও করতে পারেন। তবে আপনার আয়ের একটি অংশ অবশ্যই সরকারকে দিতে হবে ট্যাক্স বাবদ। বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া, মেসিডোনিয়া, আলবেনিয়া এমনকি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ারও কিছু দেশ যেমন- পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ এমন কিছু দেশ আছে যে সকল দেশের নাগরিকদের কেউ যদি স্লোভেনিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য আসেন তাহলে তাকে ট্যাক্স দিতে হয় না যদিও দিতে হয় তাও আবার নামমাত্র । এর কারণ হচ্ছে এ সকল দেশের সরকারের সাথে স্লোভেনিয়ার সরকারের দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি আছে। অথচ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীকে ট্যাক্স প্রদান করতে হচ্ছে।

আরও একটি বড় সমস্যা হচ্ছে স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুবলিয়ানা থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার দূরত্ব। স্লোভেনিয়াতে বাংলাদেশের কোনও দূতাবাস না থাকায় যে কোনও রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ভিয়েনাতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে যাবতীয় কাজ করতে হয়। টেম্পোরারি রেসিডেন্ট পারমিট রি-নিউ কিংবা অনেক সময় ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশনের কাজের জন্য ডকুমেন্ট স্লোভেনিয়ার সংশ্লিষ্ট মিনিস্ট্রি কর্তৃক লিগালাইজেশন করতে হয় এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে অবস্থিত বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি থেকে প্রথমে ডকুমেন্ট সত্যায়িত করা। ভিয়েনার বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি এ সকল ডকুমেন্ট সত্যায়িত করলেই স্লোভেনিয়ার মিনিস্ট্রি সে সকল ডকুমেন্ট লিগালাইজেশনের জন্য গ্রহণ করবে। লুবলিয়ানা থেকে স্লোভেনিয়ার দূরত্ব প্রায় চারশত কিলোমিটারের ওপরে এবং বাসে লুবলিয়ানা থেকে ভিয়েনা যেতে সময় লাগে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে ভিয়েনাতে যাওয়া-আসা কঠিন এবং যাতায়াতে খরচও হয় অনেক বেশি।

স্লোভেনিয়াতে বাংলাদেশের একটি অনারারি কনস্যুলেট থাকলেও নানাবিধ কারণে সেটি দীর্ঘদিন ধরে অনেকটা নিষ্ক্রিয়। এছাড়াও কারও যদি টেম্পোরারি রেসিডেন্ট পারমিট কিংবা পাসপোর্টের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে থাকে অথবা কোনও ডকুমেন্টে কোনও সমস্যা যদি থাকে তাহলে তার পক্ষে অস্ট্রিয়া পৌঁছানো একটি বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, এতে অনেকটা প্যারাডক্সের মতো একটি অবস্থার সৃষ্টি হয়। একদিকে তিনি ভিয়েনাতে যেতে পারছেন না অন্যদিকে ভিয়েনাতে না গেলে তিনি তার সমস্যার সমাধানও করতে পারছেন না।

বাংলাদেশ সরকারের সাথে স্লোভেনিয়ার সরকারের একটি চুক্তি এখন সময়ের দাবি এবং আশা করি বাংলাদেশ সরকার স্লোভেনিয়ার সরকারের সাথে এ বিষয়ে চুক্তি করলে আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থীর ৩৪% থেকে ৪০% ট্যাক্সের একটি বিশাল বোঝা থেকে অনেকটা নিষ্কৃতি পাবে। যা একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক বড় একটি প্রাপ্তি। সেই সাথে অন্যান্য অনেক দেশের মতো আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থীও শিক্ষাবৃত্তিসহ এখানে ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পি.এইচ.ডি. এর সুযোগ পাবে। স্লোভেনিয়াতে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি স্থায়ী এবং কার্যকরী কনস্যুলেট অফিস প্রয়োজন যাতে ডকুমেন্ট লিগালাইজেশন কিংবা অন্য কোনও প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সেবা আমরা এ কনস্যুলেট অফিস থেকে পেতে পারি। এ সকল সমস্যা সমাধান করতে পারলে পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো স্লোভেনিয়াতেও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার একটি বড় ক্ষেত্র তৈরি হবে। শিক্ষার্থীরাও গবেষণা ও পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে স্লোভেনিয়ার বুকেও বাংলাদেশের সুনাম প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। আশা করি এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার খুব শিগগিরই দৃষ্টি প্রদান করবেন এবং সকল সমস্যা সমাধানে একটি কার্যকরী ভূমিকা পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

   

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের আকবর



কুয়েত করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুয়েত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আকবর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আদর্শ পাড়া হাদির গো বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে কুয়েতের রাবিয়া নামক স্থানে ইশারা আল কাসেমিতে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনায় ঘটে।

নিহতের আত্মীয় সাখাওয়াত হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন। শুক্রবার রাতে রাস্তা পারাপার করতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়।এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।'

বর্তমানে মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

;

