উত্তেজনার মধ্যে পূর্ব ইউরোপে শক্তি বাড়াচ্ছে ন্যাটো
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব ইউরোপে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে ন্যাটো। পশ্চিমা নীতিনির্ধারকদের ধারণা যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাটো জানিয়েছে তারা তাদের বাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছে এবং পূর্ব ইউরোপে বাড়তি যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাড়তি সেনাও মোতায়েন করা হয়েছে।
ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলেনবার্গ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বলেছেন, ন্যাটো সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এমনকি ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমেও যুদ্ধসেনা মোতায়েন করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার কয়েক দফা আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর এখন ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাশিয়া ইতিমধ্যে দেশটির সীমান্তে প্রায় ১ লাখ সেনা মোতায়েন করেছে।
স্টোলেনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো অবনতি হলে আমরা সবসময় সাড়া দেব।
ইউক্রেন সেনাদের প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যদিও যুক্তরাজ্য ইউক্রেন রক্ষায় সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকোচ করে দিয়েছে।
এদিকে, মার্কিন সামরিক বাহিনী সোমবার বলেছে, তারা ৮ হাজার ৫০০ সৈন্যকে ইউরোপে মোতায়েন করার জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য সতর্ক করেছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি জোর দিয়ে বলেছেন, সৈন্য মোতায়েনের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং এই জাতীয় যে কোনও মোতায়েনের ফলে স্নায়বিক মিত্রদের আশ্বস্ত করতে ন্যাটোর পূর্ব দিকে মার্কিন সৈন্যদের আন্তঃইউরোপীয় আন্দোলন থেকে আলাদা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার বিল্ড আপের প্রতিক্রিয়া জানাতে মিত্রদের সাথে সমন্বয়ের অংশ হিসাবে সোমবার ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছেন।