ইউক্রেনের তিন দিক ঘিরে ফেলেছে রাশিয়া, অপেক্ষা হামলার

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সময় যত যাচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনার পারদ ততই বাড়ছে। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে বলে অনুমান করছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা এবং ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে মস্কো। এখন শুধু অপেক্ষা কখন হামলা চালায়। খবর সিএনএনের।

যুদ্ধ এড়াতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

যদি এ আগ্রাসন শুরু হয়, তাহলে কোন দিক দিয়ে শুরু হবে তা স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনের তিন দিক থেকেই চাপ তৈরি করেছে রাশিয়া। দক্ষিণে ক্রিমিয়া সীমান্ত, দুই দেশের সীমান্তে রাশিয়ার অংশ এবং উত্তরে বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে হামলা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এসব এলাকায় নজর রাখছে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার ভিডিওকলে ঘণ্টাব্যাপী আলাপে বাইডেন পুতিনকে বলেছেন, সামরিক আগ্রাসনের ফলে ইউক্রেনে বড় ধরনের মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে। এর ফলে রাশিয়ার গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। আর হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্ররা দ্রুত এর জবাব দেবে। রাশিয়াকে এজন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।

একই সময়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তার আমেরিকান কাউন্টারপার্ট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে মস্কোর বিরুদ্ধে ‘প্রপাগান্ডা ছড়ানোর’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন।

প্রশ্ন হলো ইউক্রেনে কেন হামলা চালাতে চাচ্ছে পুতিন

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মস্কোর আসল আপত্তি পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো বাহিনীর কর্মকাণ্ড এবং ইউক্রেন নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে মস্কো নিশ্চয়তা চায়, যে পূর্ব ইউরোপ থেকে তারা ন্যাটোর বাহিনীকে সরিয়ে নেবে। এবং ইউক্রেনে ন্যাটো বাহিনীর প্রবেশের কোনও সম্ভাবনা নেই।

কারণ মস্কো মনে করে, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া সীমান্তে ন্যাটোকে মোতায়েন করে পরোক্ষে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে চায়। ওয়াশিংটন রাশিয়ার এই দাবি সরাসরি নাকচ করলেও, তারা আলোচনার পথ থেকে সরতে চায় না। এমনকি এ নিয়ে ক্রেমলিনে আলোচনা করতে চেয়ে বার্তাও দিয়েছে। যদিও সেই আলোচনা এখনও গতি পায়নি। ফলে ইউক্রেনকে বার্তা দিতেই হামলার কথা এখন ভাবছে মস্কো। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনকে তিন দিক দিয়ে ঘিরে ফেলে রণ-হুঙ্কার ছাড়া শুরু করেছে পুতিনের বাহিনী।