করোনার নতুন ধরন রোধে অক্সফোর্ডের টিকায় আস্থা ডব্লিউএইচও’র

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন মোকাবিলায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং কার্যকর বলে তা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

কানাডার সিবিসি নিউজ নামে একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে অক্সফোর্ডের টিকা ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরাও দিতে পারবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা একথা জানিয়েছেন।

ডব্লিউএইচও’র কৌশলগত উপদেষ্টা ও প্রতিরোধক বিশেষজ্ঞদের গ্রুপ (এসএজি) টিকাটির দুইটি ডোজ কখন এবং কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কে একাধিক অন্তর্বর্তী সুপারিশ জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে কমপক্ষে আট থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধান থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ডব্লিউএইচও’র স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্টস অন ইমিউনাইজেশন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, সার্বিকভাবে ভ্যাকসিনটি ৬৩ শতাংশ কার্যকর।

অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা এখনও প্রত্যাশা করছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে মানুষ গুরুতর অসুস্থ হবে না এবং হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়বে না।

ডব্লিউএইচও’র ড. আরেহান্দ্রো ক্রাভিওটো বলেন, যেসব দেশেও নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়াচ্ছে সেগুলো অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন প্রয়োগের সুপারিশ না করার কোনও কারণ নেই।

এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলিতে, যেখানে এসএআরএস-কোভি -২ করোনাভাইরাসটির নতুন রূপের বিরুদ্ধেও অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেখানেও এর ব্যবহার না করার কোনও কারণ নেই বলে তিনি জানান।

সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন হালকা ও মাঝারি রোগের ক্ষেত্রে খুব কম সুরক্ষা দিচ্ছে। দেশটিতে ছড়িয়ে পড়া করোনার একটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে বা পূর্ব সংক্রমণের কারণে ভ্যাকসিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে না। এরপর দেশটি অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরুর কাজ স্থগিত করে।