নিউজিল্যান্ডের সীমান্ত পর্যায়ক্রমে খোলার ঘোষণা
নিউজিল্যান্ড তাদের সীমান্তগুলো পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার(৩ জানুয়ারি) বিবিসি-র করা প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়। বিশ্বের সব থেকে কঠিন বিধি নিষেধগুলো নিশ্চিত করে সীমান্তগুলো পর্যায়ক্রমে খুলে দেবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার জেসিন্ডা আরডার্ন।
অস্ট্রেলিয়ায় টীকাপ্রাপ্ত নিউজিল্যান্ডবাসীরা ২৭ ফেব্রুয়ারী, এবং বাকি বিশ্বের বাসিন্দারা ১৩ মার্চের মধ্যে নিজ নিজ ঠিকানায় ফিরে যেতে পারবেন, তাদের ১০ দিনের স্ব-বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে, তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোয়ারেন্টাইন সুবিধাগুলো তাদের জন্য বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সরকার।
মহামারির কারণে নিউজিল্যান্ড সীমান্ত প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে অকল্যান্ডে এক বক্তৃতায় আরডার্ন বলেন, 'এই উপায়ে সীমান্ত খোলার ফলে ভ্রমণকারীদের চলাচলের ভারসাম্য বজায় থাকবে যাতে, তারা পুনরায় একত্রিত হতে পারে এবং আমাদের কর্মশক্তির ঘাটতি পূরণ করতে পারে, পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা সংক্রমণ বৃদ্ধিকে পরিচালনা করে তা নিশ্চিত করতে পারে।'
তিনি আরো বলেন, ওমিক্রন থেকে বাঁচার কৌশল হল এর সংক্রমণকে রোধ করা, তার মধ্যে সীমান্তগুলি একটি বড় অংশ।
এই পরিকল্পনায় ৫টি ধাপ রয়েছে-
১) অস্ট্রেলিয়া থেকে টিকাপ্রাপ্তরা ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে ফিরতে পারবেন।
২) অন্যান্য দেশ থেকে নাগরিকরা ১৩ মার্চ ফিরতে পারবেন, এটি দক্ষ শ্রমিক এবং গুরুত্বপূর্ণ পদধারীদের জন্যেও প্রযোজ্য।
৩) ১২ এপ্রিল থেকে ৫০০০ পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে দেশে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
৪) অস্ট্রেলিয়ান সহ অন্যান্য ভ্রমণকারীরা যারা ভিসা ছাড়াই দেশে ভ্রমণ করতে পারে, তারা জুলাইয়ের পর ভ্রমণ করতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
৫) সাধারণভাবে ভিসাদান প্রক্রিয়া অক্টোবর থেকে শুরু হবে।
প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে প্রায় ১৭ হাজার আক্রান্ত এবং ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব এরপর থেকে আরডার্ন একটি কোভিড নির্মূল কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। তিনি অধিকতর জনগনের টিকা নিশ্চিত করেছিলেন। ১২ বছরের বেশী বয়সীদের ৯৪ শতাংশ, এবং ৫৬ শতাংশে বুস্টার ডোজ সম্পন্ন রয়েছে।