সুদানে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে গুলি, নিহত ৩
সুদানে জরুরি অবস্থা ভেঙে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন দেশটির নাগরিকরা। এতে গুলি চালিয়েছে সেনাবাহিনীর। সামরিক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮০ জন। খবর আল-জাজিরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সুদানের সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদক ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান।
গণতান্ত্রিক সরকার সরিয়ে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে সকাল থেকেই রাজধানী খার্তুমের রাস্তায় নেমে আসে কয়েক হাজার মানুষ। তারা স্লোগান দিয়ে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদ জানান। একই সময়ে নিকটবর্তী ওমদুরমান শহরেও বিক্ষোভ করেন হাজারো মানুষ। বিক্ষোভে অসংখ্য নারীও অংশ নেন।
এসময় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে সেনাবাহিনী। এতে অন্তত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আহত হয়েছেন আরও ৮০ জন বিক্ষোভকারী।
তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ সোমবার সুদানে অন্তত ১৪০ জন হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে ঠিক কতজন মারা গেছেন, তা এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, রাজধানী খার্তুমের বিভিন্ন হাসপাতালে জখম হয়ে চিকিৎসা নিতে ছুটে যাচ্ছেন মানুষ। তাদের অনেকের পোশাক রক্তে লাল হয়ে যেতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদককে গৃহবন্দি করা হয়। সামরিক বাহিনীর অজ্ঞাত সদস্যরা তার বাড়ি ঘেরাওয়ের পর তাকে গৃহবন্দি করা হয়।
আবদাল্লাহ হামদককে অভ্যুত্থানের সমর্থনে বিবৃতি দিতে চাপ দেন সামরিক বাহিনী। তবে তিনি বিবৃতিতে দিতে অস্বীকার করার পর সুদানের নিরাপত্তা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত মাসেও দেশটিতে অভ্যুত্থানচেষ্টা হয়। তবে অভ্যুত্থানের ওই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়। একদল সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন। তখন তারা অভ্যুত্থান করতে ব্যর্থ হন। দেশটিতে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।