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো



ড. হাসিন মাহবুব চেরী, সিনিয়র স্পেশালিস্ট সায়েন্টিস্ট, ইউকে
দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা বয়সের পরে আমরা আটকা পড়ি শুধুই মায়ার টানে। কোন মানুষটা আমাদের মন থেকে মায়া করে, এটাই সব কিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচ্য হয় আমাদের কাছে (অন্তত আমার কাছে ব্যাপারটা এখন তাই)।

কারণ, আমরা বুঝতে শিখি যে, আমাদের আশেপাশে বন্ধুরূপী অসংখ্য মুখের ভিড়ে শুধু মাত্র সেই মুখগুলোই মূল্যবান - যার কাছে আমি মূল্যবান। আর ঠিক একারণেই সুদূর বিলাতের বিভূঁই পরিবেশে ফারহানা হোসেন আপু যখন বললো দেশ থেকে আসা ইলিশ তোমাকে আর Rumana Newlands কে ছাড়া খাবো না বলে তুলে রেখেছি, কবে আসবে? মনে হলো এই ভালোবাসার ডাক পাবার মতো ভাগ্য আসলে ক'জনেরই বা হয়? তাই প্রচন্ড ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই হুট করে একবেলার জন্যে লন্ডন থেকে গ্লাসগো উড়ে চলে গেলাম।

এই ঝটিকা সফর বহু কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তবে অর্ধেক দিনের এই মেমরি আমাকে আবার শেখালো:

Life is not about quantity, it`s all about quality. So it doesn`t matter what you have in life, but who you have only matters.

আর জীবনে নিজের পরিবারের মানুষ ছাড়াও কারো সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আসলেই বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। ফারহানা আপু এবং সাজ্জাদ ভাইয়ার আন্তরিকতায় আবারো মুগ্ধ হতে হতে তাই ভাবছিলাম, যদিও আমি সবসময় সবার থেকে ভালো জিনিস গুলো শেখার চেষ্টা করি তবে কিছু কিছু কোয়ালিটি আসলে মানুষের মধ্যে আসে 'ইন বিল্ট' হয়ে, যেটা অন্য কেউ হয়তো হাজার চেষ্টা করেও আয়ত্ত্ব করতে পারে না!

অন্যকে স্পেশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ফিল করানোও ঠিক সেরকমই একটা ইন বিল্ট কোয়ালিটি যেটা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেঔ অনুপস্থিত। যেমন আপু এবং ভাইয়া (আমার দেখা দুই অন্যতম ব্রিলিয়ান্ট এবং down to earth মানুষ) যেভাবে ওয়ার্কিং ডে 'র শেষে আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করা থেকে শুরু করে নিজের হাতে রান্না করা বহু পদের মুখরোচক খাবার এবং নিজের হাতে বানানো মিষ্টি'র আয়োজন করলেন, স্কটল্যান্ডে এসে আমার ভাইয়ের সাথে দেখা হবে না বলে আমার ভাই কেও আবেরডিন থেকে ডেকে নিয়ে আসলেন, এবং আসবার পথে একগাদা খাবার প্যাক করে ব্যাগে নিজের হাতে ঢুকিয়ে দিয়ে একদম এডিনবরা এয়ারপোর্ট এর সিকিউরিটি পর্যন্ত এসে বিদায় দিয়ে গেলেন - এই আন্তরিকতাটা বোধহয় একেবারে মনের গভীর থেকে না আসলে করা সম্ভব নয়।

আসলে জীবনে আমরা বহু অপাত্রে আমাদের ভালোবাসা এবং সময় দান করে নষ্ট করি, বহু মানুষের ব্যবহার দেখে মনে হয় সত্যিই বোধহয় স্বার্থপর না হওয়াটাই আজকাল বোকামি। তবে পরমুহূর্তেই আবার যখন এরকম সুন্দর মনের মানুষ গুলোর আন্তরিকতায় অবাক এবং মুগ্ধ হই, তখন মনে হয় এই সুন্দর মনের মানুষগুলোর উপস্থিতির জন্যেই আসলে জীবনটা এতো সুন্দর। আর এরকম মানুষের উপস্থিতি আমাদের ঠিক একইভাবে ওনাদের মতোই অন্য কারো জীবনেও নিজের উপস্থিতি দিয়ে তার জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

;

শেখ হাসিনার সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে: থাই সরকারের মুখপাত্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর থাইল্যান্ডে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছাবেন। পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থাই সরকারের মুখপাত্র চাই ওয়াচারানক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিন এর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে আসছেন।

শেখ হাসিনার ভ্রমণের সময় উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য গভর্মেন্ট হাউজে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন শ্রেত্থা থাবিসিন।

চাই ওয়াচারানক জানান, ২০০২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম থাইল্যান্ড সফর। এই সফরে দুই দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগীতা বৃদ্ধি, বিশেষত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও যোগাযোগ, পর্যটন এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান থাই সরকারের মুখপাত্র। 

;

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;