যুক্তরাজ্যে অবৈধদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর ফ্লাইট বাতিল
যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর প্রথম ফ্লাইট টেক অফের কয়েক মিনিট আগে বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ জুন) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নানা নাটকীয়তার পর মঙ্গলবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় ৩১ জন আশ্রয়প্রার্থীকে নিয়ে একটি চার্টার্ড বিমান টেক অফের কয়েক মিনিট আগে একটি আইনি রায়ের পর বাতিল করা হয়।
শেষ মুহূর্তে ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ হিউম্যান রাইটসের হস্তক্ষেপের ফলে যুক্তরাজ্যের আদালত নতুন এই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, ফ্লাইট বাতিলে তিনি হতাশ। তবে, পরবর্তী ফ্লাইটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
তবে এর বিরোধিতাকারীরা বলছে, আগামী মাসে এই নীতির বৈধতা সম্পর্কে পূর্ণ শুনানি হওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত ছিল।
প্রথম ফ্লাইটে ৩১ জন আশ্রয়প্রার্থীকে পাঠানোর কথা থাকলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেয়ারফরক্যালাইস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ২৩ জনের টিকিট বাতিল করা হয়েছে।
কেয়ারফরক্যালাইস বলছে, যাদের রুয়ান্ডায় পাঠানো হচ্ছে তাদের মধ্যে আলবেনিয়ান, ইরাকি, ইরানি ও একজন সিরীয় রয়েছেন।
এদিকে পাবলিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল সার্ভিসেস ইউনিয়নের প্রধান মার সেরওটকা বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলকে জুলাইয়ের শুনানির জন্য অপেক্ষা করা উচিত ছিল। পরে সম্পূর্ণ শুনানিতে এমন পদক্ষেপ অবৈধ ঘোষণা হলে একটি আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি যুক্তরাজ্য সরকারের এই নীতিকে ভুল হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, অন্য দেশে তার দায়িত্ব রফতানি করা উচিত নয়।
এদিকে চার্চ অফ ইংল্যান্ডের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ ধর্মগুরু, ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবিসহ মোট ২৪ জন আর্চবিশপ টাইমস পত্রিকায় এই নীতির সমালোচনা করে লিখেছেন, একটি জাতি হিসেবে আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।
তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের দাবি বিপজ্জনক ও অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে আসার প্রবণতা কমাতেই এমন নীতি নিয়েছে সরকার।