জেনে নিন ওমিক্রনের লক্ষণ!
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় উঠে এসেছে ওমিক্রন সংক্রমণের কিছু উপসর্গ।
গবেষণায় দেখা গেছে, ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে রোগীর হাঁচি, মাথাব্যথা ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ থাকতে পারে।
জো কোভিড স্টাডি অ্যাপ হাজার হাজার ওমিক্রন আক্রান্তকে তাঁদের উপসর্গ জানাতে বলেছিল। এতে প্রভাবশালী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এবং অতি সংক্রামক ওমিক্রন-উভয়ের সাথেই যুক্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেছেন।
গত ৩ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে যে সাধারণ লক্ষণগুলি জানা গেছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে- সর্দি, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, হাঁচি ও গলা ব্যথা। ডেইলি মেলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সুপার মিউট্যান্ট ভাইরাস কোভিডের চেয়ে বেশি সর্দি-কাশির মতো। অন্যদিকে, সাধারণত কোভিডের উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে, একটানা কাশি, প্রবল জ্বর ও ঘ্রাণ ও স্বাদ হারিয়ে ফেলা।
জো কোভিড স্টাডির প্রধান বিজ্ঞানী টিম স্পেক্টর বলেন, ওমিক্রনের উপসর্গগুলি প্রধানত ঠান্ডা লাগা, সর্দি, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা এবং হাঁচি। এমন লক্ষণ কারও মধ্যে থাকলে তার বাড়িতে উচিত। কারণ, এটি কোভিডও হতে পারে।
ওমিক্রনের সংক্রমণ প্রতিরোধে এ ধরনের উপসর্গ দেখলে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, এ সব উপেক্ষা করে বাড়ি থেকে বের হলে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে।
উল্লেখ্য, ওমিক্রন আক্রান্তদের অনেকের ক্ষেত্রে অতীতের ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় সামান্য অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে বলে খবর। যদিও বিজ্ঞানীরা এখনও সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি যে, এই ভ্যারিয়েন্ট অন্তর্নিহিতভাবেই দুর্বল নাকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিরোধের হার বেশি বা একসঙ্গে এই দুটি বিষয়ই কিনা।
সাউথ আফ্রিকার এই ধরন গত ২৪ নভেম্বর শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৮৯টি দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ওমিক্রন নিয়ে এদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও। উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরাও। তারা বলছেন, করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে রূপান্তরিত হয়ে নতুন এই রূপ নিয়েছে। এটি মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।