কেএফসিতে ব্যবহৃত মশলার উপাদান দেখে ফ্রাইড চিকেন প্রেমীরা হতাশ!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কেএফসিতে ব্যবহৃত মশলার উপাদান দেখে ফ্রাইড চিকেন প্রেমীরা হতাশ!

কেএফসিতে ব্যবহৃত মশলার উপাদান দেখে ফ্রাইড চিকেন প্রেমীরা হতাশ!

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্সের হাত ধরেই কেএফসি‘র যাত্রা শুরু। অনেক বছর পার হয়ে গেলেও কর্নেল স্যান্ডার্সের সিক্রেট উপাদানে তৈরি ফ্রাইড চিকেন এখনও ফ্রাইড চিকেন প্রেমীদের পছন্দের শীর্ষে। কর্নেল স্যান্ডার্স কি গোপনীয় উপাদান ব্যবহার করতেন তা নিয়ে কৌতুহল থাকলেও- আজও সবার অজানা।

সম্প্রতি কেএফসিতে ব্যবহৃত মশলার একটি উপাদান জেনে যাওয়ার পরে, গ্রাহকদের মধ্যে তা নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়েছে।

কেএফসির গোপন উপাদানগুলির মধ্যে ওই উপদানটি দেখে নিউজিল্যান্ডের এক নারী গ্রাহক হতবাক হয়েছেন। তিনি জানেন, ওই রাসায়নিক পর্দাথটি খাদ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷

ওই গ্রাহক 'কর্নেল স্যান্ডার্স' রেসিপি কেনটাকি ফ্রাইড চিকেন সিজনিং' লেবেলযুক্ত সিজনিংয়ের একটি প্যাকেটের ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। লেবেলটি দেখা যায়,  উপাদানগুলিতে কেবলমাত্র চেইনের বিখ্যাত 'গোপন ভেষজ এবং মশলা' ছাড়াও বিতর্কিত লবণ মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট- এমএসজি (MSG) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট দেখে ওই গ্রাহক ক্ষুব্ধ হন এবং ফেসবুকে তা পোস্ট করেন। এরপর তার পোস্টকে ঘিরে বিশ্বখ্যাত ফুড চেইনে এই উপাদান ব্যবহার নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা শুরু হয়। মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটের ব্যবহার ফেসবুকে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মন্তব্য করতে থাকেন। কেউ কেউ দাবি করেন, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটেই তাহলে কেএফসির প্রধান গোপন মশলা। একজন মন্তব্য করেন, এজন্য আমি খাওযার পর অসুস্থ হয়ে পড়ি।

আবার অনেকেই কেএফসির পক্ষ নিয়ে মন্তব্য করেন, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট পরিমিত ব্যবহার ক্ষতিকর নয়। এক নারী বলেন, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট নিয়ে অনেক ধরনের মিথ রয়েছে। তবে এটার অল্প ব্যবহার খারাপ না। তিনি পোস্টদাতাকে বলেন, আপনি মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটের ব্যবহার সম্পর্কে অন্ধকারে ছিলেন।

প্রায় ৪০ বছর ধরে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটের ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে। কোনও গবেষণায় মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট যে মানুষের গুরুতর ক্ষতিকর বা মৃত্যু হতে পারে- এর যোগসূত্র আছে এমন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি। তবে অনেকেই দাবি করেন, ‘এমএসজি’ যুক্ত খাবার খেলে তাদের বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, ঘাম এবং হৃৎস্পদন বেড়ে যায়। এসব প্রভাবের জন্য সারা বিশ্বে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট খাবারে কতটুকু ব্যবহার করা হবে তা নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্বারা নির্ধারিত হয়।

ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি কথা বলা এবং লালা গিলে ফেলতে সমস্যা হওয়ায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

চিকিৎকরা দেখেন, তার মুখ ফুলে গেছে এবং তিনি আগের রাতে ডিনারে চাইনিজ ফ্রাইড রাইস খেয়েছিলেন। এবং তাতে এমএসজি যুক্ত ছিল। ব্যক্তির সারা শরীরে ঘাম এবং চুলকানি দেখা দিয়েছিল। তবে তিনি কয়েক দিনের মধ্যে সেরে উঠেন।

এদিকে কেএফসির তরফ থেকে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটের ব্যবহার সম্পর্কে নিশ্চিত করা হয়েছে।

কেএফসি তার ওয়েবসাইটে জানায়, আমাদের কিছু খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটের ব্যবহার করা হয়। তবে সেটা নিরাপদ মাত্রায়। যা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। এটি স্বীকৃত যে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট স্বাদ বৃদ্ধি করে। যা মাংস, মাছ, দুধ, শাকসবজি, ফল এবং পনিরের মতো খাবারেও প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়।

ফুড স্ট্যান্ডার্ড অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড বলছে, তারা চার দশক ধরে এমএসজি নিয়ে গবেষণা করছে এবং এটি নিরাপদ।

সূত্র: ডেইলি মেইল

   

ত্রিমুখী ঝুঁকির সম্মুখীন ইউরোপ: ম্যাক্রোঁ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিক ইউরোপের অস্তিত্ব ত্রিমুখী হুমকির সম্মুখীন বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, এসব হুমকি মোকাবেলার জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারণার প্রয়োজন।

