ইমরান খানকে নরেন্দ্র মোদির চিঠি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক কামনা করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিঠি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

২৩ মার্চ মঙ্গলবার পাকিস্তানের জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। শুভেচ্ছা বার্তায় মোদি লিখেছেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত পাকিস্তানের নাগরিকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চায়। সেজন্য সন্ত্রাস ও বিরোধিতামুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আরোগ্য কামনা করে টুইট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সম্পর্ক উন্নয়নের প্রত্যাশা জানিয়ে মোদি ইমরান খানকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দু'জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সংবাদ সংস্থাকে চিঠির বিষয়বস্তু নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তারা সরকারের নীতিমালা অনুসারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত পাকিস্তানের জনগণের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক চায়, মোদি চিঠিতে লিখেছেন। তবে তিনি বলেছেন, এর জন্য সন্ত্রাস ও শত্রুতাবিহীন আস্থার পরিবেশ আবশ্যক।

পাকিস্তানের প্রবীণ মন্ত্রী আসাদ উমর টুইটারে এক পোস্টে মোদির চিঠিকে স্বাগত জানিয়ে এটিকে ‘শুভেচ্ছার বার্তা’ বলে অভিহিত করেছেন।

এর আগে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনেও ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিকের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। গত মাসে ভারত এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কাশ্মীর সীমান্তে একে অন্যের বিরুদ্ধে গোলাগুলি ও হামলার বন্ধের বিষয়ে একমত প্রকাশ করে।

ব্লুমবার্গের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বিরোধ মেটানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে ভারত, পাকিস্তান বা আমিরাতের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি।

মোদির এই বার্তাটি পরস্পরের সম্মোহনের ইঙ্গিত দেয়। দু'পক্ষ বর্তমানে নয়াদিল্লিতে সিন্ধু নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করছেন।

ইমরান খান ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করার পরেই নরেন্দ্র মোদি এই চিঠি দিল। তবে তিনি বলেন, অতীতের শান্তি আলোচনা ইতিবাচক হয়নি। তাই ভারতকে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।