পাকিস্তানি কূটনীতিককে খুঁজছে ভারত



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
ভারতের জাতীয় তদন্ত এজেন্সি পাকিস্তানি কূটনীতিককে ‘ওয়ান্টেড' তালিকাভুক্ত করে রেড কর্নার নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে আর্জি জানাতে চলেছে৷ অভিযোগ, ২৬/১১'র ধাঁচে ভারতের ওপর বড় ধরণের হামলা চালাবার ষড়যন্ত্র করছিলেন তিনি৷ ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এই প্রথম একজন পাকিস্তানি কূটনীতিককে তাদের ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত করে তার ছবি ছাপিয়ে তার সম্পর্কে খোঁজখবর করছে৷ ঐ কূটনীতিকের নাম আমির জুবের সিদ্দিকি৷ তিনি শ্রীলংকার পাকিস্তানি হাইকমিশনে ভিসা কাউন্সিলর পদে থাকলেও আদতে তিনি নাকি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার অফিসার৷ তাকে এবং আরও দু'জন পাকিস্তানি অফিসার ২৬/১১'র ধাঁচে দক্ষিণ ভারতে মার্কিন ও ইসরায়েলি কনস্যুলেট এবং ভারতের বিভিন্ন সেনা, নৌ ঘাঁটি এবং পরমাণু কেন্দ্রের ওপর বড় রকমের হামলা চালাবার ছক কষেছিল৷ এমনটাই অভিযোগ ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার৷ এই কাজে ভাড়া করা হয়েছিল শ্রীলংকার নাগরিক মোহাম্মদ শাকির হোসেন, অরুণ সেলভেরাজ, শিবাবালান এবং থামিম আন্সারিকে৷ তাদের মাধ্যমেই এই কাজ হাসিল করার ছক ছিল৷ জেরার মুখে শাকির স্বীকার করে যে, পাক-কূটনীতিক সিদ্দিকি ভারতের শীর্ষ সেনাকর্তাদের ল্যাপটপ চুরি করতে বলেছিলেন৷ তাদের দেওয়া হয়েছিল ভারতীয় জাল নোট৷ বলা হয়েছিল, বিশাখাপত্তনমে পূর্বাঞ্চলীয় নৌ সদর দপ্তর এবং বিভিন্ন স্থানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ঘাঁটিসহ চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেট এবং ব্যাঙ্গালুরুর ইসরায়েলি কনস্যুলেটে অন্তর্ঘাতমূলক হামলা চালাতে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস মোকাবিলায় বিভিন্ন তথ্য ও খোঁজখবর দিয়ে নতুনদিল্লিকে সাহায্য করায় এনআইএর তদন্তের কাজে যথেষ্ট সহায়ক হয়৷ চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে হামলার সাংকেতিক নাম ছিল ‘ওয়েডিং হল'৷ যারা এই হামলা চালাবে তাদের সাংকেতিক নাম ছিল কুক (রাঁধুনি)৷ সিদ্দিকির অফিসাররাই এই সাংকেতিক কোডগুলি জানিয়েছিল৷ এদের সমুদ্রপথে মালদ্বীপের দিক থেকে ভারতের পশ্চিম উপকূল দিয়ে অনুপ্রবেশ করার পরিকল্পনা ছিল৷ ধৃত এবং অন্যতম অভিযুক্ত মোহাম্মদ শাকির হুসেইন শ্রীলংকায় বিভিন্ন পাকিস্তানি অফিসারের সঙ্গে গোপন বৈঠকের বিস্তারিত বিবরণও দিয়ে জানায়, ঐ কাজে দুজন আত্মঘাতি জঙ্গির (ফিদায়েন) সঙ্গে সে মিলিত হয়েছিল ব্যাংককে৷ তাদের ভারতে এনে চেন্নাই, ব্যাঙ্গালুরু, মুম্বাই ও কোলকাতাসহ একাধিক শহরে রেকি করে৷ স্পাইস (মশলা) ছিল বোমার সাংকেতিক নাম৷ শাহজি নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে শাকিবের কথা হতো৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ঐ দুইজন একই ব্যক্তি৷ কিভাবে এই ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারে এনআইএ ? ২০১৪ সালের এপ্রিলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে মোহাম্মদ শাকির হুসেন নামে শ্রীলংকার এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করে তামিলনাড়ুর পুলিশ৷ বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয় শাকির হুসেন৷ সন্ত্রাস মোকাবিলায় মার্কিন সহযোগিতা কি দিল্লি-ওয়াশিংটনের মধ্যে নতুন আঁতাত গড়ে তোলার ইঙ্গিত? এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক কনক সরকার ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘পরিবর্তন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসার পর৷ তিনি পূর্বেকার নীতিতে এনেছেন পরিবর্তন৷ আগেকার নীতিতে পাকিস্তানকে নানাভাবে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হতো৷ বিশেষ করে সন্ত্রাস দমনে৷ রণকৌশলগত কারণই মুখ্য ছিল৷ নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারেন, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান আগ্রহী নয়, বিশেষ করে ভারতের ক্ষেত্রে৷'' এই পরিবর্তন কি তাহলে নতুন আঁতাত নয় ? অধ্যাপক সরকারের মতে, ‘‘এটা ঠিক আঁতাত নয়৷ বলা যায়, ন্যাচারাল অ্যালায়েন্স৷ ভারত আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাভাবিক বন্ধুত্ব৷ সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি সেটাই বলেছেন৷ উভয় দেশই গণতান্ত্রিক এবং শান্তি ও উন্নয়নই উভয় দেশের লক্ষ্য৷'' আইএনএ ইন্টারপোলের কাছে সিদ্দিকির বিরুদ্ধে যখন রেড কর্নার নোটিশ জারি করার জন্য তোড়জোডর করছিল, তখন পাকিস্তান সরকার এদের কলম্বো থেকে ইসলামাবাদে ফিরিয়ে নিয়ে যায়৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে এনআইএ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করলেও অন্য তিনজন অফিসারকে চিহ্নিত করতে পারেনি৷ ঐসব অফিসার ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কলম্বোয় কাজ করেছেন৷ ২৬/১১'র মুম্বাই হামলার জঙ্গিরাও জলপথে অনুপ্রবেশ করে মুম্বাই উপকূলে৷ লস্কর-ই-তৈয়বাসহ পাকিস্তানভিত্তিক ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর ১০জন সন্ত্রাসী মুম্বাইয়ের ১২টি জায়গায় ধারাবাহিক হামলা চালায়৷ ব্যবহার করে আরডিএক্স, গ্রেনেড এবং একে-৪৭ রাইফেল৷ হামলায় নিহত হয় ১৬৮জন, আহত হন ৩০৮ জন৷ জীবিত ধরা পড়ে আজমল কাসাব৷ পরে বিচারে তার ফাঁসি হয়৷ এই হামলার নেপথ্য খলনায়ক ছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার জাকির হোসেন লাখভি৷ মুম্বাই হামলার পর কেন্দ্রীয় সরকার সমুদ্র উপকূলে নজরদারি এবং সুরক্ষা বাড়াতে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেয়৷ কিন্তু বেশির ভাগ সুরক্ষা প্রকল্প এখনও শেষ হয়নি, যেটা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে আছে৷ গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, গোয়ার সমুদ্র সৈকতে জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করেছে উপকূল রক্ষীবাহিনী৷ শুধু গোয়া নয়, পুরো পশ্চিম উপকূলে মত্সজীবিদের ট্রলারগুলিকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়৷ ২৬/১১র হামলায় সন্ত্রাসীরা ট্রলার ছিনতাই করেই মুম্বাইয়ে অনুপ্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়৷
   

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৭



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ। এ যুদ্ধে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী গাজা ভূখণ্ডের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালানোর পর অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ মে) এই তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নুসেইরাতের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।

আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

;

বৈশ্বিক প্লাস্টিক দূষণের তালিকায় কোক-পেপসি শীর্ষে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকেরও বেশির জন্য দায়ী ৫৬টি কোম্পানি। ৫ বছর ব্যাপী চালানো নতুন গবেষণায় প্লাস্টিক বর্জ্যের পেছনে দায়ী কোম্পানিগুলি নথিভুক্ত করেছে৷

গবেষণায় দেখা গেছে, সমস্ত ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের ২০ ভাগের জন্য মাত্র ৪টি কোম্পানী দায়ী। এর মধ্যে শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো— কোকা-কোলা (১১ শতাংশ), পেপসিকো (৫ শতাংশ), নেসলে (৩ শতাংশ) এবং ড্যানোন (২ শতাংশ)।

ডালহৌসি ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে সারা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায়, ৫ বছরের ধরে ৮৪টি দেশে প্লাস্টিক দূষণের উপর পরিক্ষা নিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি হয়।


ডালহৌসির স্কুল ফর রিসোর্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের অধ্যাপক টনি ওয়াকার বলেছেন, "বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তম কর্পোরেশন তারা গ্রহের প্রতিটি দেশে পৌঁছে গেছে।"

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি ১ হাজার ৫শ ৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে প্লাস্টিকের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে, ২০০০ সালে ২০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন থেকে থেকে ২০১৯ সালে ৪০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয়েছে।

একটি বিবৃতিতে, কোকা-কোলা বলেছে ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায় প্যাকেজিংয়ের জন্য।

পেপসিকো জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

কোম্পানি আরও জানায়, "প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য একটি বড় এবং বাধ্যতামূলক বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে কাজ করছে। এবং তাদের অন্যদেরও এটি করার সুযোগটি কাজে লাগাতে আহ্বান জানিয়েছে তারা।"

এক বিবৃতিতে, নেসলে স্বীকার করেছে যে প্লাস্টিক দূষণ একটি "গুরুতর সমস্যা এবং এটি সমাধানের জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি" - এবং এটি বিশ্বব্যাপী আইনিভাবে বাধ্যতামূলক নিয়ন্ত্রণকে সমর্থন করে৷ এটি ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা এবং লাতিন আমেরিকায় বর্জ্য সংগ্রহ, বাছাই এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য স্কিমগুলি বিকাশের জন্য নেসলের চলমান প্রকল্পগুলিরও উল্লেখ করেছে।

এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য জানায়নি ফ্রান্সভিত্তিক বহুজাতিক খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ড্যানোন।

ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ সায়েন্সের অধ্যাপক প্যাট্রিসিয়া করকোরান বলেছেন, বিশ্বব্যাপী করা গবেষণাটি "অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ"।

করকোরান গ্রেট লেকের সৈকতে প্লাস্টিক দূষণ পরীক্ষা করার অনুরূপ গবেষণায় কাজ করেছে। গবেষণায়, "খাদ্য এবং পানীয়ের বর্জ্যই সেখানে রয়েছে - এটি কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয় বলে তিনি জানিয়েছেন"।

তিনি বলেন, "আপনি যদি সবচেয়ে বড় উৎপাদককে হাইলাইট করেন...তাহলে হয়তো এটি কোম্পানির সচেতনতা বাড়াবে এবং কোম্পানি এটি সম্পর্কে কিছু করতে পারে।"

সমীক্ষায় দেখা গেছে যে উদ্ধারকৃত প্লাস্টিক আইটেমগুলির ৫০ শতাংশেরও বেশি সূর্য, পানি এবং বাতাসের সংস্পর্শে আসার পরে কোনও স্পষ্ট ব্র্যান্ডিং এর লেবেল ছিল না।

