পাকিস্তান সিনেটে হিন্দু নারী



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৪

  • Font increase
  • Font Decrease
প্রথম একজন দলিত হিন্দু নারী হিসেবে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে নির্বাচিত হয়েছেন কৃষ্ণা কুমারি কোহলি। শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩৯ বছর বয়সী কোহলি জয়ী হয়েছেন বলে জানিয়েছে দৈনিক পাকিস্তান। গত মাসে বিলওয়াল ভূট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সিন্ধু আইন পরিষদের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ সিনেটের একটি আসনে তাকে মনোনয়ন দেয়। সিনেটে তার নির্বাচিত হওয়াটা পাকিস্তানে নারীদের, বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দু ও দলিত নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বড় এক মাইলফলক। পাকিস্তানের জন্মের পর আজ পর্যন্ত এমন ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে রত্না ভগবান দাস চাওলা নামের পিপিপির সদস্য আরেক হিন্দু নারী সিনেট সদস্য হয়েছিলেন। মিস কৃষ্ণা কুমারী কুলহি খুবই হতদরিদ্র এক দলিত পরিবারের সন্তান। সিন্ধু প্রদেশের থর জেলার নাগরপারকার নামের এক অজ পাড়াগাঁয় জন্ম নেয়া কুলহির জীবনকাহিনী সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। তার গোটা পরিবারকে জমিদারদের অমানবিক নিষ্পেষনের শিকার হতে হয়েছে। বলা যায়, গোটা পরিবারটাই ছিল ভূস্বামী মালিকের দাস। কৃষ্ণা কুমারী কুলহির জন্ম ১৯৭৯ সালে, হতদরিদ্র কৃষক জুগনো কুলহির ঘরে। উমেরকোট জেলার ভূস্বামী কুনরির ব্যক্তিগত জেলখানায় তাদের গোটা পরিবারকে টানা তিনবছর বন্দিজীবন কাটাতে হয়। অর্থাৎ তাদের গোটা পরিবারটাই ছিল শ্রমদাস বা কেনা গোলাম। যখন তিনি তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী তখন তাকেও দাসী হিসেবে আটকে রাখেন ওই ভূস্বামী। ১৬ বছর বয়সে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী থাকাকালে তার বিয়ে হয়ে যায় লালচান্দ নামের এক লোকের সঙ্গে। কিন্তু জীবনের এসব ভয়াবহতা ও বিরূপতার কাছে হার মানার পাত্রী ছিলেন না কৃষ্ণা কুমারী কুলহি। তিনি শত বাধা, শত নিপীড়ন আর শত হাহাকারের মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকেন। ২০১৩ সালে সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিদ্যায় কৃতিত্বের সঙ্গে মাস্টার্স করেন। হিসেবে পিপিপিতে যোগ দেন। এক পর্যায়ে তার ভাই বেরানো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আর কৃষ্ণা কুলহি নেমে পড়েন সমাজের সবচেয়ে বঞ্চিত জনগোষ্ঠি দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার আদায়ের কঠিন সংগ্রামে। তিনি তাদের অধিকার সচেতন করতে থাকেন, সংগঠিত করতে থাকেন। থর জেলা ও আশপাশের জেলায় তার সুনাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তিনি হয়ে ওঠেন দলিত, দরিদ্র, ভাগ্যাহত মানুষের বন্ধু, পথপ্রদর্শক আর ‘আপনা লোগ’ (আপনজন)। মানুষ তার ত্যাগ ও ভালোবাসার প্রতিদানও দিয়েছে তাকে নেত্রীর আসনে বসিয়ে। কুলহিদের পরিবার হতদরিদ্র আর দলিত হলেও ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামে তাদের পরিবারের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। কৃষ্ণা কুমারী কুলহির পূর্বপুরুষ রূপলো কুলহি ছিলেন একজন অকুতোভয় স্বাধীনতা-সংগ্রামী। ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ বাহিনী যখন নাগরপারকারের দিক থেকে সিন্ধুর ওপর হামলা চালায় তখন রূপলো কুলহিরা প্রবল প্রতিরোধযুদ্ধ শুরু করেন। কিন্তু এক পর্যায়ে ব্রিটিশরা তাকে বন্দি করে এবং ১৮৫৮ সালে ২২ আগস্ট ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। কৃষ্ণা একজন মানবাধিকার কর্মী, যিনি নারী অধিকার, দাস শ্রম এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনেস্তা বিষয়ের বিশেষজ্ঞ।
   

