লকডাউন পার্টি: জরিমানা গুণতে হচ্ছে জনসনকে
লকডাউন আইন ভাঙার দায়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও চ্যান্সেলর ঋষি সুনাককে জরিমানা করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দেশটির মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্তের ফলাফলে একথা জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। ২০২০ সালের ১৯ জুন জন্মদিনে ক্যাবিনেট রুমে একটি পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। মূলত সেটি নিয়েই বরিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ। বরিস জনসন ও ঋষি সুনাককে জানানো হয়েছে যে লকডাউন নিয়ম ভাঙার জন্য তাদের জরিমানা করা হবে।
১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক আজ বিজ্ঞপ্তি পেয়েছেন যে মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের নির্দিষ্ট শাস্তির নোটিশ জারি করতে চায়। আমাদের কাছে এর চেয়ে আর বেশি তথ্য নেই।
জরিমানাটি লকডাউন চলাকালীন ডাউনিং স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত পার্টির সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২০ সালের জুনে জনসনের জন্মদিনের ওই পার্টিতে সুনাকও উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবন সঙ্গী প্রিন্স ফিলিপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগের রাতে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করেন কার্যালয়ের কর্মীরা। বৃটিশ গণমাধ্যম টেলিগ্রাফে প্রথম এই পার্টির কথা প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৬ এপ্রিল পুরো রাতজুড়ে এই পার্টি চলেছিল। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যখন জাতীয় শোকের সময় চলছিল তখন এ ধরনের পার্টি নিয়ে গভীরভাবে অনুতপ্ত হওয়া উচিত।
এদিকে ওই পার্টিগুলোতে বরিস জনসন ছিলেন না বলে জানা গেছে। যদিও তার কার্যালয়ে কোভিড-১৯ নিয়ম ভঙ্গের দায়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তিনি।
একের পর এক পার্টি বিতর্ক নিয়ে বিরোধী দলের তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছেন বরিস জনসন। তারা ডাউনিং স্ট্রিটের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। সে সময় কোভিডের কারণে নানা কড়াকড়ি চলছিল বৃটেনে। ফলে রানীকেও প্রিন্স ফিলিপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় একাই বসে থাকতে হয়েছিল। অথচ সেই একই সময়ে দুটি পার্টি আয়োজিত হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।