মিয়ানমারে নাটকীয় গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে যুদ্ধাপরাধ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় টহল দিচ্ছে মিয়ানমারের সেনারা। ছবি : সংগৃহীত

ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় টহল দিচ্ছে মিয়ানমারের সেনারা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের তদন্তকারী একটি দল বলেছে, মিয়ানমারে গণহত্যা এবং যৌন সহিংসতাসহ দেশটির সেনাবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধগুলো নাটকীয় গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মিয়ানমার বিষয়ক স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়া (আইআইএমএম) বলেছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং তার সহযোগী মিলিশিয়ারা তিন ধরণের যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে তাদের কাছে শক্তিশালী প্রমাণ রয়েছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চির সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি মারাত্মক সহিংসতায় বিপর্যস্ত হয়েছে। জান্তা সরকার ভিন্নমতের বিরুদ্ধে রক্তাক্ত দমন-পীড়ন চালিয়েছে, যা দেশটির বিভিন্ন অংশে লড়াইয়ের সূত্রপাত করেছে।

জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে, ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে সংঘটিত অপরাধগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে অপারেশন চলাকালীন আটক বেসামরিক লোক বা যোদ্ধাদের হত্যা, সেইসঙ্গে নির্যাতন এবং ভয়ঙ্কর যৌন সহিংসতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আইআইএমএমের প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান বলেছেন, ‘মিয়ানমারে প্রতিটি প্রাণহানি দুঃখজনক। তবে, বিমান থেকে বোমা হামলা এবং গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সমগ্র সম্প্রদায়ের ধ্বংসযজ্ঞ বিশেষভাবে মর্মান্তিক৷’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রমাণগুলো মিয়ানমারে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের নাটকীয় বৃদ্ধির দিকে নির্দেশ করে। বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক এবং পদ্ধতিগত আক্রমণসহ অন্য সকল অপরাধের মামলার ফাইল আমরা তৈরি করছি, যা অপরাধীদের দায়ী করার জন্য আদালত ব্যবহার করতে পারবে।’

সবচেয়ে গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ এবং ফৌজদারি বিচারের জন্য ফাইল প্রস্তুত করার জন্য ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল দ্বারা আইআইএমএম প্রতিষ্ঠিত হয়।

যদিও দলটিকে কখনোই মিয়ানমারে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি, কিন্তু তদন্তকারী দল বলেছে, তারা ৭০০জনেরও বেশি সাক্ষীর বিবৃতি, নথি, স্থিরচিত্র, ভিডিও, ফরেনসিক প্রমাণ এবং উপগ্রহ চিত্রসহ ২৩ মিলিয়নেরও বেশি তথ্য সংগ্রহ করেছে।

দলটি ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে সহযোগিতা করছে।

আইআইএমএমের প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক আইনে সামরিক কমান্ডারদের তাদের কমান্ডের অধীনে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ প্রতিরোধ করার ও শাস্তি দেওয়ার দায় রয়েছে ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বারবার এই ধরনের অপরাধ উপেক্ষা করার অর্থ হলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই অপরাধগুলো পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে সেনাবাহিনী দ্বারা শিশু সেনাদের ব্যবহারের প্রমাণ তুলে ধরে বলা হয়েছে, অনেক বন্দী কেন্দ্রে নির্যাতন, যৌন সহিংসতা এবং নানা ধরণের গুরুতর দুর্ব্যবহার সম্পর্কিত আরও বেশি প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে।

প্রমাণগুলো ইঙ্গিত করে যে, এই ধরনের অপরাধগুলো নিষ্ঠুরতার সর্বোচ্চ স্তরে সংঘটিত হচ্ছে। অপরাধগুলোর মধ্যে রয়েছে বস্তুর সাথে ধর্ষণ, অঙ্গচ্ছেদ, গণ বা সিরিয়াল ধর্ষণ এবং যৌন দাসত্ব।

আইআইএমএম বলেছে, তারা মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের উপর রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়নের সময় সংঘটিত ব্যাপক যৌন সহিংসতার তদন্ত করছে, যা ২০১৭ সালে প্রায় এক মিলিয়ন লোককে বাস্তুচ্যুত করেছে।

   

ইউক্রেনের চেয়েও বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে গাজায়: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইউক্রেনের চেয়েও বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে। বুধবার (১ মে) গাজার ধ্বংসস্তূপের এ পরিমাণ উল্লেখ করেছে ইউনাইটেড নেশনস মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনএমএএস)। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ছয় মাস পরে, জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনএমএএস) ফিলিস্তিনি ছিটমহলে এপ্রিলের মাঝামাঝি ৩৭ মিলিয়ন টন বা প্রতি বর্গমিটারে ৩০০ কিলোগ্রাম ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ অনুমান করেছে। এরই প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ইউক্রেনের চেয়ে গাজায় ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ বেশি রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।

ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইউএনএমএএস প্রোগ্রামের প্রধান মুঙ্গো বার্চ বলেন, গাজায় ইউক্রেনের চেয়ে বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলতে গেলে, ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইন ৬শ মাইল আর গাজার মাত্র ২৫ মাইল।

বার্চ আরও বলেন, গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা ব্যয়বহুল ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠেছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ৩৭০ লাখ টন বা প্রতি বর্গমিটারে ৩শ' কেজি ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ অনুমান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তবে ধ্বংসস্তূপের পরিমাণই একমাত্র সমস্যা নয়। এ ধ্বংসস্তূপে সম্ভবত ইউএক্সওর (অবিস্ফোরিত অস্ত্র) দূষিত উপাদান রয়েছে। এগুলো পরিষ্কার করা জটিল হবে। কারণ, অস্ত্রের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বিস্ফোরিত হয় না। তাই সাধারণ মানুষের জন্য এটি বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। শুধুমাত্র গাজার ধ্বংসস্তূপেই আট লাখ টন অ্যাসবেস্টস রয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ক্যান্সার সৃষ্টিকারী খনিজগুলো অপসারণের সময় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে মুঙ্গো বার্চ আশা করেন, ইউএনএমএএস সব ধরনের বিস্ফোরক অস্ত্রের কারণে সৃষ্ট হুমকি এড়িয়ে কাজ করতে পারবে।