শুক্রবার (৩ মে) ব্রিটিশ সাপ্তাহিক ‘দ্য ইকোনমিস্ট’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ এ কথা বলেন।

ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘এটি আমাদের ইউরোপের জন্য ত্রিবিধ অস্তিত্বের ঝুঁকি। একটি সামরিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং একটি আমাদের সমৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক ঝুঁকি এবং অভ্যন্তরীণ অসঙ্গতি ও আমাদের গণতন্ত্রের কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ার অস্তিত্বের ঝুঁকি।’ 

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই তিনটি ঝুঁকি ত্বরান্বিত হয়েছে। খুব দৃঢ়ভাবে হয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। অধিকন্তু, করোনা মহামারির পর আমরা এই উদ্বেগের বিষয়গুলোকে অবমূল্যায়ন করেছি। যদিও ইউরোপ তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছিল, কিন্তু খুব ভীতু বা কখনও কখনও একটু দেরি করে।’

ম্যাক্রোঁর মতে, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ইউরোপের জন্য একটি নতুন ভূ-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দৃষ্টান্ত প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট মনে করেন প্রথমত, ইউরোপকে অবশ্যই নিজের নিরাপত্তার যতœ নিতে হবে। বিশেষত জ্বালানি, উপকরণ এবং বিরল সম্পদের ক্ষেত্রে ইউরোপের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে মূল দক্ষতা এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও।’

অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর মতো উন্নত প্রযুক্তির বিকাশে কোম্পানিগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এ ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা ভোগ করছে।

ম্যাক্রোঁ বলেন, অবশেষে ইউরোপকে ‘সামাজিক নেটওয়র্ক এবং আমাদের সমাজের ডিজিটালাইজেশন এবং গণতন্ত্র যেভাবে কাজ করে তার সৃষ্ট দুর্বলতাগুলোকে মোকাবেলা করতে হবে।’

এই ঝুঁকি কি ধীরে ধীরে মৃত্যু ঘটাবে, নাকি এটি একটি আকস্মিক মৃত্যু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘বিষয়গুলো খুব দ্রুত ভেঙে যেতে পারে। ইউরোপে এবং অন্য সব জায়গায় তারা ক্ষোভ ও অসন্তোষের জন্ম দিচ্ছে।’

;

পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে ২০ জনের প্রাণহানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের গিলগিট বালতিস্তানের ডায়মার জেলায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ জন। 

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দিয়ামের কারাকোরাম হাইওয়ের যশোখাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। চিলাস শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওভারস্পিডিং বা বাঁক নেওয়ার সময় বাসটি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তি ও মরদেহ চিলাসের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।

দিয়ামেরের জেলা প্রশাসক ফাইয়াজ আহমেদ জিও নিউজকে বলেন, যে কমপক্ষে পাঁচজন আহত যাত্রীর অবস্থা গুরুতর এবং দুজনকে গিলগিট শহরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে সেনা হেলিকপ্টারও অংশ নিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরিফ বাস দুর্ঘটনায় ক্ষতির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আহতদের সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

;

তাইওয়ানকে ঘিরে রেখেছে চীনের ২৬ বিমান-৫ জাহাজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তাইওয়ানের চারপাশ ঘিরে রেখেছে চীনের ২৬ টি বিমান ও পাঁচটি জাহাজ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ব-শাসিত দ্বীপের চারপাশে চীনের এই টহল শনাক্ত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণলয়। 

শুক্রবার (৩ মে) সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তের অভিষেক হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে এই অভিযান চালিয়েছে চীন। আগামী ২০ মে তাইওয়ানের রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিষেক করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রপন্থি এই নেতা। বেইজিং লাই কে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে বিবেচনা করে।
দ্বীপটির চারপাশে টহল দেওয়া এসব বিমানের অন্তত ১৭ টি বিমান তাইওয়ান প্রণালি সীমান্ত আদিজে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রায় ১৮০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই প্রণালীটি তাইওয়ানকে চীন থেকে পৃথক করেছে। তাইওয়ান নিজেকে স্বার্বভৌম রাষ্ট্র দাবি করলেও তা নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি চীনের। এমন দাবিতে কয়েক বছরে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে চীনের বিমান বাহিনী। তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন চীনের দাবি প্রত্যাখ্যান করায় উত্তেজনা চরমে ওঠে বেইজিং এবং তাইপের। জানুয়ারিতে তার ভাইস-প্রেসিডেন্ট লাই এবারের নির্বাচনে দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এই উত্তেজনা আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। 

 

;

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত বেড়ে ৩৪৬০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩৪ হাজার ৬০০ জনে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের বর্বর হামলায় অন্তত আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ৫১ জন আহত হয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
আনাদোলু বলছে, আন্তর্জাতিক আদালতের অস্থায়ী রায়কে উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর চলা নিরলস এই হামলায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৫ হাজার ৮১৫ জন আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তীকালীন এক রায়ে আদালত তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

 

 

;