মিয়ানমারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর তিন দেশের নিষেধাজ্ঞা
মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির মুহূর্তে সেদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রেজারি মিয়ানমারের অ্যাটর্নি জেনারেল থিদা ও, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তুন তুন উ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইউ টিন উ-এর বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
জানানো হয়েছে যে, উক্ত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচির "রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" বিচারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল।
মিয়ানমারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে সামরিক বাহিনী। এর এক বছরের মাথায় নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা দিলো মার্কিন রাজস্ব এবং পররাষ্ট্র দপ্তর।
যুক্তরাজ্য বলেছে যে এটি থিদা ওও, টিন ও এবং ইউ থেইন সোয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। ইউ থেইন একজন প্রাক্তন সামরিক ব্যক্তি যিনি অভ্যুত্থানের পরে দেশটির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক শাসন মিয়ানমারের জনগণকে আত্মসমর্পণে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে। ভয় এবং সহিংসতার মাধ্যমে, তারা বিভাজন এবং সংঘাত সৃষ্টি করেছে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, বার্মার জনগণের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো সমর্থন প্রদর্শন এবং অভ্যুত্থান ও সামরিক শাসকদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ব্রিটেন এবং কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।
কানাডিয়ান সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে যে, সেনাবাহিনী গত বছরে মিয়ানমারের মানবিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের কোন চেষ্টা দেখায়নি।
এছাড়াও মায়ানমারের সামরিক বাহিনীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত বেশ কিছু ব্যবসায়ী নেতা ও কোম্পানির বিরুদ্ধেও যুক্তরাষ্ট্র আলাদাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।