গবেষকরা বলেছেন যে তাদের গবেষণায় প্লাস্টিক পণ্য এবং প্যাকেজিংয়ের উৎপাদন এবং লেবেলিংয়ের বিষয়ে বৃহত্তর স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তারয়েছে, যাতে দূষণ কারা করছে তা বের করা সহজ হয় এবং সংস্থাগুলিকে জবাবদিহি করা যায়।

তারা একটি আন্তর্জাতিক, ওপেন-অ্যাক্সেস ডাটাবেস তৈরির জন্য যুক্তি দেখান, যেখানে কোম্পানিগুলি তাদের পণ্য, প্যাকেজিং এবং ব্র্যান্ডগুলি পরিবেশে পরিমাণগতভাবে ট্র্যাক করতে এবং রিপোর্ট করতে বাধ্য।

কানাডার পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী স্টিভেন গিলবিউল্ট একটি নতুন রেজিস্ট্রি ঘোষণা করেছিলেন, যেখানে কোম্পানিগুলিতে কতটা প্লাস্টিক উত্পাদিত হচ্ছে এবং এটি কোথায় গিয়ে শেষ হবে তার বিশদ সরবরাহ করতে হবে।

গিলবিউল্ট কানাডার নতুন প্লাস্টিক রেজিস্ট্রির পরিকল্পনা এবং অটোয়াতে জাতিসংঘের প্লাস্টিক দূষণ চুক্তির আলোচনার বিশদ বিবরণ সম্পর্কে বলেছেন। তিনি আলোচনার লক্ষ্য ১৭০টিরও বেশি দেশের জন্য প্লাস্টিক দূষণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক চুক্তি নিয়ে আসার পরামর্শও দিয়েছিলেন।

;

রোমানিয়ায় কার্গো জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোমানিয়ার উপকূলে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে ওই জাহাজে থাকা তিন সিরীয় নাবিক নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের খুঁজতে কৃষ্ণ সাগরে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির নৌবাহিনী

শনিবার (১৮ মে) সকালে ‘মোহাম্মদ জেড’ নামের তানজানিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রোমানিয়ান শহর সান্তু জর্জে থেকে ২৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুবে যায়। ওই সময় জাহাজটিতে ১১ জন ক্রু ছিলেন। যার মধ্যে নয়জন সিরিয়ার এবং দুজন মিসরের নাগরিক ছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রোমানিয়ার নৌবাহিনী।

তারা আরও জানিয়েছে, ভোর ৪টার দিকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে নৌ সেনা ও পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। ওই সময় কাছাকাছি থাকা দুটি বাণিজ্যিক জাহাজও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।

জাহাজের ৮ নাবিককে কাছে থাকা একটি বাণিজ্যিক জাহাজই উদ্ধার করে। কিন্তু তিনজন নিখোঁজ হয়ে যান। এই তিনজনের সবাই সিরিয়ার নাগরিক। কী কারণে জাহাজটি ডুবে গেলো সেই তথ্য এখনো জানা যায়নি।

;

ইরানে দুই নারীসহ ৭ জনের ফাঁসি কার্যকর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত দুই নারীসহ সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান।

শনিবার (১৮ মে) তাঁদের এ দণ্ড কার্যকর করা হয়। খবর এএফপি। 

নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে আইএইচআর বলেছে, ফাঁসি কার্যকর করা দুই নারীর মধ্যে একজন হলেন পারভিন মুসাভি। ৫৩ বছর বয়সী এই নারী দুই সন্তানের জননী। তাকে মাদক-সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আরেক নারী হলেন ফাতেমেহ আবদুল্লাহি (২৭)। স্বামীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মুসাভি চার বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, পাঁচ কেজি পরিমাণ মাদকের একটি প্যাকেজ বহন করার জন্য এই নারীকে ১৫ ইউরোর সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল।

আইএইচআর জানিয়েছে, এ বছর ইরানে এখন পর্যন্ত ২২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসে অন্তত ৫০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

;