ঋষি সুনক প্রধানমন্ত্রী হোক, চায় না বরিস জনসন!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক বরিস জনসন সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। ছিলেন বরিস জনসন অন্যতম সমর্থকও। কিন্তু সেই ঋষিই কিছুদিন আগে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে একগাধা অভিযোগ করে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। কার্যত তার জেরেই গদি হারিয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাতে হচ্ছে বরিস জনসনকে। সেই বরিস এ বার দলের ঘনিষ্ঠদের কাছে বলতে শুরু করেছেন, আর যেই হোক না কেন, ঋষিকে যেন প্রধানমন্ত্রী না করা হয়। একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবরে তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে।

কনজারভেটিভ দলের নেতা হিসেবে এখন পর্যন্ত যে কয়েকটি ধাপে ভোট হয়েছে তাতে স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়েই রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী ঋষি।

বিজ্ঞাপন

ঋষির বদলে অন্য কে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন প্রকাশ্যে কোনও নাম বলছেন না বরিস। তবে ঘনিষ্ট সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাসই তার প্রথম পছন্দ। যাকে শপথ নেওয়ার পরেই তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছিলেন। এছাড়া তার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন পেনি মরডান্ট। তবে আরও যে-ই হোক ‘ঋষি কখনই নয়’।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরিসের অনুগামীরা ইতিমধ্যেই ‘গোপনে’ জোরদার প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ঋষির বিরুদ্ধে। তবে ঋষির পদত্যাগের কয়েক মিনিটের মধ্যে ইস্তফা দেন বরিসের মন্ত্রিসভার আরেক মন্ত্রী সাজিদ জাভিদ।তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্য কোনও ক্ষোভ নেই ব্রিটেনের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে তাকে বার করে দেওয়ার পিছনে সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষির হাত রয়েছে বলেই মনে করেন বরিস।

বিজ্ঞাপন

এদিকে গতিপ্রকৃতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে ঋষি কানজারভেটিভদের প্রথম বাছাই হতে পারেন। এর ফলে তিনিই হবে ব্রিটিনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী।

তবে, প্রার্থীর সংখ্যা দুই জনে দাঁড়ানো না পর্যন্ত এমপিদের ভোট দেওয়া চলতে থাকবে আর সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া প্রার্থী বাদ পড়তে থাকবেন।

চূড়ান্ত যে দুই প্রার্থী থেকে যাবেন তাদের মধ্যে একজনকে নেতা হিসেবে বেছে নিতে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ভোট হবে। পোস্টাল ভোটে যিনি বেশি সমর্থন পাবেন তিনিই হবে দলটির পরবর্তী নেতা আর নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুজনে নামিয়ে আনা হবে। পরে কনজারভেটিভ পার্টির ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন, কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ও দলের নেতা। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। তত দিন প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন বরিস জনসন।