কপ-২৬ পুরোপুরি ব্যর্থ: গ্রেটা থুনবার্গ
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬) পুরোপুরি ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন জলবায়ুবিষয়ক আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) গ্রেটার ডাকে ‘ফ্রাইডে ফর ফিউচার’ ব্যানারে বিক্ষোভে অংশ নেন শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ।
গ্লাসগোর জর্জ স্কয়ারের এই সমাবেশে গ্রেটা বলেন, এটা স্পষ্ট যে কপ-২৬ ব্যর্থ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব যদি মোকাবিলা করতে হলে এখনই কার্বন গ্যাসের নির্গমন বড় মাত্রায় কমানো দরকার, যা আগে কখনও হয়নি।
থুনবার্গ জাতিসংঘের নিন্দা করে বলেন, এই সম্মেলন গতানুগতিকতা ও বক বক করা ছাড়া আর কিছুই না।
গ্রেটা আরও বলেন, নেতারা তাদের কল্পনার জগতে বাস করে ভাবতে পারেন- প্রযুক্তি দিয়ে আচমকা সব সমস্যা সমাধান করবেন। অথচ বাস্তবে পৃথিবী আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে। আর সামনের সারিতে থাকা মানুষ সহ্য করছে পুরো আঘাত।
জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে এরই মধ্যে তাঁদের জন্মভূমিকে প্রভাবিত করছে, সে সম্পর্কে অন্য বেশ কয়েকটি দেশের কর্মীরাও তথ্য তুলে ধরেন।
তবে এ সম্মেলন কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে বন উজাড় বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি, ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন নির্গমনের মাত্রা ৩০% কমানোর চুক্তি এবং কয়লার ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি।
এদিকে কপ-২৬-এর একজন মুখপাত্র সিএনবিসি-কে বলেছেন, যুক্তরাজ্য অন্তর্ভুক্তিমূলক কপ-২৬ সম্মেলন আয়োজন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কপ-২৬ এ জলবায়ু জরুরি অবস্থার দাবি পূরণের জন্য নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়ী নেতারা প্রচুর চাপের মধ্যে রয়েছেন। এমনকি অনেকে প্রকাশ্যে একটি নিম্ন-কার্বন সমাজ রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করলেও, বিশ্বব্যাপী উত্তাপকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত করার আশা করতে পারছেন না।
অথচ জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বারবার জোর দিয়েছেন যে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক তাপমাত্রা মোকাবিলার সর্বোত্তম অস্ত্র হলো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন দ্রুত কমানো।