রাশিয়াকে অস্ত্র দেয়ার বিষয় অস্বীকার করলেন কিমের বোন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র বিনিময়ের বিষয়টি আবারও অস্বীকার করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএসএ'র এক প্রতিবেদনে বলা, হয়েছে উত্তর কোরিয়া তার জাতির স্বার্থে অস্ত্রের আধুনিকায়ন করছে এবং তা কোনো দেশের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না। 

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু শুরু থেকেই মস্কো ও পিয়ংইয়ং এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছ। তবে গত বছর থেকে এই দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক গভীরে পৌঁছেছে।  

গত বছরের সেপ্টেম্বরে নাটকীয়ভাবে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফর এবং পুতিনের সঙ্গে বৈঠক তাদের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে কিমের বোন কিম ইয়ো জং বলেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র চুক্তি তত্ত্ব একটি কল্প কাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়। 

কিম ইয়ো জং এর বিবৃতিকে উদ্ধৃতি করে কেসিএনএ জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র চুক্তির বিয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। তাদের শত্রু দেশ এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। 

কিম ইয়ো জং বলেন, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার প্রদর্শনকৃত রকেট লঞ্চার, ক্ষেপণাস্ত্র এবং কৌশলগত অস্ত্র রপ্তানির জন্য ছিল না। এগুলো দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রতিহত করার জন্য। 

;

নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুন লাগায় দুর্বৃত্ত, নিহত ১১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের সময় বাইরে থেকে আগুন ধরিয়ে দিলে কমপক্ষে ১১ মুসল্লি প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। মসজিদটিতে বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ জানিয়েছে, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে সব দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ মুসল্লি আটকা পড়েন। ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের ভেতরে ছিলেন। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উত্তরাধিকার এবং সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশ। তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের আর্তনাদের আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

;

গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় যুদ্ধ শেষ হলে সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বাহিনী থেকে মিশর, সংযুক্ত আবর আমিরাত ও মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের দাবি, যুদ্ধ পরবর্তী গাজায় হামাসকে ঠেকাতে এবং উপত্যাকাকে নিরাপদ রাখতে এমন পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের এ প্রস্তাব মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কো বিবেচনা করে দেখছে। তবে তারা এজন্য একটি শর্ত দিয়েছে। এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে তিনটি দেশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে স্বীকৃতি চায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজের সেনা যুক্ত করার প্রস্তাব সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো নাকচ করে দিয়েছে। তবে তারা উপত্যাকায় এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে। কেননা যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের পর সেখানে আর কোনো সেনা থাকছে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছে। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না। আরব দেশগুরো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে। যদিও পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশ এ স্বীকৃতির কাছাকাছি রয়েছে।

গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা থাকলেও এতো কোনো মার্কিন সেনা থাকবে না। আরব দেশগুলোকে এতে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, এ প্রচেষ্টায় ওয়াশিংটন নেতৃত্ব দেবে। যদিও তা বাস্তবায়নের এখনও অনেক কাজ বাকি।

;

পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে নিহত ১৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে মালদহে বিভিন্ন এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি নামলে এসব ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩ জন শিশু রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরাতন মালদহের সাহাপুরে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়। আম বাগানে আম কুড়ানো ও পাহাড়ার কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ওই তিনজনের।

মারা যাওয়া ওই তিন ব্যক্তি হলেন- চন্দন সাহানি (৪০), রাজ মৃধা (১৬) ও মনোজিৎ মণ্ডল (২১)। অন্যদিকে গাজোলের আদিনাতে আম বাগানে বজ্রপাতে মারা যান একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসিত সাহা (১৯)। ঝড়ের সময় আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে তিনি মারা যান।

এ ছাড়া হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কুরশাডাঙা গ্ৰামে কৃষিকাজ করতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তারা হলেন- নয়ন রায় (২৩) ও প্রিয়াঙ্কা রায় (২০)।

মালদহজুড়ে পুরাতন মালদহে তিনজন, হরিশ্চন্দ্রপুরে দুই জন, মানিকচকে দুজন এবং রতুয়া, গাজোল ও ইংরেজবাজারে অন্তত একজন করে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

এছাড়া বজ্রপাতে এক গৃহবধূসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

;