;

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিল কলম্বিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার কারণে গত বুধবার (১ মে) এ ঘোষণা দেন তিনি।

দ্য ওয়াশিংটন পোষ্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে পেত্রো বলেন, তার দেশ আগামীকালই (বৃহস্পতিবার) ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে। এসময় তিনি নেতানিয়াহুকে ‘গণহত্যাকারী’ বলে আখ্যা দেন।

তিনি আরও বলেন, গাজার এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।

এদিকে,কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ অভিযোগ করে বলেছেন, পেত্রোর এই ঘোষণা ইহুদিবিদ্বেষী ও ঘৃণায় পরিপূর্ণ। তার এই পদক্ষেপ হামাসের জন্য পুরস্কার।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবরে গাজায় হামলার পরপরই ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ বলিভিয়া। সেসময় কলম্বিয়া, চিলি ও হন্ডুরাসসহ দক্ষিণ আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশ ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এবার তারই প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের সাথে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল কলম্বিয়া।

 

 

;

চাঁদে যাচ্ছে পাকিস্তান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পর এবার চাঁদে যাচ্ছে পাকিস্তান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শুক্রবার যাত্রা শুরু হবে তাদের। এর মাধ্যমে চীনের সহায়তায় দেশটির পতাকাখচিত প্রথম কোনো মহাকাশযান চাঁদে অবতরণ করবে। চীনের সহায়তায় দেশটির প্রথম মহাকাশযানটি চাঁদের পথে পাড়ি দিচ্ছে।

পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজি (আইএসটি) জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটির ঐতিহাসিক চন্দ্র মিশন শুরু হবে।

জানা গেছে, এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হচ্ছে চীনের সহায়তায়। চীনের মাটি থেকেই চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে পাকিস্তানের চন্দ্রযান।

খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজি (আইএসটি) জানিয়েছে, পাকিস্তানের ঐতিহাসিক চন্দ্র মিশন আগামী শুক্রবার স্থানীয় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে। চীনের তৈরি চ্যাং ওঁ-৬ চন্দ্রযানে করে দেশটির হাইনান প্রদেশের উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে রওনা হবে। পাকিস্তানের এই চন্দ্র মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে আইকিউব-কিউ।

চীনের এ মিশনটি পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি পাকিস্তানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি কিউবস্যাট স্যাটেলাইট আইকিউব-কিউ বহন করছে। কিউবস্যাট হল ক্ষুদ্রাকৃতির উপগ্রহ যা সাধারণত ছোট আকার এবং মানসম্পন্ন নকশায় তৈরি করা হয়।

চ্যাংয়ে-৬ মিশনের মাধ্যমে চাঁদের অন্ধকার দিক থেকে ধূলা ও পাথরের নমুনা পৃথিবীতে ফেরত আনতে চায় চীন।

বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদের মাটিতে নিয়ন্ত্রিত অবতরণ করে ভারত। ভারতীয় মহাকাশসংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীদের নিরলস চেষ্টায় এটি সম্পন্ন হয়।

;

ভারতীয় গুপ্তচর বহিষ্কার করেছিল অস্ট্রেলিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিরক্ষা প্রকল্প, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও বাণিজ্য সম্পর্ক বিষয়ক নথি চুরির চেষ্টা করায় ২০২০ সালে একাধিক ভারতীয় গুপ্তচর বহিষ্কার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। চলতি সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন।

ভারতীয় গুপ্তচর বহিষ্কারের বিষয়টি ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্স অর্গানাইজেশন (এএসআইও) প্রধান মাইক বুরগিসের বার্ষিক প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছিল বলেও খবরে বলা হয়েছে।

ঠিক কতজন গুপ্তচর বহিষ্কার করা হয়েছিল, তা অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। তবে গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে ভারতীয় দুজন গুপ্তরচরকে বহিষ্কার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও ওই ঘটনার পরও দিল্লির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা বলে আসছে ক্যানবেরা।

অ্যানুয়াল থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট নামে ওই বার্ষিক প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দাপ্রধান জানিয়েছিলেন, দুই বিদেশি গুপ্তচর কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজ করছিলেন। তবে সেই সময় তিনি দুই গুপ্তচরের জাতীয়তা প্রকাশ করেননি।

বুরগিস আরও বলেছিলেন, ২০২০ সালে বিদেশি গুপ্তচরেরা বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন রাজনীতিবিদ, একটি বিদেশি দূতাবাস এবং রাজ্য পর্যায়ের পুলিশ পরিষেবাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছিল। এছাড়া তারা নিজ দেশের প্রবাসীদের ওপরও নজর রাখছিল।

ওয়াশিংটন পোস্টের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের পর অনেক সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দুজন ভারতীয় গুপ্তচর ছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া সরকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের এমন দাবি স্বীকার কিংবা অস্বীকার কোনোটাই করেনি। তবে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সরকার বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করতে আগ্রহী। বুধবার (১ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী জিম চালমার্স বলেন,  আমি এসব গালগল্পে ঢোকার কথা কখনোই বলব না।

ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে জিম আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্ক। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উভয় পক্ষের প্রচেষ্টার ফলে দুই দেশ অনেকটা কাছাকাছি এসেছে।

 

;