মণিপুরে তিন কুকি গ্রামরক্ষীকে হত্যা
ভারতের মণিপুর রাজ্যে ফের সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার চূড়াচন্দ্রপুরে কুকি উপজাতি সম্প্রদায়ের তিন গ্রামরক্ষীকে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে হত্যা করা হয়েছে। এরপরই সেখানে বিএসএফের পাহারা বসানোর কথা বলা হয়েছে।
এই ঘটনার পরেই জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। কোথায় সেই সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা লুকিয়ে রয়েছে সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, এখনো পর্যন্ত তাদের খোঁজ মেলেনি।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু, আচমকাই ছন্দপতন। ১৩ দিন পর আবার সহিংসতার সাক্ষী হলো রাজ্যটি। সব মিলিয়ে, মণিপুরে এখন পর্যন্ত ১৫৫ জন নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
অন্যদিকে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, চূড়াচন্দ্রপুর ডেপুটি কমিশনারের কাছে রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রী এন বীরেন শাহ জানতে চেয়েছেন, স্বাধীনতা দিবসে কেন অস্ত্র হাতে মিছিল হয়েছিল।
ওই মিছিলের ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, যুব সম্প্রদায় স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে ওই মিছিলে অংশ নিচ্ছে।
জোমি কাউন্সিল স্টিয়ারিং কমিটি ওই মিছিলের আয়োজন করেছিল বলে শোনা গেলেও ১টিএলএফ নামে সমন্বিত উপজাতি সংগঠন ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের মতে, যারা এই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তারা গ্রাম পাহারার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক। তাদের হাতে ওগুলো খেলনা বন্দুক ছিল।
চূড়াচন্দ্রপুর মূলত পাহাড়ি এলাকা। সেখানে কুকিদের দাপট রয়েছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ কুকিদের গ্রামে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে তিন গ্রামরক্ষীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
কুকি ছাত্র সংগঠনের উখরুল প্রেসিডেন্ট গিগিন জানিয়েছেন, জেলা এসপি বলেছেন, বিএসএফ মোতায়েন করা হবে। এতদিন কিছু হয়নি। মানুষ ভেবেছিলেন সব হয়তো ঠিক হয়ে গেছে। জঙ্গিরা মনে হয় জঙ্গলে লুকিয়ে পড়েছে।