‘কাবুলে শতাধিক ব্রিটিশ নাগরিক আটকা পড়েছেন’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডোমিনিক রাব

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডোমিনিক রাব

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো তাদের সব সেনা সরিয়ে নিয়েছে। সঙ্গে সরিয়ে নিয়েছে তাদের বেসামরিক নাগরিক ও অনুগত আফগানদের।

মঙ্গলবার (৩১) আগস্ট কাবুল বিমানবন্দর থেকে মার্কিন সেনাদের বহন করা শেষ ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। তার আগেই কাবুল ছেড়েছেন যুক্তরাজ্যের সেনারা।

তবে আফগানিস্তানে এখনো যুক্তরাজ্যের প্রায় ১০০ নাগরিক আটকা পড়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব ডোমিনিক রাব। তিনি বলেছেন, ‘কাবুলে এখনো ব্রিটিশ নাগরিকরা আটকা পড়ে আছেন। সেটা একশো কিংবা তার কিছু কম-বেশি হবে।’

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে স্কাই নিউজকে এসব কথা বলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ডোমিনিক রাব বলেন, ‘আমরা গত ১৫ দিনে প্রায় পাঁচ হাজার ব্রিটিশ নাগরিককে সেখান থেকে বের করে এনেছি। আমি জানি, কাবুলে কূটনৈতিক কাজে বিশেষ দায়িত্বে এখনো কিছু ব্রিটিশ নাগরিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবস্থান করছেন। তবে সেই সংখ্যা খুবই কম।’

barta24
মার্কিন সেনারা কাবুল বিমানবন্দর ছাড়ার পর তালেবানের মুখপাত্র বাদ্রি সেনাদের নির্দেশনা দেন। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের বহন করা শেষ ফ্লাইট কাবুল বিমানবন্দর ছাড়ার পর আফগানিস্তানকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ক্ষমতা দখল করা সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান।

চুক্তি অনুযায়ী আজ ৩১ আগস্ট (মঙ্গলবার) যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সেনারা আফগানিস্তান ছেড়েছে। প্রায় দুই দশক পর বিদেশি সেনাদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়েছে কাবুল।

কাবুল বিমানবন্দর ছাড়ার আগে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান মেরিন জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাককেঞ্জি বলেন, ‘আমরা সবাইকে বের করতে পারিনি। আমাদের ধারনা- যদি আমরা আরও ১০ দিন এখানে থাকি, তবুও সবাইকে বের করতে পারবো না।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন, আগস্টের ৩১ তারিখের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে দেশটির সব সামরিক-বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। সেই ঘোষণা অনুযায়ী আমেরিকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাবুল ছেড়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অনেক নাগরিক এখনো কাবুলে আটকা পড়েছেন বলে জানানো হচ্ছে।

   

ইসরায়েলগামী সব জাহাজে হামলার ঘোষণা হুথিদের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের সীমানার মধ্যে থাকা ইসরায়েলগামী যেকোন জাহাজে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের শিয়া মুসলিম গোষ্ঠী হুথি বিদ্রোহীরা। খবর রয়টার্স।

শুক্রবার (৩ মে) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, ইয়েমেনের হুথিরা তাদের সীমার মধ্যে থাকা যেকোনো এলাকায় ইসরায়েলি বন্দরগামী জাহাজগুলোর ওপর হামলা করবে। 

তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরের যেখানে আমরা পৌঁছাতে পারব সেখানেই ইসরায়েলের বন্দরগামী জাহাজে আমার হামলা চালাব।

উল্লেখ্য, গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের সমর্থন দেখানোর জন্য ইরানপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েলের জাহাজগুলোতে বারবার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

তাদের হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে অনেক শিপিং কোম্পানি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়ার বদলে এখন আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ঘুরে জাহাজগুলো গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে করে পরিবহন খবর আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

;

সারাবিশ্বে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশের ৪৪ জন পরিবেশ সাংবাদিক সহিংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন; আর বেঁচে ফিরতে পেরেছেন ২৪ জন।

শুক্রবার (৩ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে। উল্লেখিত প্রতিবেদনটি প্রস্তুতের জন্য ১২৯টি দেশের ৯০৫ জন পরিবেশ সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইউনেস্কো প্রতিনিধিরা।

সাক্ষাৎকারে ৯০৫ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৭৪৯ জনই (শতকরা হিসেবে ৭০ শতাংশেরও বেশি) জানিয়েছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য জীবনের কোনো না কোনো সময় তাদেরকে শারীরিক হামলা কিংবা ভয়ভীতি, হুমকি, চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। অনেককে আটক-গ্রেপ্তার ও মানহানির মামলা আইনী সমস্যাও মোকাবিলা করতে হয়েছে।

হামলা-হয়রানির ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শারীরিক হামলার ঘটনাগুলো পুরুষ সাংবাদিকদের বেলায় ঘটেছে বেশি। অন্যদিকে হয়রানির শিকার বেশি হয়েছেন নারী সাংবাদিকরা।

পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে ইস্যুতে প্রতিবেদন করতে গিয়ে হামলা-হয়রানির শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। এসব ইস্যুর মধ্যে খনি সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম, ভূমির দখল সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব, বন উজাড় হয়ে যাওয়া, চরম আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্যোগ, দূষণ এবং পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি, জীবাশ্ম জ্বালানি খাত এবং এর বাণিজ্য প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

এসব হামলা ও হয়রানির সবই এসেছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে। ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ, সেনাবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা ও চাকরিজীবী, স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের লোকজন এসব হামলা ও হয়রানির জন্য দায়ী।

;

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মাসেই চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শুক্রবার (৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করতে এই মাসেই দেশটিতে সফর করার পরিকল্পনা করছেন।

রাশিয়ার এই পরিকল্পনার সাথে পরিচিত একজন ব্যক্তির বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই সফরটির সূচি আগামী ১৫-১৬ মে নির্ধারিত করা হয়েছে।

;

‘যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই হামাসের’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামাসের হামলার কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি। গাজায় আগ্রাসনের এ সময়টায় অনেক কিছুই হতে পারে বা অনেক কিছুই ঘটতে পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পরিকল্পনা করেনি হামাস।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র; যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। তবে এ নির্মাণ কাজ চলাকালীন সেনাদের গাজা ভূখণ্ডে পা রাখতে নিষেধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। সেখানে দীর্ঘদিনের সংঘাতের কারণে খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরাইল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল সবসময়ই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে।

সংস্থাটি বলছে, নতুন করে সহায়তা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হলেও ধারাবাহিকতা না থাকলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ত্রাণ কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে এবং তা চলমান রাখতে হবে।

;