১২ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে হত্যা করেছে কাজাখ পুলিশ
কাজাখস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, আলমাতি শহরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার অভিযানে ১২ জনেরও বেশি সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীকে হত্যা করা হয়েছে।
দেশটির পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা শহরের একটি পুলিশ স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করলে তারা এ পদক্ষেপ নেয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এর আগে বিক্ষোভের সময় নিহত হয় নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য এবং আহত হয়েছেন ৩৫৩ জন। তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হয় এই বিক্ষোভ।
এদিকে, কাজাখ প্রেসিডেন্টের অনুরোধে সৈন্য পাঠাচ্ছে রাশিয়া। তাদের দেশটি স্থিতিশীল করতে মোতায়েন করা হবে। কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিএসটিও) এর সদস্য হিসেবে এই সহায়তা পাচ্ছে কাজাখস্তান। এই সংস্থাটির অন্য সদস্য দেশগুলো হলো রাশিয়া, বেলারুশ, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং আর্মেনিয়া।
ঐতিহ্যগতভাবে মধ্য এশিয়ার এই অঞ্চলের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। সাধারণত এ অঞ্চলের অধিকাংশ দেশে কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। দেশটিতে অধিকাংশ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ১০০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। দেশটিতে কার্যত কোনো বিরোধী দল নেই।
এদিকে এ পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রাত্রিকালীন কারফিউ রয়েছে। এ ছাড়া জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) তিনটি প্রশাসনিক ভবনে ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ অভিযান অব্যাহত থাকায় আলমাতি পুলিশের মুখপাত্র সালতানাত আজিরবেক শহরের লোকজনকে সাময়িকভাবে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ স্টেশন থেকে দাঙ্গাকারীরা অস্ত্র লুট করার সময় ডজনখানেক বিক্ষোভকারীকে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন প্রায় ১,০০০ জন।