ইকুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৯
ইকুয়েডরের তিনটি কারাগারে গত মঙ্গলবারের দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে । কারাগারের সক্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাং গ্রুপগুলোর মধ্যে এ দাঙ্গা হয় বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
দাঙ্গার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারাগারটির নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলে তাদের সঙ্গেও দাঙ্গাকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বন্দীদের অবস্থা জানতে কারাগারের বাইরে সমবেত হন উদ্বিগ্ন অনেক স্বজন।
কর্মকর্তারা বলেন, ওই তিন কারাগারের একটি পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর নগরী গুয়ায়েকুইলে অবস্থিত। সেখানে নিহত হন ৩৭ জন।
ইকুয়েডরের কারাগারগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা এসএনএআইয়ের পরিচালক এডমান্ডো মোনকেও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় কুয়েনসা এলাকার কারাগারে নিহত হন আরও ৩৪ জন। এ ছাড়া বাকি আটজন নিহত হন মধ্যাঞ্চলীয় লাটাকুংগার একটি কারাগারে।
মঙ্গলবার টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে যে কিছু বন্দি উঁচু দেয়াল থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে এবং অন্যরা কারাগারের দরজা ভেঙে বের হতে চেষ্টা করছে কিন্তু পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী তাদের থামিয়ে দেয়।
এসএনএআই জানিয়েছে, দাঙ্গার সময় নিহতরা সবাই বন্দী ছিল।
সংস্থাটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার গুয়ায়েকুইলের দুটি কারাগারের বন্দিরা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, পরে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো বলেছেন, মঙ্গলবার ছিল দেশের জন্য মর্মান্তিক দিন’। তিনি জেল ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত জনসংখ্যা, সেইসাথে নিরাপত্তার অভাবকে সহিংসতার জন্য দায়ী করেছেন।
তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং দায়বদ্ধদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দাঙ্গার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো টুইটারে ওই দাঙ্গাকে অপরাধী সংগঠনগুলোর সদস্যদের সহিংসতা বলে আখ্যায়িত করেন।