স্পেনে তাপপ্রবাহে পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু
ইউরোপজুড়ে বইছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। গরমে নাভিশ্বাস শীত প্রধান এই অঞ্চলটি। গত দশদিনে স্পেনে তাপপ্রবাহে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রেকর্ড তাপমাত্রায় জনজীবন রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক দেশেই দাবানলে পুড়ছে হাজার হাজার হেক্টর জমি।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিবাদকারীরা বলছেন, এই জ্বলন্ত আবহাওয়া ইউরোপ মহাদেশের জন্য একটি সতর্কবার্তা।
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, চলতি দাবদাহের সময়ে পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে এসব মানুষের জীবনহানি ঘটেছে। যে কারণে নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছি।
সানচেজ তৃতীয় কার্লোস স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত উপাত্তের বরাতে বলেন, আগের বছরগুলোর একই সময়ের তাপজনিত মৃত্যুর সঙ্গে তুলনা করে এ সময়ে অতিরিক্ত প্রাণহানির হিসাব করে এই পরিসংখ্যান বের করেছে ইনস্টিটিউটটি।
ইনস্টিটিউট বলেছে, এই পরিসংখ্যান অনুমান নির্ভর, এটা কোনও সরকারি রেকর্ড নয়।
অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা স্পেন এবং ফ্রান্সে নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছেন। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, দাবদাহ আরও অব্যাহত থাকবে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, গ্রীক দমকলকর্মীরা এথেন্সের উত্তরে পাহাড়ের উপকণ্ঠে দ্বিতীয় দিনের মতো দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। দাবানলের তীব্রতায় ওই অঞ্চল শত শত মানুষ সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
দমকল বিভাগের মুখপাত্র ইয়ানিস আর্টোপিওস সাংবাদিকদের বলেন, অধিকাংশ অংশের আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
দাবালনের তীব্রতা এতোই যে ৩০ সেকেন্ড সেখানে থাকলে সব পুড়িয়ে ফেলতো বলে জানান গ্রিসের এক নাগরিক।
পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ অঞ্চলে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছুঁয়েছে। এতে কয়েক ডজন দাবানল দেখা দিয়েছে।