কৃষ্ণসাগরে রাশিয়া–ন্যাটোর পাল্টাপাল্টি মহড়া
কৃষ্ণসাগরে নিজেদের সমুদ্রসীমায় সামরিক মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া। এর কাছাকাছি স্থানে পাল্টা সামরিক মহড়া চালিয়েছে ইউক্রেন ও উত্তর আটলান্টিকের সামরিক জোট ন্যাটোর দেশগুলো। কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন রুশ নৌবহর থেকে আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়। এ ঘটনায় ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স ও এএফপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত সপ্তাহে রাশিয়া জানায়- ক্রিমিয়ার কাছে সাগরে একটি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করে সতর্কতামূলক গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করেছে তারা। ২০১৪ সালে দেশটি ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়।
ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনায় ন্যাটো ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দ্য সি ব্রিজ নামে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের নেতৃত্বে ওই সামরিক মহড়া চালাল ন্যাটো। ন্যাটোর ওই মহড়ার আগে সেটি না করার আহ্বান জানিয়েছিল মস্কো। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এই মহড়ার কারণে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়লে তা সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনে জবাব দেবে তারা।
কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন রুশ নৌবহর এক বিবৃতিতে বলেছে, দুটি বড় যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্রুরা জলপথ ও আকাশপথের লক্ষ্যবস্তু নিশানা করে মহড়াকালে গুলি ছুড়েছেন। ক্রিমিয়ায় রাশিয়া তার বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পরীক্ষা করার দুদিন পর এ মহড়া চালাল।
বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এক প্রতিবেদনে জানায়, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথক এক বিবৃতিতে বলেছে- গতকাল কৃষ্ণসাগরে ইতালির নৌবাহিনীর একটি রণতরিও শনাক্ত করা হয়েছে।
সামরিক মহড়া ‘সি ব্রিজ ২০২১’ দুই সপ্তাহ ধরে চলবে। এতে ন্যাটো ও এই জোটের মিত্র অন্যান্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫ হাজার সদস্য এবং ৩০টি জাহাজ ও ৪০টি যুদ্ধবিমান, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র সুসজ্জিত যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রস ও ইউএস মেরিন কোর অংশ নিচ্ছে।