সুচির আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থি নেতা অং সান সু চিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তার সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ান শন টারনেলকেও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন দেশটির আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে একটি সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছিল, যার সর্বোচ্চ সাজা ১৪ বছরের কারাদণ্ড। তবে তারা নির্দোষ বলে আদালতে স্বীকার করেছিলেন।
গত বছরের শুরুর দিকে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সুচি, টারনেল, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, আমলা, ছাত্র এবং সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
নোবেল বিজয়ী সুচিকে ইতোমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক মামলায় ১৭ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক টারনেল অভ্যুত্থানের কয়েকদিন পরই আটক হন।
২০২০ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির দল। পরের বছরের পয়লা ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী।
অভ্যুত্থানের কারণ হিসেবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ভোটে স্থুল কারচুপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। যদিও স্বতন্ত্র নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা ভোটে বড় কোনো কারচুপির প্রমাণ পাননি।
নির্বাচনে কারচুপির মামলায় সু চির পাশাপাশি আসামি করা হয় তার নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারের জ্যেষ্ঠ দুই সদস্যকে। তাদেরও তিন বছরের সাজা দেয়া হয়েছে।